নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুধু একদিন ভালোবাসা, মৃত্যু যে তারপর... যদি তা-ও পাই, আমি তা-ই চাই, চাই না বাঁচতে আমি প্রেমহীন হাজার বছর।
কোরবানির পশু জবেহ করার পর পশুটি হার্টএ্যাটাকে মারা গেলে কোরবানি সহিহ হবে?
আর জবেহ করার পরে পশুটি রগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে মারা গেলো, নাকি হার্টএ্যাটাকে কিংবা স্পাইনাল কর্ডে আঘাত করার কারণে কোমায় চলে গেলো, তা নির্ণয় করার উপায় কি?
পোস্টমর্টেম করতে হবে নাকি?
আজকে সকালে এক গণমাধ্যমে ‘কোরবানির পশুর জবেহের পর স্পাইনাল কর্ডে আঘাত করলে কোরবানি সহিহ হবে না’ মর্মে একটি সচেতন পোস্ট দেখলাম। আমার উপরের প্রশ্নগুলো তার ওই সচেতনি পোস্ট পড়েই জেগেছে। তাই এ ব্যাপারে কিছু লেখার ইচ্ছা জাগলো। আসলে যারা স্যোসাল মিডিয়া বা গণমাধ্যমে প্রচার করছেন, জবেহ করার পর ছুড়ি দিয়ে গলার স্পাইনাল কর্ডে খোঁচা দেয়ার কারণে পশুটি যদি ভিন্নকারণে মারা যায়, তাহলে কোরবানি হবে না। বিষয়টি এমন নয়।
আপনার পশুটিকে তাড়াতাড়ি নিস্তেজ করার জন্যে কিংবা পশুটিকে কষ্ট না দেয়ার জন্যে অনেকে স্পাইনাল কর্ডে অাঘাত করে থাকে। অথচ কোরবানির পশু জবেহ দেয়ার সবচে কম কষ্টদায়ক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি হলো, খুব ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর গলার চামড়া, তারপর শ্বাসনালী (Trachea), খাদ্যনালী ও ব্রেইনে রক্তবাহী প্রধান দুটি ধমনী ক্যারোটিড আর্টারি (Carotid artery) ও প্রধান দুটি শিরা (Jugular Veins) কেটে ফেলা। এই আর্টারি কাটার সাথে সাথেই পশুর শরীরের সব রক্তপ্রবাহিত হয়ে যায়। এরপর সে আর কোন ব্যথা অনুভব করে না। আর এ কারণেই ইসলামে ভোতা ছুরি-চাকু দিয়ে জবেহ করা মানা আছে।
জেনে রাখা ভালো, প্রত্যেক পশুর পিঠে থাকে একটি মেরুদণ্ড বা স্পাইনাল কর্ড। এই স্পাইনাল কর্ডের যোগাযোগ শুধু পশুর পিঠেই নয়, গলা অবধি স্পাইনাল কর্ডের যোগাযোগ আছে। শুধু তাই নয়, স্পাইনাল কর্ড ব্রেইনের সাথে আমাদের শরীরের সব পেশীগুলোর যোগাযোগ রক্ষা করে। তাই যখনি পশুর মূল তিনটি রগ কাটার কারণে রক্ত বের হতে থাকে, ব্রেইন হৃৎপিণ্ডকে মেরুদণ্ডের মাধ্যমে সিগন্যালাইজ করে। হার্ট তখন আরও জোরেজোরে পাম্প করে এবং ব্রেইন প্রচুর সিগন্যাল দিতে থাকে, ফলে শরীর থেকে সব রক্ত খুব অল্প সময়ে বের হয়ে যায়। এতে মাংসের মধ্যে কোন রক্ত থাকে না।
পক্ষান্তরে স্পাইনাল কর্ডে আঘাত করলে এই যোগাযোগ নষ্ট হয়ে যায়। আর ব্রেইনের সিগন্যাল ব্যাতিত যেহেতু হার্ট পাম্পিং সম্ভব নয়, যার কারণে শরীর থেকে যথেষ্ট রক্ত বের হয় না। আর রক্তে জীবাণু থাকার আশঙ্কা আছে, তাই রক্তসমেত গোস্তভক্ষণ কোরবানি মাকরুহ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
তবে শেষ কথা হলো, কোরবানির পশুর মূল তিনটি রগ কাটার পর পশুটি যেভাবেই মারা যাক, কোরবানি সহিহ হবে! তবে স্পাইনাল কর্ডে আঘাতের ফলে যদি রক্তপ্রবাহে বিচ্যুতি ঘটে, তাহলে মাকরুহে তাহরিমি হবে। কারণ, কোরবানির পশুর সাথে মিশ্র ইবাদতের মধ্যে রক্তপ্রবাহটাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। তাই মানুষের ত্রুটির কারণে রক্তপ্রবাহ না হলে মাকরুহে তাহরিমি হবে। এজন্য এ ধরনের কাজ পরিহার করাই শ্রেয়।
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ভালোবাসা নিবেন ভাই। এক দিন বাদেই ঈদ। ঈদে রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা।
২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গত শুক্রবার কোরবানী সম্পর্কীত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে
এমন তথ্যই প্রদান করেছিলেন মাদ্রাসার ফতোয়া বিভাগের প্রধান।
পশুর ব্রেইনে রক্তবাহী দুটি শিরা কাটার সাথে সাথেই পশুর
শরীরের সব রক্তপ্রবাহিত হয়ে যায়। এরপর সে আর কোন ব্যথা অনুভব করে না।
