নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'মহানুভবতার দেয়াল\'

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

শীত জেঁকে বসেছে ইরানে। দরিদ্রদের সাহায্যে বেশ কিছু শহরে অভিনব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এলাকায় এলাকায় সুনির্দিষ্ট কিছু দেয়ালে মানুষজন তাদের অব্যবহৃত জামা-কাপড় ঝুলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। যাদের প্রয়োজন তারা এসে নিয়ে যাচ্ছেন। এ সব দেয়ালকে বলা হচ্ছে 'মহানুভবতার দেয়াল'।

এই উদ্যোগ শুরু হয় ইরানের উত্তর-পূর্বের শহর মাশাদে।

অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সেখানে একটি দেয়ালে কিছু হুক এবং হ্যাঙ্গার ঝুলিয়ে দেন। পাশে লিখে দেন, "আপনার যে জিনিস আর কাজে লাগছে না, তা এখানে রেখে যান। আর আপনারের দরকারের জিনিস পেলে নিয়ে যান।"

এর পরপরই দেয়ালের হুকে, হ্যাঙ্গারে বহু মানুষ এসে কোট, জাম্পার, কম্বল ঝুলিয়ে রেখে যেতে শুরু করেন।

এরপর ইন্টারনেটের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই উদ্যোগের কথা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ তা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে থাকেন।

ফলে এখন ইরানের বহু শহরেই একই কায়দায় শুরু হয়েছে মহানুভবতার দেয়াল।

অসাধারণ আইডিয়া! আমাদের দেশে কি এমন দেয়াল সম্ভব। খুব সম্ভবত ‘না’। কারণ রেখে আসার মিনিট খানেকের মধ্যে এইসব উধাও হয়ে যাবে। যারা সত্যিকারের অভাবী তাদের ভাগ্যে হয়ত একটাও জুটবে না। এর পেছনে বহুবিধ কারণ বিদ্যমান। আমাদের দেশে অভাবী মানুষের সংখ্যা অগণিত।

আমাদের দেশেও এখন শীত চলছে। এই শীতে গৃহহীন, দরিদ্র, শীতার্ত মানুষেরা দারুণ কস্ট পায়। আমাদের দেশে 'মহানুভবতার দেয়াল' না থাকলেও অনেক মহানুভব মানুষ আছেন যারা শীতে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

আসুন সবাই মিলে শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়াই।

সবাইকে ধন্যবাদ।

খবরের লিঙ্কঃ Click This Link

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

বনজ্যোৎস্নার কাব্য বলেছেন: আইডিয়া চমৎকার নিঃসন্দেহে। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ গুলো এতো অভাবী যে তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার দিলেও তাদের পেট ভরলেও চোখের ক্ষিধাটা মিটবে না। আজকের অভাব পূরণ হলেও আগামী এক সপ্তাহের অভাব যাতে না দেখা দেয় তাই সব দুই হাতে ভরে নিয়ে যাবে।
তবে মহানুভবতার দেয়াল এর আইডিয়া পড়ে সত্যিই ভালো লাগলো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২১

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমারও তাই ধারণা।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমাদের দেশে অভাবী মানুষ যতটা তার চেয়ে বেশি আছে আর্থিক ভাবে চলে যায় এমন কিন্তু বিবেকের অভাব আছে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: একমত। তবে আমাএর দেশে অনেক ভাল মানুষও আছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৬

গোধুলী রঙ বলেছেন: আমাদের দেশে অভাবী মানুষ যতটা তার চেয়ে বেশি আছে আর্থিক ভাবে চলে যায় এমন কিন্তু বিবেকের অভাব আছে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

ইছামতির তী্রে বলেছেন: দু'বার এসেছে।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন আইডিয়া।কিন্তু আমাদের দেশে এতটা উদারমনা হলে আসলেই গরীবরা বঞ্চিতই রয়ে যাবে।শীতার্তদের সহযোগীতায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে...

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সত্যি অসাধারন আইডিয়া।
শীতার্তদের সহযোগীতায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ একটা আইডিয়া। একবার টেস্ট করে দেখা যেতে পারে। সাফল্য-ব্যর্থতার কথা পরে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সত্যি অসাধারন আইডিয়া।
আপনার সাথে একমত। স্ব স্ব এলাকায় আমরা এটা করতে পারি।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

আলোরিকা বলেছেন: 'মহানুভবতার দেয়াল' - কি অসাধারণ আইডিয়া ! আমাদের দেশেও সম্ভব , তবে আইন শৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতিতে । তা না হলে অবস্থা দাঁড়াবে যাকাতের কাপড় বিতরণের মত ( পদদলিত হয়ে অসংখ্য নিরীহ মানুষের মৃত্যু ) ।

চমৎকার শেয়ার :)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: সত্যি অসাধারণ আইডিয়া। আমার এতই ভাল লেগেছে যে, শেয়ারই দিলাম।

