নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘৃণা করতেও ঘৃণা হয়—এমন শিশুহত্যা! এমন নির্বিচার উম্মত্ত কাপুরুষতা!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

[তালিবান বলছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অহেতুক আমেরিকাপ্রীতি অর্জনের জন্য সম্প্রতি উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে ওয়াজিরিস্তানে এই সংখ্যার কয়েকগুন বেশি সংখ্যক নিরীহ নিরপরাধ শিশু-বৃদ্ধ-নারীকে হত্যা করেছে। কিন্তু বিশ্ব মিডিয়াতে বা মানবিকতাবাদীদের তরফে এ নিয়ে কোন সংবাদ, প্রচারণা, দুঃখ প্রকাশ বা অ-তালিবান শিশু-বৃদ্ধ-নারী হত্যার কোনই প্রতিবাদ দেখা যায়নি। বিশ্বমানবতার এই পক্ষপাতমূলক দ্বিচারি ভূমিকার প্রত্ত্যুত্তর হিসেবে এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালানো হয়েছে]

যে কারণই দর্শানো হোক—এরকম নৃশংসতা যুক্তির নয়, পাশবিকতার! সমূলে বিনাশ হওয়াই তালেবানের যথার্থ প্রাপ্য। গান্ধীর ভাষ্যটির সতত সত্যতাই দেখা যাচ্ছে—চোখের বদলে চোখ তুলে নেবার নীতি পুরো মানবজাতিকে অন্ধ বানিয়ে ছাড়বে।

আশার কথা এই যে কিছু গবেষণালব্বধ তথ্য এমন ধারণা দেয় যে তালেবানের জন্ম ও উৎপত্তিস্থলেই হয়তো এর বিনাশ হতে পারে।

.................................... ............... ............... ..................

মনোভাব গবেষণায় পিঊ রিসার্চ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়। ২০১৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ ১১টি মুসলিম দেশে ইসলামি মৌলবাদের প্রতি মুসলমান নাগরিকদের মনোভাব গবেষণা করে দেখিয়েছে—[লিংক কমেন্টে দ্রষ্টব্য]

পাকিস্তানে ৮৯%, ইন্দোনেশিয়ায় ৮১%, নাইজেরিয়ায় ৭৮%, এবং তিউনিশিয়ায় ৭৭% মুসলিম ধর্মের নামে আত্মঘাতি হামলা বা কোন প্রকার ভায়োলেন্স কোন অবস্থাতেই যুক্তিযুক্ত মনে করেনা। [“In many of the countries surveyed, clear majorities of Muslims oppose violence in the name of Islam. Indeed, about three-quarters or more in Pakistan (89%), Indonesia (81%), Nigeria (78%) and Tunisia (77%), say suicide bombings or other acts of violence that target civilians are never justified.

আরো দেখা যায়ঃ

-- ৯২ ভাগ নাইজেরিয় ধর্মিয় কট্টরপন্থার কোন না কোন ক্ষতি চিহ্নিত করেছে।

-- ৬৭% উত্তরদাতাই উদ্বিগ্ন। মাত্র ২৭% উদ্বিগ্ন নয়।

-- আল কায়েদার প্রতি মাত্র ১৩% মুসলিমের ইতিবাচক মনোভাব আছে, ৫৭%ই আল কায়েদার প্রতি বিরূপ। অন্যরা অনিশ্চিত।

-- মাত্র ২% উত্তরদাতা নাইজেরিয়ার বোকো হারামের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

-- সেনেগালে ৭৫%, লেবাননে ৭৩%, তিউনিসিয়ায় ৭১%, মালয়েশিয়ায় ৭০% স্ব-স্ব দেশে কট্টরপন্থাবিরোধি। বিস্তার-সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন।

--নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, মিশর ও প্যালেস্টাইনের মত ঝুঁকিবহুল দেশেও যথাক্রমে ৬৯%, ৬৭%, ৬৭% ও ৬৪% মুসলিম কট্টরপন্থার প্রতি বিরূপ।

--আত্মঘাতি হামলায় যুক্তি আছে—এমন মনোভাবধারীর সংখ্যা খোদ পাকিস্তানেই ২০১৩ সালে মাত্র ৩%-এ নেমে এসেছে।

................ .................... .....................

