নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক রাজকন্যা এবং এক গ্রাম্য বালকের অনবদ্য প্রেম কাহিনী! (শেষ পর্ব)।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

আগের পর্বের লিঙ্ক Click This Link

দৃশ্যপটঃ ৩
এরপরের দিন চতুর্থ ক্লাস চলছে। আমিও যথারীতি উপস্থিত আছি। ক্লাস শেষের ঘন্টা বাজল। চতুর্থ ক্লাস শেষের ঘন্টা বাজা মানেই ‘টিফিন পিরিয়ড’। স্যার বের হয়ে যেতেই পড়িমড়ি করে সবাই বের হতে লাগল। আমি যথারীতি চুপটি করে বসে আছি। আমার মনে আনন্দ নেই! পঞ্চম ক্লাসে ইংরেজী স্যার জোড়াবেত নিয়ে আসবেন। আমি আমার হিসেব মেলাতে ব্যস্ত। কারণ আজকেও হাতের লেখা বা পড়া করে আসিনি।!! চোখ গেল বাম দিকের বেঞ্চগুলোতে যেখানে মেয়েরা বসে। খেয়াল করে দেখলাম কলি বাইরে যায়নি। ওকে নিয়ে যেতে অনেকেই ঠেলাঠেলি করছে। কিন্তু ‘আমার ভাল লাগছে না’ বলে ওর জায়গাতেই ঠায় বসে রইল। অগত্যা ওকে ছাড়াই বাকী সবাই বের হয়ে গেল। ক্লাস রুমে শুধু কলি আর আমি। আমার ভেতরে মারাত্বক এক অনভূতি হচ্ছিল। অনভূতির ঠ্যালায় ওর দিকে তাকাতেই পারছিলাম না!!

