নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সচেতন মুসলিম, খুব সাধারণ জীবনযাপন পছন্দ করি। আল্লাহর সন্তুষ্টিই আমার জীবনের উদ্দেশ্য।
বইটির নাম ‘নিজেকে জানো’ অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক এ বই বিতরণ করেছে।
বইটিতে ‘শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন’ অধ্যায়ে লেখা হয়েছে, যখন একটি মেয়ে ১০-১২ বছর বয়সে পৌঁছে তখন তার
শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়। যেমন, উচ্চতা বাড়ে, মাসিক শুরু হয়, স্তন বড় হয়, বগলে ও … চুল বা লোম গজায়। এ বয়সে ছেলেদের শরীরের শুক্রাণুযুক্ত রস মাঝে মাঝে মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে আসে, যাকে …বলা হয়।
বইটির ‘বন্ধুত্ব ও ভালবাসা’ শীর্ষক অধ্যায়ে একটি শিরোনাম হলো ‘প্রেম করলে কেন ছেলেমেয়েরা ধরাধরি করে?’ এখানে লেখা হয়েছে প্রেম এমন একটি সম্পর্ক যেখানে প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনের প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণ অনুভব করে, এ অনুভব হতেই তারা পরস্পরের খুব কাছাকাছি পেতে চায় এবং এ কারণেই অনেক সময় তারা পরস্পরকে স্পর্শ করে।
এ অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো, ‘পরিস্থিতির চাপে যদি দৈহিক মিলনের সম্ভাবনা দেখা দেয় তবে আমি সে অবস্থায় কী করবো?’পরিচয়ের একপর্যায়ে দৈহিন সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। যদি দৈহিক সম্পর্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে গর্ভধারণ থেকে
নিরাপদ থাকার জন্য কোনো অস্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করা জরুরি। এরপরও যদি কোনো সমস্যা হয় তবে উপদেশের জন্য তুমি কাছের কোনো ক্লিনিকে যেতে পারো। (বইটির শেষে বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত বেশ কয়েকটি ক্লিনিক/সেবা সংস্থার তালিকা দেয়া রয়েছে এ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণের জন্য)।
এ অধ্যায়ে একটি শিরোনাম হলো ‘সতী পর্দা কি জানতে চাই?’ এ বিষয়ে যে বিবরণ বইটিতে দেয়া হয়েছে তা প্রকাশযোগ্য নয়।
এ অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো ‘প্রথম মিলনে কি সব মহিলার রক্ত পড়বে? এ বিষয়ে যে বিবরণ বইটিতে দেয়া হয়েছে তা প্রকাশযোগ্য নয়।
দৈহিক সম্পর্ক অধ্যায়ে আরেকটি শিরোনাম হলো ‘মায়ের পেট থেকে কিভাবে বাচ্চা বের হয়ে আসে ?’
এখানে সন্তান প্রসবের যে বিবরণ দেয়া হয়েছে তাও প্রকাশযোগ্য নয়। ‘বাচ্চা কিভাবে হয়?’ শিরোনামে লেখা হয়েছে কিভাবে মায়ের গর্ভে সন্তান আসে তার বর্ণনা।
দৈহিক মিলন অধ্যায়ের আরেকটি শিরোনাম হলো ‘অনেকের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে তা ক্ষতিকর। এরকম হলে কিভাবে নিরাপদ থাকা যায়?’ এখানেও লেখা হয়েছে অনেকের সাথে দৈহিক সম্পর্ক থাকলে কনডম ব্যবহার খুবই জরুরি।
বইটিতে যৌনমিলন অধ্যায় আলোচনার আগে কিভাবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছেলেমেয়েরা পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে, সে আকর্ষণ এবং ভালোলাগা প্রকাশের উপায় কী সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া যৌন অনুভূতি প্রকাশের বিভিন্ন উপায় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। বইটির পেছনে লেখা রয়েছে মহিলা ও শিশুবিষযক মন্ত্রণালয়।
আজ থেকে ৭/৮ বছর আগের কথা একটু ভাবুন, তখন পাঠ্যপুস্তকে এই বইটা ছিল না। আমরা এই বইটি পড়িনি, তাই বলে কি পরিণত বয়সে আমরা ঐ বিষয়ের কিছুই জানি না? কোমলমতি শিশুদের এগুলো শিখানো কি এতটাই জরুরী !! আপনি আপনার সন্তানকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে যদি সাইকেল কিনে না দেন তাহলে আপনার সন্তান কি করবে? হয়তো ক্লাসমেট যাদের সাইকেল আছে অথবা পাড়ার মধ্যে যাদের সাইকেল আছে তা কিছু সময়ের জন্য হলেও চালানোর চেষ্টা করবে তাই না? আপনি আপনার সন্তনকে ইভটিজিং থেকে বিরত থাকার জন্য বলবেন কিন্তু আপনার সন্তানকে বিদ্যালয়ে কি শিখাচ্ছে তাও আপনার জানা দরকার। সরকার ইভটিজিং এর জন্য কঠোর আইন করতেছে অথচ কোমলমতি শিশুদের সযত্নে কিভাবে ইভটিজিং করতে হয় তা শিখাচ্ছে !
বিরোধীতা নয়, নিজের ছেলে-মেয়ে অথবা ছোট ভাই-বোনের কথা মাথায় রেখে একটু ভাবুন, আমাদের কে কোনদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে???