আপনার পশুটিকে তাড়াতাড়ি নিস্তেজ করার জন্যে কিংবা পশুটিকে কষ্ট না দেয়ার জন্যে অনেকে স্পাইনাল কর্ডে অাঘাত করে থাকে। অথচ কোরবানির পশু জবেহ দেয়ার সবচে কম কষ্টদায়ক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি হলো, খুব ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর গলার চামড়া, তারপর শ্বাসনালী (Trachea), খাদ্যনালী ও ব্রেইনে রক্তবাহী প্রধান দুটি ধমনী ক্যারোটিড আর্টারি (Carotid artery) ও প্রধান দুটি শিরা (Jugular Veins) কেটে ফেলা। এই আর্টারি কাটার সাথে সাথেই পশুর শরীরের সব রক্তপ্রবাহিত হয়ে যায়। এরপর সে আর কোন ব্যথা অনুভব করে না। আর এ কারণেই ইসলামে ভোতা ছুরি-চাকু দিয়ে জবেহ করা মানা আছে।
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০১
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: জ্বি। আপনি সঠিকই শুনেছেন। ভালোবাসা নিবেন। ধন্যবাদ। আসন্ন ঈদে শুভকামনা রইল।
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০২
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ কবি মহোদয়। ভালো থাকুন। আসন্ন ঈদে শুভেচ্ছা রইল।
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবই মানলাম। তবে শেষের দিকের ফতোয়াটা কি সর্বসম্মত নাকি নতুন আবিস্কার? কারণ, ১৪০০ বছর আগে এত কিছু বিচার করে নিশ্চয়ই জবেহ করা হত না। তাই স্পাইনাল কর্ডে আঘাত করলে রক্ত প্রবাহে বিচ্যুতি ঘটলে মাকরুহে তাহরীমি হবে এটা বলাটা কি যুক্তিযুক্ত হবে?
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: সাধারণ জবেহ আর কোরবানির জবেহের মধ্যে মৃদুপার্থক্য আছে। এটা নির্দিষ্ট বিধিসম্মত বিধান। এ কারণে শারীরিক ত্রুটিপূর্ণ পশু দিয়ে জবেহ হলেও কোরবানি হয় না। এজন্য এই কোরবানির সাথে তার পশুরও একটা মিশ্র ইবাদত আছে। এ দিক বিবেচনা করেই ১৪০০ বছর আগে হাদিসে এসেছে, “হযরত রাফি ইবনে খাদিজ থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যা রক্ত প্রবাহিত করে দেয় এবং যে প্রাণীর ওপর জবেহের সময় আল্লাহর নাম নেয়া হয় তা তোমরা খেতে পার (হালাল)।” (বোখারি শরিফ, ৪ খণ্ড, হাদিস ৪০৬)
আর ইবাদত মাকরুহ হওয়াটা খুব গুরুতর কিছু নয়। মাকরুহে তাহরিমির শাব্দিক অর্থ হলো, অপছন্দনীয় পরিহার্য কাজ। তবে কেউ পরিহার না করলেও তার বিধান আদায় হবে। এ কারণেই বলা হয়েছে, পরিহার করাই শ্রেয়।
ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
স্বপ্ন কুহক বলেছেন: এখন দেখছি যত মত তত পথ
সঠিক নির্দেশনা ১৪০০ বছর আগেই দেওয়া হয়েছে । সেটা ফলো করলেইতো হয়
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রিদওয়ান হাসান বলেছেন: ১৪০০ বছর আগেই হাদিসে সঠিক নির্দেশনা এসেছে- হযরত শাদ্দাদ ইবনে আউস রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ রাববুল আলামীন সকল বিষয়ে সকলের সাথে সুন্দর ও কল্যাণকর আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব, তোমরা যখন জবেহ করবে তখনও তা সুন্দরভাবে করবে। তোমাদের একজন যেন ছুরি ধারালো করে নেয় এবং যা জবেহ করা হবে তাকে যেন প্রাশান্তি দেয়। (মুসলিম, হাদিস ১৯৫৫) বধ্য পশুর সম্মুখেই ছুরি শান দেওয়া উচিত নয়, এটিও মাকরুহ। যেহেতু রাসূল ছুরি শান দিতে এবং তা পশু থেকে গোপন করতে আদেশ করেছেন এবং বলছেন, যখন তোমাদের কেউ জবেহ করবে, তখন সে যেন তাড়াতাড়ি করে। (মুসনাদে আহমদ, ২/১০৮; ইবনু মাজাহ)
৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: +
৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩৬
তার ছিড়া আমি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, ধন্যবাদ।
৮| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫০
শিখণ্ডী বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটি।
৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
@ রিদওয়ান হাসান ভাই, আপনার গবেষণার বিষয় তো দারুণ!!