![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বনমুরগী পোষ মানে না.......
পরপর এক হালি মেয়ের জন্ম দেবার অতীত অন্ধকারময় ইতিহাস আছে আনোয়ারার। এবার আবারও যখন শুভসংবাদটা পেল, রাসু মিয়া তার বউ আনোয়ারাকে বলল, 'এইবারে মাইয়া হলি তোর বেটিরে বেইচা দিমু কইলাম। ঘরের মধ্য খালি খালি বসায় বসায় খাওনি মোর পোষায় না । পাইলে পুইষে বড় কইরলে পরের ঘরে যাবেনি। আকামাইম্যা গুলান।'
এরপরে আর মা হবার সুখ বড় একটা রইলো না আনোয়ারার মনে। চারটো মেয়ে সে আগেই বিইয়েছে, ওর সেই পনের বছর থেকে একে একে কিছু বোঝার আগেই পালা করে এসেছে ওরা দুনিয়ায় । তাই বুকে দুরু দুরু আশা নিয়ে অপেক্ষা করা ছিল নিরর্থক। এ নিছক এক জৈবিক প্রক্রিয়া বই তো নয়। তবে প্রতিবারই ভাবত এবার হয়তো ছেলে হবে, ভেবে একটু আনন্দ লাগতো মনে। এবার একেবারে বেচে ফেলার কথা শুনে আশা না, আশঙ্কাই মনে অনেক বেশী দানা বাঁধছে। এযে বড় চরম কথা। জননীদের স্বার্থপর হতে হয় না, তবু সে একটু নিজের কথা ভাবে,বেশ দুশ্চিন্তায় ভোগে। সংসারে মেয়ে এনে দিতে দিতে তার এখন জায়গা বড় সঙ্কুচিত হয়ে উঠেছে।
আবার একটা মেয়ের জন্ম দিলে মেয়েটার কি হবে তার চেয়েও বড় প্রশ্ন ওর আর ওর বাকি চার মেয়ের কি হবে? যদি ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলে? এরকমন ঘটনা তো ওর পাশেই আছে। মজিরনকে মেয়ে জন্ম দেয়ায় তালাক দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে আবার আরেকটা বিয়ে করেছে ওর রিকশাচালক স্বামী।ভাবতে শিউরে ওঠে সে।
প্রসব বেদনা উঠেছিল ঠিক রাতে। এমন বেতালা সময় যখন কোথাও নেওয়া মুসকিল , নেবেই বা কে? বাড়িতে ছিল একটিও পুরুষমানুষ মানে সাকুল্য যে একজনই এ বাড়িটার বাসিন্দা। রাসু মিয়া। সে তখন বাজারের বারবণিতা মিতালীর সাথে রঙ্গতামাশায় বড় ব্যস্ত ছিল। অতএব চারটি অনভিজ্ঞ বাচ্চা মেয়ে ছাড়া এ হেন সঙ্গিন অবস্থার হাল ধরতে পারে এমন একটি সক্ষম হাতও ছিল না আশেপাশে। বুদ্ধি করে বয়স্কা বিচক্ষণ সকিনা বুবুকে যদি নয় বছরের বড় মেয়ে আয়েশা না ডেকে নিয়ে আসতো বলা যায় না কি হতে পারতো। রাত ভর কষ্ট করে একটি মেয়েসন্তান জন্ম দিয়ে একেবারে নেতিয়ে পড়ায় মনে হয় ভালো হয়- সে সে এই দূর্ভাগ্যের কথা অন্তত অতটা নাজুক সময়ে জানতে পারে নি।
নবজাতিকাকে আয়শার জিম্মায় দিয়ে সকিনা বিদায় নিল। এরপরে ভোরবেলাতে আলো একটু গড়ালে সবাই শ্রান্ত ক্লান্ত ঘুমের ঘোরে। সবার শেষে চোরের মতন যখন রঙ্গমঞ্চে আগমণ রাসু মিয়া , তখন আর সবাই কঠিন তন্দ্রাচ্ছন্ন। সারারাত জেগেছে মেয়েরা, এমনকি সবচেয়ে ছোট দুইবছরের ময়নাও। কারণ চারপাশে কি হচ্ছে তার দুশ্চিন্তা নয়। সেসব বোঝার মত বয়স তার হয়নি। ব্যাথাতুরা জননীর বিকট কাতরানো আর তার চেয়েও বড় কারণ ক্ষুধা। ওকে কেউ খাবার দেয়নি-দেয়ার কথা কারো মনে ছিল না
রাসু মিয়া এসে ঢুকলো , মেয়েকে দেখলো তারপরে চুপি চুপি বাচ্চা নিয়ে কোথায় উধাও হয়ে গেল। জ্ঞান ফিরে যুগপৎ কন্যাশিশুর ধরাপ্রান্তে আগমণ ও রাসুর মেয়ে নিয়ে প্রস্থান যুগপৎ দুই কাহিনীর ধাক্কাই তাকে একসাথে নিতে হলো। রাসু মিয়া খাঁটি পুরুষ বটে। যেমন কথা তেমনি কাজ। আনোয়ারাও- দেখা গেল বাঘিনীমাতার চেয়ে কোন অংশে কম যায় না। মেয়ে বিয়ানোর অপরাধ সে বেমালুম ভুলে গেল ।তার বদলে স্বামীস্ত্রীতে যে কলহ শুরু হলো তার ভাষা বর্ননাতীত ও ভদ্রসমাজের লেখার অক্ষরে পরিবেশনের অযোগ্য। কলহের ভাষা ডালপালা ছাড়িয়ে উভয়েের পিতৃমাতৃকুলের দূর শাখাপ্রশাখায় ব্যাপ্তি লাভ করে যখন শান্ত হলো, আনোয়ার শাসাল, তার মেয়েকে ফেরত না পেলে সে রাসুকে জেলের ঘানি টানিয়ে ছাড়বে।
এরপরে -সে অনেক কথা। আনোয়ারা ছুটা কাজ করে ''সুবাসিত'' নামক ঝকঝকে মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং-এর ছ'তলায়। তিনতলায় সাদিক আর খালেদার বাড়িতে বিয়ের পর পনেরো বছর যাচ্ছে কোন কচিমুখের দেখা নেই।
