নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাওয়া নকল মানুষ। নিজ ধর্মে বিশ্বাসী ধার্মিক। নিজ কাজে নির্ভরশীল শ্রমিক। দেশকে ভালবাসা এক দেশপ্রেমিক।মানুষে মানুষে সচেতনতা বাড়ুক, দেশ হোক উন্নত, সমৃদ্ধশালী। মানবতা আশ্রয় নিক হৃদয়ে।

রিফ্রাক্শন

আমি ঠিক আমার মতো। আমার ভাবনার মত। ভাবনাগুলোর যুক্তির মত। আমি যেগুলো তে বিশ্বাস করি সেই বিশ্বাস এর মত। আমি আমার রচিত সংবিধানের মত। আমি প্রেমিকা পাগল প্রেমিকের মত। কাজ পাগল শ্রমিকের মত। দায়িত্ব নিতে চাওয়া নেতার মত। অবশেষও আমি মানুষ আপনাদের মতই, আপনাদের মধ্যেই একজন।

রিফ্রাক্শন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ নারী ও প্রেমিকা

০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:০৪

প্রতিদিন প্রেমিকার সাথে কথা বলা কি অভ্যাস? নাকি মায়ার জাল? আমি কি তাহলে অভ্যাস এর অভাব বোধ করছি নাকি আবার তার মায়ার জালে আটকাতে চাইছি। জানিনা, এর উত্তর আমি এখন জানিনা। তবে ওর সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছা করছে এটাই সত্য। আর আমি ওর সাথে কথা না বলে থাকতে পারব না।
এমন কোন দিন হয়নি। এর আগে অনেক ঝগড়া হয়েছে, যে রাতে ঝগড়া হয়েছে, ঝগড়া না মিটিয়ে সে রাত কে ভোর হতে দেয়নি। কিন্তু এবার তুচ্ছ কাহিনী নিয়ে আজ দুদিন কথা না বলে আছি, রাত পেরোলেই হবে সময়ের হিসেবে তিনদিন।
হ্যা সেদিন কোন নিজেদের সমস্যা নিয়ে ঝগড়া হয়নি। ঝগড়া হয়েছিল এক নাটক এর কাহিনী নিয়ে। কাহিনী এমন ছিল, নায়ক এক মেয়েকে ভালবাসে আবার নায়িকাও ভালবাসে। মধুর ভালবাসার সম্পর্ক। কিন্তু নায়ক কে আবার এক মেয়ে ভালবাসে মানে নিজের করে চায় যেভাবেই হোক। এজন্য সে বেছে নেয় সবচেয়ে কুরুচিপূর্ণ পন্থা। নায়ক ভুল বসত সেই মেয়ের চাহিদায় ধরা দেয়। নস্ট হয় সম্পর্ক।
নাটকটি দেখার পরের দিন আমার আর ওর মধ্যে কথা হচ্ছিল এক চায়ের টঙ্গে, যে খানে ওর সাথে আমার কথা শুরু।

ও বলল, “কালকে টিভিতে নাটক টা দেখেছিস?
আমি বললাম, “ কোনটা? জি বাংলা নাকি স্টার জলসা?’’
ও বলল, ” জানিস তো আমি ওসব দেখি নাহ। তোকে ফোন দিয়ে যেটা দেখতে বললাম।“
আমিঃ দেখেছি।
ওঃ কি সব ফালতু নাটক। সমাজের ভালো কনসেপ্ট গুলা কি খুঁজে পায় না?
আমিঃ হুম।
ওঃ হুম কি?
আমিঃ না মানে সমাজে এমন ঘটনা ঘটছে বলেই তো পর্দাই এসব উঠে আসছে।
ওঃ কিন্তু সমাজে তো ভাল কিছু ও হয়।


এর পর আর অনেক কথা হল কিন্তু শেষে চায়ের কাপ রাখতে রাখতে আমি বললাম, “ আসলে সবাই প্রেম করে শরীরের চাহিদা মেটাতে।“
এই কথা শোনার পর ওর চেহারা বদলে গেল, এমন রিয়াক্ট করল যেন কিনা কি বলে ফেলেছি। তারপর ওঃ আমাকে একটি কথা বলে চলে গেল। কথাটি হল, “ নিজের মানসিকতা বদলায়ে আমার কাছে আসিস।“
বুঝলাম ও রেগে আছে কারণ রাগলে আমরা তুই করে বলে থাকি। ওর কথা শুনে অনেক কথা মাথায় আসছিল। সেদিন আমারও রাগ হয়েছিল বলে রাতে আর ফোন দেয় নি। সকালে একটা মেসেজ পেলাম, “মোবাইল বন্ধ থাকবে, ভেঙ্গে গেছে।‘’



