![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের ‘নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ’ এর কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করল ঢাবি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ঢাবি সিন্ডিকেট সভাপতি ও উপাচার্য মহোদয় এই ঘোষণা দেন। পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশটির সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'যত ধরনের সম্পর্ক রয়েছে', তা ছিন্ন করার বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এখন কথা হলো, বাংলাদেশ-পাকিস্তান কি যুদ্ধরত অবস্থায় আছে নাকি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, একেবারে সম্পর্কচ্ছেদ করে দিতে হবে? এর কোনটাই ঘটেনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের অযাচিত এবং ধৃষ্টতাপূর্ণ হস্তক্ষেপের জন্য সকল তরফ থেকে 'কড়া প্রতিবাদ' ইতিমধ্যে জানানো হয়েছিল। গোটা দেশবাসীও তাদের ‘নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ’ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসেই বাংলা একাডেমীতে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “২৫ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ছাত্র সংসদ নেই, এটা ভাবা যায়? সাংস্কৃতিক চর্চা নেই, বিতর্ক নেই, বক্তৃতা নেই, আদান-প্রদান নেই, আলোচনা নেই। ছেলেমেয়েরা কী করছে, তার খোঁজ নেই। এটা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।” তিনি ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে বস্তির সংস্কৃতি’র সাথে তুলনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেছেন, “বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষিত মানুষের বস্তি হচ্ছে। বস্তিতে যে সংস্কৃতি আছে, তা হচ্ছে এখানে। হানাহানি, কলহ, ছিনতাই ও রাহাজানি হচ্ছে। ছাত্ররা নারী লাঞ্ছনা করছে, এমন খবরও শুনতে হচ্ছে”। খুবই পীড়াদায়ক বিষয়।
ঢাবির একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি মনে করি ঢাবিকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে বেশী সময় না করে উচ্চ শিক্ষার প্রকৃত পরিবেশ উন্নয়নে বেশী মনোযোগী হওয়া উচিত, ঠিক যেমনটা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম স্যার বলেছেন। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ঢাবির লম্বা এবং অবস্মরণীয় ইতিহাস আছে। এগুলো নিয়ে আমরা প্রাউড ফিল করি। কিন্তু কালক্রমে সেই ‘রাজনীতি’ই স্বয়ং বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দিয়েছে। তাই এখন সময় এসেছে এ ব্যাপারে আমাদের ভাবনা-চিন্তাকে পুনঃস্থাপন করা।
আর একটা ব্যাপার হলো, একটা দেশের সাথে অন্য একটা দেশের সম্পর্ক ত শুধুমাত্র একটা বিষয়েই সীমাবদ্ধ থাকে না। আরো নানা বিষয়ে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। এই যেমন বাণিজ্যিক সম্পর্ক। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ২০৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এবার পাকিস্তানের সাথে কি বাণিজ়্য সম্পর্কও ছেদ করা হবে? ব্যবসায়ীয় নেতারা অবশ্য বলছেন, ‘পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি’।
আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়। আজ বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৪ বছর পার করছে। বাংলাদেশ সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। আমাদের উপর কেউ হস্তক্ষেপ করুক এটা আমরা পছন্দ করিনা।
এটা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এ ব্যাপারে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত কামনা করি। ভিন্নমতকে সাদরে গ্রহণ করা হবে।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
রেফারেন্সঃ
১. Click This Link
২. Click This Link
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
ইছামতির তী্রে বলেছেন: খুবই সুচিন্তিত অভিমত। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাবি প্রশাসনের কাছ থেকে এমন অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত একেবারেই কাম্য ছিল না। শুধুমাত্র সরকারের 'বিশেষ' নজরে থাকার জন্যই এটা করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত!
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যা করেছে তা অভিমানী কিশোরীসূলভ আচরণ! নিছক একটি শো-ডাউন করে উপাচার্যের সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা মনে হয়!!
