নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাওয়া নকল মানুষ। নিজ ধর্মে বিশ্বাসী ধার্মিক। নিজ কাজে নির্ভরশীল শ্রমিক। দেশকে ভালবাসা এক দেশপ্রেমিক।মানুষে মানুষে সচেতনতা বাড়ুক, দেশ হোক উন্নত, সমৃদ্ধশালী। মানবতা আশ্রয় নিক হৃদয়ে।

রিফ্রাক্শন

আমি ঠিক আমার মতো। আমার ভাবনার মত। ভাবনাগুলোর যুক্তির মত। আমি যেগুলো তে বিশ্বাস করি সেই বিশ্বাস এর মত। আমি আমার রচিত সংবিধানের মত। আমি প্রেমিকা পাগল প্রেমিকের মত। কাজ পাগল শ্রমিকের মত। দায়িত্ব নিতে চাওয়া নেতার মত। অবশেষও আমি মানুষ আপনাদের মতই, আপনাদের মধ্যেই একজন।

রিফ্রাক্শন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ অসংঙ্গায়িত অনুভূতি

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩০

প্রথম পর্ব

রাগিব শাহরিয়ার। নামটা উচ্চারনে সমস্য না হতে চাচা চাচি তার একটা ছোট নাম দিয়েছেন রুদ্র। ছেলেটা নাদুশ নাদুশ ছিল কিন্তু এখন তার দেহের কাঠামো উন্নত। রুদ্র পেশায় একজন প্রকৌশলী। বাড়ি বানানো নয় কম্পিউটারের প্রোগ্রাম তৈরির ইন্জিনিয়ার। ওর ভাগ্য টা ভাল কেননা পৌষ মাসটা ওর জন্মের পরে পেয়ে আর আমার ভাগ্য টা খারাপ কেননা পৌষের শেষে আমার পৃথিবীতে আসা তাই ভাল কিছু আমার জীবনে ঘটে না।
রুদ্র সাথে আমার পরিচয় ঠিক কবে থেকে তাহয়ত যেখানে আমাদের প্রথম দেখা সেখানের ঘাসগুলো মনে রেখেছে। আসলে কিছু সম্পর্ক শুরুর তারিখ লাগে না কিংবা কেউ মনে রাখে। এতো প্রেম ভালবাসা নয় বয়ং তার চেয়ে কিছু বেশি। এককথায় এই সম্পর্কের কোন সংগা আমার জানা নেই।
আগামি বিশ দিন পর ওর বিয়ে। বাড়ির পাশে আবুল চাচার মেয়ে। বাবার নাম আবুল হলেও মোটেও আবুল নয় বরং বুদ্ধি দিয়ে একটা ভাল জামাই বেছে নিয়েছেন। আসলে তার মেয়ে তুলির অবদান কম নয়। গত পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছে। মেয়ে পেশায় একজন ব্যাংক অফিসার। একটি বেসরকারী ব্যাংকে নিযুক্ত। ভার্সিটি পড়াকলীন প্রেম শুরু হয়। কিন্তু গোড়াপত্তন হয় সেই ক্লাস ফাইভে আমি পেড়ে দিয়ে রুদ্রকে সাহায্য করতাম। যায় হোক গোপনে সব সেরে রেখে আমাকে জানিয়েছে।

