নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের পরিবর্তনের বাহক মোবাইল ফোন যাত্রার ২০ বছরঃ কিছু জানা-অজানা তথ্য

১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

শুরুর কথাঃ

• বাংলাদেশে মোবাইল ফোন শিল্পখাতটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০ বছর আগে ১৯৯৩ সালে। তখন একে ধরা হত ধনী ও প্রভাবশালীদের প্রতিপত্তির প্রতীক হিসেবে। কালক্রমে এটা সকল মানুষের কাছে আজ এক অপরিহার্য এক অনুষঙ্গ।

• দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ১৯৯৩ সালে এএমপিএস (Advanced Mobile Phone System) প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন কার্যক্রম চালু করা হয়। এটা খুব চমকপ্রদ তথ্য।

• ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম সেল্যুলার লাইসেন্স প্রদান করা হয় যার মাত্র এক দশক আগে ১৯৭৯ সালে টোকিওতে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক মোবাইল ফোন সেবা চালু হয়। বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে এ এক বিশাল অর্জন।



আইন-কানুন সংক্রান্ত তথ্যঃ



• ১৯৯৬ সালে জিপি, এয়ারটেল (রবি) ও সেবা টেলিকম (বাংলা লিঙ্ক)- কে তিনটি GSM ( Global System for Mobile) লাইসেন্স অনুমোদন দেয়া হয়।

• ১৯৯৮ সালে জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা প্রণয়ন এবং ঐ নীতিমালার আলোকে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গঠিত হয়। একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে বিটিআরসি ৩১ জানুয়ারি ২০০২ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে।

• বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘের অংগপ্রতিষ্ঠান International Telecommunication Union (ITU) এর সদস্যপদ লাভ করে।



কত মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে?



• যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০০২ সাল নাগাদ মানে ৯ বছরের মাথায় এর গ্রাহক সংখ্যা ১০ লক্ষের ঘরে পৌঁছায়। পুরাতন মোবাইল ব্যবহারকারীদের স্মরণ থাকার কথা, ওই সময় দোকানে প্রতি মিনিট কথা বলার জন্য ১০ টাকা বা কোন কোন সময় এর থেকেও বেশী দিতে হত।

• কলরেট নিয়ে তুমুল প্রতিযোগীতা শুরু হলে ২০০৫ সালে কোটির ঘর স্পর্শ করে এর গ্রাহক সংখ্যা। বৃদ্ধির হার ছিল ৩%।

• ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী শেষে এর গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৮০ লক্ষ। বৃদ্ধির হার ছিল ৬৫%।

• এ ধারা অব্যহত থাকলে ২০১৩ সালের জুন মাস নাগাদ এটা ১০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করবে। হায়রে ডিজুস জাতি!!

• মনে করা হচ্ছে যে, আগামী দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত মোবাইল ফোন শিল্পে গ্রাহক বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে, এ বৃদ্ধির হার শতভাগে পৌঁছানোর আগেই এ খাতে স্থবিরতা বা মন্দাভাব দেখা দিতে পারে।



উপকারিতাঃ এটা বলার কোন দরকার আছে????



বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর অবদানঃ



• বাংলাদেশে এই খাতটির অবদান ব্যাপক; সরকারের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের (FDI) এবং রাজস্ব আয় টেলিযোগাযোগ খাত এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় উত্স। ২০০১ সালে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ০.৯%। আর ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০.৪% এ।

• উপরোক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, প্রতি ১০০ US$ এর প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ৬০% এরও বেশী আসে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে।



বিনিয়োগঃ



• মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০,০০০ কোটি টাকারও বেশী।

করভারে জর্জরিত টেলিযোগাযোগ খাতঃ

• কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে এ খাতের করের হারও উচ্চ। সরকার যদি ১০০ টাকা আয় করে তার মধ্যে ১০ টাকা আয় হয় মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে।

• গ্রাহকদের জন্য একটি মজার তথ্য এই যে, একজন গ্রাহক তার মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে বা খরচ করলে বিভিন্ন করের মাধ্যমে তার ৫২ টাকাই যায় সরাসরি কোষাগারে।

• বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নির্ধারিত করের হার বিশ্বের সবচেয়ে বেশী।



কর্মসংস্থানঃ



• এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৫ লক্ষেরও বেশী মানুষ জড়িত।



থ্রিজি যুগে প্রবেশঃ



• মাননীয় প্রধানমন্ত্রি গত ১৪ অক্টোবর ২০১২ সদ্য প্রয়াত রাস্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সাথে কথা বলার মধ্য দিয়ে দেশের সর্বপ্রথম থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্ম) সেবা টেলিটক থ্রিজি উদ্ভোদন করেন।

• এ পর্যন্ত এর গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখ ৫০ হাজার।

• প্রকল্পের কাজ শেষ হলে টেলিটক নেটওর্য়াক ৬৫ লক্ষ গ্রাহক সেবা দিতে সক্ষম হবে, যার মাধ্যমে থ্রিজি গ্রাহক হবে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার।



