নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা যারা কথায় কথায় ইসলাম কে জঙ্গীবাদের ধর্ম বলো।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

মুসলিম বিশ্ব আজ এক মহাক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বিশ্বের সকল প্রান্তে আজ তারা আক্রান্ত। ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্ব মুছে ফেলতে প্রতিনিয়ত নানা কূটকৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী নানা পরিকল্পনা, চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের সংযোজন ঘটছে অবিরত। অন্যদিকে মুসলমানেরা অভ্যন্তরীণ বিবাদ-বিসংবাদে জর্জরিত। মুসলমানদের দীর্ঘ দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন সঙ্কট, সামরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক হামলা, ব্যর্থতা ও পরাজয়ের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু এসব ব্যর্থতা ও পরাজয় ছিল সীমিত পর্যায়ের ও সাময়িক। তারা এক জায়গায় পরাজিত হলেও অন্য জায়গায় বিজয়ী হয়েছেন। একটি এলাকা হাতছাড়া হলেও নতুন এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যেমন তাতারীদের হামলায় বাগদাদ ধ্বংস হয়েছে, অন্যদিকে উসমানি সালতানাত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলমানদের যখন পরাজয় ঘটেছে, ঠিক একই সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূর্য উদিত হয়েছে। কনস্টান্টিনোপলের বিজয় ও স্পেনের পতন হয়েছে প্রায় একই সময়ে। এভাবে মুসলমানদের জয় ও পরাজয় পাশাপাশি অবস্থান করেছে।

কিন্তু আজকের অবস্থা একেবারে ভিন্ন। রাজনৈতিক এবং সামরিক শক্তির দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্ব আজ যোজন যোজন পিছিয়ে। ফলে যুদ্ধ-বিগ্রহ, ষরযন্ত্র, তথ্য সন্ত্রাস ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদেরকে পিষে ফেলতে চাইছে সবাই। দুনিয়ার যে প্রান্তেই হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটুক না কেন বিশ্বনেতারা তাৎক্ষণিকভাবে মুসলিমদের উপরে দায় চাপানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। তাদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণের অভাব থাকলেও, সম্ভবত মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাবের প্রাবল্যই সকল অভিযোগে মুসলিমদেরকে অভিযুক্ত করতে বিশ্বনেতাদের উদ্বুদ্ধ করে। এই যেমন সাম্প্রতিক প্যারিস হামলার কথাই বলা যায়। হামলার পরেই বিভিন্নজনের প্রতিক্রিয়ায় প্রচ্ছন্নভাবে একটি কথাই উচ্চারিত হয়েছে, তা হলো এমন নৃশংস হামলা মুসলিম সন্ত্রাসীরা ছাড়া অন্য কারো দ্বারাই সম্ভব নয়। ব্যাপক প্রপাগান্ডার ফলে সাধারণ মানুষ এগুলো বিশ্বাসও করছেন। আসল হামলাকারী কারা, আইএসের আসল পরিচয় কি তা নিয়ে এক বিরাট ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য বিস্ফোরণের এই যুগে সব সত্য আজ ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের মিডিয়া সন্ত্রাসের কাছে।

ফলে, মুসলিমগণ দ্বিমূখী সমস্যায় একেবারে জেরবার অবস্থা। একদিকে বিশ্বজুড়ে যত হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে তার সবচেয়ে বেশি শিকার মুসলমিরা। অন্যদিকে সমালোচনার তীরও তাদেরকেই বেশী বিদ্ধ করে। মুসলিমদের আজ “I am a Muslim and I am not a Terrorist” বা 'আমি মুসলিম, বিশ্বাস করলে আলিঙ্গন করুন', কিংবা বা ‘Muslims are NOT Terrorist’ ইত্যাদি নানা রকম অবমাননাকর প্লাকার্ড দেখাতে হচ্ছে।

অথচ ইসলাম মানুষকে, মানুষের জীবনকে, মানুষের বিবেকবুদ্ধিকে, মানুষের শ্রেষ্ঠত্বকে সব সময় উচ্চস্থান দিয়ে এসেছে। চলুন এসব নিয়ে সামান্য কিছু আলোকপাত করা যাক।