দ্বিতীয় পর্ব

শহর থেকে প্রায় তিনশ কিমি দুরে বাড়ি। চলেছি আমার সাদা রঙের চার চাকার গাড়িটা নিয়ে। আমিই চালক। আমার জীবনে কেউ হস্তক্ষেপ করুক এটা আমার পছন্দ নয়।
আজ বিশ বছর পর আমি বাড়ি যাচ্ছি। সেই বিশ বছর আগে বাবা মা হারিয়ে আর বাড়িতে যাওয়া হয়না। আমার বাড়ি রুদ্রর বাড়ির পাশে। রুদ্রদের বাড়িটাকে বাড়ি বলাযাবে না সেযে একটা রাজপ্রাসাদ। তার তুলনায় আমার বাড়ি ছিল ছোট। বাবা সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। কোন এক অপরাধীর হাতে ন্যায় রক্ষার্থে মারা যান। এই শোক মা কাটিয়ে উঠতে পারেননি বলে তিনি আর বেচেঁ থাকর ইচ্ছা করেনি। জীবনে একবার মিথ্য বলেছিলাম আমার শিক্ষক কে। তিনি আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন আমি দোযখ না বেহশত এ যেতে চাই কিন্তু প্রতিউত্তরে আমি বলেছিলাম ওসব আমি বুঝি না। মা যেখানে যাবে আমি সেখানে যাব। কিন্তু যেদিন মা চলে গেলেন সেদিন আত্মহত্যার উপায় জানতাম না বলে মা এর সাথে যেতে পারিনি।
তারপর থেকেই রুদ্রর বাড়িতে থাকতাম। এবং রুদ্রর মা' কে আমি চাচি বলে ডাকতাম কিন্তু চাচির চেয়ে বেশি আপন ছিল। তারপর একদিন চাচার সাথে শহরে চলে এসে পড়তাম। গ্রামে যেতে মন চাইনা। চাচি এসে আমাকে দেখে যান এমনকি ঈদেও।
যেহেতু অনেক দিন পর যাচ্চি সভাবত রাস্তা অচেনা লাগছে। নদীর পাশ দিয়ে বহমান রাস্তা। চলছি বাড়ি পাথে।

তৃতীয় পর্ব

বাড়িতে পৌছালাম। চাচিকে সালাম করে নিজের ঘরে চলে গেলাম। অবাক হলাম ঘর টা ঠিক আগের মত আছে যেখানে বছর দু ছিলাম। যেদিন অংক কষতে কষতে চলে আসতে ছিলাম সেই অর্ধসমাপ্ত অংকটা তিনটাকার খাতায় আজো অসমাপ্ত। কিন্তু কোথাও ধুলো নেই।
খুব ক্লান্ত লাগায় গা বিছানায় এলিয়ে দিলাম। বাড়িতে বিয়ের আমেজ বোঝা যাচ্চে। বিশেষ করে বাড়ি সাজাতে সবাই ব্যাস্ত। রুদ্রর কাছ থেকে শুনলাম ওর হবু বউ নাকি চলে এসেছে। নিশ্চয় চলে গেছে গল্প করতে। ভালবাসা বলে কথা। আচ্ছ বিয়ে করে যখন রুদ্র চলে যাবে ভিনদেশে তখন আমি একা থাকব কি করে। এত দিনে প্রতিরাতে যাকে পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছি সে আর থাকবে না। ঘড়িতে রাত আটটা। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেছিলাম।

সকালে বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। তখন ঘড়ি দেখলাম সকাল এগারোটা। একি এত ঘুম পেরে ফেললাম কি করে। উঠে দেখলাম দরজাটা বন্ধ হয়ত এভাবেই গেছিলাম তবে গায়ে একটা চাদর আবিষ্কার করলাম। উঠে চললাম ডাইনিং টেবিলের দিকে।

চাচিঃ ঘুম ভাঙল বাবা?
আমিঃ জি। ক্ষিধা লাগছে।
চাচিঃ ভাত রেখে দিয়েছি খেয়ে নে। সকালে ঘুমে ছিলি বলে ডাকিনি। দ্বারা আমি খাওয়ায় দিচ্ছি।


ভাত খেতে খেতে বৃষ্ট শেষ। রুদ্র যেন বিয়ে করতে এই বর্ষাকালকেই বেছে নিল। দেরি যেন প্রেমের সবচেয়ে বড় শত্রু। যাক ওর বিয়ে ও করুক। খেতে খেতে ভাবলাম একটু মার্কেটে যাব সবার জন্য কিছু কিনতে। আমি আমার পেশা লিখিনি বলে আমি যে বেকার তা নয়। একটা গাড়ি কিনেছি। গত তিনবছর ধরে সরকারের প্রশাসনে শ্রম বিক্রি করী। বড় অফিসার। বেতন কম না। প্রোমশন পেয়েছি তাই একমাসছুটি আর এ ফাকেই রুদ্র তুলির বিয়ে খেতে এসেছি।

বের হব এমন সময় গাড়ির চাবি টা আর পাই না। কোথার রাখলাম মনে করতে পারছি না এদিকে গাড়ি টাও নেই। চাচিকে ডেকে প্রশ্ন করলাম যে দেখেছে কিনা কেননা রুদ্র যে গাড়ি নেবেনা তা আমি জানি কারন ও সহ সবাই ব্যাপারটা জানে।