এখন ঘড়িতে রাত ৩ টা ৩৫। কত দিন রাত জাগছি? হিসেব আছে? আছে? ও আমার জিবনে আসার কিছু দিন পর থেকে।
মেয়েটার সাথে আমার প্রথম দেখা ভর্তি পরীক্ষার সময়। মেয়েটা আমার সামনে বসে ছিল। সময় শেষে ক্লাস পরিদর্শক রা যখন বলছিলেন লেখা থামতে তখনও মেয়েটা লিখে যাচ্ছে। স্যার কাছে আসার পর দ্রুত খাতা ঠিক করতে যেয়ে বসার বেঞ্চ টা আমার পায়ে ফেলে দিল। খুব ব্যাথা পেলাম। এতই ব্যথা যে, নাটক সিনেমাই যখন এমন হয় যখন মেয়ে তার সুন্দর চেহারা আর বাতাসে ওরা খোলা চুল নিয়ে ‘সরি’ বলে সেই ‘সরি’ শোনার অনুভুতি থেকে এই ব্যাথার অনুভুতি বেশি।
কোনমতে বের হয়ে আসলাম। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল তবু গেট থেকে একটা রিক্সা নিয়ে নিজের মেসে চলে আসলাম। যদিও গেটে মেয়েকে আবার একবার দেখলাম।
দু তিন দিন পর ব্যথা কমলে গ্রিলে পা ঝুলিয়ে বারান্দায় বসে আছি। এই শহরে যান্ত্রিকতা নেই। অন্ধকার বাড়ার সাথে সাথে নিস্তব্ধতা নেমে আসে। নগরী হয়ে যায শান্ত।
হঠাত নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে ফোন কল আসলো। এত আরমে বসে থাকার কারনে ধরতে ইচ্ছা না করলেও দু বার বাজলে দেখলাম এক বন্ধু দিয়েছে। ধরলাম।
বন্ধুঃ কিরে কি করিস? ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। তোর পজিশন ভাল, আমার একটু খারাপ।
আমি; ভাল।


বলে ফোন কেটে দিলাম। মেয়েটির কথা মনে পড়ল। আচ্ছা,
মেয়েটির নাম কি? চান্স কি পেলো? পজিশন কত? ইত্যাদি।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম। অনেক রাত হওয়াতে বাড়িতে জানালাম না। সকালে জানাবো।



মাস দুই কেটে গেছে। ভর্তির দিন চলে আসেছে। ভর্তি হতে যাব এমন সময় মেইন গেটের পাশে একটা চায়ের দোকানে একটা মেয়েকে দেখলাম। চেনা লাগল বলে কাছে গেলাম। চায়ের অর্ডার দিয়ে সামনে বেঞ্চে গিয়ে বসলাম। আমি চুপ করে আছি। খানিক বাদেই মেয়েটা বলল, “আরে আপনি?’’

আমিঃ জি? আমাকে চিনেন কিভাবে?
মেয়েটিঃ ঐ যে ভর্তি পরীক্ষার দিন।
আমিঃ ও আচ্ছা। ভর্তি হবেন এখানে?
মেয়েটিঃ হ্যা।


ডিপার্টমেন্ট এর নাম বললে দেখলাম দুজনে একই বিভাগে।
সকল কাজ শেষ করে ফেরার সময় মেয়েটি আমার নাম ধরে ডাক দিল। আমি ইতস্তত বোধ করলাম। আমার নাম জানলো কি করে? আমি তো ওকে আমার নাম বলিনি? আমি তো ওর নাম জানিনা। এখন কি হবে? জিজ্ঞেস করা কি ঠিক হবে? প্রেস্টিজের ব্যপার থাক। পরে জানা যাবে।

তারপর কিছুদিন পর ক্লাস শুরু হল। প্রথম দিন আমি ঠিক ওর পেছনে বসেছিলাম। কোনভাবে জানতে পারলাম মেয়েটির নাম “মানসী’’ বা “মানষী”। এই ‘সী’ আর ‘ষী’ এর ভেতরে দ্বিধা।
ধীরে ধীরে আমাদের মাঝে বন্ধুর সম্পর্ক গড়ে উঠল। সঠিক নাম মানসী। ভাল হোক আর খারাপ নাম টা আমার ভাল লাগে নি বলে সবার মত প্রসংসা করতে পারলাম নাহ।

