নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে চাওয়া নকল মানুষ। নিজ ধর্মে বিশ্বাসী ধার্মিক। নিজ কাজে নির্ভরশীল শ্রমিক। দেশকে ভালবাসা এক দেশপ্রেমিক।মানুষে মানুষে সচেতনতা বাড়ুক, দেশ হোক উন্নত, সমৃদ্ধশালী। মানবতা আশ্রয় নিক হৃদয়ে।

রিফ্রাক্শন

আমি ঠিক আমার মতো। আমার ভাবনার মত। ভাবনাগুলোর যুক্তির মত। আমি যেগুলো তে বিশ্বাস করি সেই বিশ্বাস এর মত। আমি আমার রচিত সংবিধানের মত। আমি প্রেমিকা পাগল প্রেমিকের মত। কাজ পাগল শ্রমিকের মত। দায়িত্ব নিতে চাওয়া নেতার মত। অবশেষও আমি মানুষ আপনাদের মতই, আপনাদের মধ্যেই একজন।

রিফ্রাক্শন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বসন্ত

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫২

জুনিয়র অফিসার হিসেবে আকাশ খুব ব্যস্ত হয়ে থাকে। সবে মাত্র বছর পেরিয়েছে চাকরী পাওয়ার। প্রমোশনও যেন আকাশকে আশায় বেঁধে রেখেছে। আকাশও লেট করা ট্রেনের যাত্রী হয়ে স্টেশনে অপেক্ষারত আছে। কেবল বেতনের চিন্তা করেই নয়, আকাশ চায় একটু পরিশ্রম কম করতে। অনেক খেটেছে সে। এই গত সপ্তাহে কত বসন্ত উতসব গেলো, ভালোবাসা দিবস গেলো সেদিকে যেন খেয়াল করতেই পারেনি আকাশ। সে নীতুকে একটু সময় দিতে পারছে না এটাও একটা বড় আক্ষেপ। এদিক থেকে বউ হিসেবেও নীতু অনেক ভালো। আজ পর্যন্ত নিজের কোন চাহিদার কথা নিজেই মুখ ফুটে বলার আগে আকাশ বুঝে যেত। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ডেস্কে বসে এসব কথা ভাবতে ভাবতে হঠাত আকাশের বস ডাকলেন। কয়েকটা প্রশংসার বাণী শুনিয়ে তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দিলেন। আকাশ সেদিন বেশ খুশি মনে বাসায় ফিরল।

বাসাতে আকাশ, নীতু ও আকাশের বাবা-মা একসাথে থাকে। বাসায় ফিরে সে মনে মনে চাইছে, আবার রবিবার অফিস সময়ের আগ পর্যন্ত পরিবারেই সময় কাটাবে। খাওয়া দাওয়া শেষে আকাশ বেলকনিতে বসে থাকা নীতুর কাছে গেলো। ‘বসন্ত’ এসে গেছে গানটা নীতু মিষ্টি করে গাচ্ছে, সেই সুরে সুর মেলালো আকাশ।

গান শেষে নীতু বলল, ‘কাল আমাকে একটু বেড়াতে নিয়ে যাবে?’
আকাশ উত্তরে বলল, ‘কোথায় যাবে বল?’

-যেখানে দুদণ্ড বসে বসন্তকে দেখা যাবে
-আচ্ছা, কাল নামাজ শেষে নিয়ে যাব।

-তোমায় না কত করে বলেছি নিয়মিত নামাজ পড়তে? আর তুমি এই শুক্রবার ছাড়া নামজের কথা মাথাতেই আনোনা। মাঝে মাঝে আমার জোর করেও পাঠানো লাগে।
-আসলে আমি চাই, তুমি আমাকে জোর করাও।

-কেন?
-এই যে তুমি রেগে যাও,তোমাকে রাগাতে ভালো লাগে।

-ও। খেয়েছো?
-হ্যা।

-আচ্ছা, দাড়াও, আমি তোমার জন্য পায়েস বানিয়ে নিয়ে আসি।
-কি? না লাগবে না। তোমার কোন কাজ করা লাগবে না।

-না সমস্যা নেই। পায়েস তো সবারই প্রিয়। আর আমার বুঝি রান্না করতে ইচ্ছা করে না।
-ইচ্ছা করলেই কি মা তোমাকে রান্না করতে দেবে?