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমারও তাই মনে হচ্ছে। এর বিশেষ কোন দরকার ছিল না।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
রাফা বলেছেন: পাকিস্তান কোন হিরা জহরতে পরিপুর্ণ দেশ নয়।পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক রেখে কোন লাভ নেই।হ্যা একমাত্র উৎকৃষ্টমানের জঙ্গী সাপ্লাই দিতে পারে তারা।ব্যাবসা বানিজ্য কিংবা অন্য কোন খাতে এক তরফা পাকিস্তানই বেশি লাভবান।http://www.somewhereinblog.net/blog/zzamanblog/30093971#nogo
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
ইছামতির তী্রে বলেছেন: এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: বাঁশের চাইতে কঞ্চি বড়। ভিন্ন রাস্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পরকের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কিভাবে সম্পর্কিত এ নিয়ে গবেষণা হওয়া দরকার।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাল কথা বলেছেন। এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক অপরিপক্কতার পরিচায়ক।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬
রাফা বলেছেন: এইকাজ করার জন্য কুটনৈতিক সম্পর্কের দরকার নেই ।লিংকে গিয়ে কষ্ট করে একটু পড়ুন-
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: প্রতিবেদনটি পড়লাম। অপরাধ প্রমাণিত হলে উল্লেখিত কূটনৈতিকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বংলাদেশ সরকারকে জোর অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে এখনো আমি কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে নই।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
কল্লোল পথিক বলেছেন: কি কমু? কওনের কিছুই নাই!
শুধু কই বাঁশের চাইতে কঞ্চি বড় হয়া গ্যাছে!
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪১
ইছামতির তী্রে বলেছেন: তাই মনে হচ্ছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
হাসান মাহবুব বলেছেন: সময়ে অনেক কিছুই বদলায়। কিন্তু ফাকিস্তান নামক অসভ্য দেশটা বদলায় নি। তারা এখনও ৭১ এর ভয়াবহ হত্যা এবং ধর্ষণকে প্রোপাগান্ডা বলে উড়িয়ে দিতে চায়। ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা! ঢাবি যা করেছে সেটা খুবই ক্ষুদ্র একটা পরিসরে হলেও গুরুত্বের দাবী রাখে। আমি আশাবাদী এই পথ ধরে আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৬
ইছামতির তী্রে বলেছেন: একদম সত্য বলেছেন।
তবে আগেও যেমন বলেছি এখনো বলছি, আমি কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার বিপক্ষে। কেননা অনেক পাকিস্তানী আছেন যারা আমাদের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন। ঐ দেশের অধিকাংশ মানুষ আসল ইতিহাস জানত না। এখন অনেকেই জানছে। সরকারের উপর চাপ আছে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য। কিন্তু ৭১সালের মত এখনো গোয়ার-গোবিন্দই রয়ে গেল ওরা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ওদের মোকাবেলা করতে হবে। এখন অনেক দিক থেকেই আমরা ওদের চেয়ে ভাল অবস্থানে আছি। আমার মনে হয় আমরা ওদের চাপ দিতে পারব।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
কারাবন্দি বলেছেন: কিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে ।
উপরের এই বাক্যটা খুব বেশি শোনা যাই কিছু কিছু মানুষের মুখে । কিছু দিন আগে আবার শুনলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যার এর মুখে ।
কিন্তু আমি বুঝে পাই না তিনি একজন বুদ্ধিজীবী হয়ে এমন কথা কেমনে বলতে পারে !
পাকিস্তানের সাথের সম্পর্ক কেন বিচ্ছিন্ন করতে হবে ??? ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধের কারণের ?? ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে সেই কারনে ??? তারা আমাদের সাথে কেন যুদ্ধ করেছেন সেই কারণের ??