প্রখর বিজ্ঞানমনা হলেও দূর্বল হয়ে পড়লে একসময় মানুষ মানে না হেন জিনিস কমই আছে। শুরুতে ডাক্তার, কবিরাজ,দিল্লী হিল্লী বহুদূর করে করে পানিপড়া , তাবিজ কবচ, পীরের দোয়া আজমীর শরীফে সুতা তাগা বাঁধা বাঁধি এককথায় মানুষের পক্ষে সাধ্য অসাধ্য সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। শেষে তাদের জীবনে আলো হয়ে এসেছে রাসুর মেয়ে, সামান্থা। এই রকম সাহেবী নাম পেয়েছে মেয়ে , জন্মদাতা পিতা পেয়েছে নগদ দশ হাজার টাকা আর নিঃসন্তান দম্পতি পেয়েছে শিশু। শুধু একমাত্র লুজার হলো আনোয়ারা । তাই কি? আনোয়ারা মেয়ের খবর ঠিকই পেয়েছে, কিভাবে সে লম্বা কাহিনী। তবে এসব কথা কি আর চাপা থাকে? বিশেষত একই কলোনী যখন ওবাড়ির খালম্মার কাহিনী এবাড়ির ভাবীতে জানবে তারপরে বুয়াদের কাঁধে চড়ে কিভাবে লম্বা সফর পাড়ি দেয় কথা তা কারো অজানা নয়। সবচেয়ে বড় অনুঘটক রাসু নিজেই । এক ছাদের নিচে বসবাস করে দুটি মানুষ অনির্দিষ্টকাল যুদ্ধংদেহী থাকতে পারেনা। মাঝে মাঝে আছে সাদা নিশানের ক্ষণিকের যুদ্ধবিরতি। জেরায় চোখের পানিতে হুমকিতে অনুনয়ে ঠিক কোন একটা দাওয়া কাজে দিয়েছিল। কোন এক অসতর্ক মুহূর্তে সে বলে ফেলেছিল ।
'চিন্তা কি তর। মাইয়া আলিশান বাড়িত আছে, ভালা থাকবো। আর এই যে কত ট্যাকা দিছে সেই ট্যাকাটয় তর বাকি মাইয়্যাও ভালা খাওন পরন পাইবো। 'খরখরে গলায় তখনও কাঁচা জখম কিন্তু টনটনে জ্ঞানে আনোয়ারা কিছু অতীব তিতা কথা রাসুকে শুনিয়ে দিয়েছে। ফের পরক্ষণেই জিজ্ঞাসা করেছে, 'কত ট্যাকায় বেচলেন ? ট্যাকা কই? বাচ্চার লিগ্যা কামে কয়দিন যাই নাই বইল্যা আমার কাম চইল্যা গেছে। ট্যাকা দেন। '
কথাটা সত্য নয়। ওর কাজ যায়নি। আজ যখন রাসু বাড়িতে ছিল না তখন সে বাড়ির গিন্নির সাথে দেখা করেও এসেছে। সদ্য প্রসূতিকে এমন একটা কারণে বিশেষত যখন সে কামকাজে দক্ষ- কেউ বিদায় করে না। যারা ছুটা মহিলা দিয়ে কাজ চালায় তার জানে সে কারণে অকারণে মাজে সাঝে অনুপস্থিত থাকবেই। কিছু করার নেই। আর এ তো জেনুইন কারণ, মানুষের দিলে তো রহম বলে কিছু একটা এখনও আছে।
তো , এইভাবে বেগম সাহেবের সাথে দেখা করে আনোয়ারা বিনিকাজেই শতিনেকটাকা , কয়েকটা কাপড় আর দিন দুয়েকের ছুটি বাড়িয়ে এনেছে। আনোয়ারার খালাম্মা জানেন না, যে বাচ্চা চুরি হয়ে হাতবদল হয়েছে। আনোয়ারা শোকে আকুল হয়েছে , তার মায়ের প্রাণ কিন্তু অভাব বড় নির্মম। যখন হৃদয় একদিকে ক্ষতবিক্ষত তখনও সে সেই হারানো বাচ্চার খবর না জানিয়ে তার নাম করেই সে আরো কিছু সাহায্য তাই বাগিয়ে নিতে পেরেছে। এটা তার অন্য বাচ্চাদের জন্য লাগবে , অন্তত। যে গেছে তার কথা ভেবে কেউ বাঁচাতো বন্ধ করে না!
এই তো গেল একটা দিক । আনোয়ারা ঠিক করেছে, সে আর এখনকার ''সুবাসিত'' নামের সু্উচ্চ বিল্ডিঙের ছয় নম্বর ফ্ল্যাটে কাজ করতে যাবে না। সে যাবে তার পরাণের ধনের কাছে, নয় নম্বর ফ্লাটে। সাদিক আর খালেদার বাড়িতে কাজ করা আছিয়াকে ভাড়িয়ে নিতে তার অসুবিধা হয় না। তারপরে কোন এক সুন্দর সকালে সে হাজির হয় দম্পতির বাসায়। সামান্থা সারাদিন শুয়ে থাকে। ঘর ঝাড়ু দেয় , দিতে দিতে আনোয়ারা ওকে দেখে । কেউ না থাকলে হাত পা একটু নাড়ে, কোলে নেয় সাবধানে। লাগোয়া বাথরুমটাতে কাপড় কাঁচতে কাঁচতে কেউ আশেপাশে না থাকলে গোলাপী কটে শায়িত সামান্থাকে একটু চুমো দিতে চায়। তখন খেয়াল হয় হাত ভেজা, ছোট বাচ্চা , এত আদরে আছে, ঠান্ডা লাগে যদি? সে জানে বড়লোকের আহ্লাদি ছাওয়ালপাওয়াল একটুতেই নেতিয়ে পড়ে। এ ওরই নাড়ি ছেঁড়া সন্তান হলেও , অনেক আরামে অভ্যাস, যদি কিছু হয়? থমকে দাঁড়িয়ে আলগোছে হাতটা মুছে নেয় পরনের কাপড়ে। নুড়ে একটু আদরের ছোঁয়া দিতে গিয়ে ওর এত বুক ঢিপ ঢিপ করে যে মনে হয় ঢোল বাজছে , এক্ষণি কেউ শুনতে পাবে, ছুটে আসবে, পাকড়ে ওকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে কোন এক অজানা মহাপাপ করছে যেন।
আনোয়ারা এখানে এসেছিল , কেন? ওর কি মনে হয়েছিল , এতদিন পার হেয়ছে, এখন কোন হইচই লাগিয়ে বাচ্চা ফেরত পাওয়া যাবে? যদি বা মনে হয়েই থাকে , মুখে আনতে সাহস হয়নি। প্রমাণ কি যে এ ওর সন্তান? মকদ্দমা কোর্ট কাচারি ? সে সোয়ামীকে ফাঁকা হম্বিতম্বি কররার দুঃসাহস সে খুব উত্তেজনার মুখেই আনতে পেরেছিল, বাস্তবে এটা করা তার মত গরীরের পক্ষে কি সম্ভব?
