নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমার চিন্তা \'অদ্ভুত\' দেখে ভীত হয়ে যেও না, কারণ বর্তমানে সমস্ত চিন্তাই এক সময় \'অদ্ভূত\' ছিল। বার্ট্রান্ড রাসেল।

এসো চিন্তা করি

আমি একজন শিক্ষার্থী।‌পড়াশোনা করি । পছন্দ করি কল্পনা করতে ,পছন্দ করি পড়াশোনা করতে তাই পড়ার চেষ্টা করি বিভিন্ন দার্শনিক, তাত্ত্বিক,কবি , বিখ্যাত ব্যক্তিদের লেখনী , বোঝার চেষ্টা করি জীবনে সাথে তাদের লেখার সারসংক্ষেপ, এখানে নিজের কল্পনা জগত সম্পর্কে সকল কে জানানোর জন্য ই আসা ।

এসো চিন্তা করি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মীর নিসার আলী ওরফে তিতুমীর

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩



বীর মুজাহিদ তিতুমীর
এ.কে.এম .রেদওয়ানূল হক নাসিফ

হয়েছে অত্যাচারিত , লাঞ্ছিত, অবহেলিত জমিদার
কর্তৃক এই বাংলার জনগণ ;
আসলো না কেউ দিতে তাদের যোগ্য প্রতিদান
করতো শুধু তাদের অপমান ।

যখন ই চাওয়া হতো বাংলার মানুষের অধিকার
তাদের কার্যের যোগ্য সম্মান ;
তখন তাদের কপালে জুটতো অপমান , করতো শাসক
শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ তাদের অসম্মান !

হতো সমাজের নিকৃষ্ট শ্রেণীর মানুষ ওরা ,পেতো
ওরা শাসক শ্রেণীর কাছে তিরষ্কার
ভাবতো ওরা এই বাংলার মানুষের দু'দিনে কে আসবে
উদ্ধার করতে আনতে এই বাংলার সংস্কার

অত্যাচার যখন গেলো বেড়ে , ব্রিটিশ রা যখন শুরু
করলো তাদের হিংস্র নীতির প্রয়োগ ;
তখন আশার আলো নিয়ে, বাংলার খেটে খাওয়া জনগনের
পাশে এসে দাঁড়ালেন এক মহা নায়ক !

তিনি আহ্বান করলেন এই বাংলার জনগণ , মনোবল হেরে;
যেও না, সুদিন আমাদের খুব নিকটে ;
তিনি করলেন বাংলার সাধারণ মানুষদের আবদ্ধ ,দিলেন
তাদের মুক্তির আশ্বাস এই মহা বিপদে !

তিনি বললেন অন্যায় রা করতে পারে না রাজ
কখনো তাদের বানানো কতগুলো নিয়মে
আমরা বাংলার জনগণ মানি না ওদের নীতি ,
বাধ্য নই মানতে ওদের ভয় করি না মরণে ।

তিনি করলেন নির্মাণ বাঁশের দূর্গের দিতে বাংলার
জনগণকে বিট্রিশদের হাত থেকে সুরক্ষা
তৈরী করলেন তিনি বীরতপ্ত সেনানী যারা অন্যায়ের
বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে সংগ্রাম করলো সর্বদা

তিনি নন কেউ নন কোনো , অসাধারণ কেনো
মহান গুণের অধিকারী ;
তার মধ্যে ছিলো ইচ্ছে আগ্রহ অন্যায় কে
প্রশ্রয় দিতেন না তিনি !

করলেন প্রাণপণ সংগ্রাম , চেষ্টা অব্যাহত রাখলেন
ফিরিয়ে দিতে বাংলার মানুষের প্রাণের দাবী
পারলেন না পুরো করতে সংস্কার , দিতে হলো
তাকে ব্রিটিশদের সম্মুখে জীবন বাজি ।

হলেন তিনি শহীদ ব্রিটিশদের করা বুলেটে , রয়ে গেলেন
বীর নায়ক হয়ে তিনি বাংলার মানুষের মনে ;
আজ ও বাংলার জনগণ এই বীর কে স্মরণ করে অন্যায় এর
বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে অবিরত লড়ে !

তিনি নন তো আর কেউ তিনি হলেন বাংলা মায়ের গর্ব
থেকে বেড়ে উঠা লড়াকু এক ছেলে ;
এই বাংলা তাকে বীর মুজাহিদ নিসার আলী হরফে
তিতুমীর বলেই অভিহিত করে !


