নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাওয়া নকল মানুষ। নিজ ধর্মে বিশ্বাসী ধার্মিক। নিজ কাজে নির্ভরশীল শ্রমিক। দেশকে ভালবাসা এক দেশপ্রেমিক।মানুষে মানুষে সচেতনতা বাড়ুক, দেশ হোক উন্নত, সমৃদ্ধশালী। মানবতা আশ্রয় নিক হৃদয়ে।

রিফ্রাক্শন

আমি ঠিক আমার মতো। আমার ভাবনার মত। ভাবনাগুলোর যুক্তির মত। আমি যেগুলো তে বিশ্বাস করি সেই বিশ্বাস এর মত। আমি আমার রচিত সংবিধানের মত। আমি প্রেমিকা পাগল প্রেমিকের মত। কাজ পাগল শ্রমিকের মত। দায়িত্ব নিতে চাওয়া নেতার মত। অবশেষও আমি মানুষ আপনাদের মতই, আপনাদের মধ্যেই একজন।

রিফ্রাক্শন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীলিমা সেন নীতু, রাজশাহী-৬০৪১

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮

‘‘তখন বছরের প্রথমে যখন একটা নতুন বই আর বাকি গুলো পুরোনো পেতাম তখন মনে প্রবল জেদ নিয়ে বলতাম, এ বছর ভালো করে পড়ব, আর স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাগানে বাগানে গুল্ড্যাং খেলব না, পরীক্ষা দিয়ে এসে মা যদি প্রশ্ন দেখে কি লিখেছি বলতে বলে তাহলে তোঁতা পাখির মত সব উগলে দেব, বড় বড় মার্কস পাব, শিক্ষকের নম্বর খাতায় কালো কালিতে নম্বর উঠাবো, বছর শেষে সব গুলো নতুন বই নেব।

আসলে তখন নতুন বইয়ের গন্ধ টা খুব টানত। এ এক অনন্য নেশা বলা যেতে পারে। কিন্তু যখন ক্লাসের যারা নতুন বই পেত ওদের দেখে খুব মন খারাপ হত বলেই এমন চিন্তা করতাম। তারপর দিন যেতে থাকে, সামনে বেঞ্চে বসে নিজেকে ঠিক খুঁজে পেতাম না, দিন যাওয়ার সাথে সাথে আমি পেছনের বেঞ্চে সেই পরিচিত জায়গা খুঁজে নিতাম, যেখানে আমি সংজ্ঞায়িত, তখন বেঞ্চেরও যেন আবেগ ছিলো, অনেকদিন পরে আসায় অভিমান করত কিন্তু ঠিক প্রেমিকার মত বেশিক্ষন আভিমান না করে আবার আমাকে আপন করে নিত।

সেই পেছনে বসে স্কুলের সবচেয়ে রুক্ষ স্যারকে একবার মুখ না ভাঙ্গালে যেন আমাকে ঠিক আমি মনে হত না। ঠিফিনের পর শিক্ষকের খাতায় আবার সেই রোল নং ৫৩ না থাকলে আমাকে ঠিক আমার মত মনে হত না। তাই আমি আবার ফিরে যেতাম আমার নিজের ভিতরে, মনের কথা শুনে খেলছি গুল্ড্যাং, ভেংচি কেটেছি গণিতের মাস্টারকে, সন্ধ্যার আজান শুনে চিতা বাঘের মত দৌর দিয়ে বাড়িতে ফিরেছি।তাই বছর শেষে আমার আর পাশ জুটেনি, বছরের প্রথমে ওদের মত নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে পারিনি। তবুও সারাবছর আমি ছিলাম আমাতেই, একচলক বিশিষ্ট সমীকরনের চলক হয়ে।
’’


ছোট এই অনুচ্ছেদ লিখে কাগজটা দুভাজ দিয়ে খামে পুরে খামের ওপর ৫ টাকার স্ট্যাম্প মেরে পোস্ট করতে যাচ্ছে আকাশ। প্রাপকের ঠিকানা, পাক্ষিক সাহিত্য পত্রিকা ‘আনন্দ’। যদিও আকাশ আজ পর্যন্ত দশের অধিক লেখা পাঠিয়েছে কিন্তু ‘আনন্দ’ পত্রিকার নিয়মিত লেখকদের ভিড়ে তার জায়গা হয়নি। এর ভেতরে অনেক বড়গল্প ছিলো, ছোটগল্প ছিলো কিন্তু কোন দিন ছাপার অক্ষরে আর দেখা হয়নি। তবে আকাশের ঘরে যতগুলো পাঠ্য বই নেই তার চেয়ে কয়েকগুন এই পাক্ষিক পত্রিকা ‘আনন্দ’ আছে। তবে আকাশ আশা বেধে আছে বুকে একদিন তার লেখা প্রকাশ পাবেই। হয়ত সেদিনই হবে সবচেয়ে খুশির দিন। এই ভেবে আকাশ লিখে যায়, লেখাটা তার অভ্যেস হয়ে যায়। কিছু অভ্যাস বদলানো যায় না। এ গুলোকে নেশা বলে।