বৈশ্বিক সংখ্য ও বিশ্লেষণঃ



• বিশ্বজুড়ে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৭০০ কোটি।

• বিশ্ব অর্থনীতিতে এর অবদান ব্যাপক। ২০১২ সালে বিশ্ব জিডিপি-তে মোবাইল অপারেটরদের অবদান ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার যা বিশ্ব জিডিপি-র প্রায় ১.৪%।

• মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১% বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন ধরনের নতুন ব্যবসার বার্ষিক হার বৃদ্ধি পায় ১%; এর প্রবৃদ্ধি্র ফলে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১২৯,০০০ এরও বেশী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

• বিশ্বের মোবাইল সংযোগ ও ব্যবহারকারীর প্রায় ৫০%-ই এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত এটি বজায় থাকবে।

• ২০২০ সালের মধ্যে ইন্টারনেট বাংলাদেশের মোট জিডিপি-র ২.৬% অবদান রাখতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।





কিছু প্রতিকূলতাঃ



• এই খাতের প্রধান প্রতিকূলতা হচ্ছে বিদ্যমান কর ব্যবস্থা

• ব্যবহারকারী বেড়েই চলেছে সেই তুলনায় টেলিঘনত্ত ৫৪% যা এই অঞ্চলে সবচেয়ে কম

• সিমট্যাক্স আর একটি বড় বাধা

• নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়িও এই খাতের প্রসারে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।





বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বলা যায় যে, নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তাগুলো সহসাই সমাধান হচ্ছে না। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্য বাড়ার ফলে গ্রাহক প্রতি রাজস্ব আইয় ক্রমাগতভাবেই কমছে। আগেই বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নির্ধারিত করের হার বিশ্বের সবচেয়ে বেশী। এই ব্যয়ভার যেহেতু মোবাইল অপেরেটররা গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দিতে পারছে না, ফলে মূল বিনিয়োগকে প্রভাবিত করছে। যেহেতু টেলিযোগাযোগ খাত সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ, সরকারি রাজস্ব ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সুতরাং এ খাতের ছন্দপতন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।



Source: Association of Mobile Telecom Operations of Bangladesh (AMTOB) কর্তৃক প্রকাশিত নিউজলেটার ConneXion এর এপ্রিল ২০১৩ সংখ্যার আলোকে লিখিত।

অনলাইন সংস্করণের জন্য ভিজিট- http://www.amtob.org.bd







শুরুর কথাঃ

• বাংলাদেশে মোবাইল ফোন শিল্পখাতটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০ বছর আগে ১৯৯৩ সালে। তখন একে ধরা হত ধনী ও প্রভাবশালীদের প্রতিপত্তির প্রতীক হিসেবে। কালক্রমে এটা সকল মানুষের কাছে আজ এক অপরিহার্য এক অনুষঙ্গ।

• দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ১৯৯৩ সালে এএমপিএস (Advanced Mobile Phone System) প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ফোন কার্যক্রম চালু করা হয়। এটা খুব চমকপ্রদ তথ্য।

• ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম সেল্যুলার লাইসেন্স প্রদান করা হয় যার মাত্র এক দশক আগে ১৯৭৯ সালে টোকিওতে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক মোবাইল ফোন সেবা চালু হয়। বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে এ এক বিশাল অর্জন।



আইন-কানুন সংক্রান্ত তথ্যঃ



• ১৯৯৬ সালে জিপি, এয়ারটেল (রবি) ও সেবা টেলিকম (বাংলা লিঙ্ক)- কে তিনটি GSM ( Global System for Mobile) লাইসেন্স অনুমোদন দেয়া হয়।

• ১৯৯৮ সালে জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা প্রণয়ন এবং ঐ নীতিমালার আলোকে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গঠিত হয়। একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে বিটিআরসি ৩১ জানুয়ারি ২০০২ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করে।

• বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জাতিসংঘের অংগপ্রতিষ্ঠান International Telecommunication Union (ITU) এর সদস্যপদ লাভ করে।



কত মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে?



• যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০০২ সাল নাগাদ মানে ৯ বছরের মাথায় এর গ্রাহক সংখ্যা ১০ লক্ষের ঘরে পৌঁছায়। পুরাতন মোবাইল ব্যবহারকারীদের স্মরণ থাকার কথা, ওই সময় দোকানে প্রতি মিনিট কথা বলার জন্য ১০ টাকা বা কোন কোন সময় এর থেকেও বেশী দিতে হত।

• কলরেট নিয়ে তুমুল প্রতিযোগীতা শুরু হলে ২০০৫ সালে কোটির ঘর স্পর্শ করে এর গ্রাহক সংখ্যা। বৃদ্ধির হার ছিল ৩%।

• ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী শেষে এর গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৮০ লক্ষ। বৃদ্ধির হার ছিল ৬৫%।

• এ ধারা অব্যহত থাকলে ২০১৩ সালের জুন মাস নাগাদ এটা ১০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করবে। হায়রে ডিজুস জাতি!!