ইসলামে মানুষের শ্রেষ্ঠত্বঃ
ইসলামে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অন্য প্রাণীর ওপর স্বতঃসিদ্ধ বিষয়। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, 'অবশ্যই আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি এবং স্থলে ও জলে তাদের জন্য বাহনের ব্যবস্থা করেছি। তাদের উত্তম রিজিক দান করেছি এবং আমার বহু সৃষ্টজীবের ওপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।' (সুরা ইসরা ৭০) ।
এ ছাড়াও মানুষকে "আশরাফুল মাখলুকাত" বা "সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি" বা সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্‌ বলেন- “আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর আকৃতিতে”। (সুরা আত ত্বীনঃ ৪) ।

অতএব, ইসলাম মানুষকে জঙ্গীবাদের শিক্ষা দেয় না।

বিচক্ষণতাকে ইসলাম অগ্রাধিকার দেয়ঃ
দুনিয়ার প্রথম মানব এবং প্রথম নবী হযরত আদমকে (আ.) যখন দুনিয়াতে পাঠানো হলো তখন হযরত জিবরাঈল (আ.) তার কাছে আসলেন এবং বললেন, “মহান আল্লাহতায়ালা আমাকে তিনটি জিনিষসহ আপনার কাছে পাঠিয়েছেন; এর মধ্যে থেকে আপনাকে নিজের জন্য যেকোন একটি জিনিষ পছন্দ করতে হবে”।

“কি সেই জিনিষগুলি”? হযরত আদম (আ.) জানতে চাইলেন।
“লজ্জা (হায়া), দ্বীন (ধর্ম) এবং বিচক্ষণতা” (আকল), প্রতিউত্তরে জিবরাঈল আঃ জানালেন। হযরত আদম আঃ ‘বিচক্ষণতা’ পছন্দ করলেন।

এবার জিবরাঈল (আঃ) ‘লজ্জা’ এবং ‘দ্বীন’কে ফিরে যেতে বললেন যেহেতু আদম (আঃ) ‘বিচক্ষণতা’ পছন্দ করেছিলেন। কিন্তু তারা ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানাল এবং বলল যে, তাদের আগেই ‘বিচক্ষণতা’র সাথে থেকে যেতে বলা হয়েছিল; যাই ঘটুক না কেন।

মানুষের আকল তথা বিচক্ষণতা পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান নেয়ামত, যা তাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করে আর মন্দ এবং নিকৃষ্টতা থেকে বাঁচিয়ে রাখে। আজ আমরা আদি পিতার শিক্ষা ভুলে গেছি। মূর্খতা আমাদের সবাইকে পেয়ে বসেছে।

অতএব, যেই ধর্মে বিচক্ষণতাকে সবচেয়ে মূল্যবান নেয়ামত মনে করা হয় সেই ধর্ম জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দিতে পারে না।

মানব হত্যা বিষয়ে ইসলামঃ
অকারণে মানবহত্যার ব্যাপারে ইসলাম খুবই কঠোর। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করে না; বরং এ ধরনের হত্যাকাণ্ড বন্ধে ইসলাম সব সময় সোচ্চার, সরব এবং হত্যাকারীর জন্য রেখেছে কঠিন শাস্তির বিধান। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ঘোষিত হচ্ছে, 'হত্যার বদলে হত্যা ও পৃথিবীতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা ছাড়া কেউ যদি কাউকে হত্যা করে, তাহলে সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল, আর যে ব্যক্তি কারো প্রাণ রক্ষা করে, সে যেন সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করল। (সুরা মায়িদা ৩২)

মহানবী সাঃ আমাদের শিখিয়েছেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের এক মুসলমানের জন্য হারাম হচ্ছে অপর মুসলমানের রক্ত (জীবন), সম্পদ ও সম্মান। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৭

নবীজী সাঃ আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের প্রতি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইশারা করে তার প্রতি ফেরেশতারা অভিশাপ দিতে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ওই অস্ত্রটি রেখে দেয়; যদিও ইশারাকৃত ব্যক্তি ইশারাকারীর আপন ভাই হয়ে থাকে’। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬১৬