তাহলে দেখা যাক অন্যান্য দেশের মধ্যে যুদ্ধের ফলে তারা কি সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কিনা
চীন-জাপান যুদ্ধ ১ কোটি চীনের মানুষ শহীদ হয়েচিল। তাইলে কি চীন জাপানের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ??? না কখনই করেনি ।
ভারত- পাকিস্তান দেশ বিভাগের সময় ১০ লক্ষ পাকিস্তানি মারা গিয়েছিল। আর এখনো পর্যন্ত কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্য যুদ্ধ চলতেছে। তাইলে কি ভারত- পাকিস্তান সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ?? না কখনই করেনি ।
এমন আরও আছে যেমন দক্ষিণ কোরিয়া – উত্তর কোরিয়া , জাপান- ফ্রান্স, জাপান- আমেরিকা , আমেরিকা- ভিয়েতনাম এই সব যুদ্ধ গুলো আরও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ ছিল কিন্ত এরা কেউ কারো সাথে চির দিনের মতো সম্পর্ক ছিন্ন করেনি বরং সম্পর্ক উন্নিত করেছে, করার চেষ্টা করেছে ।
বাংলাদেশের যারা সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলে তারা মনে হয় তাঁদের মাথাটা খুব কম ব্যাবহার করে । আজ যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাহলে এক বছরের মাথায় বাংলাদেশের অর্থনীতি তলানিয়ে এসে ঠেকবে । এটা করলে চীন, আমেরিকা, রাশিয়া ইউরোপ বাংলাদেশের উপর অর্থনীতি ধর্মঘট ডেকে দিবে ।
এসব বাজে চিন্তা না করে বরং আমাদের কূটনীতিতে আরও পারদর্শী হতে হবে, আরও পারদর্শী হবে হবে পররাষ্ট্র নীতিতে ।
বাংলাদেশকে এখন আন্তর্জাতিক ভাবে বলা হচ্ছে আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ চীন- মালয়েশিয়া- থাইল্যান্ডের মতো অর্থনীতি শক্তির দেশ হবে।
আমাদের অর্থনীতি পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু আমাদের মানুষের চিন্তা ধারা চীন মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের মানুষের মতো পরিবর্তন হচ্ছে না , আমরা পরে আছি সেই ৭১ এর ব্যথা নিয়ে। আমাদের কে শিখতে হবে পাকিস্তান মানেই শত্রু নয়, পাকিস্তানি মানেই হানাদার বাহিনী নয় ।
আর সারা বছর ঘুরে শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাস এলেই কি শুধু আমাদের পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কথা মনে পরে?
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদেরকে হতে হবে নরম, আমাদের চিন্তা কেও এগিয়ে নিতে হবে।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাইজান 'কারাবন্দি' থাকলেও চিন্তা বন্দি অবস্থায় নেই। হাহাহাহা। আমাদের কূটনীতিতে আরও পারদর্শী হতে হবে, আরও পারদর্শী হবে হবে পররাষ্ট্র নীতিতে । আপনার এই কথার সাথে একমত।
আমি সম্পর্কচ্ছেদ নয় বরং ওরা ক্ষমা চাক-এটাই চাই।
অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
তাওহিদ হিমু বলেছেন: পাকিস্তানের সাথে ভারতের শত্রুতা আরো বেশি ভয়ঙ্কর। ভারতের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তো এমন করে নি। ভারতের সাথে তাদের বানিজ্যিক ও অন্যান্য লেনদেন আরো বেশি। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এ অনেক এগিয়ে, যেখানে ঢাবি ২৪০০-এর পরে। যেন, সি-গ্রেড স্টুডেন্ট আড়ি দিল এ-গ্রেড স্টুডেন্টের সাথে। শিশুসুলভ কাজ। হতে পারে ভারতের দালালি করতে এই সিদ্ধান্ত নিল ঢাবি। বাজে অবস্থা দেশের।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাল বলেছেন।
শিক্ষার মান বাড়ানোর দিকে মনোযোগ না দিয়ে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত আছেন তারা।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হয়ত বাণিজ্যিক কারণে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ সম্ভব নয় কিন্তু অন্য সব দিকে তাদের বয়কট করতে পারি| যেমন বিপিএলে ঐ দেশের প্লেয়ারকে না আনলেও পারতাম| ওদের টিভি চ্যানেল দেখবো না ইত্যাদি| ঢাবি যা করেছে অবশ্যই সেটা অভিনন্দনযোগ্য| এটা একটা উপড়ি পাওনা বিজয় দিবসের
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২
ইছামতির তী্রে বলেছেন: শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে একটা দেশ পরিচালনা করা যায় না।
একটা দেশের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ আরো নতুন নতুন সংকট তৈরী করতে পারে।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এটা প্রেমের সম্পর্ক নয় যে অভিমান করে ভেঙ্গে দিলাম৷ রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রাষ্ট্রের ভালমন্দ, স্বার্থ বিবেচনা করে তৈরি হয়৷ আধুনিক বিশ্বে বিশেষ আমাদের আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য অবশ্যই নিজ দেশের স্বার্থে সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত৷
পারমানবিক বোমার আঘাতে জর্জরিত জাপানের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির সাথে রাশিয়া, ফ্রান্স বা বহির্বিশ্বের সম্পর্ক হতে পারলে আমরা কেন আবেগকে পুঁজি করে ক্ষমতায় থাকার আশায় পাকিস্তানের সাথে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাব?