দল-মত-ধর্ম-বর্ণ-চিন্তার পার্থক্য বজায় রেখেও বিশ্বশান্তি ও বিশ্বমানবতা বিষয়ে মানুষের একক অবস্থান খুবই সম্ভব। ফেসবুক এই ভালো কাজটির শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হতে পারে।

কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে ফেসবুক প্রতিক্রিয়াশীল অমুসলিম ও মুসলিম মৌলবাদীর যথেচ্ছ উৎপাতস্থল হয়ে আছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি দলকে দেখি মুক্তচিন্তা ও প্রগতিবাদের নিতান্তই মিথ্যা ভেক ধরা। আসলে অস্থিতে-মজ্জায় কট্টর সাম্প্রদায়িকই শুধু নয়, রক্তকণিকাজুড়েও লেপ্টে থাকে পরধর্মবিদ্বেষ। এরা পরধর্মের অপমান-হীনমান; ঘৃণা-শ্লেষ-ব্যাঙ্গবিদ্বেষ ছড়ানোর সুযোগের অপেক্ষায় ওঁত পেতে থাকে। এই দলের পোস্টের পর পোস্টে দেখছি শতশত মিথ্যা ও উগ্রতম বিদ্বেষভঙ্গির নির্বিকার ও নির্বিচার প্রচারণা।

সেরকম একগুচ্ছ অভি্যোগের একটি নিতান্ত ক্ষুদ্র অংশকে সংক্ষিপ্ত করলে যা দাঁড়ায়—সব মুসলিমই তালেবানমনস্ক; এসব ধ্বংসযজ্ঞে আম-মুসলিমেরও সায় থাকে বলে তাদের মধ্যে উ্দ্বেগ-টুদ্বেগ নেই;এসব দুষ্কর্ম ইসলাম-অনুমোদিত নয় দাবীটি মিথ্যা; ফেসবুক ফাটিয়ে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ জানায়না [এই ক্যানো, হ্যান ক্যানো, এখন কোথায়, তখন কোথায় জাতিয় কটুক্তিসহযোগে] বলেই বোঝা যায় এদের ধর্মবিশ্বাস বিবেকবর্জিত পশুদের ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদি।

বিদ্বেষচর্চ্চাগুলো নিয়ে নির্মোহ গবেষণাধর্মি আলোচনায় বসতে গেলে বছর বছর লেগে যাবে।

সবচে’ নিরীহ ও কম ক্ষতিকর অনুযোগগুচ্ছও যে অযথার্থ— উপরের তথ্য-প্রমানগুলো কি তাই নির্দেশ করেনা?

আশা করি অতি-সাধারনিকৃত পরধর্মবিদ্বেষি সাম্প্রদায়িকতা হতে প্রগতির ভেকধারী সাম্প্রদায়িক ফেসবুকারগণ নিরত হবেন।

বিশেষ দ্রস্টব্যঃ এই লেখাটি আমার এক শ্রদ্ধেয় স্যারের লেখা। আমি স্যারের অনুমতি নিয়ে আমার প্রিয় ‘সামু’তে পোস্ট করলাম। পেশোয়ার ঘটনা জানার পর থেকে মনের মধ্যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ওরা কোন ইসলামের কথা প্রচার করছে??? সে ইসলামকে আমরা চিনি না। সত্যি চিনি না। আমি এমন একটা লেখাই লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার সীমাবদ্ধ জ্ঞানে তা কুলোয়নি। তাই স্যারের স্মরণাপন্ন হলাম।

পিউ রিসার্র্চ এর জরিপ লিঙ্কঃ View this link

আর একটি লিঙ্কঃ View this link

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমারও খুব জানতে ইচ্ছে করে ওরা কোন ইসলামের কথা প্রচার করছে? যে ইসলাম ন্যায় ও সাম্যের কথা বলে সেখানে ওরা রক্তের বন্যা বয়ে দেয়। কে ওদেরকে এই হানাহানি করতে বলেছে? কোরআন ও হাদীসের কোথায় আছে হত্যা হানাহানির কথা?