-সমস্যা নেই মা পাশে থাকবে তো। আমি কোন মানা শুনব না। যাই।

কোন কথা না শুনে নীতু চলে গেলো রান্না করতে। আকাশ ঘরে এসে চোখটা বন্ধ করে শুয়ে থাকলো। শুয়ে থেকে আকাশের পুরোনো দিনের সে কথা মনে পড়তে লাগলো।


আকাশ তখন ৩য় বর্ষের ছাত্র। ক্লাসে তেমন উপস্থিত থাকে না দেখে বিভাগীয় প্রধানের ডাক পড়াতে সে দুপুরে গেল স্যারের চেম্বারে। স্যার আকাশ দেখে বললেন, “তোমাকে আসতে বলেছিলাম সকালে, আর আসছ এখন?” আকাশ উত্তরে বললাম, “স্যার, আপনার দেয়া সময় মেনে যদি হাজিরই হতে পারতাম তাহলে তো ক্লাসেও ঠিকমত যেতে পরতাম।”

যাই হোক স্যার আকাশকে বসিয়ে অনেক প্রশ্ন করলেন। আকাশ সরল মনে সব কিছু বলল। আসল কথা ছিলো, ‘আকাশের ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার মূল কারন কি’ এইটা। সব শুনে স্যার আকাশকে বোঝাতে শুরু করলেন। অনেক বুদ্ধি দিতে শুরু করলেন যেন আকাশ ক্লাসে ঠিকমত উপস্থিত থাকতে পারে। স্যার আকাশকে উপদেশ দেয়ার সময় দরজায় কড়া নেড়ে একজন বলে উঠল, ‘স্যার আসব?’

-আসো।
-স্যার, আমি ১ম বর্ষের নীতু। একটা এপ্লিকেশন সিগ্নেচার করার জন্য আসলাম।
-ও আচ্ছা। বস।

আকাশ তখন মনে মনে বলিছিল স্যার যেন এই জুনিয়রের সামনে ওকে কিছু না বলে। মেয়েটা আকাশের পাশে বসার পর আকাশ মেয়েটার দিকে তাকালো। এক নিমিষেই মুগ্ধ হয়ে গেল আকাশ । কাজল দেয়া সে চোখ দুটো যেন আকাশকে ডাকছিলো, হাস্যজ্জল সে মুখ। স্যারের সাথে যখন কথা বলতে ছিলো স্পস্ট সে ভাষা। এক কথায় আকাশকে মুগ্ধ করার মত সব গুন ছিলো।
কাজ হয়ে যাওয়ার পর, মেয়েটা চলে গেলো। স্যার তখনও আকাশকে বসিয়ে রাখলো। মন আমার মানতে ছিলো না আকাশের । তবে স্যার পরে আর কয়েকটা কথা বলে ছেড়ে দিতেই আকাশ দৌড়ে বাইরে এসে দেখে মেয়েটা হাঁটছে। আকাশ আরেকটু দৌড়ে নীতু বলে ডাকল। মেয়েটা থেমে গেলো।

কথা বলা শুরুর আগে আকাশ মুখে হাত দিয়ে দেখে নিলো, কোন কিছুর গন্ধ আছে কিনা। আকাশ কথা বলার প্রস্তুতি নিলো। পাশে গিয়ে আকাশ বলা শুরু করলাম, “ ফার্স্ট ইয়ার?”

-জি
-ক্লাস নেই আজকে আর?

-না, আজকের মত শেষ।
-থাকো কোথায়?

-হলে।
-তাহলে এদিকে যাচ্ছ কোথায়?

-সামনে এক বান্ধবী অপেক্ষা করছে, একসাথে যাব।
-ও আচ্ছা।
-তোমার পুরো নাম কি?

- নীলিমা হক নীতু।
-আমি আকাশ। থার্ড ইয়ার। আচ্ছা যাও তাহলে পরে কথা হবে।
- জি।

সেদিনের মত ঐ টুকু কথা বলেই রুমে ফিরে মেয়েটার কথা ভাবতে লাগল আকাশ। মেয়েটার সাথে কথা বলা আকাশের অনেক বন্ধুই পর্যবেক্ষণ করেছে। বিশেষ করে যারা বিপরীত লিঙ্গের মেয়েদের দেখা মাত্রই আপাদমস্তক সব কিছুর সঠিক পরিমাপ সহ বর্ণনা করতে পারে তাদের চোখেও পড়েছে। বিকেল বেলা একদল বন্ধু আকাশে রুমে আসল।