তবে এমনও না যে আকাশ লিখে খুব সাহিত্য গুছিয়ে, সাজিয়ে, কিংবা লেখার মধ্যে কোন ভাব থাকে এমনও নই। আকাশ শুধু মনে যা আছে তাই কলমের মুখে রুপান্তরির করে।

আকাশ আজ পোস্ট মাস্টারকে একটু সাধে যেন, ঠিকমত প্রাপকের কাছে পৌছায়। কেন জানি আকাশের মনে হচ্ছে, এই লেখাটা তার প্রকাশ পাবেই।


-কাকা, এই চিঠিটা তুমি একটু নিজে হাতে পৌঁছায় দিতে পারবা? আমি তোমারে মিস্টি খাওয়ামু...
-আরে পাগলা, ঐ এলাকা তো আমার না, তবে যে আছে আমি তাকে একবার বলে দিব।
-আচ্ছা কাকা। দোয়া কইরো।
-আচ্ছা, যা এখন আমার কাজ আছে।


আকাশ ফিরে আসে সেদিনের মত। অপেক্ষা এবার ১৫ দিনের। যে পরের পাক্ষিকে আসে কিনা। এই ১৫ দিন যেন শুধু মাত্র ১৫ দিন নই বরং ১৫ বছরের মত। কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা যেন সময়কে বেধে রাখে, মন চাই সময় চলে যাক তবুও অপেক্ষা নামক প্রভাবক বেধে রাখে সময় কে।

১৫দিন পর, কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে মজিদ পেপার বিক্রেতার কাছে থেকে ‘আনন্দ’ পত্রিকা নিয়ে উৎসাহ সহকারে খুলে দেখে এবারও তার লেখা ছাপা হয়নি। অতি উৎসাহ কিংবা আশা নিমেষে মাটিতে মিশে গেলে সবকিছু থেকে যেমন বিরত থাকতে মন চাই ঠিক তেমনি আকাশ ও মন খারাপ করে আর লিখল না, এর ১৫ দিন পর আর নতুন কোন ‘আনন্দ’ সংখ্যা কিনতে আসে না। সাথে অবশ্য আরেকটি কারণও সামনে আসে। সামনে পরীক্ষা, কিছুটা পাশ করার জন্য পড়ালেখা শুরু করে।




প্রায় ৩ মাস পর

সব কিছু মিলিয়ে বেশ ভালো আছে আকাশ। পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়েছে, নামকরা এক ভার্সিটিতে বাংলাতে পড়ার সুযোগ পেয়েছে, ‘আনন্দ’ পত্রিকার কথা টা তার মনে কিছুটা ধুলার আড়ালে আছে। কিন্তু সেই ধুলো মুছে গেল পোস্টমাস্টারের ডাকে। ডাক শুনে বাইরে এসে দেখে একটা চিঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।

-কি হয়েছে কাকা?

-তোর একটা চিঠি এসেছে।

- কবে?

- সে মাস দেরেক আগে।

-তাহলে আজ দিচ্ছ কেন?

-জানিসই তো, এই পোস্ট অফিসের সকল দায়িত্ব আমার। গত ২ মাস বেশ অসুস্থ থেকে ছুটি নিয়েছিলাম। অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতে বলেছিলাম। কিন্তু সে বলা মাত্রই। মানুষ নিজের কাজটাই ভালো মত করতে চায় না, আবার অন্যের কাজ! তাই এই অবস্থা। ফিরে এসে জমে থাকা চিঠি গুলো এখন বিলি করতে হচ্ছে। না জানি কত মানুষের কত না ক্ষতি হয়েছে।

- আচ্ছা কাকা।


চিঠিটা হাতে নিয়ে একটু চিন্তিত স্বভাবে তাকিয়ে উপরের লেখা পড়ল। প্রেরকঃ নীলিমা নীতু। পোস্টঃ রাজশাহী-৬০৪১।

‘এই মেয়ে কে? আমাকে কিভাবে চিনে?’- এই ভাবতে ভাবতে চিঠিটা বের করল।

‘‘ স্কুল পালিয়ে শৈশব এ আনন্দ করেছেন, কিন্তু ইতিহাস বলে আজ পর্যন্ত যারা স্কুল পালিয়েছে হয় তারা জীবনে অনেক বড় কিছু করেছে, না হয়ত মলিন হয়ে গেছে। আপনার অবস্থা এখন কোন পর্যায়ে আছে? আপনি নিশ্চয় রবীন্দ্রনাথ নন?’’