এভাবেই কিছু সময় কেটে গেল। গোটা রুমে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছে। আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছিল ওকে ডাকি। কিন্তু একে ত ইতিমধ্যে পড়াশোনায় আমার ‘অবিস্মরনীয় কীর্তি’ স্বচক্ষে অবলোকন করেছে তার উপর আমি খুব লাজুক প্রকৃতির ছেলে। আড়চোখে কলির নড়াচড়া লক্ষ করলাম। সে উঠছে। আমার মনে হলো, এখন হয়ত ভাল লাগছে। তাই মজা করতে স্কুল মাঠে অন্যান্য বন্ধুদের সাথে খেলতে যাবে। কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখলাম আস্তে আস্তে ও আমার দিকেই হেঁটে আসছে। আমার উত্তেজনা কয়েকগুণ বেড়ে গেল। বুকের মধ্যে হাতুরি পেটানোর শব্দ অনুভব করলাম। কেন যে এমন হচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না। যাইহোক, ও ঠিক আমার সামনের বেঞ্চে এসে বসেই খুব দরদমাখা কন্ঠে বলল, ‘আজকেও হাতের লেখা আননি’? আমি ঘাড় এদিক-ওদিক নেড়ে বুঝালাম, ‘না’। ও আবার বলল, ‘তুমি কি বাড়িতে পড় না’? আমি নিরুত্তর রইলাম। এরপরে ও যেটা বলল সেটা শুনে আমি আমার নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কারণ ও বলেছিল, ‘তোমার খাতা বের করো, তোমাকে হাতের লেখা লেখাই’। আমি কিছু না বলে বড় বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। কেন জানি ওর দিকে তাকাতে আর লজ্জা বা ভয় লাগছিল না। ও এবার তাড়া দিলে আমি খাতা বের করলাম। সে খুব দ্রুত কাজ শুরু করল। কষি টানা খাতাই ব্যবহার করতাম। ও শুধু বাম পাশে ইঞ্চিখানেক জায়গা রেখে একটা রেখা টানল। এবার বলল, ‘শুরু করো’। আমি ওর দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বোঝাতে লাগলাম, ‘আমাকেই লিখতে হবে’? ও সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে বলল, ‘তাড়াতাড়ি করো, সময় বেশী নেই’। আমি এবার মনের সমস্ত শক্তি জড়ো করে হাতের লেখা লিখতে বসলাম। কলি দরদভরা দৃষ্টিতে আমার লেখা দেখতে লাগল। যখন কোন অক্ষর বা শব্দ লিখতে সমস্য হচ্ছিল তখন ও আমার হাত ধরে কলম ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেটা লিখে দিচ্ছিল। কৃতজ্ঞতায় আমার চোখে পানি আসার যোগাড়! কিন্তু ওর মধ্যে কোন জড়তা নেই। শেষপর্যন্ত আমার আর ওর অক্লান্ত পরিশ্রমের যবনিকাপাত ঘটল। আমার হাতের লেখা শেষ হলো। আমার লেখাটা ও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আবার দেখল। এবং বলল, ‘লেখা ভালই হয়েছে’। আমার ভেতরে খুশির বন্যা বয়ে গেল। আমি সত্যিই খুব খুশি ছিলাম কারণ আজ অন্তত মাইর খেতে হবে না। আমার খুশি দিগুণ হয়ে গেল যখন ভাবতে লাগলাম, ‘কলি আমাকে সাহায্য করেছে!!!!’ তখনকার প্রেক্ষাপটে এটা ছিল অবিশ্বাস্য একটা ঘটনা। আমি আমার সমস্ত সত্তা দিয়ে ওকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাইলাম। কিন্তু আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। আমার মুখে কোন কথাই ফুটল না। এক দুর্বোধ্য চোখের ভাষায় ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ও আমার চোখের ভাষা ঠিকই বুঝলো। বলল, ‘এখন থেকে প্রতিদিন বাড়িতে লেখাপড়া করবে, কেমন?’ আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম, ‘করব’। ও আস্তে আস্তে ওর সিটে চলে গেল। আমি ওর গমনপথে অপলকনেত্রে তাকিয়ে রইলাম। কলি বসেই আমার দিকে ফিরে মুচকি হাসি দিল। আমিও হাসলাম। এরই মধ্যে কিছু কিছু ছাত্র-ছাত্রী আসা শুরু করেছিল। মেয়েরা যারা ওর ঘনিষ্ঠ তারা এসেই ওকে নিয়ে ‘পড়ল। ও শুধু মুচকি মুচকি হেসে ওদের জবাব দিচ্ছিল। এদিকে আমার মনে রীতিমত ঝড় বইছে। আমি ভাবতেই পারছি না যে, কিছুক্ষণ আগে কি ঘটে গেছে আমার চরম নিরানন্দ জীবনে। লেখাপড়াকে কেন যেন খুব ভাল লাগতে শুরু করল। স্কুলজীবনে এই প্রথম আমি ইংরেজী স্যারের ক্লাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি!! এটা আমার জন্য একেবারে অভূতপূর্ব ঘটনা। এই অবিস্মরণীয় ঘটনার পুরো কৃতিত্ব কলির। হ্যাঁ হ্যাঁ কলির। আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে আকাঙ্খিত, সবচেয়ে সুন্দরী এবং সবচেয়ে পরোপকারী মেয়েটির।