এই কুলাঙ্গারদের জন্য মুসলিম তথা ইসলামের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে যদি না আমরা এদেরকে এখনিই রুখতে পারি।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ওরা আসলেই ইসলামের অপূরনীয় ক্ষতি করছে। ভবিষ্যতেও হবে যদি না আমরা এদেরকে এখনিই রুখতে পারি। এজন্য দরকার সচেতনতা। ইসলামের আসল সৌন্দর্য তুলে ধরা। কাজটি ভীষণ কঠিন। কারণ আমাদের বিপক্ষ শক্তি পরাক্রমশালী। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের যাত্রাকে কঠিন থেকে কঠিনতর করে তুলছে।

তবে জরিপ কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে। আশা করি এমন একদিন আসবে যখন এমন রক্তাক্ত ঘটনা এড়ানো যাবে।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেকধন্যবাদ।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

এনামুল রেজা বলেছেন: ধর্মচিন্তাটা ব্যাপার না। এখানে তালেবানের মূল লক্ষ্য ত্রাস সৃষ্টি। আর পাকিরা রক্তগতভাবেই জারজ..

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সত্য বলেছেন। কিন্তু ওরা হয়ত ভুলে গেছে 'ভয় দেখিয়ে জয়' কখনো সম্ভবপর হয় না।
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

শাফি উদ্দীন বলেছেন: ত্রাস সৃষ্টিই সন্ত্রাসীদের মূল্য লক্ষ্য। ওরা অমানুষ!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: দিনে দিনে ওরা জনবিছিন্ন হয়ে পড়ছে। একদিন হারিয়ে যাবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ওদের মানুষ ভাবতেও লজ্জা লাগে

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: পাকিরা আসলেই পাড় মাতাল!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: আসলে সবই ক্ষমতা। ইসলাম কখনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সমর্থন করে না।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ইসলাম কখনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সমর্থন করে না। -সহমত।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আপনার তো ঘৃণা করতেও ঘৃণা হয় আর আমার মন্তব্য করতে ও ঘৃণা হয় কারন এই ইসলাম নামধারী নরপশু , সমাজের জারজ সন্তান, ওরা ধংস হোক।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ওদের ধংস অনিবার্য। কারণ ওরা ভুল পথে আছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ওরা অমানুষ ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আসলেই ওরা অমানুষ ।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: এই হত্যাকান্ড অত্যাবশ্যকীয়ভাবে রাজনৈতিক. ইসলামে কোথাও শান্তি বিপন্নকারী কর্মকান্ডের অনুমোদন নাই. আর ইসলামে মুসলমানের বিরুদ্ধে জেহাদ করারও কোন অনুমোদন বা সমর্থন নাই. এখানে তালেবানরা রাজনৈতিক যুদ্ধ করে যাচ্ছে. আর পাকিস্তানিরা নির্বোধের মত, কিছুটা পরিস্থির কারণে আমেরিকানদের যুদ্ধ তালেবানদের বিরুদ্ধে চালিয়ে যাচ্ছে. আমেরিকানদের যুদ্ধ করার সাধ মিটে গেছে, তালেবানদেরতো মিটে নাই, সুতরাং তালেবান দৈত্যরা আমেরিকার প্রক্সি পাকিস্তানের সাথে সেই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে.

আর বিষয়টাকে রাজনৈতিকভাবে নিরেপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখতে গেলে (আমেরিকান বা পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গি নয়), শুরুতে ব্রাকেটে তালেবানদের যে স্টেটমেন্ট দিলেন, সেটাও কিছু মিথ্যা নয়. অন্যায় যার বিরুদ্ধেই করা হোক, এর নিউটনের তৃতীয় সূত্রের বিধান অর্থাৎ প্রত্যাঘাত মানতে হবে. সেই প্রত্যাঘাতের ক্ষমতা তালেবানদের যে অত্যন্ত শক্তিশালী, তা তো বলাই বাহুল্য! আমরা পাকিস্তানে আরও রক্তক্ষরণ দেখব...

নিরাপরাধ শিশুকিশোরদের হত্যার কোন অজুহাত হতে পারে না, আর এই হত্যাকান্ড ইসলামের নামে করাও ইসলামের দৃষ্টিতে একটি আপরাধ. ঘাতকদের জন্য নিরন্তর ঘৃণা... শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা.