সবাই এক সাথে বলা শুরু করল, ‘’কি দোস্ত, সারাদিন মাতাল হয়ে ঘুমাস, কোন কিছুর খেয়াল থাকে না, আর আজ তুই ক্যম্পাসের সব চেয়ে সুন্দরী মেয়ের সাথে কথা বলে ফেললি?আর আমরা সেই গত ২ মাস ধরে শুধু দেখেই আসলাম।‘’

তারপর আরো অনেক কথা হল। পরের দিন থেকে আকাশ নিয়মিত ক্লাসে যেত। ক্লাসে যেত ঠিকই কিন্তু ওর নিজের ক্লাস রুটিন দেখে নয়, ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস দেখে। ক্লাসরুমের সামনে যেয়ে দাড়িয়ে থাকত। রোজ এক পলক করে দেখা হতে থাকল। আসলে দেখা হওয়া বললে ভুল হবে, আকাশ দেখতাম আর কি। সাথে একটা জিনিস ভালো হত আকাশের ক্লাস করা হয়ে যেত।

এভাবেই প্রায় কয়েক মাস চলতে লাগল। কয়েকদিনপর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বন্ধুরা সবাই মিলে আকাশকে জোর করল, প্রোপোজ করতেই হবে। আকাশ ও মনে মনে তাই ঠিক করল। আকাশ সেই মত প্রিপারেশন নিচ্ছে।

ভালোবাসা দিবসের আগের দিন, ক্যাম্পাসে সবাই বসন্ত উতসব করছে। ব্যাচ ধরে সবাই বেশ সেজেছে। বসন্তের পোশাক পরে বেশ ভালোভাবেই বসন্তকে বরন করে নিচ্ছে। আকাশের ব্যাচেরও অনেকে সেজেছে। ১ম বর্ষের সবাই শাড়ি পড়লেও নীতুকে চোখে শাড়ি পরে দেখতে পেলো না আকাশ। আকাশের খুব জানতে ইচ্ছা হচ্ছিল কেন সাজে নি? কিন্তু কোন উপায় পাচ্ছিল না।

ধীরে ধীরে নীতুর কাছে গিয়ে দাড়ালো আকাশ। নীতু বুঝতে পেরে, ‘কেমন আছেন ভাইয়া?’ বলে উঠলো।
আকাশ বলল, ‘’আমি ভালো আছি কিন্তু তুমি কি ভালো নেই?”

-কেন বলুন তো?
-এই যে সবাই সাজগোজ করেছে। কিন্তু তুমি তো করনি।

-আপানার ব্যাচ থেকে যে আপনি করেন নি, আমার ব্যাচ থেকে আমি করিনি।
আকাশ তখন মনে মনে বেশ খুশি হলো। আরেকটু কথা বলার জন্য আকাশ নীতুকে বলল, ‘’চল শহর থেকে ফুসকা খেয়ে আসি। ‘’

-এখানেই তো আছে। আমি শহরে যাব না।
-তার মানে তুমি ফুচকা খেতে রাজি।
-না মানে.।.।.।.।.।

-আচ্ছা থাক। চল গেটের বাইরে থেকেই খেয়ে আসি।
নীতু আর আকাশ পাশাপাশি হেটে যাচ্ছে। ওদের বন্ধু বান্ধব সবাই তাকিয়ে দেখছে। যেতে যেতে আকাশ বলল, ‘’না সেজে ভালোই করেছো।‘’

-কেন বলুন তো?
-সাজলে তো সবাই তোমার দিকেই নজর দিয়ে রাখত।

-না সাজলে কি আমি অসুন্দর নাকি?
-তাহলে কি আর আমি তোমার কাছে আসতাম।

-তাহলে কি আপনি আমার চেহারা দেখে আমার পিছু নিচ্ছেন।
-আরে না। এমনিতেই বললাম।

-না ভাইয়া, যদি আপনার উদ্দেশ্য খারাপ হয় তাহলে কিন্তু আজকের ফুচকা খাওয়ায় শেষ দিন। কেননা আমার অন্য কারোর প্রেমিকা।
আকাশ কিছুটা থতমত খেয়ে বলল, ‘’আগে আজকে খেয়ে নাও, পরে দেখা যাচ্ছে।‘’

কিছুক্ষন দুজনেই কোন কথা বলল না। শেষে আকাশ মুখ খুলল, ‘’কাল তাহলে প্ল্যান কি?”
-আজ রাতের ট্রেনে বাসায় যাব। কাল ওর সাথে ঘুরতে হবে।
-সাবধানে ঘুরো।