টিফিন শেষের ঘন্টা বাজল। কিছুক্ষণ পর ইংরেজী স্যার তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ক্লাসে ঢুকলেন। আমি একদম ভয় পেলাম না! বরং অতি আত্ববিশ্বাস নিয়ে স্যারের দৃষ্টিসীমায় পড়তে চাইলাম। মুহূর্তের মধ্যেই কত পরিবর্তন! সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটল আমি যখন আমার ক্যাপ্টেন বন্ধুর উদ্দেশ্যে খাতা বাড়িয়ে দিলাম তখন। ও চরম অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে একবার আমাকে আরেকবার খাতা দেখতে লাগল। কারণ ও জানে আমি আজও আনিনি। ও হয়ত ভেবেই পাচ্ছে না এটা কিভাবে সম্ভব হলো। শেষ পর্যন্ত ও আমার খাতা নিয়ে পরের জনের কাছে গেল। ওর চোখমুখ দেখে মনে হলো একদম খুশি হয়নি। মনে মনে গালি দিলাম, ‘শালার বন্ধু...’। এদিকে অলক্ষ্যে কলি আমাকে দেখছিল। আর এক প্রস্থ চোখাচোখি হয়ে গেল। যাইহোক, স্যার একে একে খাতা দেখছেন। হঠাৎ একটি খাতা হাতে নিয়ে ক্লাসের দিকে মানে আমার দিকে তাকালেন। আমিও তাকালাম। স্যার আমাকে ডাকলেন। আমি গেলাম। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বাবা, তোমার লেখা ভাল হইছে। সবদিনই লিখ, ক্যামন?’ স্যারের প্রশংসাসূচক কথা শুনে আমার মনে শিহরণ জাগল। আমার চোখ আরেকবার ভিজে উঠতে চাইল। আমি ঘাড় নেড়ে কোনমতে ইতিবাচক সাড়া দিলাম। আজকে স্যারকে যে কি ভাল লাগছে!!! আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!! জীবন বড়ই আনন্দময়। একরাশ ভাল লাগা নিয়ে সিটে আসার পথে কলির দিকে আবার তাকালাম। হয়ে গেল হাসি বিনিময়। এই হাসির মানে এই ক্লাশরুমের ত বটেই বরং গোটা দুনিয়ার কেউ বুঝল না।

শুরু হয়ে গেল আমার কিংবা আমাদের জীবনের নতুন এক অধ্যায়।

দৃশ্যপটঃ ৪
এরপরের দিনগুলি অতিদ্রুত বয়ে যেতে লাগল। জীবন যে কত আনন্দময় হয়ে উঠতে পারে তার প্রথম প্রমাণ মিলল এই সময়ে। কলির সংস্পর্শে আমার জীবন চিরদিনের জন্য নতুন গতিপথ পেয়ে গেল। পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহ একেবারে দূর হয়ে গেল। অল্প সময়ের মধ্যে ক্লাশের খুবই serious ছাত্র হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুললাম। স্যার এখনও জোড়া বেত নিয়ে ক্লাশে আসেন কিন্তু এটা আমাকে আর চোখ রাংগাতে পারে না। কারও টিটকারি মাখা কথা, উপহাস, বিদ্রুপ আমার কাছ ঘেঁষতে পারে না। ক্লাশে এবং বাড়িতে আমার অবস্থান পুনঃনির্ধারিত হলো। দু’জায়গাতেই আমার সম্মান অনেকগুণ বেড়ে গেল। এই সব কিছুর কৃতিত্ব আমার নতুন বন্ধু কলির। ওর সাহায্য, ওর সাহচর্য ব্যতিত এসব কিছুই হত না-এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। কয়েকদিনের ভেতরে কলি আর আমি হয়ে গেলাম সেরা বন্ধু। সবার সাথে তার বন্ধুত্ব বজায় থাকল। কিন্তু আমি ছিলাম সবচেয়ে কাছের।

কলি কোনদিন স্কুল মিস করলে আমার কলিজা ফেটে যেত। আমাদের এই নতুন সম্পর্ক দেখে অনেকেই হিংসায় জ্বলতে লাগল। কিন্তু তাতে করে আমাদের দু’জনের তেমন কোন অসুবিধা হলো না। আমার ওকে না দেখলে কিছুই ভাল লাগত না। যতক্ষন পাশাপাশি থাকতাম ততক্ষণ আনন্দে ভেসে যেতাম। স্কুল ছেড়ে বাড়ি আসলেও তার রেশ থাকত সব সময়। আর অপেক্ষা করতাম পরের দিনের জন্য। আমি আসলে জানি না আমাদের দুজনের এই সম্পর্ককে কি বলা যায়। ভালবাসার অনুভূতি তখনও হয়নি। তাই আমি এটাকে “নির্ভেজাল বন্ধুত্ব” বা “নির্ভরতার বন্ধুত্ব” বলেই মনে করে এসেছি এতটা কাল।

