নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাওয়া নকল মানুষ। নিজ ধর্মে বিশ্বাসী ধার্মিক। নিজ কাজে নির্ভরশীল শ্রমিক। দেশকে ভালবাসা এক দেশপ্রেমিক।মানুষে মানুষে সচেতনতা বাড়ুক, দেশ হোক উন্নত, সমৃদ্ধশালী। মানবতা আশ্রয় নিক হৃদয়ে।

রিফ্রাক্শন

আমি ঠিক আমার মতো। আমার ভাবনার মত। ভাবনাগুলোর যুক্তির মত। আমি যেগুলো তে বিশ্বাস করি সেই বিশ্বাস এর মত। আমি আমার রচিত সংবিধানের মত। আমি প্রেমিকা পাগল প্রেমিকের মত। কাজ পাগল শ্রমিকের মত। দায়িত্ব নিতে চাওয়া নেতার মত। অবশেষও আমি মানুষ আপনাদের মতই, আপনাদের মধ্যেই একজন।

রিফ্রাক্শন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি যে দলের সমর্থক

২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

আমি যতটা ফুটবল ফ্যান তার চেয়েও বেশি ক্রিকেট ফ্যান।

মনে আছে ২০০৬ সালের কথা, একদিন আমি আর সিজার মামু বসে ক্রিকেট খেলা দেখছিলাম, সেই ম্যাচে ধোনি ১৮৩ রান করেছিল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে, তখন থেকেই বাংলাদেশ সহ ভারত কে সাপোর্ট করতাম। ভক্ত ছিলাম টেন্ডুলকার, গাঙ্গুলি, দ্রাবিড়।

তখন বাংলাদেশ যেন মাঠে নামলেই হারত, তারপরেও প্রতিটা ম্যাচ দেখতাম, জিতব এই আশায়।

স্যাটেলাইট কানেকশন না থাকাই বিটিভি তে বাংলাদেশ আর ডিডি ন্যাশনালে দেখতাম ভারতের কথা। খেলা তো দেখতাম আবার হাইলাইটস ও দেখাতাম।

প্রতিদিন বিকেল বেলা মাঠে ক্রিকেট খেলতাম, অনুকরন করতে মন চাইত কিছু প্লেয়ার কে। করতাম।

কিন্তু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের পর থেকে ক্রিকেট খেলা এখন আর আগের মত টানেনা। তারপরেও বাংলাদেশের ম্যাচ গুলো দেখি। ভিরাট কোহলি, (অনেকে খারাপ বা বেয়াদপ বলেন), ব্যাটিং এ নামলে দেখা হয়, একই ভাবে, ব্রেন্ডন ম্যাক্কুলাম, ডেভিড ওয়ারনার, আমলা, ডি ভিলিয়ারস পিচে থাকলে চোখ বুলাই, তবে টেস্ট খেলা আমার সবচেয়ে প্রিয়, কিন্তু গত ৩/৪ বছর ব্যাস্ততার কারনে তেমন আর দেখা হয় নাহ। এভাবেই চলছে।

ক্রিকেটের মত ফুটবলে আমি এমন দেখেশুনে সাপোর্ট করা শুরু করি নি।
ন্যাশনাল টিমে পছন্দ আর্জেন্টিনা দলকে। এর মুল কারণ ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাদনার একক ভুমিকার গল্প শুনে। মুলত ফুটবল ফ্যান হয়ছি ২০১০-১১ মৌসুম থেকে, মানে ভাল ভাবে খেলা দেখা আর কি

এর আগে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ থেকেই ফুটবল নলেজ মাথাই আসে, খুব চেয়েছিলাম ফাইনাল দেখব, ফ্রান্স-ইতালি, ইতালি কে সাপোর্ট দিয়েছিলাম, আব্বু ইতালির সাপোর্ট করত বলে, কিন্তু ঘুমাই গেলে আর দেখা হয় না। সকালে শুনলাম জিদান নাকি কাকে মাথা দিয়ে ধাক্কা দিয়েছে।

সেই বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে যে আর্জেন্টিনা হারল, মেসি কে নামলো না তখন থেকেই মেসি ভক্ত হয়ে গেছি। এর পর ২০১০ এর প্রতিটা ম্যাচ দেখেছি, ২০১৪ তেও তাই। কোপা আমেরিকা দেখা হত। মাঝে মাঝে দেখতাম, লিগে ক্লাব ম্যাচ গুলো। মেসির কারনেই আমার বার্সা সাপোর্ট করা।

আমি যে প্রজন্মে বড় হয়েছি সে প্রজন্মের সবার ব্রাজিল সাপোর্ট করা অস্বাভাবিক কিছু না, কারণ সেই তানা ৩ বার ফাইনাল খেলা, চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সাথে তাদের সব লিজেন্ড প্লেয়ার। আগে বুঝতাম না, এখন বুঝি। তবে যারা আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করে তাদের আশা দেখে ভাল লাগে। ক্যামনে পারে?

আর ক্লাব ফুটবলে দেখা যাই বেশিরভাগ ব্রাজিল সমর্থক রিয়াল মাদ্রিদ ফ্যান। কেনোনা, মেসি খেলে বার্সেলোনা তে, তাহলে এন্টি হিসেবে রিয়াল সাপোর্ট করতে হবে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এর ইতিহাস তো আছে, শতাব্দির সেরা তো আর এমনি হয় নাই।

আর মনে হয় আমার প্রজন্মে যেসকল ব্রাজিল ফ্যান বার্সা সাপোর্ট করে তারা ম্যাজিশিয়ান রোনালদিনহোর খেলাই সাপোর্ট করে।

আমি তর্ক যত টা সম্ভব এরিয়ে যেতে চাই। তবুও মাঝে মাঝে হয়ে যাই। বর্তমানে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, সেরা খেলোয়াড় এটা বলতে দ্বিধা নেই। এটা না মানলেই অযথা কথা বলা হবে, তেমনি মেসি যে একেবারে ফেলনা তা না, দু জনাই কিন্তু বেস্ট, তাদের দিক থেকে।
আমি রোনাল্ডো কে পছন্দ করি না, যেমন টা আপনি মেসি কে পছন্দ করেন না।

তবে রাইভাল দের মধ্যে মারসেলো, ইস্কো, বেল, ক্রুস, এদের ভাল লাগে।

এদানিং আমার কাছে কেন যেন মনে হয, মানুষ ফেসবুকে মাত্রারিতক্ত মজা করে, সবাই এক দুই লাইন এর স্ট্যাটাস দিতে পছন্দ করে। রাইভাল দের পচাতে বিভিন্ন কথা বলে, যে গুলো ট্রল নামে পরিচিত। পছন্দের দল হারলে পরের দিন আর ফেসবুকে আসা মুস্কিল হয়ে পরে। তবে ইদানিং খেলোয়াড় দের চেয়ে রেফারি আলচনাই আসছে বেশি, ব্যাচারা।
চলুক, এভাবেই, ম্যাচডে আসবে, নিউজ ফিড ভরে যাবে ট্রলে, ভরুক। সময় তো কাটে।

~ মুরাদ দুর্জয়
আমার ফেসবুক প্রোফাইল

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.