লেখাটা পড়ে মিটি মিটি হাসতে হাসতে সে আকাশে উড়ে একটা লাফ দিলো। বুঝতে আর বাকি নেই, তার লেখা প্রকাশ হয়েছে। সেই অবস্থাতেই দৌর দিলো। মজিদ চাচার কাছে থেকে সেই সংখ্যার পর থেকে গত প্রকাশনা পর্যন্ত সব গুলো নিয়ে খুঁজতে থাকে। নিজের লেখা ছাপার হরফে দেখার এক প্রবল ইচ্ছা এক পর্যায়ে মিটে যায় আকাশের। গত শ্রাবন-গোলাপ সংখ্যায় প্রকাশ পায় আকাশের লেখা। সে আনন্দ দেখে কে? অন্য কেউ হয়ত বুঝতে পারবে না। কেননা আপনার সকল খুশি কিংবা আনন্দ অন্যজন বুঝবে না। সব আনন্দের সংজ্ঞা হয় না। পরিমাপ হয় না। প্রকাশ হয় কিছুটা ভিতরে।

ফিরে এসে সে রাতে এক অদ্ভুত উত্তেজনায় ভুগতে ছিলো আকাশ। অনেক কিছু ভেবে ঠিক করল, ঐ ঠিকানায় চিঠির উত্তর দেবে। যা ভাবল তাই কিন্তু কি লিখবে?

কিছুক্ষন অপেক্ষা করে লিখল,

‘‘ আমি রবীন্দ্রনাথ নয় ঠিক আছে, হতেও চাই না। আমি ছোট বেলা থেকেই নিজের মাঝে নিজেকে খুঁজেছি। তাই অন্যজনকে অনুসরন আমি করিনা। তবে হ্যাঁ আমি চাই আমাকে কেউ অনুসরন করুক। আমি যেহেতু রবীন্দ্রনাথ নয়, আপনিও ঠিক রবীন্দ্রনাথের বউদি নন?’’

আগে যেমন ‘আনন্দ’ পত্রিকায় লেখা প্রকাশে উৎসাহ কাজ করত, এখন এই অজানা আচেনা এক মেয়ে যেন তার এই চিঠি পায় সেই জন্য অস্থিরতা কাজ করছে। নারী এক অদ্ভুত চরিত্র। পুরুষকে প্রভাবিত করতে অভিজ্ঞ। আবার পুরুষরা যেন প্রভাবিত হতে চেয়ে থাকে।

৩ দিন পরেই আবার সেই ঠিকানা থেকে চিঠি আসে, নীলিমা নীতু, রাজশাহী-৬০৪১

‘‘না বউদি হয়ে প্রেম করার ইচ্ছে নেই। আমি প্রেমিকা হতে চাই। প্রেমিকা হয়ে প্রেমিককে ভালবাসতে চাই। ঠিক সেই ছলনাময়ী প্রেমিকার মত, কিংবা শেষ বেলায় এসে বিশ্বাস ভেঙ্গে ফেলা প্রেমিকার মত।যেখানে ভালবাসাটা খানিক পবিত্র, খানিক অপবিত্র।’’
আকাশে উত্তর দেয়, ‘যে প্রেমিকা প্রেমের আগেই নিজেকে এভাবে তুলে ধরে তাকে কে প্রেম নিবেদন করবে? প্রেম টা তো সহজ নয়। প্রেম এক গভীর তত্তীয় বিষয়, কেউ নিজে রচনা করে ২০ এ ১০ পায় কেউ অন্যের লেখা নকল করে ২০ এ ১৫ পায়, তবে পূর্ণ নম্বর আজও কেউ পায়নি।’


এই লিখে পোস্ট করে দিয়ে এসে আকাশ চিন্তা করে আসলে মেয়েটি কে? আগে তো এই নামে কেউ পরিচিত ছিলো না। সে কি ‘আনন্দ’ পত্রিকার এজকন পাঠকই কেবল নাকি লেখক? কিন্তু এই নামে তো কোন লেখকের লেখা পড়া হয়নি।

