নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
সেদিন এক ভাই বলল, পুরো কোরআনের বাংলা তরজমা পড়ে খতম দিলাম, কিন্তু কোথাও নামাজের কথা পাইলাম না। কোরআনে যে সালাতের কথা বলা হয়েছে, সেই সালাত আর নামাজ কি এক জিনিস নাকি? যদি পষ্টভাবে কোরআনের কোথাও পাঁচওয়াক্ত নামাজের কথা উল্লেখ থাকে, তাহলে দেখান দেখি। দয়া করে হাদিসের উদ্ধৃতি দিবেন না।
আমি তার কথার উত্তরে যাওয়ার আগে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা দেব। ‘আহলে হাদিস’ বলে একটা ভ্রান্ত দল আছে। যারা কোরআনে কী আছে ধার ধারে না, হাদিসে যা আছে সেটাই সঠিক বলে গলা ফাটায়। যদিও কোরআন-হাদিস কখনোই সাংঘর্ষিক নয়। হাদিসে যা আছে, মূলত এটি কোরআনেরই ব্যাখ্যা। কিন্তু তথাকথিত এই আহলে হাদিসরাও পূর্ণাঙ্গ হাদিস মানে না। নিজের প্রয়োজনমাফিক অপব্যাখ্যা দিয়ে ইহুদি-খ্রিস্টানদের মতো কাটছাট করে ‘বাইবেল’ বানিয়ে নিয়েছে হাদিসকে।
সাম্প্রতিক লক্ষ করছি, আরেক দল বেরিয়েছে। যাদের এককথায় ‘আহলে কোরআন’ বলা যায়। যদিও তারা প্রয়োজনমাফিক কোরআনকে ইসতেমাল করে আর বাকি সময় তা গোল্লায় যাক। ‘হাদিস-কালাম মানি না, কোরআন কী বলে’—এই হলো তাদের বক্তব্য।
প্রথমে প্রশ্ন করা হলো, নামাজ আর সালাত এক জিনিস কিনা? সালাতকে ঠিক বিরিয়ানি দিয়ে খাওয়ার একটা অপপ্রয়াস চালাতে চেয়েছিল হয়ত। এ কারণে বড় গলায় বলতে চেয়েছিল—দেখো না, কোরআনে কোনো নামাজের কথাই নেই!
এখানে আহলে হাদিসরা নামাজকে সালাত বলে। সালাত দ্বারা নামাজকেই তারা বুঝে। যদিও নামাজের পদ্ধতিগত কিছু মতানৈক্য তারা দেখায়, কিন্তু এ কোন আহলে কোরআন, যারা সালাত বলতে নামাজ বুঝে না। সালাতের অর্থ তারা করে প্রার্থনা। সেটা পাঁচওয়াক্তে নির্দিষ্ট কায়দায় হবে কেন, এই হলো তাদের অভিযোগ! মূলত সালাত শব্দটি আরবি। কোরআন যেহেতু আরবি ভাষায় নাযেল হয়েছে, তাই নামাজকে সালাত বলা হয়েছে।
এবার আসল উত্তরে আসি। কোরআন হাদিস একে অপরের সম্পূরক। কোরআন একটি শ্বাশ্বত বিধান। যেখানে শুধু মূলনীতি বর্ণনা করা হয়েছে। ব্যাখ্যায় রয়েছে নবীজির বাণী কিংবা হাদিস। বাসর রাতে কী কী করতে হবে, প্রথমে কী করবে, তারপর তারপর করে পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত কোরআনে বলা হলে কোরআন হয়ে যেত হাজার হাজার পৃষ্ঠা। সব ক্ষেত্রেই কোরআন শুধু মূলনীতি বলে গেছে। রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, বিজ্ঞান, সমাজ, মহাকাশ, গ্রহ, চন্দ্র-সূর্য কোনো বিষয় বাদ দেয়নি কোরআন।
কোরআনে শুধু বিয়ের কথা বলা হয়েছে। বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, বাসর রাত এসবের ব্যাখ্যা রয়েছে হাদিসে। ঠিক তেমনি পাঁচওয়াক্ত নামাযের কথাও কুরআনে আছে। কিভাবে পড়তে হবে তা রয়েছে হাদিসে। তথাপি কোরআনে কিছু মূলনীতি বলা হয়েছে। যেমন- ‘ওয়া-কূমু’ দ্বারা কিয়াম বা দাঁড়ানো, ‘ওয়া-রকায়ু’ দ্বারা রুকু, ‘ওয়া-সাব্বিহু’ দ্বারা তাসবীহ পাঠ, ‘ওয়া-সজুদু’ দ্বারা সেজদা এবং ‘ওয়া-সাল্লিমু’ দ্বারা সালামের মূলনীতি ব্যক্ত হয়েছে।
প্রমাণ :
পাঁচওয়াক্ত নামাজ পবিত্র কোরআন দ্বারা প্রমাণ করার আগে ওয়াক্তমতো নামাজ পড়া সম্পর্কে একটি আয়াত উল্লেখ করলাম :
“নিশ্চয় নামায মুসলমানদের ওপর ফরজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।” (সূরা নিসা : ১০৩)
এবার প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই নির্দিষ্ট ওয়াক্ত কখন? উত্তরে আল্লাহ কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচওয়াক্তের কথা বলেছেন। যেমন লক্ষ করুন :
ফজর ও এশা : “ওহে মুমিনেরা, তোমাদের দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে তোমাদের কাছে অনুমতি নেয়- (১) ফজরের নামাযের পূর্বে, (২) দুপুরে যখন তোমরা বস্ত্র খুলে রাখো, (৩) এবং এশার নামাযের পর।” (সূরা নূর : ৫৮) এ আয়াতে ফজর আর এশার নামাযের কথা বলা হয়েছে।