আমাদের দেশে এর বাস্তবায়ন কঠিন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: আমাদের দেশে এটা করা হয়তো সম্ভব না, তবু অনেকে শীতার্তদের অনেকভাবে সাহায্য করে যাচ্ছেন।ইরানের আইডিয়াটা আসলেই মহৎ আর যার দ্বারাই শুরু করা হয়ে থাকুক তার সুন্দর মনের পরিচয় বহন করে।এসব দেখলে মনে হয় এখনও মানুষকে নিয়ে আশাবাদী হবার অনেক কিছুই আছে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ১০০% একমত।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

blackant বলেছেন: বাঙ্গালী মাগনা পাইলে আলকাতরা খাইবে (যদি রং করার উপযগী নৌকা না থাকে )।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হাহাহাহা। এটাই আমাদের বৈশিস্ট্য। তবে আমাদের সমাজে এখনো কিছু লোক আছে যারা ভিন্নতর।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের দেশে এইভাবে ঝুলিয়ে রাখলে গরিবের ভাগে পরবেনা। যাদের আছে তারাই নিয়ে বিক্রি করে দেবে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হ্যা, এটাই হবে। আমাদের দেশে মসজিদেই যেভাবে জুতা-স্যান্ডেল চুরি হয় সখানে এভাবে কাপড় ঝুলিয়ে রাখা ত অসম্ভব ব্যাপার।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আইডিয়াটা মারাত্নক।

তবে আমাদের দেশের ক্ষেত্রে এইটা আবার বদলে যাবে।
হয়তো দেখা যাবে একদল এগুলো চুরি করছে। চুরি করে নিয়ে আবার বিক্রি করার ধান্ধা শুরু করে দিয়েছে।
আবার হয়তো দেখা যাবে - এগুলো নিতে গিয়ে মানুষের অধিক ঢলে একজন আরেকজনকে মারছে। যেমনটা হয়েছিল যাকাতের কাপড় বিতরণের সময়। শীতের কষ্টের থেকে পায়ের পিষ্টনেই মারা পড়বে।

তবে, এইটা একবার হলেও আয়োজন করা যায় - উত্তরাঞ্চলের যে কোন একটা জায়গায়। তারপর না হয় সারাদেশ!

পোষ্টটা সুন্দর! +

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আইডিয়াটা মারাত্নক।- আসলেই।
দেশের ব্যাপারে আমাদের সবার প্রায় একই। সত্যি আমরা একটা 'চোরের' দেশে বাস করি। খুব দুঃখ হয়।

কাপড় ঝুলিয়ে পাহারার ব্যবস্থা রখতে হবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার আইডিয়া

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আসলেই চমৎকার আইডিয়া।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: ভাল কাজ

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অবশ্যই ভাল কাজ।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা এখনো অতটা উন্নত হইনি!

আমার মিনিমাম টুকুর পরে যে আমার অন্যটার দিকে লোভ করতে নাই- বা অন্য আরেকজনের জন্য এটা আমার চেয়ে বেশী প্রয়োজন এই েবােধর উন্মেষ ঘটেনাই।
যেখানে জাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতির পরও পদদলিত হয়ে মারা যায় প্রতিবছর- সেখানে এই আয়োজন মনে হয় সম্ভব নয়।
আর আমাদের চলমান সংস্কৃতিতে স্রেফ কথিত প্রেম, পরকীয়া আর যৌনতা ছাড়া এইরকম সামাজিক বোধের বিকাশে কোন কাজইতো নেই। ফলে এর বিকাশও কম।
আমাদের নির্মাতারা কি এসব নিয়ে ভাববে?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ আদিকাল থেকেই এমন। হয়ত এভাবেই চলবে আরো বহুকাল। এখানে শিক্ষিত-অশিক্ষিতদের মধ্যে আচরণের ফারাক কম। সবাই প্রায় একই চিন্তা-চেতনা নিয়ে দিনযাপন করে। এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

নির্মাতাদের কি দোষ। ওরাও ত আমাদের সমাজেরই প্রোডাক্ট। তবু আশা একদল মশালবাহী মানষ একদিন আসবে যারা আমাদের আলোর দিকে নিয়ে যাবে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: খুব ভালো উদ্যোগ। তবে আমাদের দেশে এমন কিছু করা মনে হয় সম্ভব না।একজনই সব নিয়ে গিয়ে ফুটপাতে দোকান খুলে বসবে পুরনো শীতবস্ত্রের। কিংবা নেতাগছের কারো লোক এসে সব নিয়ে গিয়ে নিজের নামে বিতরন করবে আবার। আমাদের দেশে জনে জনে গিয়েই পৌছে দেয়াটা ভালো পদ্ধতি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হাহাহা। এমনটাই হবে।

রঙ্গে ভরা বঙ্গদেশ!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.