যদি রাসুকে সত্যি জেলে দেয়? সে ভাবতেই পারেনা সেটা। তার কি হবে ? তার পরিবারের কি হবে? তাছাড়াও হোক হাজার খারাপ, সে তো তার ভাতার, তার বাচ্চাকাচ্চার বাপ? কোন নারী কি পারে এমন করতে?
এছাড়াও এতো বড়লোকের সাথে থানা পুলিশ করলে সর্বস্বঃহারাই হতে হবে হয়ত। তার দেওরেরা আর স্বামী যেমন শশুড়ের মারা যাবার পরে সম্পত্তি নিয়ে কামড়া কামড়ি করে শেষ হয়ে গেছে তেমনি। নইলে ঢাকায় একটা বস্তিমতো জায়গায় না থাকা লাগতো , আর না আজ এই দিন দেখা লাগতো। সে আজ গৃহস্ত ঘরের বউ হয়ে পরের ঘরে কামলা খাটে, তার একদা পর্দানশীন বনেদি ঘরের এ কি অধঃপতনই না হয়েছে।
আর কত ? মেয়েটাকে পেতে গিয়ে যা আছে তাও যদি যায়? এতোগেল এক কথা। চুরি করে যদি নিয়ে যায় কোন এক শুনশান দুপুর বেলায়! কেউ জানবে না কেউ দেখবে না। পা টিপে টিপে কোন একদিন , যখন খালুসাব থাকবে অফিসে, খালাম্মা থাকবে দিবানিদ্রামগন। তখন যদি সে....! কোন এক নিঝুম দুপুরে সত্যি সে চেষ্টা নেয় ভাবনামতো। ফুলের মত ঘুমিয়ে থাকা, ফুল তোলা জামা পড়া নিস্পাপ শিশুকে চুপিসারে কোলে নেয়। বাতাস জানালা দিয়ে কাঁপিয়ে দেয় পর্দা। একটা তুলার পুতুল মেঝেতে পড়ে যায় সেি দাপটে। কোন শব্দ না হলেও চমকে ওঠে আনোয়ারা। বাচ্চাকে বুঝি সে কোল থেকে ফেলেই দেবে। তারপরে ঘোর কেটে গেলে সে আবার সামান্থা বেবীকে রেখে দেয় খাঁচাঘেরা কটে। সুরক্ষিত খাঁজকাটা কাঠের শিকে ঘেরা বিছানাতে শুয়ে শিশু কোন গোপন রহস্যভেদে হেসে ওঠে। মশারিটা টেনে ওকে ঘিরে দেয় আনোয়ারা। বড় মশা , কিভাবে যে এরা এই উপরে ওঠে আল্লাহ্ মালুম ।
এরকম এক বার না , বারে বার চেষ্টা করেছে আনোয়ারা। ওকে নিয়ে পালিয়ে যাবার , পারেনি। মন বলে ধরা পড়ে যাবে, তারপরে কি হবে? -এও না, এত গুছিয়ে চিন্তা করার মতো সামর্থ্য ওর নেই। আসল কারণটা কি? একলা ঘরে ফিরে যখন সে রাতে যুগপৎ একসাথে দুটা হাতের সাথে আরো ডজনখানেক অদৃশ্যহাতে চারকন্যাকে সামলায় তখন বুঝি একটু একটু বুঝতে পারে ব্যাপারটা। খুব কষ্ট লাগে, তাও ভাবে, গবীরের ঘরে ওকে পালবে কিভাবে? আর তার অন্তত একটা মেয়ে তো আয়েশী জীবন পেল। যে জীবন মানুষের, তার মত কুত্তা বিলাইয়ের না। রান্নাঘরে একটা বিড়াল মুখ বাড়িয়ে ছিল, সদ্য গোটাপাঁচেক বাচ্চা জন্ম দিয়ে, রাজ্যের রাক্ষুসে খিদে পেটে ঘোরে, পায়ে পায়ে তার ছানাপোনা। কার সাধ্য আছে ক্ষুধিত মায়ের ক্রদ্ধ দৃষ্টির সামনে থেকে ওদের সরায়! হ্যাট হ্যাট করে তাড়াতে গিয়েও তাড়ায় না আনোয়ারা। অল্প ভাত আছে হাড়িতে। আজ হয়ত রাসু আসবে না। সে নিজেও খায়নি, থাক তাতে কি? ছানাপোনা সমেত বিড়ালমাতাকে চেটেপুটে খেতে দেখে কেন খিদেতে অবশ দেহে একধরণের তৃপ্তিবোধ হয় ওর? রাসুর কথা ভাবতে আঁতকে উঠে মনে হয়, বিড়াল বাবাও সময়ে সময়ে নিজেরই বাচ্চাকে খেয়ে ফেলে ...।
একটা লম্বা শ্বাস ছেড়ে ভাবে , সামান্থা তার আদরেরে জাদুমণি, থাকুক ভালো, থাকুক দূরে এ জানোয়ার সংসার থেকে।
সে ঐ বাড়িতে কাজ করতে যায় প্রতিদিন।দেখতে পায় , সুযোগ পায় ছোঁয়ার - এই কত!