যোহর : “তোমরা (নামাযের মাধ্যমে) আল্লাহর পবিত্রতা স্মরণ করো সন্ধ্যায় ও সকালে এবং অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্নে। নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে কেবল তারই প্রশংসা।” (সূরা রুম : ১৭-১৮) এখানে ‘মধ্যাহ্নে’ বলতে যোহরের ওয়াক্তকে বুঝানো হয়েছে।
আছর : “সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে।” (সূরা বাকারা : ২৩৮) এখানে মধ্যবর্তী বলতে আছরের নামাযকে বুঝানো হয়েছে।
মাগরিব : “সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন।” (সূরা বনী ইসরাঈল : ৭৮) এ আয়াত দ্বারা মাগরিব নামাযের ওয়াক্তও প্রতীয়মান হয়।
এছাড়া কুরআনে কারিমে পাঁচওয়াক্ত নামাজের কথা এক আয়াতেই আছে। যেমন : “সুতরাং তোমরা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করো সন্ধ্যায় [মাগরিব ও ইশার নামায দ্বারা] ও প্রভাতে [ফজর নামায দ্বারা] এবং অপরাহ্নে [আসরের নামাযের দ্বারা] ও মধ্যাহ্নে [যোহরের নামায দ্বারা]।” {সূরা রূম-১৭-১৮}
সূরা রূমের উক্ত আয়াতে একই সাথে ৫ ওয়াক্ত নামাযের সময় আল্লাহর পবিত্র ও মহিমা প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর পবিত্রতা ও মহিমা প্রকাশের সর্বোত্তম মাধ্যম যে নামাজ, একথা সর্বজনস্বীকৃত বিষয়। {তাফসীরে রূহুল মাআনী-৮/২৯, মাআরিফুল কুরআন-৬ খন্ড, ২১ পারা, পৃষ্ঠা- ৪০}
২| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৬
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"পুরো কোরআনের বাংলা তরজমা পড়েখতম দিলাম, কিন্তু কোথাও নামাজের(সালাত) কথা পাইলাম না।"
-- সাবধান ভাই।।
ওসব কালার ব্লাইন্ডদের সাথে খবরদার তর্ক করবেন না। কিছু দিনকানা আছে , যারা বুঝেও না বোঝার ভাব ধবে।।
৩| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৩
ক্স বলেছেন: আসলেই তো! কুরআনে কোথাও 'নামাজ' শব্দটি নেই। নেই রোযার কথাও। অনুরূপভাবে ফেরেশ্তা, খোদা, পয়গম্বর - এসব শব্দও নাই। তাইলে কন ইসলাম আমরা পালন করি যার কিছুই কুরআনে নাই?
৪| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৪
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সুন্দর আলোচনা। আল্লাহ মহান
৫| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হায়রে, জ্ঞান কত নিন্মস্থরে পৌছেছে...
৬| ১৩ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কোনো মন্তব্য না করাই ভালো।
৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
অদৃশ্য বালক বলেছেন: ভাই আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক দিন ধরেই উদ্বিগ্ন। এই কথিত আহলে হাদিস বা লামাযহাব এবং নতুন করে জন্মনেওয়া আহলে কুরআন লোকজন জ্ঞান থাকার পরেও বধিরের চাইতেও অধমের পর্যয়ে চলেগেছে। এদের বিচরণ এখন পর্যন্ত ইন্টানেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর ইন্টানেটের মাধ্যেই তারা মানুষদের বিভ্রান্ত করে চলছে। এখনো আহলে কুরআনের কারো সাথে দেখা হয়নি। তবে ইন্টারনেটের কল্যানে আহলে হাদিসের কয়েকজনকে চিনি। সাথে তাই একটা ছবি দিয়ে দিলাম, দয়া করে এদের এড়িয়ে চলুন।
৮| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: কই পান এইসব আজগুবি লোক?
৯| ১৩ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: কই পান এইসব আজগুবি লোক?
১০| ১৩ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১
আপনার আপন বলেছেন: Without doctor advise, can take cancer treatment only by reading medical books?
১১| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪০
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
এ সব আহাম্মকগুলো নিজেরা তো পথভ্রষ্ট হয়েছে অন্যদেরও সাথী করতে চায়।
১২| ১৩ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০৩
এক হতভাগা বলেছেন: ভাই কি সদ্য চাঁদের দেশ নাজিল হলেন ? নামাজ পার্সি শব্দ এটা কোরআনে কোত্থেকে আসবে । আপনি এত এত আহাম্মকি কথা বলেছেন যে কোনটা ধরে কোনটার মন্তব্য করবো বুঝতেছি না ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৫
প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