অতএব, যে ধর্ম বলে অন্যায়ভাবে একজনকে হত্যা মানে গোটা মানবজাতিকে হত্যার সমতূল্য; যে ধর্মের নবী সাঃ অস্ত্র দিয়ে ইশারাও করতেও নিষেধ করেছেন সেই ধর্ম কখনো জঙ্গীবাদের ধর্ম হতে পারে না।

কেন এই সন্ত্রাসবাদ এবং প্রতিকার?
ইসলাম শান্তির ধর্ম। দুনিয়াতে সকল প্রকার অন্যায়-অবিচার-মিথ্যার বিনাশ সাধন করতেই ইসলামের আগমন। সারা বিশ্বে আজ যত যুদ্ধ-বিগ্রহ, হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটছে তা পুরোটাই রাজনৈতিক। আর রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতেই এসবের মোকাবিলা করতে হবে। ধর্মীয় লেবাস পরিয়ে একে ‘ধর্মযুদ্ধ’ বলে ধর্মকে বিশেষত ইসলাম ধর্মকে কথায় কথায় ছোট বা কটাক্ষ করার অপচেস্টা অবশ্যই পরিহার করা উচিত। সম্প্রতি আমেরিকার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্বয়ং বারাক ওবামা বলেছেন, “চরমপন্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ, আমেরিকা বনাম ইসলামের যুদ্ধ নয়”। বিখ্যাত নিউ ইয়র্ক টাইমসও সম্প্রতি এডিটোরিয়াল প্রকাশ করেছে “Fear Ignorance, Not Muslims”। যার লিঙ্কঃ Click This Link

কাজেই বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য অবাধে মুসলিমদের দায়ী না করে বরং আমাদের সমস্যার মূলে যাওয়া উচিত। মধ্যপ্রাচ্যসহ উত্তর আফ্রিকা, হর্ন অব আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়ায় মার্কিন-বিষয়ক মার্কিন ও ইউরোপীয়দের দ্বিমূখী নীতিতে পরিবর্তন এলেই কেবল সন্ত্রাসবাদের অধিকতর বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হবে।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আল খামেনি সম্প্রতি পশ্চিমা যুবসমাজের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠিতে লিখেছেন, “মুসলমানদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ছাড়া বিশ্বে শান্তি ফিরবে না”। তিনি যথার্থই বলেছেন।লিঙ্কঃ Click This Link

পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের নিজেদের মধ্যকার সমস্যার জায়গাগুলোও খতিয়ে দেখতে হবে, পরিষ্কার করতে হবে নিজেদের অবস্থান, খুঁজতে হবে সমাধান, এই সঙ্কট থেকে বের হয়ে আসার পথ।

সুরঙ্গে আলোর রেখা
ইসলাম তার জন্মলগ্ন থেকেই হাজারো ষরযন্ত্রের স্বীকার। মহানবী (সাঃ) সকল ষরযন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ইসলামকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। মহানবীর (সাঃ) পবিত্র ওফাত শরিফের পর অনুগামীরা এই মশাল বহন করেন। একদা মদিনাকেন্দ্রিক ক্ষুদ্র একটি মুসলিম রাস্ট্র প্রবল এক টেউ হয়ে আছড়ে পড়ে বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। ফলে ইসলাম তার প্রতিষ্ঠার মাত্র ১০০ বছরের মাথায় এমন এক সুবিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তোলে যা রোমের সুবর্ণযুগের চেয়েও বহরে বৃহত্তম ছিল। সপ্তম শতাব্দী থেকে শুরু হওয়া এই মহাকাব্যিক যাত্রা নানা বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এসে বড়সড় এক হোঁচট খেল। বাকীটুকু শুনুন, প্রখ্যাত ঐতিহাসিক পি. কে. হিট্টি মহোদয়ের জবানিতে,