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনার মতামত অবশ্যই যথাযথ বলে আমি মনে করি। আসলে পাকিস্তানী শাসকেরা আজো 'বিশ্ব রাজনীতি' সম্মন্ধে সম্যক ওয়াকেবহাল নয় বলে মনে হয়। বাংলাদেশের সাথে যে অপরিপক্কতা দেখিয়েছিল এখনো প্রায় অমনই আছে ওরা। এক সময় আমেরিকা ক্রমাগত ভারতের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। এককালের 'প্রিয়পাত্র' আমেরিকা তাদের চিরশত্রু ভারতের বন্ধু হবে-এটা ওরা মানতে পারেনি। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে পাকিস্তানকে ত্যাগ করা আমেরিকার পলিসিতে পরিণত হয়েছিল। এজন্য যেনতেন উপায়ে পাকিস্তানও আমেরিকার পাশে থাকতে চেয়েছিল। আমেরিকার 'ওয়ার অন টেরর' পলিসিতে সম্মুখ যুদ্ধ-বিগ্রহ ছাড়া সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ কিন্তু পাকিস্তান। এ যাবত হাজার হাজার পাকিস্তানী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে এর চেয়ে বেশী, বাস্তচ্যুত হয়েছে আরো বেশী। স্কুল থেকে মসজিদ সবখানে বোমাতঙ্ক।

আপনার কথাই বলি, এখন তালিবান প্রক্সি যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এবং আরো অনেক রক্ত হয়ত ঝড়বে।

সবশেষে, এটাই বলব, 'পাকিরা কবে নিজের ভাল বুঝবে?"

মন্তব্যের সুন্দর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

কলাবাগান১ বলেছেন: @ক্ষতিগ্রস্থ
প্রথমে তালেবানদের কাজের সাফাই গাইলেন মনে হয়... পরে শুশীলদের মত এক লাইনে গত ধরা কথা

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: প্রিয় কলাবাগান১ ভাই, প্লিজ এভাবে বলবেন না। আসলে 'ক্ষতিগ্রস্থ' ভাই যেসব কথা বলেছেন আদতে তা মিথ্যা নয়। এখানে আসলে কারো পক্ষে-বিপক্ষে বলা হচ্ছে না। মূলত কার্যকারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পাকিস্তনীরা পাড় মাতাল এটা সবাই বলছেন। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন, ৯/১১ এর আগে কিন্তু পরিস্থিতি কিন্তু এমন ভয়াবহ ছিল না। আসলে পাকিরা সবসময় মাথামোটা এখন তাই আছে। আমিও বিশ্বাস করি, পাকিস্তানে আরো অনেক রক্তক্ষরণ হবে।

আমার ব্লগ বাড়িতে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫০

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: @কলাবাগান, পোস্টের চেয়ে আমার মন্তব্য আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠার কারণ দেখছি না. আর আপনার মত সুশীল হয়ে উঠা আমার জন্য বিচ্ছিরি ব্যাপার হবে, সুশীলতাকে আমি দ্বিচারিতা বলে ঘৃণা করি. এবার, আমার মন্তব্যের ব্যাপারে আসি, যা বলেছি সেটা খুব স্পষ্ট, সেখানে তালেবানদের প্রতি কোন ভালবাসা পেলে তাই সই, আমি আমেরিকা-কানাডার চশমা পরে তালেবান দেখি না, সেটা আপনাকে করতে হয়. আপনার তালেবান ট্যাগিং নিয়ে কোথায় বেচবেন, বেচে খান... আর এই ট্যাগিং বেচা যথেষ্ট না হলে আবার এসে পায়ে পারা দিয়ে যান, আমার বেচাবেচি নাই, স্যরি.

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: প্রিয় ক্ষতিগ্রস্থ ভাই, আপনার কথার মধ্যে যথেস্ট যুক্তি আছে। আমি উনাকে বলেছি। প্লিজ, আর কোন কথা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। পাকি সেনাবাহিনীরা জঙ্গি দমনের নামে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পায় আমেরিকার কাছ থেকে। সেই টাকা বেশীরভাগই লোপাট হয়। কিছু সময় অপারেশন চালিয়ে জঙ্গি, সাথে অনেক বেসামরিক লোককে হত্যা করে টাকার বৈধতা দিতে চেস্টা চালায়। শোনা যায়, আই এস আই -এর অনেক লোক তালিবানদের প্রতি সহানুভূতশীল। আসলে সবাই মুসলিম-এ কারণে এটা হয় হয়ত।

পাকিস্তান এক ভয়ংকর গ্যাড়াকলে আটকে গেছে। এখন শাখের করাতের মত যেতে আসতে দু'ভাবেই কাটবে। ঠিক এজন্যই আমি বলেছিলাম, ওদের রাজনীতিবিদগণ এখনো অপরিপক্ক, মাথামোটা।


অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৬

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ধর্মগুলোর মধ্যে অসংখ্য মতবিরোধ, নতুন ধারা জন্ম হওয়া, অবিশ্বাস, সন্দেহ--জন্ম থেকেই ছিল। একই ধর্মর শতশত, হাজার হাজার মতবাদ ইতিহাসে এমন অবস্থার সৃষ্টি করেছে যে নতুন আরেকটি ধর্মর সৃষ্টি হওয়া আবশ্যক করেছে। তবে এখন অার নতুন নতুন ধর্মর সৃষ্টি হয় না। ইসলাম শান্তির ধর্ম, বলা হয় শেষ ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম। কিন্তু হাজার হাজার মতবাদ, শাখা, বিভাজিত বিশ্বাস আজ নানা প্রশ্নের সন্মুখিন করেছে। বিশাল একটা সংখ্যা অন্য জাতি নয়, নিজ জাতির মানুষকে হত্যা করে, তার পক্ষে ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যও দিচ্ছে। পৃথিবীর সবাই তাদের ঘৃণা করছে, তারা ধর্মর দোহাই দিয়ে অধর্ম করেই চলেছে। তালেবান, অাইএস, জেএমবি ইত্যাদি শতশত হিংসাত্নক গোষ্ঠী ধমের নামে এসব করছে। তাহলে এ ধর্মতে কি আছে, অন্যের কথা না শুনে প্রত্যেকের ভাল করে পড়া উচিত। আমি শুরু করেছি। ছবি তোলা নিষেধ, অথচ মিলাদ দিয়ে নাটক-সিনেমার কাজ শুরু হয়, নায়ক-নায়িকা হজ্ব করে.।পড়ে দেখলাম, ইসলামে আসলেই নিষেধ..। পাকিস্তান যে চিন্তা করে ভারত থেকে অালাদা হয়েছে, সে হিসাবে সব ইসলামী দেশের এক হওয়া উচিত, মানে খেলাফত..। বাস্তবে সম্ভব? পাকিস্তানে এতগুলো নিষ্পাপ বাচ্চাকে হত্যা করে, কিভাবে ধমের নামে প্রতিশোধ হয় বা ইতিহাসে আপন জাতির উপর এরকম প্রতিশোধ কবে হয়েছে, আমি পড়তে শুরু করেছি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধর্মকে ব্যবহার করে কোন কুচক্রী মহল যদি অপকর্ম করে বেড়ায় তার দায় ধর্মের নয়। সকল ধর্মই শান্তির কথা বলে। মানুষ স্বয়ং ব্যক্তিগত লাভালাভের জন্য অশান্তির সৃষ্টি করে। আর হ্যা, তালেবান, অাইএস, জেএমবি ইত্যাদি শতশত হিংসাত্নক গোষ্ঠী কেন কিভাবে তৈরী হলো সেই কারণগুলোও আমাদের জানতে ও বুঝতে হবে।

অনেক রথী-মহারথীগণ ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করার জন্য হরেক রকম পলিসি দিয়েছেন। অনেকেই সেগুলো মানে। ধর্মের মধ্যে বিভাজন থাকবেই। আপনি এক জিনিষ একভাবে দেখেন, অন্য কেউ সেভাবে দেখে না। আমার এই পোস্টের কথাই ধরুন, সবার মতামত কি একই হয়েছে? এভাবেই অনেক মতের সৃষ্টি হয়। সবাই যার যার মতে স্থির থাকে। তৈরী হয় বিভাজন, বিভাজন থেকে হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে।

আল্লাহর ঘোষণা অনু্যায়ী আর কোন নতুন ধর্ম আসবে না। ইসলাম শেষ ও শ্রেষ্ঠ ধর্ম-এ নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। কিন্ত কথা হলো, ধর্মের মূলবাণী বুঝতে এবং সেই অনুযায়ী জীবন-যাপন করেন কয়জন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
সহমত আর ভালোলাগা জানবেন ইছামতী ।

বিপন্ন মানবতা, বিধ্বস্ত সমাজের চৌহদ্দি !

+++ ভালো থাকুন ।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: বিপন্ন মানবতা, বিধ্বস্ত সমাজের চৌহদ্দি !

আপনিও অনেক ভাল থাকবেন।

১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

তুষার কাব্য বলেছেন: একদম মনের কথা গুলো বলেছেন ভাই...

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.