সকাল বেলা ৫ মিনিট লেটে ক্লাস, ক্লাস শেষে বিকেলে শরীর চর্চা, সন্ধ্যা থেকা আড্ডা। এভাবেই দিন কাটতো। শনিবার কিংবা রবিবারে ক্লাব ফুটবল দেখেলে সেদিন আর সকাল ৮ টার ক্লাস ধরতে পারতাম নাহ।

মানসীর কথা বলি। লম্বায় মেয়ে হিসেবে ঠিকঠাক। চুল গুলো সবসময় খোলা থাকে, সম্ভবত বাঁধতে পারে না, তাহলে কি রাঁধতেও পারে না? চেহারাটা আহামরি কিছু না তবে মায়াময়ী সুন্দরি। সিরিয়াল করলে টপ ৭ এ থাকবে। কথা বেশি বলে, তবে কাজে খুব মনযোগী, চলাফেরা অনেক দুরুন্তপনা। অনেক কিছুই তো বললাম।

আমাদের সম্পর্ক টা বন্ধুতের হলেও আমার ওকে ভাল লাগতো। প্রেম কতে ইচ্ছা করত। ওর দুরন্তপনা টা ভাল লাগে। তাই ভাবতে লাগলাম ওকে কিভাবে বলব? কবিতা লিখব? নাকি প্রেমপত্র? নাকি সরাসরি প্রপোজ?

৮ লাইনের একটা কবিতা লিখলাম যার কথা এমন ছিল যেন পড়ে না বুঝতে পারে আমি ভালবাসার কথা বুঝাচ্ছি। তারপর একটা হাস্যকর প্রেমপত্র লিখলাম। শেষে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করলাম কিভাবে প্রপোজ করব।

এতেই রাত ৪ টা বেজে গেল, এদিকে সকাল ৮ টাই ক্লাস। ক্লাস ধরতে পারব কিনা সন্দেহে ঘুমালাম কিন্তু যখন উঠলাম তখন দেখি সেকেন্ড পিরিয়ড পেতে পারি তাই দ্রুত ক্লাসে গিয়ে পেছনে বসলাম। কেউ তেমন খেয়াল করিনি আমি আসলাম।

স্যার যখন আমার রোল কল করছিল তখন আমি দাঁড়াইলাম আবার আমার প্রক্সি দিতে মানসী দাঁড়িয়েছে। ধরা খেয়ে স্যার মানসীর গত দুইটা এটেন্ডেন্স কেটে দিলো। ক্লাস শেষে আমি ওকে বললাম, “ তোকে কি আমি প্রক্সি দিতে বলেছি?”

মানসীঃ না।
আমিঃ এতো মাতব্বারী কেন?
মানসীঃ কিন্তু আমি দেখলাম এই বিষয়ে আজ তোর প্রেজেন্ট না থাকলে তুই পরীক্ষা দিতে পারতি নাহ।
এই কথা বলে ওঃ মন খারাপ করে বসে পড়ল। আমি বুঝে বিষয়টা ঠান্ডা করতে ওর পাশে গিয়ে বসে বলা শুরু করলাম।
আমিঃ কবিতা শুনবি?
মানসীঃ না।
আমিঃ আমি লিখেছি।
মানসীঃ কবি আমার, হুহ!
আমি; শোন না?
মানসীঃ বল।
আমি আমার সেই কবিতা পড়ে শোনাতে লাগলাম।
আমিঃ কেমন হয়েছে?
মানসীঃ ভালো তবে বোঝা মুশকিল। একটা কথা জানিস?
আমিঃ কি?
মানসীঃ কবিদের প্রেম হয় না কেন?
আমিঃ জানিনা।
মানসীঃ কবি রা কবিতা পেচিয়ে লিখতে ভালবাসে কিন্তু প্রেমিকারা সহজ কবিতা ভালবাসে যা সে বোঝে।


এই কথা বলে ওঃ চলে গেল, আর আমি ভাবতে লাগলাম, ওকি আমাকে কোন ইশারা দিয়ে গেলো?জানিনা।

এরপর একদিন আমি আমার লেখা প্রেমপত্র ওর ব্যাগে লুকিয়ে দিয়ে দিলাম। সেটা আবার মনসী ওর লাখ লাখ ফলোয়ার এর আইডি থেকে পোস্ট করল, সবাই ‘হা হা’ রিয়্যাক্ট দিল। আমি ভাবলাম একটা ‘লাভ’ ইমো দিব, কিন্তু আমার আইডি কি তার হাজার নোটিফিকেশন এর মাঝে চোখে পড়বে?