মাসকয়েক ভালোই কেটেছিল, ভাবছিল আনোয়ারা, জীবনে তার তাল ফিরে এসেছে। যেভাবে দিন যাচ্ছে , মন্দ কি? এই বাড়িতে আসার পরে তার কাজ বেড়েছে, আগে দুইকাজের জন্য ঠিকা ছিল, ঘর ঝাড়পোছ আর কাঁচাকাঁচি। এখন বাটনাকুটনা, হাড়িপাতিল পরিষ্কারের ব্যাপারেও সে আস্থা অর্জন করেছে। এখানে যে করেই হোক সে কর্মঠ প্রতিপন্ন হয়ে টিকে থাকবে এই তাড়নাই তার পেছনের কারণ। মন দিয়ে সে কাজ করেছে, অন্যবাড়ির মত আনাজটা , তরকারিটা চুরি করে নেয় নি। কাপড়গুলো ভালো করে ধুয়েছে, না হলে ওর বাচ্চারইও তো গায়ে ময়লা লেগে থাকবে। অপরিষ্কার থাকলে মেঝে থেকে ঐ যে দিনমান চালু টিভিতে বলা হতে থাকে , কি সব জীবাণু থেকে নাকি অসুখ বিসুখ হয়, তা কি সে হতে দিতে পারে?ছোটাবাচ্চা থাকলে গৃহিনীর কাজ বাড়ে, তাই আরও বেশী কাজ, আরও বেশী সময়টা মেয়েটার কাছে থাকা যায় । কি সুন্দর তুর তুর করে হাঁটতে শিখেছে মাইয়াটা তার! আবার এক দুটা অস্ফুট শব্দ করে। খালেদা দিনরাত ভাঙা ক্যাসেটের মত বাজাতে থাকে, 'বল মাম, মাম্মি , আম্মুউ। বল মা।'
তা একদিন ভুল করে নাকি বুঝেই কে জানে সত্যি সামান্থা মা ডেকেই ফেলল। কি আশ্চর্য! আর কি খুশির লহর বয়ে গেল ঘরে। খালেদা ভুলে যায় আনোয়ারা এক কাজের লোক মাত্র । অনেক নিচু তার সামাজিক অবস্থান। আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে আনোয়ারাকে বসিয়ে সে বলে , সামান্থাকে বল দেখি , এই দেখো আমার বেবি কেমন মা বলতে শিখেছে। সামান্থা আবারও দাঁতহীন মাড়ি বের করে হাসি দেখায়, আলতো পায়ে টুকটুক এগিয়ে যায় আর বলে 'মা।'আনোয়ারার শরীর কেমন করে ওঠে ।নাকি মন? এরপরও কেমন করে সে ওখানে স্থির বসে ছিল তা সে জানে না, বাথরুমের দরজায় ছুটে ফিরে খিল দেয়। অঝোর বন্যা তার চোখে। সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার এত শক্তি তবু তো কোন জোর নেই।
চোখের সামনে নিজেরই আত্নজাকে পরেরে মাঝে আত্নীভূত হতে দেখা সুখকর না, তবুই তো দিন যায়। কিন্তু এক একটা সময় মনে হয় সব কিছু থমকে গেছে। তেমনই একটা মুহূর্তে সে জানলো, খালেদাই জানালো , ওরা সবাই তল্পি গুটিয়ে এখানের আবাস ছেড়ে চলে যাবে কানাডা। ঝলমলে মুখ আর বড় সুখ তার । ঐ দূর দেশে সাদিক অনেক ভালো একটা চাকরি পেয়েছে। ভালো হয়েছে, ওদের দুইকুলেই অনেক আত্নীয়বন্ধু আছে ওখানে। আছে সমৃদ্ধির হাতছানি, আছে সামান্থার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যত।
একজনের খুশি অন্যজনের উপরে কেমন গ্রহণ ফেলে। আনোয়ারা খালেদার কথা বুঝেও ভালো করে বুঝে উঠতে পারে না। ওরা চলে যাবে! সাথে সামান্থাও? ওর আদরের দুলালী, ওর পরাণ সামান্থা চলে যাবে, আর কোনদিনও ওকে দেখতে পাবে না?
একলা ঝরঝর করে চোখে বেয়ে গড়িয়ে পড়ে পানি। সে মনস্থির করে যেভাবে পারে সে যাবে সামান্থার সাথে, যেখানেও ও যাবে এই গোলাকার পৃথিবীর বুকে। সে তার মেয়ের অধিকার হারিয়েছে কিন্তু তাকে দেখার অধিকারও হারিয়ে সে বাঁচতে পারবে না।
অসম্ভব এই চাওয়া শুনে খালেদা হাসবে না কাঁদবে ভাবে। পাগল নাকি? বলে কি মহিলা? মানছে যে আনোয়ারা কাজ করে খুব ভালো, কোন অভাব অভিযোগ নেই, দুদিন পরে পরে কাজ কাম কামাই দেবার বাহানা নেই। নিরুপদ্রব বিশ্বাসী এমন মানুষ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু ওকে নিয়ে সেই দূর দেশে যাওয়া , নিজেদেরই যেখানে কি হয়, ঠিকানা কিছুরই ঠিক নেই, আর সেখানে কাজের লোক কেইবা রাখে?আর ওর প্লেনের টিকেট? অবাস্তব আবদার।এ তো পুরোদস্তুর খ্যাপামি।আর কি জন্যেই বা যেতে চায় সে?কাজের ইনসিকিওরিটি ?
না, কাজের ভাবনা নেই। যাবার আগে খালেদা ওকে আরও বেতনে খুব ভালো কোন পরিচিত বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে যাবে। এত দিনের লোক, মায়াদয়া বিবেচনা আছে তার।
তাতেও কেন মানছে না বুয়া?
'বাবুর লাগি বড় মন পুড়ব গো খালাম্মা।'
তাতে কি? জীবনে কি সবাইকে নিয়েই সবটুকু পথ পাড়ি দেয়া যায়? খালেদা জানে সামান্থাকে আনোয়ারা বড় ভালোবাসা তাও বিমূঢ় হয় , এযেন বাড়াবাড়ি।
'তোমার নিজের মেয়ে ফেলে যাবে কি? ওদেরকে দেখবে কে? বাপও তো নেই এখন।'
আনোয়ারা চোখ মুছে । আবার অবাধ্য পানি গড়িয়ে পড়ে। একসময় যে রাসুর জন্য সে মুখ বন্ধ রেখেছিল , সন্তান আর স্বামীর মধ্যে বেছে নিয়েছিল স্বামীকে, সে তার সেই মমতার কোন তোয়াক্কা না করেই এক পৌষের হিমঘন সকালে ক্ষণস্থায়ী কুয়াশার কুহকের মত মিলিয়ে গেছে তার জীবন থকে। আর দশটা মানুষ যেমন যায়, ব্যস নিরুদ্দেশ। কেউ বলে আরেকটা বিয়ে করেছে। কেউ বলে মারা গেছে। যত খোঁজখবর সব করা হয়েছে, তারপরে একদম নিশ্চিত হয়েছে আনোয়ারা, সে একেবারেই গেছে।কারণ বাড়িতে থাকা সর্বস্ব সঞ্চয়টিুকুও যে নিতে ভোলেনি যে!কোন নটী বেটির কাছে মরছে নিশ্চয়ই !এটাই আনোয়ারা বিশ্বাস। স্বামীর গুণপণা তো তার কাছে অজানা না।
তো এখন, এই পরিস্থিতিতে সে কি আসলেই যেতে পারে? এক মেয়ের পিছে পিছে দুনিয়ার শেষ প্রান্তে , বাকি মেয়েগুলোকে জলে ভাসিয়ে দিয়ে?