দৃশ্যপটঃ ৫

সময় বহতা নদীর মত বয়ে চলতে লাগল। আমার স্কুল জীবনও অনাবিল আনন্দে ভরে উঠল। আল্লাহ আমাদের এই আনন্দময় জীবন দেখে যেন অলক্ষ্যে মুচকি হাসলেন। কোন একদিন প্রথম ক্লাশে বসে আছি। স্যার তখনও আসেননি। আমার চোখ শুধু মাঠের দিকে ছুটে যাচ্ছে। কারণ কলি তখনও আসেনি। আমি অস্থির হয়ে গেছি। কেন আসছে না ও? ওর তো অবশ্যই আসার কথা। কলি কি অসুস্থ্য? এমন নানা চিন্তা আমার ছোট্র মনে আকুলি-বিকুলি করতে লাগল। স্যার রুমে চলে এসেছেন। কিন্তু আমার মন কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। ক্লাশ বড়ই অসুন্দর লাগছে। মুখটা একদম পাংশুবর্ণ করে বসে আছি আর ঘন ঘন মাঠের দিকে তাকাচ্ছি। হঠাৎ মাঠের দিকে আমার চোখ আটকে গেল। ঐ তো ও আসছে!!! আমার মন আনন্দে নেচে উঠল। এতক্ষণের মন খারাপ অবস্থা এক মুহুর্তে উবে গেল। প্রচন্ড ভাললাগায় মনটা ভরে উঠল। কিন্তু ওর সাথে ইনি কে? তাকে আমি চিনতে পারলাম না। যাইহোক, কলি রুমে ঢুকেই আমার দিকে তাকাল। আমি একটু হাসি দিলাম। কিন্তু ও হাসল না। আমার মনটা খচখচ করে উঠল। ওর মুখটা কেমন যেন থমথমে হয়ে আছে। ওর কি মন খারাপ? কেন সে এমন করে আছে? কোন সমস্যা? কি সমস্যা? আমার আর বেশীক্ষণ চিন্তা করতে হলো না। কিছুক্ষণ পরে হেডস্যার আসলেন। তিনি সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বললেন, “খুব দুঃখের একটা ব্যাপার আছে, তা হলো কলি-র বাবা মানে আমাদের সম্মানিত UNO সাহেবের অন্যত্র বদলির আদেশ হয়েছে। তিনি আগামীকল্য এখান থেকে চলে যাবেন। এজন্য ওর পক্ষে এখানে পড়াশুনা করা সম্ভবপর হবে না। সে তোমাদের কাছে বিদায় নিতে এসেছে। তোমরা...”।

স্যারের কোন কথা আমার কানে যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে কেউ যেন আমার কানে গরম শিসা ঢেলে দিয়েছে। আমি ভাল করে বসে থাকতে পারছি না, এমনকি কলি-র দিকে তাকাতেও পারছি না। আমার চারপাশটা কেমন যেন ঘুরছে। জগতের কোন শব্দই আমার আমার কানে ঢুকছে না। হঠাৎ দেখলাম, কলি কথা বলছে। ও সবার কাছে বিদায় নিচ্ছে। ও আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলছে। আমিও ওর দিকে তাকিয়ে আছি। এক সময় শেষ হলো ওর কথা।

... আস্তে আস্তে ও চলে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই ও আমাদের দৃষ্টির বাইরে চলে যাবে। ও শেষবারের মতো আমার বা আমাদের ক্লাশের দিকে তাকালো। আমার তখন মনে হতে লাগলো “এটাই কি জীবনের শেষ???”