এরপর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার শেষদিন ছুটি হয়ে যাবে দেখে আমি ভাবলাম সয়াসরি ওকে প্রোপজ করে দিবো। একসাথে যেতে যেতে বলতে চাচ্ছিলাম। আমি আমতা আমতা করা দেখে ও আমকে অবাক করে দিয়ে বলল, “ আমি তোকে ভালবাসি।‘’
কথা শুনে কি করব না ভেবে লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ছিলাম। চোখ খুলে দেখি মানসী নেয়। আমি কি বাতাসে শুনলাম নাকি ওঃ সত্যি করে বলল।

এরপর ছুটির ভেতরে আমাদের বন্ধুত্তের সাথে প্রেম যোগ হল, হয়ত বন্ধুত্ব আর নেই কিংব আছে।

তারপর আর সকাল ৮ টার ক্লাস বাদ যায় নাহ। রাত জাগা হয় না। খুব ভোরে ওঠা হয়। জনশূন্য রাস্তায় হাঁটা হয়, সকালে চা খেয়ে ক্লাসে ঢোকা হয়।



এসব কথা ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে গেল। বের হয়ে গেলাম ওর হোস্টেলের সামনে। গিয়ে নিচে দাঁড়ালাম। ফোন বন্ধ কিন্তু ওর সকালে ওঠার অভ্যাস তাই বারান্দায় একবার আসবেই। আসলেই আমাকে দেখবে। ঠিক আসল। আমাকে দেখে ভিতরে চলে গেল। আমি রাস্তার বিপরিত পাশে চলে গেলাম। একটা পর মানসী বের হয়ে আসলো। আমার আবারা পাশাপাশি হাঁটাতে লাগলাম। কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ থাকার পর ও মুখ খুলল।

মানসীঃ কেন আসেছিস?
আমিঃ তোরে নিয়ে হাঁটতে
মানসী; সেদিনের কথার পর লজ্জা করল নাহ?
আমিঃ আমার আবার লজ্জা
মানসীঃ লজ্জা তো নারীর ভুষণ তুই কেন পাবি।

আমি বলা শুরু করলাম, “ শোন, আমারা আজ প্রেম করছি কিন্তু একদিন আমদের মিলন হবে আমাদের ভবিষ্যত আসবে, এটাই তো নিয়ম।
মানুষের জৈবিক চাহিদা আদি কাল থেকেই। বিবাহ বাদে মিলন করা হারাম। আবার প্রেমিকার অনিচ্ছাই মিলিত হলেও সেটা ধর্ষণের পর্যায়ে পরে। কিন্তু আমরা আমাদের প্রেমিকাদের ব্ল্যাকমেইল করি, তাদের আবেগে আঘাত দেই। আর বাঙালি মেয়ে ওদের কথা না বলি, লেখকের শুরে বলা যাই, যাকে মন দিয়েছে তাকে দেহ দিতে কি, এই দেহে আছেই কি? কিন্তু নারী বুঝল নাহ, তার দেহের জন্যে আমাদের মত প্রেমিক তৈরী। এরা যুগ যুগ থাকবে যতদিন নারী মন আর দেহকে আলাদা করে না দেখবে। কামনা আর যৌবনের ক্ষিদা বড় কুতসিত ব্যাপার।“

মানসীঃ বুঝলাম খুব লেকচার দিলি।
আমিঃ দুই দিন কথা হয়নি তোর সাথে, তাই জমা কথা বেরিয়ে এলো।
মানসীঃ আমার সাথে এমন করবি নাহ তো?
আমিঃ করলে……
মানসীঃ যাহ, বেয়াদব।







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১২:২৯

ওমেরা বলেছেন: মোটামুটি ভাল লাগছে ।

০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

রিফ্রাক্শন বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৩ রা মে, ২০১৭ রাত ১:৪৪

জল্লু ঘোড়া বলেছেন: কি কমু বুজতাছি না। দুনিয়াডা প্রেমময়। সালার আমি কোনহান থিকা আইলাম?

০৩ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

রিফ্রাক্শন বলেছেন: প্রেমেই টিকে আছে পৃথিবী, আমরা।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

জল্লু ঘোড়া বলেছেন: আপনার নিক রিফ্রাকশন আর লগইন নাম রিফ্লেকশন, কিভাবে কি? দুটো কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।

০৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রিফ্রাক্শন বলেছেন: জেনে শুনে দেয়া

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.