তবু মন শক্ত করে আনোয়ার বলে,' ওরা থাইকপো ওদের নানীর কাছত, ডাগর ডোগর হ্যছে, এখন বড়ডি ছোটগুলানরে সামলাইবো ।
কি আজব মেয়েমানুষ ? কি পাষাণ জননী! কি লোভে কি আকর্ষণে সব ফেলে ছুঁড়ে এই নারী তাদের সাথে যেতে চাইতে পারে? শুধুই মায়া মমতা পরের মেয়ের জন্য ? তাও নিজের পেটের গুলোর চেয়েও বেশী? যতই ভাবে ততই ধন্দ্ব লাগে খালেদার।
এখন আনোয়ারা কিভাবে বোঝায় তার আসলে বেঁধেছে কোনখানে?' না , আমি যামুই খালাম্মা 'এই আর্তি তার আর্তনাদ। একবার কোলের শিশুকে হারিয়ে ফেললে এ জীবনে আর তো দেখা পাবেনা সে। কোন ভাবেই ওকে বোঝাতে না পেরে , এবং নিজেও কিছু বুঝতে না পেরে খালেদা অবশেষে রণে ভঙ্গ দেয়। আপাতত থাকুক। পরে আনোয়ারা বুয়ার মাথা ঠান্ডা হলে সে আবার বোঝাবে। নিয়ে যাবার প্রশ্ন উঠতেই পারে না। এ কি এখান থাকে?ঢাকা আর চিটাগাং? এ হলো পৃথিবীর উল্টাপারের প্রবাস।' আচ্ছা , বুয়া আমি সামান্থার বাবার সাথে কথা বলে দেখি। দেখি তোমার ব্যাপারে কি করা যায়? 'বলে আপাতত উদ্বাসী ক্রন্তনরতা আনোয়ারাকে ফেলে সে নিষ্ক্রান্ত হয়। আর আরো অনেক কাজ আছে। সবাইকে জানানো আছে। শপিং আছে। গোছগাছ আছে। খেয়ালী কাজের মহিলার কথা নিয়ে সারাক্ষণ ভাবলে তার চলে না।আনোয়ারা দরজার পাশে পাশে থাকে , আড়ালে কান পাতে।স্বামীকে ফোন করছে কি খালেদা? হ্যাঁ, ডায়াল ঘোরাচ্ছে বটে।কাকে সে জানে না, নিশ্চয়ই খালুকেই হবে। বলে যে গেল! এটুকুই এত দূর থেকে চোখে পড়ে, কিন্তু কিছু শোনা যায় না। ।তার ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত হবে? রাজি হবে কি? অবুঝ আনোয়ারা চোখ মুছতে মুছতে তার নিয়তির অপেক্ষা করে।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হামিদ আহসান ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন।
২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
শুভ৭১ বলেছেন: গল্পে গল্পে দারুন চিত্রিত হয়েছে বাংলার নিম্নতলের জিবন্ত ছবি।।।।।শুভ হোক পথচলা
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ শুভ৭১ । নিরন্তর শুভকামনা।
৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অবুঝ আনোয়ারা চোখ মুছতে মুছতে তার নিয়তির অপেক্ষা করে------------” দারুন ঝরঝরে বর্ণনা ------- অসাধারণ চিত্রায়ন ------জীবন্ত সব ছবি ---------মনের মাঝে কেন যেন কষ্ট বয়ে গেল -------
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যাবদ লায়লা আপু আপনার দারুন সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক দিন পরে আপনাকে ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
এস কাজী বলেছেন: তনিমা আপু খুব সুন্দর হয়েছে। রাসু মিয়াকে যদি বলতে পারতাম বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে মেয়ে হওয়ার জন্য সেই দায়ী তাহলে ভাল লাগতো।
খুব সুন্দর উপস্থাপন আপু। ধন্যবাদ ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এরকম রাসু মিয়ার কোন অভাব নেই আমাদের চারপাশে। শুধু অজ্ঞানতার কারণে কত মানুষ যে কষ্ট পাচ্ছে! মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ এস কাজী ভাইয়া।
৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: ঘটনা বেশ কয়েকবারই ভালো মোড় নিয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে টেনশন আর সাইকোলজিক্যাল ক্রাইসিস।
ভালো লাগলো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাইয়া। অনেক দিন পরে আপনার মন্তব্যে পেয়ে আনন্দিত হলাম। ভালো থাকবেন।
৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
নেক্সাস বলেছেন: নিঃসন্দেহে ভাল গল্প। গল্পের সব উপাদান মোটামুটি ধরে রেখেছেন। টুইষ্ত আর সাসপেনস মিলে উপভোগ্য গল্প।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মতামতের জন্য সুপ্রিয় নেক্সাস। ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। শুভকামনা।
৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
আলোরিকা বলেছেন: আমিই ছিলাম প্রথম মন্তব্যকারী ! 'মন্তব্য প্রকাশ করুন' বাটনে ক্লিক করার পর উত্তর এল , দুঃখিত এই পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে । ওমা ! এখন দেখছি পোস্টটি ভাল তবিয়তে আছে - সমাজ - সংসার নিয়ে অনেক বিদগ্ধ আলোচনা করেছিলুম । এই অপরাহ্নে আর পুনরাবৃত্তি করতে ইচ্ছে করছে না।
শুধু এক্ষণে বলে রাখি , এ দেশের চিরন্তন একটি সমস্যা খুব সুন্দর ,সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন !
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আলোরিকা আপু, ড্রাফট থেকে পোষ্ট দিয়ে কিছু কারেকশনের দরকার পড়েছিল। সরিয়ে নিয়ে আবার পোষ্ট দেবার পরে দেখি আর ঢুকতে পােরি না । নিজের পোষ্টে নিজেকেই দেখায় লেখক পোষ্ট সরিয়ে নিয়েছেন! কয়েকবার মুছে বার বার দেয়ার পরে রিফ্রেশ করে দেখি ঠিক হয়ে গেছে। যাহোক আপনার মন্তব্যে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। অসুবিধার জন্য দুঃখিত। ভালো থাকবেন অনেক অনেক।
৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫১
আলোরিকা বলেছেন: ভাল তবিয়তে < বহাল তবিয়তে
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: দারিদ্রের টানপোড়ন, পুরুষতান্ত্রিক নিষ্পেষণ আর কুসংস্কারের বেড়া ডিঙিয়ে একজন মায়ের সংগ্রামের ছবি দারুণ ভাবে একেছেন ।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যাবাদ মামুন রশিদ ভাইয়া। অনেক অনেক দিন পরে আমর ব্লগবাড়িতে আপনার দেখা পেলাম। আশা করি ভালো আছেন। নিযুত শুভকামনা রইলো।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
গোর্কি বলেছেন: রাসু মিয়ারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমাদের সমাজে শিক্ষিত বা অশিক্ষিত ভেদে। আদিম অস্ফুট মূর্তি তাদের চিত্তে বিকশিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সামাজিক মনমানসিকতা বদলানো ছাড়া এর কোনো বিকল্প নেই।
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম আর এটা খুব সহজে হবে না। প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা আর সত্যিকারের শিক্ষা দুটা আলাদা জিনিস। ভালো থাকবেন গোর্কি।
১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: নিম্নবিত্তের জীবনে টাকাটাই যে মূল নয় সে বিষয়টা ভালভাবেই উঠে এসেছে আপনার গল্পে। রাসু মিয়ার মত লোকও থাকতেই পারে। তবে এরা হেরে গেছে। প্রকৃতার্থে হেরে গেছে বিবেক। হেরে গেছে মনুষ্যত্বের কাছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য গেম চেঞ্জার । টাকার জন্য পৃথিবীতে কত অন্যায়ই না ঘটে।
১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার গল্পটি বেশ ভালো, গতানুগতিক এবং পরিচিত প্রেক্ষাপটের গল্প। দারিদ্র্যতার কাছে মানবতার পরাজয় একটি বহুল সংঘটিত ঘটনা। ফলে পাঠক মন গল্পে কিছুটা বৈচিত্র্য আশা করে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই।
শুভেচ্ছা রইল। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম, বিষয় গতানুগতিক। তবে আমি ঐ অার্থসামজিক পর্যায়ের মানুষ না হওয়ায় আর এই বিষয়ে কখনো খুবএকটা না লেখায় এটা আমার জন্য নতুন ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ ছিলো। ভবিষ্যতে আবার অানকমন কোন টপিক নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো। মতামতের জন্য অজস্র ধন্যবাদ কাভা ভাইয়া। ভালো থাকবেন আপনিও।
১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সুমন কর বলেছেন: সাধারণ একটি কাহিনীও চমৎকার বর্ণনায় অসাধারণ হয়ে উঠে। যেমন আপনার এই লেখাটি। খুব ভালো লাগল।
তবে কয়েক জায়গায় এতো কঠিন বাক্য ব্যবহার করেছেন, পড়তে সময় লেগেছে...
গল্পে ভালো লাগা রইলো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুমন কর ভাইয়া। কঠিন বাক্য ব্যবহার করেছি নাকি?
তবে এইবার একটু অন্যভাবে লেখার চেষ্টা করেছি এটা ঠিক।
১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের দেশের নিম্নবিত্তের বাস্তব আর্থ সামাজিক ছবিগুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। । রাসু মিয়াদের জন্য এর থেকে বেরুনো অসম্ভব। একটু বড় হলেও খুব সুন্দর লিখেছেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।আপনি ঠিক বলেছেন, রাসু মিয়ার মত কিছু কিছু মানুষ কখনোই বদলায় না।
১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: প্রাগৈতিহাসিক থেকে সমসাময়িক বাস্তবতার অতি চেনা গল্প। ভালো লিখেছেন।
শুভকামনা রইলো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতের জন্য অযুত ধন্যবাদ শতদ্রু একটুি নদী। ভালো থাকবেন আপনিও।
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্পটা সাধারণ হলেও আপনার বর্ননা ছিল অসাধারণ! এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে অহরহ ঘটছে! আজও এমন পরিবার আছে যারা মনে করে কন্যা সন্তান হওয়ার জন্য শুধু মায়েরাই দ্বায়ী! অথচ অজ্ঞানতা বশত তারা এটা স্বীকার করে না যে, সন্তান মেয়ে হবে না ছেলে হবে এটাতে মায়ের কোন হাত নেই!
মূর্খদের কথা কি বলবো, অনেক শিক্ষিতরাই জেনেও না জানার ভান করে!
ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য!
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মূর্খদের কথা কি বলবো, অনেক শিক্ষিতরাই জেনেও না জানার ভান করে!
আপনার এই কথাটাই আসল পয়েন্ট।নিজের সুবিধার জন্য এরা পারেনা এমন কাজ নেই।
ভালো থাকবেন সাহসী সন্তান। ধন্যবাদ।
১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এক কথায় চমৎকার!
বিষয় নির্বাচন, প্লটবিন্যাস, শব্দচয়ন এবং ছোটগল্পের অধিকাংশ শর্ত পূরণ করে একটি নান্দনিক গল্প।
এটিই আমাদের গল্প, যা সংখ্যাগরিষ্ট জনতার সমস্যার কথা বলে।
হোক সেটি গতানুগতিক। গল্পকার একে নতুন মাত্রায় উপস্থাপনা করেছেন।
অভিনন্দন গল্পকার
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব সুন্দর ও বিস্তারিত একটা মন্তব্য। পেয়ে অনেক ভালো লাগলো মাঈনউদ্দীন মইনুল ভাইয়া। নতুন অজানা বিষয় নিয়ে লেখা খুব কষ্টকর। কতটুকু পেরেছি জানি না। তবে চেষ্টা আন্তরিক ছিলো।
ভালো থাকবেন। নিযুত শুভেচ্ছা।
১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪০
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনবদ্য ভাললাগার নান্দনিক সমাবেশ,চমৎকার মুগ্ধতা +++
সতত শুভকামনা...
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ লিটন ভাইয়া।ভালো থাকবেন আপনিও।
১৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪০
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনবদ্য ভাললাগার নান্দনিক সমাবেশ,চমৎকার মুগ্ধতা +++
সতত শুভকামনা...
