![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
বর্তমান বাংলাদেশের প্রাইমারি স্কুলগুলো তো শিক্ষার নামে ঠনঠন। শিক্ষা তো কিছুই নেই; আছে শুধু টাকার ধান্ধা-‘স্কুলআওয়ারে বাচ্চাদের ঠিকমতো পড়ালেও কি প্রাইভেটের প্রয়োজন হয়, নাকি স্কুলআওয়ারে প্রতিভা বিকাশের নামে আল্লাহখোদার নাম ভুলে অশালীন গান, নৃত্য ও নাটক কিংবা খেলাধুলা করে ছুটি হলে প্রাইভেটের নাম দিয়ে টাকা কামানো হয়।’ সেটাই আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে বুঝে আসে না।
স্কুলড্রেসের জন্য গরিব-এতিমদের তিনমাস পর পর যে তিনশো করে টাকা প্রদান করা হয়। এটাও কি তাদের পকেটলগ্ন হবে! তাদের ভাষায় বলতে গেলে ‘তিনমাস পর পর এ তিনশো টাকা দিয়া পোলাপাইনগো কি হইবো, তারচে’ ভালা-দশ-বারোজনের মোটা কিছু অংশ এক পরিবারই পাক।’ এ কথায় নাকি লজিক আছে! ‘ভালোই’ লাগে যখন শুনি এতিমের মাল খাওয়াতেও লজিক আছে!!
নিজ অভিজ্ঞতার কথাই বলি- আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম, তখন স্যারেরা শুধু স্কুলে এসে প্রেজেন্টবুকে সাইন করে চলে যেত। কিন' আক্কেলগুড়ুম হত পরীক্ষা এলে। তবুও নো টেনশন! প্রশ্নের উত্তর তো সব ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে দেয়া। ‘এবার খালি কোপাইয়া পরীক্ষা দে।’ এটাই হলো বাংলাদেশের প্রাইমারি শিক্ষাব্যবস্থার হালহাকিকত। অবশ্য বর্তমানে একটু ‘কড়াকড়ি’ আইন প্রণয়ণের কারণে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন' নিয়ন্ত্রণে এসেই বা কী হবে? তাতে তো সংযোজন হয়েছে সেক্যুলারিজম-ধর্মনিরপেক্ষতা, যৌনশিক্ষা আরো কতো কী! না জানি কবে এরা এটাই বলে দেয়, ‘পরম করুণাময় আল্লাহ এবং দূর্গার নামে শুরু করিতেছি’। নাউযুবিল্লাহ! এবার আপনিই বলুন, এর জন্য দায়ী কে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপুত্র শেখ সজীব ওয়াজেদ জয় ও কালসিউভাক্কো যুক্তভাবে 'Harvard International Review' নামক জার্নালে গত ১৯শে নভেম্বর ২০০৮ সালে একটি Thesis (প্রবন্ধ) লিখে- 'Stemming the rise of Islamic extremism in Bangladesh’ এ থিসিসে সে মাদরাসাশিক্ষার প্রতি অনীহা প্রকাশ করে একপর্যায়ে বলে-‘মাদরাসাশিক্ষার পাঠ্যক্রম বদলাতে হবে। সঠিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ প্রাথমিক স্কুল ও হাসপাতাল বানাতে হবে।’ মাদরাসা না হয় ধর্মনিরপেক্ষ হলো, কিন' মানুষের চিকিৎসার জায়গা হাসপাতালও যে ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে, তা এই প্রথম জানতে পারলাম।
মোদ্দাকথা, বাংলাদেশকে একটি অনৈসলামিক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার মহলবিশেষের অব্যাহত প্রচেষ্টারই একটি অংশ যে এই থিসিস, তা যে কোনো সচেতন মানুষই বুঝেন। তাছাড়া সামপ্রতিক তারই দেওয়া বক্তব্য ‘আমি মাদরাসার ছাত্র কমাতে মাঠে নেমেছি’ দ্বারা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, স্বাধীনতার প্রধান স্থপতি শেখ মুজিবের এ দৌহিত্র জয় এবার বাংলাদেশ থেকে ইসলাম বিদায় দেয়ার কুচক্রানে- বুঁদ হয়ে আছে। কিন' কেন এরা ইসলামকে সরিয়ে নতুন ধর্ম অবলম্বন করতে চায়, কেন আল্লাহর সার্বভৌমত্ব তুলে দিয়ে মানবরচিত সংবিধানকে প্রভু খ্যাতি দিতে চায়? সব অপকর্ম নিশ্চিনে- করা যাবে-এই ভেবে?
যদি এটাই হয়ে থাকে, তাহলে এদেরকে বুঝিয়ে আর লাভ নেই। কারণ এদের ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা নিজেই কুরআনুল কারিমে বলেছেন-
“আমি দোযখের জন্য সৃষ্টি করেছি বহু জ্বিন ও মানুষ। এদের অন্তর আছে কিন' তা দিয়ে বিবেচনা করে না; চোখ আছে কিন' তা দিয়ে এরা দেখে না, আরো আছে কান কিন' তা দিয়ে এরা শোনে না। এরা হলো চতুষ্পদ জন'র মতো; বরং এরচেয়েও নিকৃষ্টতর।”
তাছাড়া ধর্মনিরপেক্ষতা আর ধর্মহীনতা যে এক বিষয় তা এখন সবার কাছেই স্পষ্ট। কিন্তু তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ইসলাম বিদ্বেষীরা যেন এ ব্যাপারে আর রাখ-ঢাক রাখতে চায় না। যদি এটাই না হয় তাহলে এরা কেন ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে; মুসলমানের ঘরে জন্মগ্রহণ করে নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করে, দাড়ি টুপিঅলা সাচ্চা মুসলমান ও আলেমদের মৌলবাদী ও ফতোয়াবাজ বলে গালি দেয়, নিজেরা মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানোর মতো হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিসহ ইসলাম বিরোধী সবধরনের অপসংস্কৃতি পালনে হয় তৎপর! কেউ এর জবাব দেবেন, নাকি নিঃশ্চুপ বধির হয়ে থাকবেন?
©somewhere in net ltd.