চাচিঃ গাড়িতো বাবা তুলির বান্ধবী নিয়ে গেছে।

আমি আর কথা না বলে ঘরে চলে এলাম। এ যুগের মেয়েদের কি হায়ার অভাব। আমাকে না বলে আমার গাড়ি নিয়ে গেল। আমি সাধারনত মেয়েদের ওপর রাগ করিনা কিন্তু এখন প্রচুর রাগ হতে লাগল। এমন রাগ আগে করিনি। চোরকে পিটিয়ে তথ্য বের করতে এত রাগ লাগে না। ভাবলাম চোর পিটানি করে পিটাব মেয়ে তো কিহয়েছে। আমার হাতে একবার যে মার খেয়েছে তাকে আর অপরাধ করতে আমি দেখিনি।

প্রায় আধাঘন্টা পর হঠাত্ টের পেলাম কেউ একজন দরজায় উকি দিচ্ছ। ভাবলাম আসুক চাবি রাখতে দেখাব মজা। তারপর অবচেতন হয়ে থাকলাম যখন মেয়েটি চাবিটা টেবিলে রাখল তখনি উঠে পড়লাম। মেয়েটা ভয়ে থমকে দাড়াল।
মেয়েটার চোখে চোখ রেখে আমি আর মেয়েটাকে কিছু বলতে পারলাম। মেয়েটার রুপ আমি বর্ননা করতে পারব না। আমি অপারগ। মেয়েটা লজ্জা পেয়ে চলে গেল কিন্তু আমার চোখে যেন স্থির ছবি হয়ে গেল। আচ্ছা একটা মেয়েকে দেখে আমি থমকে গেলাম যার হাতে একটি জেলা আজ অপরাধ মুক্ত। অপরাধ করতে তারা ভয়ে কাপে। আমি কি তাহলে ক্রাশ খেলাম কিন্তু কেন এর আগে তো সিরিয়ালের রাশিকে কিংবা ঢাকাইয়া মডেল শখ কে দেখেও খায় কিন্তু এমন ব্যাপার তো হয়নি। শরীরে যেন লোম গুলো শিউরে উঠল। মনের আতশবাতি গুলো জ্বলে উঠল। আচ্ছা মেয়েটা কে কিংবা নাম ই বা কি?

চতুর্থ পর্ব

রুদ্রর একটা ছোট বোন আছে। নাম তৃষা। এই বাড়িতে একমাত্র তৃষার কথা ছাড়া আমি কারো কথা শুনি না। আসলে ছোট একটা বোন থাকা সুবিধা। বড় বন থাকলে সে অনেক কাজ করে কিন্তু তাকে তো আর হুকুম করা যায় না আর ছোট বোনের কাজ দুটোই। নিজে থেকেও করে আবার আদেশ ও শুনে।

নাম না জানা মেয়েটাকে দেখার পর থেকে ঘোর এখন কাটে নি। তবুও ঘর থেকে বাইরে আসলাম দেখলাম তৃষা জামাকাপড় আইরন করছে। হঠাত্ আমাকে বলল তার কাজ আছে তাই এই কাজটা করে দিতে কিন্তু আমি তো ফেলতে পারব না হয়ত তৃষা এটা জানে। আমিও ভাবলাম এই সুযোগে যদি ঐ মেয়েটার নাম জানা যেত তবে খারাপ হত না।স্বার্থপর কিনা তাই। কিন্তু ছোট বোনের কাছে একটা অপরিচিত মেয়ের নাম জানতে চাইব ব্যাক্তিত্বের সাথে বাধঁতে লাগল কিন্তু মেয়েটাতো আমার সব কিছু বিশৃঙ্খল করে দিয়েছে। তবুও কাজ শেষে তৃষাকে ডাক দিলাম।

আমিঃ এই নে।
তৃষাঃ ঠিক আছে ভাইয়া।
আমিঃ আচ্ছ গতকাল তুলির সাথে একটি মেয়েকে দেখলাম নাম কি?
তৃষাঃ কেন কি করবা?
আমিঃ এমনি।

তৃষা নামটা বলল এবং শোনার সাথে সাথে আমার হৃদয়পটে ক্ষোদায় করে লেখা হয়ে গেল। মেয়েটার নাম হৈমন্তী।আসল নামটা দিলাম না কেননা তাহার নামটার মূল্য বুঝেছি।