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

মায়াস্পর্শ বলেছেন: বেশ ।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: সুন্দর

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৮

এসো চিন্তা করি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ☺️

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


তিতুমীর ও চে মধ্যে পার্থক্য কি?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪১

এসো চিন্তা করি বলেছেন: তিতুমীর ও চে গুয়েভারা উভয়েই জনগণের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, তবে তাদের ভূমিকা, সময়কাল ও সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:

### ১. **কাল ও প্রেক্ষাপট**:
- **তিতুমীর**: ১৮৩১ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় এবং সামাজিক অসন্তোষের মধ্যে লড়াই করেছিলেন। তার সংগ্রাম মূলত কৃষক বিদ্রোহের উপক্রম ছিল এবং এটি বাংলা অঞ্চলের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ।
- **চে গুয়েভারা**: ২০শ শতকের মাঝামাঝি, বিশেষ করে ১৯৫০-এর দশকে, কিউবার বিপ্লবের সময় কাজ করেছেন। তিনি গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য পরিচিত ছিলেন এবং ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে সামরিক বিপ্লবের পক্ষে কথা বলেছেন।

### ২. **মিশন ও দর্শন**:
- **তিতুমীর**: কৃষক, শ্রমজীবী এবং ধর্মীয় মুল্যবোধের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন। আধিকার ও স্বাধীনতার জন্য ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় এবং সামাজিক সংহতির প্রচার করেছিলেন।
- **চে গুয়েভারা**: মাওবাদী দর্শন এবং সমাজতন্ত্রকে বিশালভাবে সমর্থন করেন। চে বিশ্বাস করতেন যে সামরিক ক্রांति এবং রাজনৈতিক সংস্কার একমাত্র উপায় সমাজের শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।

### ৩. **পদ্ধতি ও কৌশল**:
- **তিতুমীর**: বিদ্রোহী কৃষকের নেতৃত্ব দিয়ে ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তার পদ্ধতি ছিল মূলত স্থানীয় জনগণের সংগঠন ও আন্দোলনের মাধ্যমে।
- **চে গুয়েভারা**: Guerrilla warfare এবং প্রবল সামরিক কৌশলের মাধ্যমে বিপ্লবের প্রচার করেছিলেন। তিনি বিদ্রোহী দলে সক্রিয় এবং আন্তর্জাতিকতার ধারণা নিয়ে কাজ করেছেন।

### ৪. **অবদান ও প্রভাব**:
- **তিতুমীর**: বাংলার কৃষক আন্দোলনকে উৎসাহিত করেছেন এবং তাঁর জীবন ও সংগ্রাম স্থানীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- **চে গুয়েভারা**: বিপ্লবী আন্দোলন ও সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারায় বিশ্বব্যাপী এক মূর্তি হিসাবে তাকে স্মরণ করা হয়।

এইভাবে, তিতুমীর ও চে গুয়েভারার মধ্যে পার্থক্য তাদের সময়, দর্শন, কৌশল, এবং প্রভাবের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর কবিতা। হরফে নাকি ওরফে?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

এসো চিন্তা করি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ওরফে হবে
বানান ভুল

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ভালো লিখেছেন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫

এসো চিন্তা করি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই পরবর্তী তে কাকে নিয়ে কবিতা চান
জানাবেন

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৫

কামাল১৮ বলেছেন: সূর্য সেন,প্রিতিলতা,দিনেস,বিনয় বাদল এরা দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে ফাঁসিতে ঝুলেছে।তারা শহিদ
তিতুমির সাম্প্রদায়িক ছিলেন।যেমন জামাতে ইসলাম একটা সাম্প্রদায়িক দল।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

এসো চিন্তা করি বলেছেন: হে ভাই আপনি যর্থাথ বলেছেন
ধন্যবাদ আপনাকে ☺️

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: এসব লেখা বাঁশের কিল্লায় মানায়, সামুতে না।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: তিতুমীর বোকা মানুষ ছিলো। তার বুঝা উচিৎ ছিলো বাশের কেল্লা, কামানের গোলার কাছে কিছুই না।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

এসো চিন্তা করি বলেছেন: সে সময় হয়তো বিষয়টা এভাবে চিন্তা করে দেখেছেন উনি ভাই , তখন এতো কিছু ভাবেন নি
উনি ভাবছেন হয়তো সামাণ্য নিরাপত্তা দিতে হবে ওদের তাই হয়তো এই পদক্ষেপ নিয়েছেন

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তিতুমীরের কোন ইতিহাস ভারতে অবশিষ্ট নেই।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১২

এসো চিন্তা করি বলেছেন: ভারতে থাকার কথা ও না ভাই কিন্তু বাংলাদেশে এখন ও আছে , এখন বাংলাদেশের জনগন উনাকে আর্দশ হিসেবে গ্রহন করে চলেছে ,উনার মতো প্রতিবাদী লড়াকু হতে চায় নাম জানা না জানা শত শত তরুণ, যুবক ,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.