• মনে করা হচ্ছে যে, আগামী দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত মোবাইল ফোন শিল্পে গ্রাহক বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে, এ বৃদ্ধির হার শতভাগে পৌঁছানোর আগেই এ খাতে স্থবিরতা বা মন্দাভাব দেখা দিতে পারে।



উপকারিতাঃ এটা বলার কোন দরকার আছে????



বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর অবদানঃ



• বাংলাদেশে এই খাতটির অবদান ব্যাপক; সরকারের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের (FDI) এবং রাজস্ব আয় টেলিযোগাযোগ খাত এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় উত্স। ২০০১ সালে যার পরিমাণ ছিল মাত্র ০.৯%। আর ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০.৪% এ।

• উপরোক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, প্রতি ১০০ US$ এর প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের ৬০% এরও বেশী আসে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে।



বিনিয়োগঃ



• মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০,০০০ কোটি টাকারও বেশী।

করভারে জর্জরিত টেলিযোগাযোগ খাতঃ

• কঠোর নিয়ন্ত্রণের ফলে এ খাতের করের হারও উচ্চ। সরকার যদি ১০০ টাকা আয় করে তার মধ্যে ১০ টাকা আয় হয় মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে।

• গ্রাহকদের জন্য একটি মজার তথ্য এই যে, একজন গ্রাহক তার মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে বা খরচ করলে বিভিন্ন করের মাধ্যমে তার ৫২ টাকাই যায় সরাসরি কোষাগারে।

• বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নির্ধারিত করের হার বিশ্বের সবচেয়ে বেশী।



কর্মসংস্থানঃ



• এই খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৫ লক্ষেরও বেশী মানুষ জড়িত।



থ্রিজি যুগে প্রবেশঃ



• মাননীয় প্রধানমন্ত্রি গত ১৪ অক্টোবর ২০১২ সদ্য প্রয়াত রাস্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সাথে কথা বলার মধ্য দিয়ে দেশের সর্বপ্রথম থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্ম) সেবা টেলিটক থ্রিজি উদ্ভোদন করেন।

• এ পর্যন্ত এর গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখ ৫০ হাজার।

• প্রকল্পের কাজ শেষ হলে টেলিটক নেটওর্য়াক ৬৫ লক্ষ গ্রাহক সেবা দিতে সক্ষম হবে, যার মাধ্যমে থ্রিজি গ্রাহক হবে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার।



বৈশ্বিক সংখ্য ও বিশ্লেষণঃ



• বিশ্বজুড়ে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ৭০০ কোটি।

• বিশ্ব অর্থনীতিতে এর অবদান ব্যাপক। ২০১২ সালে বিশ্ব জিডিপি-তে মোবাইল অপারেটরদের অবদান ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার যা বিশ্ব জিডিপি-র প্রায় ১.৪%।

• মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১% বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন ধরনের নতুন ব্যবসার বার্ষিক হার বৃদ্ধি পায় ১%; এর প্রবৃদ্ধি্র ফলে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১২৯,০০০ এরও বেশী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

• বিশ্বের মোবাইল সংযোগ ও ব্যবহারকারীর প্রায় ৫০%-ই এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত এটি বজায় থাকবে।

• ২০২০ সালের মধ্যে ইন্টারনেট বাংলাদেশের মোট জিডিপি-র ২.৬% অবদান রাখতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।





কিছু প্রতিকূলতাঃ



• এই খাতের প্রধান প্রতিকূলতা হচ্ছে বিদ্যমান কর ব্যবস্থা

• ব্যবহারকারী বেড়েই চলেছে সেই তুলনায় টেলিঘনত্ত ৫৪% যা এই অঞ্চলে সবচেয়ে কম

• সিমট্যাক্স আর একটি বড় বাধা

• নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়িও এই খাতের প্রসারে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।





বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বলা যায় যে, নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তাগুলো সহসাই সমাধান হচ্ছে না। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্য বাড়ার ফলে গ্রাহক প্রতি রাজস্ব আইয় ক্রমাগতভাবেই কমছে। আগেই বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে নির্ধারিত করের হার বিশ্বের সবচেয়ে বেশী। এই ব্যয়ভার যেহেতু মোবাইল অপেরেটররা গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দিতে পারছে না, ফলে মূল বিনিয়োগকে প্রভাবিত করছে। যেহেতু টেলিযোগাযোগ খাত সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ, সরকারি রাজস্ব ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সুতরাং এ খাতের ছন্দপতন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।



Source: Association of Mobile Telecom Operations of Bangladesh (AMTOB) কর্তৃক প্রকাশিত নিউজলেটার ConneXion এর এপ্রিল ২০১৩ সংখ্যার আলোকে লিখিত।

অনলাইন সংস্করণের জন্য ভিজিট- http://www.amtob.org.bd

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.