“পূর্বদিকে বন্য মোঙ্গল ও পশ্চিমে ধর্মযুদ্ধের বর্মসজ্জিত নাইটদের প্রবল চাপের মধ্যে পড়ে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে মনে হয়েছিল যে, ইসলাম বুঝি চিরতরের জন্য বিলুপ্ত হবে। কিন্তু ঐ একই শতাব্দীর শেষভাগে পরিস্থিতির কী অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটল! ইতিমধ্যে শেষ ধর্মযোদ্ধাকে সমুদ্রে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। ইলখানদের অনেকেই খ্রিস্টধর্ম নিয়ে অনুরাগীর ভান করেছে। কিন্তু তাদেরই সপ্তম বংশধর শেষ পর্যন্ত ইসলামকে রাজধর্ম বলে স্বীকৃতি দিল। মুহাম্মদ সাঃ এর মতে বিশ্বাসীদের একটি উজ্জ্বল বিজয়। সালজুকদের ক্ষেত্রে ঠিক অনুরুপ ঘটেছিল। যেখানে মুসলিমদের অস্ত্রশস্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল সেখানে তাদের ধর্মাদর্শ জয়লাভ করেছিল। ইসলামী কালচার ধ্বংস করার জন্য হালাকুর নির্মম আক্রমণের পর মাত্র আধা শতাব্দীরও কম সময়ে তারই প্রৌপত্র গজন একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম হিসেবে ঐ সংস্কৃতির পুনরজ্জীবনের জন্য অনেক সময় ও উদ্যম ব্যা করেছিলেন”

ইদানিং বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে গোটা ইউরোপের অনেক দেশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। এখানেও ঐ একই সুত্রই প্রযোজ্য, ‘যেখানে মুসলিমদের অস্ত্রশস্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল সেখানে তাদের ধর্মাদর্শ জয়লাভ করেছিল’। এসব মোকাবেলার জন্যই পশ্চিমারা সময়ে সময়ে আল-কায়েদা, আইসিস তৈরী করে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে ফায়দা হাসিল করতে চায়। সামনে হয়ত এমন আরো অনেক ‘প্রজেক্ট’ আমাদের দেখতে হবে। এসব প্রজেক্টে ইকোনমিক এবং রাজনৈতিক কারণের পাশাপাশি ধর্মীয় কারণও প্রবলভাবে বিদ্যমান ছিল, থাকবে।

পরিশেষে, মুসলিম বিশ্বের জন্য অনেক দুঃখগাথা রচিত হলেও হাল ছেড়ে দেওয়া বা হতাশ হবার কিছু নেই। মুসলিমরা অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। যড়ষন্ত্রকারীরা যতই কূটকৌশলী হোক না কেন মহান আল্লাহতায়ালা ‘শ্রেষ্ঠতম কৌশলী’। ইসলাম আল্লাহর নুর। স্বয়ং আল্লাহ এই নুরকে প্রজ্জ্বলিত রাখার অঙ্গীকার করেছেন; কাফিরদের কাছে তা যতই অপছন্দনীয় হোক না কেন।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

রেফারেন্সঃ
১. প্রবন্ধঃ ক্রান্তিকালে মুসলিম উম্মাহর কর্মপন্থা -মাওলানা লেয়াকত আলী লিঙ্কঃ Click This Link
২. প্রবন্ধঃ ‘দগ্ধ মানুষ, বিপন্ন মানবতা : ইসলাম কী বলে’ -মুফতি নূর মুহাম্মদ
লিঙ্ক Click This Link
৩. Click This Link
৩. Murtahim Billah Jasir Faslie লিখিত ‘Wit and Wisdom of Famous People’
৪. উইকিপিডিয়া
৫. রবার্ট ফিস্ক এর কলাম

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ইসলাম কে কেউই জঙ্গিবাদের ধর্ম বলে না। যারা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে তারাই পাপী। ধর্ম কখনোই হত্যা কে সমর্থন করে নি করে না কোরবেও না। মানুষ খুন করা মহা পাপ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অনেকেই বলার চেস্টা করে।

সব ধর্মই ভাল কথা বলে। ইসলামও তাই বলে। কিন্তু আজ আমরা দেখি কোন একজন নামধারী মুসলিম কোণ একটা ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে সবাই হইহই করে গোটা মুসলিম জাতিকে কটাক্ষ করে। অথচ এসব ঘটনায় অন্যান্য ধর্মের লোক জড়িত থাকলে তেমন শব্দ পাওয়া যায় না।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

মাকড়সাঁ বলেছেন: জনসচেতনতার ভিত্তিতে গণমানুষের সম্মিলিত প্রয়াসে গণপ্রতিরোধ গড়ার কোনো বিকল্প নেই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: একমত।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.