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
ইছামতির তী্রে বলেছেন: রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক রাষ্ট্রের ভালমন্দ, স্বার্থ বিবেচনা করে তৈরি হয়৷ আধুনিক বিশ্বে বিশেষ আমাদের আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য অবশ্যই নিজ দেশের স্বার্থে সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিত৷
আর কিছু বলার নেই। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫
মিথুন আহমেদ বলেছেন: কথাটা এমনভাবে বলল, যেন এই সম্পর্ক ছিন্ন করলে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের "প্রাচ্যের অক্সফোর্ড" খ্যাতিটি ফিরে আসবে । এতদিন এই সম্পর্ক থাকাতে বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রচুর সমস্যা ছিল। ভয় হয় এই কথা শুনে পাকি বজ্জাত গুলা বলে না বসে "এটা আবার কোন বিশ্ব বিদ্যালয়? World Top university তে ওদের নাম তো দেখি না।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪
ইছামতির তী্রে বলেছেন: সিদ্ধান্তটি প্রশাসনিক অপরিপক্কতার পরিচায়ক।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
আমি আবুলের বাপ বলেছেন: গত ৭ বছর ধরে আরফিন সাহেব ঢাবির ভিসি, কিন্তু হটাত চেতনা চেগাইলো ক্যান,বুঝলাম না। এত দিন কি চেতনা .।.।।।এ বাইন্ধা রাখছিলো?
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
ইছামতির তী্রে বলেছেন: তিনি হয়ত সরকারের 'বিশেষ' নজরে থাকতে চান।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
াহো বলেছেন:
AP USA
অনেক পুরনো খবরের ভিভিও আছে
নিউজ ভিডিও ফুটেজ দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস আর্কাইভ
চমৎকার আর্কাইভের . সত্যি এই আর্কাইভের কনটেন্ট অনেক রিচ
http://www.aparchive.com/
এক ডলার আপনি সংবাদপত্র আর্কাইভ এক্সেস পেতে পারেন
নিউ ইয়র্ক টাইমস
টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
টাইমস সংবাদপত্র ইউকে
https://news.google.com/newspapers (free)
https://trove.nla.gov.au/newspaper (free)
১৯৭১ থেকে আমাদের ইতিহাসের অনেক প্রশ্নের উত্তর
http://www.genocidebangladesh.org/
http://www.liberationwarbangladesh.org/ মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ
http://www.jonmojuddho.com/
http://bongobondhuinfocenter.org/
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাই, এত লিঙ্ক দেখব সেই সময় এখন হাতে নেই। যদি সম্ভব হয় একে একে দেখব।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাই, এত লিঙ্ক দেখব সেই সময় এখন হাতে নেই। যদি সম্ভব হয় একে একে দেখব।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
লেখোয়াড়. বলেছেন:
আমার একটি কথাই................