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন:
আবারও ধন্যবাদ ।
২০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিম্নবিত্ত পরিবারের এক অসহায় মায়ের সন্তানের প্রতি নিদারুণ ভালোবাসার এক করুণ কাহিনী চিত্রিত হয়েছে । কিছু স্থানে অবশ্য বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে । যেমন অারো তিনটে সন্তান বর্তমান থাকা স্বত্ত্বেও অন্যত্র চলে যেতে চেয়েছে অানোয়ারা । তাহলে অন্য সন্তানগুলোর প্রতি কি তার দায় নেই? অবশ্য মায়ের মন বোঝা কঠিন ।
সর্বোপরি ভালো লেগেছে ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য শুরুতেই ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু ভাইয়া। আবেগের কোন যুক্তি সবসময় হয়না। তবু আনোয়ারার চারটি কন্যা থাকার পরেও ছোটজনের প্রতি এত আকর্ষণের কারণ ব্যাখা করতে পারি এইভাবে- বাকি চারজন তার সাথেই আছে, ওদেরকে হারিয়ে ফেলার কোন ভয় নেই। কিন্তু ছোটজন বাইরে চলে গেলে সংযোগ চিরদিনের জন্য ছিন্ন হয়ে যাবে এইটাই আনোয়ারা আচরণের ব্যাখা।
২১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৮
জেন রসি বলেছেন: বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। গল্পে বাস্তবে ঘটে চলা অনেক নির্মম সত্য প্রতিফলিত হয়েছে। চমৎকার গল্প।
++
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ জেন রসি। ভালো থাকবেন ।
২২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২০
দর্পণ বলেছেন: দারুন বর্ণনার গল্পটি পড়ে মনটা বিমর্ষ হলো। মা সে দরিদ্র আর ধনী- প্রভেদ নেই কোনো। প্রিয় তে রাখলাম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো দর্পণ। প্রিয়তে নেয়ায় অযুত কৃতজ্ঞতা। শুভেচ্ছা সতত।
২৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাইয়া।
২৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৪
অগ্নি সারথি বলেছেন: নিম্নবিত্ত মায়ের চমৎকার উপস্থাপনা।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ অগ্নি সারথি। শুভেচ্ছা রইলো অনেক অনেক।
২৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
তুষার কাব্য বলেছেন: মুগ্ধ । চোখের সামনে যেন চরিত্র গুলো ভাসছে । শুভকামনা সবসময় ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য ভাইয়া। ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
২৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: খুব বাস্তব নির্ভর । আর শেষের শেষটা সেইরাম হয়েছে । এক কথায় খুব ভাল লেগেছে ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়া ও পড়ে মন্তব্যে করার জন্য । ভালো থাকবেন কথাকথিকেথিকথন । শুভেচ্ছা।
২৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ব্লগের গল্প পড়া হয় না প্রায় দু মাস হল। অনেকদিন পর আপনার গল্প দিয়েই অবসর ভাঙলাম। চমৎকার একটি গল্প দিয়েই অবসর ভাঙ্গা হল।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো প্রবাসী পাঠক অনেক দিন পরে আপনাকে ব্লগে পেয়ে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।
২৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০৭
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সাবলীল ঝরঝরে বর্ণনা
তাই আবহমানকালের অতি চেনা গল্প হলেও ভীষন সুখপাঠ্য এবং স্পর্শী তো বটেই।
ভালো লাগা এবং ভালোবাসা জানিয়ে গেলুম।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে কি করি আজ ভেবে না পাই । অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা থাকলো ।
২৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৩
জুন বলেছেন: মন ছুয়ে গেল রেজওয়ানা আলী তনিমা । মা যে মা ই সে তার যত সন্তানই থাকুক ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুনাপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন।
৩০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লাগল্ ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ঢাকাবাসী।
৩১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,
জীবন সংলগ্ন কাহিনী ।
গল্পের বিন্যাস যা ই থাক - সব ছাপিয়ে যেটা বড় হয়ে উঠেছে সেটা এই ------
জীবনে কি সবাইকে নিয়েই সবটুকু পথ পাড়ি দেয়া যায়?
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাইয়া। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বলে 'মা।'আনোয়ারার শরীর কেমন করে ওঠে ।নাকি মন? এরপরও কেমন করে সে ওখানে স্থির বসে ছিল তা সে জানে না, বাথরুমের দরজায় ছুটে ফিরে খিল দেয়। অঝোর বন্যা তার চোখে। সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার এত শক্তি তবু তো কোন জোর নেই।
++++++++++++++++++++
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কমেন্টের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা বিদ্রোহী ভৃগু ।ভালো থাকবেন।
৩৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: মা- এই মধুর এক শব্দ নিয়ে কবি,গল্পকার, উপন্যাসিক কত ভাবে কত অজস্র লেখা লেখেছে, তবুও তা চির নতুন।
আপনার গল্পে সেই মার চিরন্তন ছবিটা একেছেন সুনিপুণ শিল্পীর মত বিভিন্ন ঘটনার সহজ বর্ণনায়।
অনবদ্য গল্প।
ভাল থাকুন। সবসময়।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্যে অজস্র কৃতজ্ঞতা শামছুল ভাইয়া। ভালো থাকবেন আপনিও।
৩৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অনেক বড় গল্প। পড়তে পড়তে হাত-পা ব্যথা হয়ে গেল। ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অত বড় হয়েছে নাকি? লিখতে লিখতে বুঝতেই পারিনি।
যাহোক কষ্ট করে পড়ার জন্য বিনীত ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী ।
ভালো থাকবেন আপনিও।
৩৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪
সুদীপ্তা মাহজাবীন বলেছেন: চমৎকার গল্প । ভাললাগল ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুদীপ্তা আপু। ভালো থাকবেন।
৩৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
ডি মুন বলেছেন: খুব সুন্দর একটা গল্প। অনেকটা সময় নিয়ে পড়লাম।
শব্দচয়নে যত্নের ছাপ সুস্পষ্ট।
নিম্নবিত্তের দুঃখগাঁথা ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন শব্দে।
+++
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কষ্ট করে সময় নিয়ে আমার গল্পটা পড়া ও মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা মুন ভাই। পাঠকের কমেন্টই তো লেখার প্রেরণা।শুভেচ্ছা।
৩৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
রংহীন-পানি বলেছেন: উপস্থাপনাটা সত্যিই অসাধারন হয়েছে.....
পর্ব আকারে লিখার অনুরোধ রইল.........।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রংহীন -পানি। তবে এটা আসলে একপর্বেই শেষ গল্প। শুভেচ্ছা অনেক অনেক।
৩৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
রাবার বলেছেন: মা এর মন কয় এরে। অসাধারন লাগলো তনিমা আপা।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ রাবার। ভালো থাকবেন।
৩৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
এহসান সাবির বলেছেন: কেমন আছেন?