*********
প্রিয় বন্ধুরা, সত্যি সত্যি ওটাই ছিল ওর সাথে আমার/আমাদের শেষ বিদায়। বড় হয়ে জেনেছি সব বিদায়ই খন্ড খন্ড মৃত্যুর সমান। কলির কাছ থেকে বিদায় নেয়া যেন পুরো একটা অনুভূতির অকাল মৃত্যু ছিল। সেই মৃত্যুসম বিদায়ের ধাক্কা আমাকে বহু বছর বয়ে বেড়াতে হয়েছে।

যাক, জীবনে ধুমকেতুর মত করে আসা আমার অতি প্রিয় ঐ বন্ধুটিকে আজোও ভুলতে পারিনি। আমি আজো বিশ্বাস করি কলির সাথে আমার অবশ্যই দেখা হবে। কবে, কিভাবে জানিনা। তবু কেন যেন মনে হয় আবার দেখা হবে। যেখানেই থাকো, যেভাবেই থাকো, ভাল থেকো বন্ধু।।

---শেষ---

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: বেশ ভাল লেগেছে।
+++

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনাকে আবারো দেখতে পেয়ে ভাল লাগল।

সাথে থাকার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ও ভাই এইটা কী শুনাইলেন। এইটা তো প্রেমের চাইতেও বেশি কিছু। মুগ্ধ পাঠ। প্রেরণাদাত্রী কলির সাথে আবার আপনার দেখা হোক।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হ্যা, মোর দ্যান আ প্রেম!

বেচারিকে আর খুজে পাইলাম না। এখনো ওর কথা মনে পরে।

আমার বিশ্বাস ওর সাথে কোন একদিন আমার ঠিক দেখা হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন।
সাথে থাকার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: স্কুল জীবনে মোটামোটি মানের ছাত্র হিসাবে কিছু ফুল ও কলি এসেছিল, তবে পড়ায় উত্সাহ্তে না , নির্মল ছেলেবেলার খেলার সঙ্গী হিসাবে , অনেকগুলার মধ্যে এখনো একজনের কথা মনে পড়ে। কি কেয়ারিং ছিল সে ওদের বাসায় আমাকে ঘুম পারাত, আর আমি বেকুফের মত ঘুমাতাম , এ বেলায় এসে মনে তার জন্য কিচ কিচ করে যখন। ............. না থাক গল্প এখানেই শেষ করি।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আহা! কি শান্ত, সুবোধ ছিলেন আপনি। ও হ্যা, কিচ কিচ করার কথা জানিয়ে দেন, সুযোগ থাকলে।

সত্যি কথা বলতে কি, আমারও দু'একজন 'চালু' বান্ধবি ছিল যারা আমাকে একটু ভিন্ন রকম কেয়ার করত। ওরা যে আমাকে ভিন্নরকম ভাবে ভাবত/চাইত এই 'অতি গোপন' তথ্যটি আমি আবিস্কার করতে পেরেছি প্রাইমারী ছাড়ার কমপক্ষে ১০ বছর পর!! বোঝেন ঠ্যালা।

এখন কারো কারো সাথে যোগাযোগ আছে। তবে শুধু স্কুল বন্ধুরুপে।

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫২

বক্রহীন বলেছেন: বিয়ের আগে বা পরে, অন্য নারী বা পুরুষের সাথে বিনা প্রয়োজনে বা অযাচিত ভাবে কথা বলাটা হল প্রথম পযায়ের নষ্টামো যার থেকে সকল নষ্টামোর উৎপত্তি

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: এখানে নস্টামি দেখলেন কোথায়?

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
বড় হয়ে জেনেছি সব বিদায়ই খন্ড খন্ড মৃত্যুর সমান।
কলির কাছ থেকে বিদায় নেয়া যেন পুরো একটা অনুভূতির অকাল মৃত্যু ছিল।


দারুণ লিখেছেন ভ্রাতা, কিছু কিছু ঘটনা কখনই ভোলা যায় না। ভালো আছেন আশা করি । +++

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

ইছামতির তী্রে বলেছেন: কেমন আছে ভাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন।

হ্যা, সত্যি কিছু কিছু ঘটনা কখনই ভোলা যায় না। আমিও ওকে ভুলিনি এই লেখাই তার প্রমাণ।

মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বেশ লাগলো। কলি যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: কলি যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক।

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.