যারা পাকিস্তানের সমর্থক তারা এই বিষয়টি সমর্থন করবে, আর যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করে না তারা এই বিষয়টি সমর্থন করবে না।
তবে লেখক আপনি বিষয়টি তুলে ভাল কাজ করেছেন।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০১
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনার কথা শুনে বুশ জুনিয়রের 'ওয়ার অন টেরর' মিশনের সেই কুখ্যাত ডায়ালগ মনে পড়ে গেল, 'আমাদের সাথে নাই মানে তোমরা সন্ত্রাসী'।
উপরে ব্যবসায়ী দলের নেতাও কিন্তু বলেছেন ‘পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করার মত কোন ঘটনা ঘটেনি’। তারা কি পাকিস্তানের সমর্থক। কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো ব্যাপকতর বিষয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক রেখে যদি আমাদের ব্যাবসায়িক বা প্রযুক্তিগত লাভ হয় তবে আবেগের বশে সম্পর্কচ্ছেদ করাটা নেহায়েত ফালতু একটা কাজ হবে। আর বিশেষ করে আবেগ দিয়ে হিংসা দিয়ে রাষ্ট্রকে চালিয়ে নেয়া যায় না।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৬
ইছামতির তী্রে বলেছেন: শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করলে তা শুধুমাত্র একটা দেশেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। পাকিস্তানের অনেক মিত্র দেশ আছে যারাও সমস্যা তৈরী করতে পারে। আর তাছাড়া তাদের দেশের সকল সাধারণ মানুষকে আমরা ত ঘেন্না করতে পারি না। সম্প্রতি ওদের অনেককেই আমরা বন্ধু সম্মানিত করেছি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বুঝলাম না! কি হচ্ছে দেশে!
উনি তখন কোথায় ছিলেন যখন বঙ্গবন্ধু ৭৩-৭৩এ ভুট্টোর সাখে পাকিস্তানে মিটিং করে। স্বাভাবিক বানিজ্যিক সম্পর্ক পুন:স্থাপিত হয়?
আমেরিকা জাপানরে ভর্তা বানাইয়া ফেলল- জাপাণী ভিসিরা সবই বুঝি দেশপ্রেমহীন?
তারা আজো আমেরিকার সাথে কত দহরম মহরম সম্পর্ক! নাকি তারা হিরোশিমার শহীদদের ভূলে গেছে?
আবেগ দিয়ে কি রাজনীতি হয়? হয়তো সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়!
আর যেখানে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতেই বলছে কারো সংগে শত্রুতা নয়- সকলের সংগে বন্ধুত্ব সেখানে উনি কি তবে সংবিধান লংঘন করলেন না?
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১
ইছামতির তী্রে বলেছেন: উনি হয়ত কাফফারা আদায় করছেন। হাহাহাহা।
'patriotism is the last refuge of a scoundrel' এই কথাটা বোধহয় বাংলাদেশের জন্যই বেশী প্রযোজ্য। আমরা দেশপ্রেমের চেতনায় বলিয়ান হয়ে দেশের বারোটা বাজাতে উস্তাদ।
হ্যা, এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সুস্পস্ট বরখেলাপ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগলো।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধন্যবাদ।
মন্তব্যের জন্য অনেক আবারো ধন্যবাদ।
২০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৯
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য় বস্তি হতে পারে , কিন্তু পাকিস্তানকে বহিষ্কার করে বড়ই সওয়াবের কাজ করেছে ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
উচ্ছল বলেছেন:
তবে এটাই যদি সিস্টেম হয়ে থাকে যে, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক না রাখাটাই কর্তব্য। তবে আরো বেশি বেশি সওয়াবের কাজ করা উচিত।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমি যতদুর জানি এটা খুব সম্ভবত ১৯৭৪ সালের ওআইসি সম্মেলনের ছবি। সেবার পাকিস্তানের লাহোরে এটা হয়েছিল। অনেক চেতনাবাজ সেদিনও বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে যেতে নিষেধ করেছিল কিন্তু তিনি তাদের পাত্তা দেননি। তিনি চেয়েছিলেন, সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হোক এবং অন্যান্য ইসলামিক দেশের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপিত হোক। তার উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল।
