নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ। এখন কি হবে?

১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

হয়ে গেল ৪টি সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ফলাফল সবাই জানেন। এখন প্রশ্ন হলো হতোদ্যম হয়ে পড়া ১৮ দলীয় জোটের এমন ভূমিধ্বস বিজয় আমাদের কি বার্তা দেয়? অনেকে মনে করে থাকবেন যে আওয়ামীলীগের দু:শাসনের বিরুদ্ধে এটা জনগণের কড়া জবাব। এর মধ্যে সত্যতা আছে। যাইহোক, আপাতত নির্বাচন শেষ। এখন কি হবে? দেশে কি শান্তি-শ্শৃংখলা ফিরে আসবে? দুই পক্ষই কি অনেকটা নমনীয় হয়ে যাবে? চলুন দেখার চেস্টা করি সামনের দিনগুলোতে কি ঘটতে পারে।



সরকারী দলঃ



১: এই চারটি সিটির বিনিময়ে আওয়ামীলীগ প্রাণপনে বলার বা বোঝাবার চেষ্টা করবে যে, এই সরকারের আমলে তত্বাবধায় ছাড়াই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ভোট নির্বাচন সম্ভব। বিদেশী রাস্ট্রগুলোকেও এই বার্তা দেয়া হবে।

২: সরকারী দল এটাও প্রমাণ করার চেস্টা করবে যে, বিরোধীদলগুলোর দাবী করা তত্ত্বাবধায় সরকার অযোক্তিক।

৩: আওয়ামীলীগ বুঝে গেলো তাদের জনপ্রিয়তা কোন পর্যায়ে আছে। দেশে স্বাভাবিক অবস্থায় আসলে তাদের পজিশন কোথায়। এরফলে তারা পরবর্তী কার্যক্রম কি হবে সে সম্বন্ধে আগাম পরিকল্পণা নিতে পারবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের ফল নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করতে পারে।

৪: জাতীয় নির্বাচনে তারা তত্ত্বাবধায়ক আনবে না, এই ব্যাপারে তারা আরো শক্ত অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে। এবার তারা আরও অনড় হবে।

৫: তারা নিশ্চিত হয়ে গেল আগামী দিন যদি তারা ক্ষমতা হস্তান্তর করে তাহলে নিশ্চিত ফিরে আসবে ২০০১ সালের দু:সহ স্মৃতি।



বিরোধীদলঃ



১। মিইয়ে যাওয়া দেহে নতুন প্রাণশক্তি ফিরে পাবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এ ধরনের ফল নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন আশার সৃষ্টি করবে।

২। তারাও প্রমাণ করতে চাইবে জনগণ ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে যে, তারা সঠিক পথে আছে, মানে তত্ত্বাবধায় সরকারসহ সকল দাবী সংক্রান্ত ব্যাপারে।

৩। এবার পূর্ণোদ্যমে তারা দাবী আদায়ের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এবার তাদের পেছনে জনগণ আছে-এই বিশ্বাস থাকবে।

৪। কিছুদিন পরেই একদফার আন্দোলন শুরু হবে।



একটা ব্যাপার অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক জিনিষ নয়। তবে আমাদের দেশের এখন যে কালচার চলছে তাতে স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলকে ছুড়ে ফেলা যাবে না। ইদানিং যেখানে মসজিদ কমিটিও দলীয় পরিচয়ে হয় সেখানে সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন অবশ্যই অনেক কিছুই ইংগিত করে। ১৮ দলীয় জোট ভূমিধ্বস বিজয় পেয়েছে বলে জাতীয় নির্বাচনেও এমনটা হবে এটা ভাবা বোকামী হবে। তবে কি হতে পারে তার একটা প্রতিফলন দেখা গেল। সরকারী দলের স্থানীয় নির্বাচন হেরে যাবার নজির আগেও ছিল। জাতীয় নির্বাচন হলো Game of power. এখানে জিততে হলে অনেক কিছুই করতে হবে দু’দলকে।

এই নির্বাচন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্যও বড় পরীক্ষা ছিল। বর্তমান কমিশনের অধীনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণে এটাই ছিল বড় নির্বাচন। বর্তমান কমিশন সম্পর্কেও বিরোধী দল সমালোচনামুখর ছিল। শেষ পর্যন্ত এই কমিশনের অধীনে যে নির্বাচন হলো, তাতে ভোটাররা পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছেন।



জনগণ কি পাবে?



আরও অনেক রক্ত, আরও অনেক লাশ, জীবনের অনিশ্চয়তা, স্থবির অর্থনীতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, চারদিকে হাহাকার ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.