পঞ্চম পর্ব

আজ পাচঁ দিন হয়ে গেল রুদ্রর সাথে দেখা নেই। যেদিন থেকে এসেছি যেন দেখায় নেই। একটা খোজ নিল না। বিয়ের আনন্দে কি মনে পড়ছে না কিন্তু ঠিকি তুলির সাথে দেখা করছে কথা বলছে।

এই বাড়িতে সবার কাজ আছে কিন্তু আমার কোন কাজ বরাদ্দ নেই। আগে কাজ করতে মন চাইত না কিন্তু আজ মন চাইলেও কাজ নেই কেননা কেউ আমাকে কিছু বলে না। তবে তদারকি করার দায়িত্ব অননুমোদিত ভাবেই কাধে আছে কারন কিছু দায়িত্ব থেকে যায়।
আমি শুধু একটাই দোয়ায় করি যেন বিয়ের দিন বৃষ্টি না হয়। যদিও বর্ষাকাল। এসময় প্রকৃতিকে বোঝা দায়।
গতদিন শহরে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু যাওয়া হয়নি ঐ মেয়েটার কারনে।আচ্ছা মেয়েটা আমাকে একবারো সরি বলল না। না বলে না বলুক। আমি আজ বের হলাম। চাচির জন্য দুটো শাড়ি, তৃষার জন্য জামা, রুদ্র তুলি সবার জন্য সব কিনে যখনি গাড়িতে উঠব তখনি আবার মাথা জুড়ে হৈমন্তী। এই যুগে রঠার দেওয়া নাম পাওয়া যায়না। তাই আবার ফিরে যেয়ে একটা কালো পারের লাল বেনারসি কিনলাম। এত কিছুর ভিতরে এই শাড়িটার যেন খরচ বেশি তবে সেটা ব্যাপার না। তারপর বাড়িতে চলে এলাম। আগে ঘরে হৈমন্তীর শাড়িটা রেখে অন্যসব নিয়ে বাইরে এলাম। দেখি পাত্র পাত্রি তৃষা চাচি হৈমন্তী সবাই মিলে আড্ডায় বসেছে। তো একজায়গায় সবাইকে পেয়ে বিতরন করলাম সবাই খুশি হল কিন্তু হৈমন্তী উঠে চলে গেল। মন চাইল উঠে গিয়ে বলি কিন্তু মন চাইলেই সব পরিস্থিতিতে সবকিছু হয়ে ওঠেনা। পরে অবশ্য যখন রাতে চাচি এসেছিল ঘরে তখন চাচিকে সব খুলে বললাম। আচ্ছা কিন্চিত লজ্জা হল না। অকপটে হৈমন্তীর কথা বলে দিলাম। চাচি ঘুমাতে বলে চলে গেল। আমি ঘুমিয়েও গেলাম কিন্তু সকালে যখন শাড়িটা পেলাম না তখন ভাবলাম চাচি হয়ত ওকে দিয়ে দিয়েছেন।

ষষ্ঠ পর্ব

বিয়ের দিন চলে এল দেখতে দেখতে। বাড়িটাতে যেন উত্সবের কমতি নেই। বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। একটু গর্ব হল যখন দেখলাম সবাই আমার দেওয়া উপহারগুলো পরেছে। কিন্তু হৈমন্তি কি পড়বে?
আমি সবার পেছনে বসে দেখছি। এভাবে দেখার অনুভুতিটা ভাল লাগে। কিন্তু মনটা আজ কেন শুধু হৈমন্তী কে চাইছিল।
হঠাত্ করে দেখলাম হৈমন্তী আমার দিকে আসছে। মেয়েটা এত অপরুপ কেন? সারাদিন ওর মুখের দিকে তাকিয়ে অনায়াসে কাটিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু সেই সুযোগ কি হবে।

হৈমন্তীঃ ধন্যবাদ।
আমিঃ কেন।
-এই শাড়িটার জন্য।


আমি আর কথা বলার কিছু পেলাম না। মাঝে মাজে তাকাতে ইচ্ছা করছে কিন্তু কিভাবে?
সময়ের ব্যবধানে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ। আমি এসে বাথরুমে গেলাম কিন্তু পড়ে যেয়ে গেল তিনটা আঙ্গুল ভেঙে। কিন্তু চিন্তা হল আমাকে তো সকালে যেতে হবে কিন্তু গাড়িচালাব কি করে?