গল্প রাতে পড়ব ইনশাল্লাহ্।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: জি ভালো। আপনি কেমন আছেন? পড়ার সাদর আমন্ত্রণ রইলো।
৪০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এক কথায় অসাধারন । খুব ভাল লাগলো। আরো ভাল লিখুন । ধন্যবাদ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ খুরশীদ ভাইয়া সুন্দর মতামতের জন্য। ভালো থাকবেন।
৪১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩০
এহসান সাবির বলেছেন: পড়ে ফেললাম। চমৎকার......
আনোয়ারা কে নেওয়া হবে না আমার তাই মনে হয়।
অট- ওর সেই পনের বছর থেকে একে একে কিছু বোঝার আগেই পালা করে এসেছে ওরা দুনিয়ায়....
সেই পনের বছর.... বিয়ের বয়স যদি মেয়েদের ২২ আর ছেলেদের ২৬ করে তাহলে জনসংখ্যা একটু হলেও কমবে, আনোয়ারা বয়স আর কত.. দেখা যাবে রাসু ভায়েরা আরো এক হালি উৎপাদন করতে সক্রিয় হবে, কিন্তু বিয়ে টা যদি ২২ হত তাহলে আনোয়ারা বলত ''সেই বাইশ বছর থেকে একে একে কিছু বোঝার আগেই পালা করে এসেছে ওরা দুনিয়ায়....'' ১৫ থেকে ২২, ৭ বছরে কম করে হলেও ২ বাচ্চা কমত।
কি মজার ব্যাপার এক দল মেয়েদের ১৬ বছর বিয়ের বয়স করতে ইচ্ছুক।
লোল... !!
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আবারও এসে কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
বিয়ের বয়স বাড়ালে কি খুব লাভ হবে? রাসু মিয়ার মত মানসিকতার লোকের অভাব নেই, যারা শুধু ছেলে পাওয়ার জন্য একের পরে এক সন্তান জন্ম দিতে থাকে। তবে কিছুটা যে কমবে তা ঠিক।
৪২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭
পার্থ তালুকদার বলেছেন: খুবই ভাল লাগলো .......
একদিকে জননীর ভালবাসা আর অন্যদিকে পাষন্ড স্বামীর পাশবিক চরিত্রের চিত্রপট। শুভকামনা জানবেন।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য পার্থ ভাইয়া। ভালো থাকবেন আপনিও।
৪৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
বিদগ্ধ বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা। নতুন প্রজন্মের মানুষগুলো এত চিন্তাশীল ভাবাই যায় না।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ বিদগ্ধ ভাইয়া।
৪৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পটা ছুঁয়ে গেল বেশ । শেষের প্রতিক্ষার ফিনিশিঙ্গটা খুব ভাল লেগেছে ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কলমের কালি শেষ ভাইয়া। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
৪৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
তিন দিন ট্রাই করে অতঃপর গল্পটা পড়ে শেষ করতে পেরেছি। যখনই আপনার গল্প পড়া শুরু করেছি তখন কোন কোন কাজ এসে গেছে আর আপনার গল্প না পড়ে ওই কাজ করতে হয়েছে।
দারুণ একটা বিষয়। আমাদের জীবনের গল্প। আমাদের সমাজের একটি নিয়মিত চিত্র চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
গল্পে +
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দুঃখিত উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। কষ্ট করে পড়ার জন্য অযুত ধন্যবাদ আমিনুর ভাইয়া। এত সুন্দর একটা মন্তব্যে বিশেষ অনুপ্রাণিত হলাম। ভালো থাকবেন।
৪৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালো লেগেছে,নিম্নবিত্তের সুখদঃখের চমৎকার প্রকাশ। রাসুর উপর তীব্র একটা রাগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। স্বার্থক ছোট গল্প। অনেক শুভেচ্ছা শুভকামনা রইল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ছোট্ট কিন্তু চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত ভাইয়া। অযুত শুভেচ্ছা থাকলো আপনার প্রতিও।
৪৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আবেগে মোড়ানো গল্প, পড়ে মন আর্দ্র হল...
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জহিরুল ভাইয়া। দুঃখিত উত্তর দিতে অনেক দেরী হয়ে গেল। ভালো থাকবেন।
৪৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯
Jahirul Sarker বলেছেন: গল্পে সত্যিই মিশে গিয়েছিলাম।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দুঃখিত উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল। মতামতের জন্য অশেষ ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা।
৪৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০
তাশমিন নূর বলেছেন: দারুণ একটি গল্প। সুলেখনী। মুগ্ধ!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। দুঃখিত উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেলো। ভালো থেকো তাশমিন।
৫০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: প্রথম থেকে সামান্থা হবার আগ পর্যন্ত যেন পরিচিত ঘটনা। শেষটা ভালোই লেগেছে। একটা অনিশ্চয়তা দিয়ে শেষ হয়েছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হুম গল্পটা অনেকটা পরিচিত। গতানুগতিক হলেও ব্যক্তিগত ছকের বাইরের নীরিক্ষা। অনেক অনেক ধন্যবাদ অপর্ণাপু আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
৫১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
সুলতানা রহমান বলেছেন: গল্পটা খুব ভাল লেগেছে। একটা সন্তানের জন্য সবগুলোকে ছেড়ে দেওয়া ……এটা ও হয়তো হতে পারে।
শুভকামনা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুলতানা আপু,আসলে একটির বিপরীতে বাকি মেয়েরা এভাবে চিন্তা করিনি। যারা নিজের নাগালে আছে তারা তো থাকলোই, কিন্তু যে সন্তানটিকে হারিয়ে ফেললে আর পাওয়া যাবেনা, তাকে কোনভাবে কাছে রাখার ইচ্ছা দেখানোর চেষ্টা ছিলো।
মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতিও।
৫২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
সকাল রয় বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগা
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ সকাল ভাইয়া।
৫৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ভালো একটি লেখা। পড়ে স্বাদ পাওয়া গেল। আরো লিখুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
হামিদ আহসান বলেছেন: নিম্নববিত্তের জীবন যেমন চমৎকার উঠে এসেছে তেমনি একজন মায়ের সফল শব্দ-প্রতিকৃতি ৷ দারুন ভাল লাগল.।