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: প্রিয় ভাই মিজানুর রহমান মিরান, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: একমত!!!
মাথায় চুল না থাকলে যা হয়।।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৭
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: প্রিয় ভাই অগ্নি কল্লোল , আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
উল্টা দূরবীন বলেছেন: সহমত
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: ভাই যখন টিউশনিতে ছাত্র-ছাত্রীরা বইটা পড়াতে দেয় তখন নিজের কাছে খুব লজ্জালাগে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫২
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: সহমত।শিক্ষার নামে এটা পুরো অসভ্যতা ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: জানিনা "লজ্জা" নামক শব্দটা আগামি প্রজন্মের কাছে থাকবে নাকি জাদুঘরে থাকবে?
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩
বিপরীত বাক বলেছেন: ভালই তো।
ভাল না?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: ভাই যখন টিউশনিতে ছাত্র-ছাত্রীরা বইটা পড়াতে দেয় তখন নিজের কাছে খুব লজ্জালাগে। ধন্যবাদ আপনাকে
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আসলে মানুষ যখন পশুতে রুপান্তরিত হয় তখন যা হয় তাই।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: কই এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে অভিভাবকেরা তো মনে হয় চিন্তাই করেন না! যদি অভিভাবকেরা একটু সচেতন হতেন, তাহলে তারা রাস্তায় অন্তত একটা র্যালী বের করতেন! তাহলে সরকারের টনক নড়তো। কোন বিষয়ে নিরব থাকা মানে ঐ বিষয় কে সমরথন দিয়ে যাওয়া....
ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: [link|http://www.somewhereinblog.net/blog/nmrusho/29923373|শিশু যৌন শিক্ষা - 'এসো নিজে করি' নাই কেন?
আমার ধারণাটাও আপনার সাথে শেয়ার করলাম।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: ভাই যখন টিউশনিতে ছাত্র-ছাত্রীরা বইটা পড়াতে দেয় তখন নিজের কাছে খুব লজ্জালাগে। কোন বিষয়ে নিরব থাকা মানে ঐ বিষয় কে সমরথন দিয়ে যাওয়া....
ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
কল্লোল পথিক বলেছেন: বিরোধীতা নয়, নিজের ছেলে-মেয়ে অথবা ছোট ভাই-বোনের কথা মাথায় রেখে একটু ভাবুন, আমাদের কে কোনদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?
শতভাগ সহমত।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: ভিভাবকেরা তো মনে হয় চিন্তাই করেন না! যদি অভিভাবকেরা একটু সচেতন হতেন, তাহলে তারা রাস্তায় অন্তত একটা র্যালী বের করতেন! তাহলে সরকারের টনক নড়তো। কোন বিষয়ে নিরব থাকা মানে ঐ বিষয় কে সমরথন দিয়ে যাওয়া....
ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩
মাসুদ মাহামুদ বলেছেন: যুগ পাল্টাইছে....বন্দুকের ব্যাবহার শিখিয়ে দিচ্ছি, বন্দুকটা নিজেই কিনে নিও
আপনি আপনার সন্তানকে সাইকেল চালানো শিখিয়ে যদি সাইকেল কিনে না দেন তাহলে আপনার সন্তান কি করবে? হয়তো ক্লাসমেট যাদের সাইকেল আছে অথবা পাড়ার মধ্যে যাদের সাইকেল আছে তা কিছু সময়ের জন্য হলেও চালানোর চেষ্টা করবে তাই না?
সহমত আপনার কথার সাথে
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: "যুগ পাল্টাইছে....বন্দুকের ব্যাবহার শিখিয়ে দিচ্ছি, বন্দুকটা নিজেই কিনে নিও"
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই মাসুদ মাহামুদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। বিষয়টা জাতীর জন্য লজ্জাকর মনে হয়...যদিও একশ্রেনীর লোকের কাছে এটা অতি উত্তম কাজ !!
১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
মৈত্রী বলেছেন: "নিজেকে জানো" বইটির কোন প্রয়োজনই আমি দেখি না...
এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক আধুনিক,
আমরা সেই সময়েই চটি, ভিউকার্ড, থ্রিএক্স দেখে, একা একা হাত মেরে যা শিখেছি তা এখন (হলিউডের মুভির কথা তো বাদ) কলকাতার ছবিতেও দেখা যায়...
তাই, সেক্স এডুকেশন বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়াই উচিৎ, এসবের জন্যে বাংলা ছবির হলের কাটপিছ তো আছেই...
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: হা হা হা হা......... ভাই এইডা আপনি কি হুনাইলেন ! খুব মজা লইছি কইলাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭
রাশেদ রাহাত বলেছেন: লজ্জায় আমি মারা যাচ্ছি। ছিঃ ছিঃ
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪
দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: বাংলাদেশের অভিভাবকেরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে, তারা কোন প্রতিবাদ করতেছেনা, তারা নিরবে সন্মতি দিয়ে যাচ্ছে। পুরা জাতিকে এর জন্য ভুগতে হবে
ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: বিরোধীতা নয়, নিজের ছেলে-
মেয়ে অথবা ছোট ভাই-বোনের
কথা মাথায় রেখে একটু ভাবুন,
আমাদের কে কোনদিকে নিয়ে
যাওয়া হচ্ছে???
সহমত.. আপনার কথার সাথে।