![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আত্মার সৎকারে দিনগুলো বহমান
সকাল থেকে এই কৌটা পদ্ধতি সংষ্কার কিংবা হ্যাশট্যাগ দিয়ে #ReformQoutaBD লেখা পোস্ট দেখতে দেখতে প্রায় ক্লান্ত,তাই ভাবলাম ব্যাপারটাকে একটু যুক্তি দিয়ে খন্ডন করি।
কৌটা বলতে আমরা বাঙ্গালীরা স্বভাবতই যেটা বুঝি তা হচ্ছে (ছবিতে দেওয়া আছে)।
আজ দুইদিন হয়ে গেছে আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত।আমাদের মাঝে অনেকজন ই আহত হয়েছেন,পুলিশ-প্রশাসন টিয়ারশেল মেরে অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন।
একটা গল্পে শুনেছিলাম,"নিজের ঘোল/মিষ্টান্ন সবসময় মিষ্টি হয়"।
এবার একটু ঘুরে আসি ১৯৫২ সাল থেকে,আমরা আমাদের ভুখন্ডের রাষ্ট্রভাষা বাংলা চেয়েছিলাম,পূর্ব পাকিস্তান মেনে নিতে পারেনি,গুলি মেরে রক্ত দিয়ে রাজপথ লাল করেছিলো। ১৯৭১ সালেও একই ব্যাপার,আমরা আমাদের অধিকার চেয়েছিলাম তারা মেনে নেয়নি আমাদের গুলি মেরে ঝাঝরা করে দিয়েছিলো।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানেন,আমরা আমাদের ব্যাপারগুলো বৈধ বলেই আন্দোলন করেছিলাম।আর সকল আন্দোলনের মুখ্য ভুমিকা এই ছাত্ররাই পালন করেছিলো।বুলেটের প্র্থম আঘাত এই ছাত্রদের বুকেই হয়েছিলো।
আজ আবার আমরা ছাত্ররাই আমাদের বৈধ ব্যাপারগুলো নিয়েই আন্দোলন করছি আর সরকার সেই ইয়াহিয়া খান কিংবা ভূট্টো সাহেবের ভুমিকা পালন করছে।তত্কালিন সরকার আমদের যে বৈধ ব্যাপারগুলো মেনে নিতে পারেনি আজ আমদের গঠিত সরকার আমদের বৈধ ব্যাপারগুলো মেনে নিতে পারছেনা।
এই দুটো বিচ্ছিন্ন ব্যাপারকে মিলিয়ে যদি #গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার একটু ভাবে তাহলেই এই কুসংষ্কার কে সংষ্কার করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
মোদ্দা কথা/হক কথাঃ নিয়ম নীতি আমাদের মানুষের জন্যেই।এগুলো পরিবর্তন করলে আমরা মানুষেরাই খুশি হবো।এত হাঙ্গা-দাঙ্গামা করে পরিধি ঘুরিয়ে আবার যদি কেন্দ্রেই পৌছাতে হয় তবে সবই বৃথা।যেভাবেই হোক আমাদের বেষ্টিত পরিধির দেয়াল ভেঙ্গে বৃত্তের বাইরে যেতেই হবে।কৌটা পদ্ধতির সংষ্কার করতেই হবে।
#itsamust!
©somewhere in net ltd.