আকাশ আবার সেই শ্রাবন-গোলাপ সংখ্যা খুলে ভালো করে দেখে তার লেখার পরে সে সংখ্যায় প্রকাশিত শেষ লেখার লেখকের নাম নীলিমা নীতু। অনেক উৎসাহ নিয়ে আকাশ পড়া শুরু। বেশ সুন্দর লেখা। আকাশ পড়া শেষে মুগ্ধ হয়ে যাই। আবার আরেকটা চিঠি লিখে...।

“আপনি তো অনেক সুন্দর লিখেন? আমি সেই সংখ্যা টা উতসাহে পরেছিলাম না। আজ পড়লাম। আরো সুন্দর লিখুন এই কামনা করি।”

এরপর অনেকদিন সে ঠিকানা থেকে আর চিঠি আসে নি। এরই মধ্যে আকাশ নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে চলে গেছে।

৩।

নতুন পরিবেশে বেশ হাসি- খুশিতে দিন কাটাচ্ছে। নিজেকে নিজের মধ্যে খুঁজছে কিন্তু কিছু একটা নেই। খুঁজে পাচ্ছে না। সবই ঠিক আছে। নিয়মিত পাক্ষিক পত্রিকাতে লেখা প্রকাশ হচ্ছে। লেখক হিশেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। হয়ত সেই খুঁজে না পাওয়ার ব্যাপারটাতে দায়ী নীলিমা নীতু।

এরপর অনেক চিঠি লিখেছে আকাশ কিন্তু সেসব চিঠির কোন উত্তর আসে নি।

আকাশ নিজেকে ব্যাস্তায় ঘিরে ফেলেছে। হঠাত একদিন এলাকার পোস্টামাস্টার খবর পাঠিয়েছে, আকাশের ঠিকানায় একটা চিঠি এসেছে। বাড়িতে দিবে কিনা? আকাশ না বলে দেয়। কয়েকদিন পর আকাশ বাড়ি ফিরে চিঠিটা কাছে পায়।

“প্রেম জিনিসটা হয়ে গেলে কিছুটা বিক্রিয়ার মত, বিক্রিয়ক পেলে হয়ে যায়। আর যে প্রেমিক প্রেমিকার এসব কথায় ভয় পেয়ে প্রেম নিবেদনে ভয় পায় তাকে বরং প্রেমিক বলা যায়, তাকে বড়জোর পতিপত্নি বলা যায়। প্রেমিক হতে কিছুটা সহস লাগে। প্রেমিকার হাতে হাত ধরে না বলে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু দেয়ার সাহস থাকতে হয়, প্রেমিকাকে নিয়ে পালাতে না পারলে তাকে আমি প্রেমিক মনে করি না।”

এরপর আকাশ ফিরে আসে, নতুন ঠিকানা থেকে চিঠির উত্তর দেয়,

“পরীক্ষা করে দেখতে চাও? আমি প্রেমিক হওয়ার যোগ্য কিনা? যাই হোক ঠিকানা বদলে গেছে। নতুন ঠিকানায় চিঠি লিখ।”

নীতু উত্তরে বলে,

“ পরীক্ষা করে প্রেমিক বানানো যায় না। তুমি বরং সেই পুরুষ হয়েই থেকো প্রেমিক হতে যেও না।”


আকাশ উত্তর দেয়,

“আর কতদিন এভাবে চিঠিতে কথা বলব, দেখা করতে চাই, প্রেম নিবেদন করতে চাই।করবে?”

নীতু উত্তর দেয়,

“ হতেও তো পারে আমাকে দেখে তোমার প্রেম নিবেদন করতে ইচ্ছা হলো না, তখন তুমি কি জোর করে আমার বলবে? তাই কিছু সম্পর্ক অশরীরে আশ্রয়ে থাকায় ভালো। শরীরের ছোয়ার ভেঙ্গে যেতে পারে। তবে চিঠি লিখতে পারো, তুমি ঠিকানা বদলিয়েছো, আমি বদলাইনি। লিখে ফেল মনের কথা সেই ঠিকানায়, নীলিমা সেন নীতু, রাজশাহী-৬০৪১।”

এই চিঠি পেয়ে আকাশ অনেক কিছু ভাবে, সে মেনে নেয় যা হওয়ার নয়, তা না হওয়ায় ভালো। তাই উত্তরে বলে,

“ আর, তুমি লিখো আকাশের ঠিকানায়।”




মুরাদ হোসেন
০২/০১/২০১৭

ধন্যবাদ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখা ভালো হয়েছে।


ধন্যবাদ রিফ্রাকশন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

রিফ্রাক্শন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.