সেদিন রাতে আকাশ খুব কস্টে একটা টিকিট ম্যনেজ করে, সন্ধ্যা থেকেই লেডিস হোস্টেলের সামনে বসে অপেক্ষা করতে লাগলো। দেখলো নীতু কখন বের হয়। নীতু বের হওয়া মাত্রই, আকাশ পিছু নিলো। কিন্তু নীতু বুঝতে পেলো না। ঠিক ট্রেনে উঠা পর্যন্ত আকাশ দেখে নিলো কোন বগিতে বসেছে।

পরে দেখলো দুজনের বগি আলাদা। অনেক কে রিকুয়েস্ট করে কেউ সিট অদল-বদল করতে রাজি নয়। তাই প্রতি স্টেশন আসার আগে আকাশ অই বগিতে চলে আসছে, দেখার জন্য নেমে গেলো কিনা। ততক্ষনে নীতুর চোখে পড়েছে।
শেষে নীতু নেমে পড়ল। নীতুর পিছু নিলো আকাশ। নীতু যে বাসায় উঠলো, সেই বাসার সামনে আকাশ এক চায়ের দোকানে বসে অপেক্ষা করতে লাগলো, আবার কখন বের হয়।

সারাদিন কেটে যখন আছরের আযান বেশ কিছুক্ষন আগে, আকাশ হঠাত দেখতে পেলো নীতু বের হয়েছে। ঠিক সেদিন যেমন বলেছিলো, সাজলে কেউ চোখ সরাতে পারবে না, ঠিক তেমনভাবে সেজেছে।

আবার নীতুর পিছু নিলো আকাশ। নীতু এমন এক জায়গায় গেলো যেখান থেকেই কেবল বোঝা যায় আসল বসন্তের সৌন্দর্য। আকাশ দূর থেকেই লক্ষ্য করছিলো। প্রায় ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করেও দেখলো কেউ আসে নি।

আকাশ এগিয়ে গেলো নীতুর দিকে। এই যে, বসতে পারি?
-জি।
-কি এখনো আসেনি?

-না।
-এই যে আমি এসেছি।

-মানে?
-কিছুনা। মানে আমি তোমাকে ভালোবাসি।
- আচ্ছা। আমি তাহলে আসি।

-কিছু তো বলে যাও?
-বাসায় যেতে হবে।

নীতু বাসায় চলে গেলো, আকাশ ও ফিরে এলো। এসেই ঘুমালো। কিছুটা চিন্তা মুক্ত। বলা তো হয়ে গেছে। তা ছাড়া গতকাল রাতেও ঘুম হয়নি।

প্রায় শেষ রাতের দিকে নীতু আকাশকে মেসেজ দিলো ‘’আপনার সিজিপিএ কত?’’

আকাশ সকালে ঘুম থেকে উঠে মেসেজ দেখে উত্তর দিলো, ‘’শুধু ভালোবাসি বলেছি বলে আমাকে এত বড় অপমান করতে পারলা?’’

নীতু উত্তর দিলো,’’ আমাকে এখন থেকে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে না? সিজিপিএ খারাপ হলে তো আমাকে গাছের নিচে কাটাতে হবে।‘’

-না হয় কাটালাম।

-অসব দিয়ে সংসার চলে না। আগে ঠিকমত নিজের পড়াশুনায় মন দেন। না হলে বাড়ি থেকে বিয়ে দেবে না। আর আমি এখন থেকে আপনাকে ‘তুমি’ বলে ডাকব। আর মেসজ দিতে পারছি না। রাতের ট্রেনে আবার ফিরব। চলে আসেন ঠিক মত।
-আচ্ছা।

এভাবেই প্রেমটা শুরু হয়ে গেলো। বিশ্যবিদ্যালয় জীবনে সবার চোখে ঈর্ষার পাত্র পাত্রী হয়ে কাঁটিয়ে দিলো।

ঠিক যেদিন ওদের প্রেমের ৩য় বসন্ত এসে গেলো। আকাশ আর নীতু ঘুরতে বের হবে । নীতু পায়েস রান্না করে আনবে, সেই জায়গায় গিয়ে খাবে।