সপ্তম পর্ব ও শেষ পর্ব

সবাই ঐ একটি বিষয় যে আমি কিভাবে যাব ঠিক তখনি ভাগ্যের জোরে হৈমন্তী বলল সে আমার সাথে যাবে। সেও লাইসেন্সকৃত চালক। মানে নিজে চালাতে পারে।সাবার থেকে বিদেয় নিয়ে চলে আসলাম।
গাড়ি চলছে। স্তব্ধ দুপুর। বৃশ্টি আসবে। এসেও গেল। হঠাত্ মেয়েটা গাড়ি থেকে নেমে নদীর ধারে দাড়াল। আমি গাড়ি থেকেই দেখছি। মেয়েটার সৌন্দর্য আমি আর বলব না। আচ্ছ মেয়েরাকি ভিজতে ভালবাসে। একবার ইচ্ছা হল যেতে কিন্তু আর যাওয়া হল না। আচ্ছা ও কি সঙ্গী হিসেবে আমাকে পাশে আশা করছে?
বৃষ্টি যেন আর ছাড়বে না। হৈমন্তী কিছুক্ষন পর চলে এল।

--কি কেমন ভিজলেন
-ভালনা
-কেন
-একা ভিজতে কি ভাল লাগে
--তবে আর কি করবেন
-আপনি পাশে থাকলে নদীর ধারে দাড়িয়ে দুজন কথা বলতাম আর ভিজতাম
--আমার ভিজতে ভাল লাগেনা
-আপনি এত রুক্ষ কেন
--সমাজের অবস্থার জন্য
-বদলে যান
--একা সম্ভব না
-তবে অতি আপন কাউকে খুজে নিন


আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। গাড়ি চলছে। নিশ্চুপ হয়ে গেছি। খুব ইচ্ছা করছে বলতে তুমি কি তোমার ভালবাসা দিয়ে আমাকে রুক্ষতা থেকে মুক্তি দেবে?
কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকে না। মনের ভেতরে পাথর চেপে থাকে। চেষ্টা করে বের হতে কিন্তু পারে না।
হঠাত্ নিরবতা ভেঙে আমার ঠিকানা চাইল। আমি দিলাম। কিছুসময় পরেই চলে এলাম পুরোনে সেই স্থানে। কিন্তু কি উচিত ছিল যে আমি ওকে নামিয়ে দিয়ে আসতাম কিন্তু ভাগ্য খারাপ তা আর পারলাম না।
আমাকে নামিয়ে দিয়ে বলল আমার বাড়ি কাছেই একাই যেতে পারব। আমি আর ঠিকানা জানতে চাইলাম না।চলে এলাম ঘরে। ঘুমিয়ে পড়তে হবে সকাল থেকে আবার সরকারী কাজে নিযুক্ত করতে হবে।
কিন্তু ঘুমোতে পারলামনা। ছাদের রেলিংএর ওপর বসে আছি। ভাবছি। কানে বাজছে হৈমন্তির কিছু কথা। বর্ষাকাল। গা যে ভিজে গেছে বৃষ্টিতে তা লক্ষ করা হয়নি। আমিও এই ভেজাতে তাকে অনুভব করতে চাই। কিছু সময় যেন বাচতে ইচ্ছ হয়না। কত চোর ডাকাত অভিশাপ দেয় তা যদি আজ কাজে লাগত।
কিছুই ভাল লাগছে না। হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক। আচ্ছ ওর বাড়িতে কাছে যদি চলে এসে আমার পিঠে হাত দিয়ে বলে আমি এসেছি!
কি অকল্পনিয় চিন্তা। তবুও তো অসম্ভব নয়।
এভাবেই ভালবাসা তৈরি হয়ে যায় থেকে যায় কিছু অমলিন স্মৃতি যা নেশার মত কাজে করে। হৈমন্তীকে দেখা এখন মাদকতার মত। নেশা হয় কিন্তু কিছু করার নেই।
তারপরেও অপেক্ষা....

গল্পঃ অসংঙ্গায়িত অনুভূতি
লেখকঃ মুরাদ দুর্জয়

প্রোফাইল লিংক

গল্পটি ২০১৫ সালে যখন আমি ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছিলাম তখন আজকের দিনে লেখা। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:১৪

ওমেরা বলেছেন: অপেক্ষা কি শেষ হয়েছে ?

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২৭

রিফ্রাক্শন বলেছেন: জি অপেক্ষা শেষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.