মুজিব ১৯৭৪ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে যান যা পাকিস্তানের সাথে কিছুমাত্রায় সম্পর্ক উন্নয়ন ও পাকিস্তানের স্বীকৃতি পেতে সহায়তা করে। জনসাধারণের সামনে উপস্থিতি ও ভাষণের সময় শেখ মুজিব ইসলামিক সম্ভাষণ ও শ্লোগান ব্যবহার বাড়িয়ে দেন এবং ইসলামিক আদর্শের উল্লেখ করতে থাকেন। শেষ বছরগুলোতে মুজিব তাঁর স্বভাবসুলভ “জয় বাংলা” অভিবাদনের বদলে ধার্মিক মুসলিমদের পছন্দনীয় “খোদা হাফেজ” বলতেন। উইকিপিডিয়া।
২২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
ভোরের সূর্য বলেছেন: রাজনৈতিক লেজুর বৃত্তি ছাড়া আর কিছুই না। সূর্যের চেয়ে বালি গরম আর কি।
আর এমন এক জায়গায় সেটা নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। শিক্ষার সাথে কেন এই আচরন বুঝলাম না। একটি ছেলে কিংবা মেয়ে এদেশে পড়তে আসবে কিংবা এখান থেকে পাকিস্তানে পড়তে যাবে এটা কেন বন্ধ হবে? বা পারস্পরিক শিক্ষা,গবেষনা বৃত্তি কেন বন্ধ করতে হবে?
পৃথিবীর কথা বাদ দিলাম এশিয়ার ১০০টা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের কারো নাম নাই। পরের ১০০টি মানে ১০০থেকে ২০০ পর্যন্ত নাম খুজলাম তার মধ্যে বাংলাদেশের ১টি এবং পাকিস্তানের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেই লিস্টেও পাকিস্তানিদের নাম বাংলাদেশের ওপরে। আচ্ছা পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় লিস্টে নাম পায় কিভাবে? চেতনা দিয়ে নাকি পড়াশুনার মান,গবেষনা,সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি দিয়ে?কিসের কি আমরা আমাদের নিজেদের মান বাড়ানোর চেষ্টা করবো না করে দরজাগুলো বন্ধ করে দিচ্ছি।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
ইছামতির তী্রে বলেছেন: রাজনৈতিক লেজুর বৃত্তি ছাড়া আর কিছুই না। সত্যি আর কিছু বলার নেই।
এত হিংসা নিয়ে একটা দেশ কিভাবে সামনের দিকে এগুবে?
অনেক তথ্যবহুল এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: চাকরী রাখতেই এসব কাম করসে। ভাল লিখেছেন।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩
ইছামতির তী্রে বলেছেন: একমত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
Rahat Islam বলেছেন: “America has no permanent friends or enemies, only interests”
― Henry Kissinger
এটাই হচ্ছে কূটনীতির প্রথম নিয়ম ;
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬
ইছামতির তী্রে বলেছেন: "The Notorious Kissinger"
তবে কথা সত্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: এইটা বেশি হইলো। কুটনৈতিক সম্পর্কের মাত্রা কেমন হওয়া উইত সেইটা বিবেচনা করা যাইতে পারতো। সরকার পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে আরো ভালো হইতো। বানিজ্যিক সম্পর্ক সরকার বন্ধ করলেও ব্যবসায়ীরা করবে না। ইসরায়েলী পন্য কি বাংলাদেশে আসে না? অনেক পন্য আসে। আমি নিজেও বেশ কিছু ইসরায়েলী কমিউনিকেশন যন্ত্র পছন্দ করি। কিন্তু এইদেশে আসে আমেরিকান হিসেবে। বানিজ্যের ব্যাপারটাও এমনই হবে।
আর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরা বিচ্ছিন্ন করলে ঝামেলা সাধারন মানুষের বেশি হবে। একেবারে আম জনতা না ক্ষেপলেও তাবলীগি জনতা খেইপা যাবে। ইজতেমা কিংবা দাওয়াতের কাজে না আসতে পারলে ওরা মনে করতে পারে এইসব ওদের দ্বীনি কাজে বাঁধা দেয়ার সামিল। হিসেবপগুলা আমরা যত সোজা ভাবি তত সোজাও না