আকাশ, নীতু কে মোটর সাইকেলের পেছনে বসিয়ে যেতে ছিলো। বেশ হাস্যজ্জ্যোল ছিলো। নীতু এতোই হাসি- খুশি ছিলো সেদিন হাসি থামাতেই পারছিলো না। হঠাত করে পেছন থেকে পরে গেলো নীতু। সাথে সাথে আরেকটি মোটর সাইকেল নীতুর পায়ের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিলো। আকাশ কেবলই তাকিয়ে দেখেছে। পায়েসের বাটি থেকে দুধের সাদা পায়েস ছিটকে রক্তের সাথে মিশে লাল হয়ে গেছে।
তখন যতটা না পৃথিবী থমকে গেছিলো তাঁর চেয়ে বেশি থমকে গেলো যখন শুনলো নীতু এই পায়ে আর হাঁটতেপারবে না। নীতু তখনও জ্ঞ্যানহীন হয়ে আছে। কে জানে নীতু যদি জানে তাহলে কিভাবে থাকবে।

কয়েকদিন পর যখন নীতুর জ্ঞ্যান ফিরল, নীতু সব জানতে পারলো। আকাশ যখন নীতুকে দেখতে গেলো তখনও আকাশ দেখে নীতু হাসছে, ঠিক যেমন টা এক্সিডেন্টের পূর্বে হাসতে ছিলো। এত কিছুর পরও মেয়েটা এতো হাসি খুশি।
মন খারাপ নিয়ে আকাশ গিয়ে সামনে দাঁড়ালো।

-এই তোমার মন খারাপ কেন?
-না এমনি।

-আচ্ছা আকাশ?
-বলো?

-তুমি আমাকে বিয়ে করবে তো?
-এখন এসব প্রশ্ন কেন?

- বলনা? আমার বাবা-মা খুব টেনশন করছে। আমি ওদের বলছি ‘আকাশ আমাকে বিয়ে করবেই, চিন্তা করো না।’
-এখানে তো বিয়ে না করার কিছু নেই। আগে তুমি সুস্থ হও।

-তোমার বাবা-মা মেনে নেবে তো?
-নেবে। মা আসছে একটু পর।

এই কথা শুনে মাত্রই হাসতে থাকা নীতুর দু চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে লাগলো।

কয়েকমাস পরেই আকাশ আর নীতুর ধুমধাম করে বিয়ে হয়। নীতুকে কোন কাজই করতে হয়না। একদম মেয়ের মতই আছে আকাশের বাড়িতে। তবুও নীতু এখন মাঝে মাঝে মন খারাপ করে কেননা সব সময় তো আর বাবা-মা এভাবে কাজ করে দিতে পারবে না। বেশ ভালোভাবেই কাটছে দিনগুলো।



জোর করে নিজের হাতে পায়েস বানিয়ে নিয়ে এসে দেখে আকাশ ঘুমিয়ে গেছে। একবার ডাক দিতেই ঘুম থেকে উঠে গেলো আকাশ।
পরের দিন আকাশ আর নীতু বের হলো সেই জায়গায় যেখানে বসন্তকে সামনে থেকে দেখা যায়। রাস্তার ধার দিয়ে আকাশের কাঁধে ভর করে হেঁটে যাচ্ছে নীতু।

-আচ্ছা আকাশ, আমার প্রতি তোমার কখনো করুনা হয়না তো?

-ভালোবাসা আর করুনা আলাদা জিনিস নীতু। পৃথিবীর বুকে যত গুলো বসন্ত আমরা পাব তত বসন্তেই আকাশ-নীতু এভাবেই থাকবে।





মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৩

বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে কি আপনি শুধু নিজের জন্য লেখেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৩

রিফ্রাক্শন বলেছেন: আপনার প্রশ্ন টা ঠিক বুঝলাম না? আমি মাঝে মাঝে ছোট গল্প লেখার চেষ্টা করি, তাই এখানে পোস্ট করি।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো গল্প।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

রিফ্রাক্শন বলেছেন: ধন্যবাদ। এর পর থেকে গুছিয়ে লেখের চেষ্টা করব।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল লাগল, একটা জিনিস বুঝলাম না, প্রথম যেদিন আকাশ নিতু কে ফলো করে নিতুদের বারিতে গেল, নিতু বিকেলে বের হয়ে কার জন্য অপেক্ষা করছিল

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

রিফ্রাক্শন বলেছেন: নীতু মিথ্যে করে বলেছিলো ওর প্রেমিক আছে।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল লাগল, একটা জিনিস বুঝলাম না, প্রথম যেদিন আকাশ নিতু কে ফলো করে নিতুদের বারিতে গেল, নিতু বিকেলে বের হয়ে কার জন্য অপেক্ষা করছিল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.