নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাঁচ মিশালীঃ পর্ব- ০৩

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

আমার ফেসবুক পেজে দেয়া কিছু স্ট্যাটাস আপনাদের সমীপে শেয়ার করলাম। আজকে দিলাম এর ৩য় পর্ব। ভাল লাগলে জানাতে ভুলবেন না।

১. দেশপ্রেম

দেশ নিয়ে আমাদের যে আবেগ তার তুলনা দুনিয়াতে বিরল। পাকিস্তানের মত একটা দেশের খুবই প্রশিক্ষিত বিরাটাকারের একটা সেনাবাহীনিকে আমরা যে মাত্র নয় মাসে পরাস্ত করেছিলাম-তার পেছনেও লুকিয়ে ছিল প্রচন্ড আবেগ। অতি সম্প্রতি এস এ গেমসে ভারোত্তলনে দেশকে প্রথম সোনার পদক এনে দেওয়ার পর পেডিয়ামে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেললেন নারী ভারোত্তোলক মাবিয়া আকতার সীমান্ত। মাবিয়ার কান্না সংক্রামক রোগের মত ছড়িয়ে পরেছে গোটা বিশ্বের সমস্ত বাংলাদেশীর হৃদয়ে। মাবিয়ার কান্নায় কাঁদেনি এমন মানুষ কমই আছে। এর সবকিছুর মূলে ছে দেশপ্রেম ও প্রচন্ড আবেগ।

এমন দেশপ্রেম এবং প্রচন্ড আবেগ থাকা সত্ত্বেও আমরা কেন পিছিয়ে আছি-এ এক বিরাট গবেষণার বিষয়।

২. বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন

কয়েক বছর হলো জাতীয় পরিচয়পত্র করেছি। সেখানে আঙ্গুলের ছাপসহ চৌদ্দ-গুষ্ঠির তথ্য দিতে হয়েছিল। কিছুদিন আগে ম্যাডাম তারানা হালিমের হয়ে মোবাইল অপারেটর কোম্পানীরা বলল, ‘নতুন করে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন করুন’। বোনাস হিসেবে সাথে আঙ্গুলের ছাপও দিতে হবে। এটা এখনও করা হয়ে ওঠেনি। আর এখন পুলিশ বন্ধু(?) বলছেন, ভাড়াটিয়াদের পরিচয়পত্র, জীবনবৃত্তান্ত, অভিভাবকের পরিচয় ও যোগাযোগের বিস্তারিত ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে’। এরা এত এত তথ্য দিয়ে কি করবে??

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, পাসপোর্ট তৈরির সময়ও আমাদেরকে হরেকরকম তথ্য দিতে হয়/হয়েছে। মানছি নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলো করা হচ্ছে। কিন্তু কথা হলো, এ সকল তথ্য একমাত্র রাষ্ট্র ছাড়া কারো কাছে থাকাই নিরাপদ নয়। রাষ্ট্র শুধু এসব তথ্য ডেটাবেজের মাধ্যমে রক্ষা বা স্টোর করবে। প্রয়োজনে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান রাস্ট্রের কাছ নিয়মমাফিক থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।

আমাদের পুলিশকে তথ্য দিতে অথবা বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে আপত্তি নেই। কিন্তু সরকার মহাশয় এনশিওর করতে হবে যে, তারা ছাড়া আর কেউ কোনো পাবলিক ইনফরমেশন স্টোর করছে না। সরকারকে এটাও বলতে হবে যে, জনগণের আঙ্গুলের ছাপ অন্য তথ্য নিয়ে তৃতীয় পক্ষের কেউ যেন অপব্যবহার না করেন।

৩. রিজার্ভ চুরি

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ডলার চুরি হয়েছে। বিদেশি হ্যাকারদের মাধ্যমে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।

‘লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়’ এর মত করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে 'রিজার্ভ-এর ডলার হ্যাকারে খায়"। আর একটা কথা, হয়েছে চুরি, বলা হচ্ছে হ্যাকিং-কেন???

৪. প্রকৃতি ‘হঠকারী’দের ‘সাজা’ বড় নিষ্ঠুরভাবেই দেয়।

প্রকৃতি ‘হঠকারী’দের ‘সাজা’ বড় নিষ্ঠুরভাবেই দেয়। বাংলাদেশের এক সময়ে ৩ বলে দরকার ছিল মাত্র ২ রান। পরপর দু’টি চার মেরে মুশফিক ছিলেন আত্ববিশ্বাসী। মাত্র এক রান নিয়ে স্কোর লেভেল করাই ছিল সময়ের দাবী। কিন্তু তা না করে শুরু হলো চরমতম হঠকারীতা। ওভারের ৪ নম্বর বলে মুশফিক লো ফুলটস বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট; যার কোন দরকার ছিল না!! তবে আমরা তখনও আত্ববিশ্বাসী ছিলাম কারণ মাহমুদুল্লাহ আছে যে! কিন্তু আমরা বিস্ময়ভরা চোখে দেখলাম মাহমুদুল্লাহও একই হঠকারীতা দেখালেন! আসল শুভাগত হোম নামের এক ‘আবাল’। আমরা জানতাম সে একজন রিয়েল ব্যাটসম্যান। কিন্তু আবালটা কিছুটা বাইরের দিকে পিচ করানো বাউন্সার বলটা টাচও করতে পারল না। ম্যাচের লাস্ট বলে যেখানে মানুষ প্রয়োজনে মরার জন্যও প্রস্তুত থাকে সেখানে সে বলটার নাগালো পেল না। এই ব্যাটা কোন জাতের ব্যাটসম্যান!!!

যাইহোক, বাংলার দুঃখী মানষের জীবনে হয়ত আরেকটা দুঃখ স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিল। তবে এখনো যিনি/যারা কান্নায় বুক ভাসাচ্ছেন তারা ক্ষান্ত দেন। যে দলের সেরা একাধিক ব্যাটসম্যান থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৩ বলে দুই রান নিতে পারে না তাদের জেতার কোন অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না।

আমরা জানি দলের খেলোয়ারগণই বেশী কস্ট পাচ্ছেন। "এত কাছে তবু কত দূরে"!! তবু সুখে-দুঃখে তোমাদের সাথেই আছি টাইগার্স। আমরা আবারো গলা ফাটাবো; হয়ত কাদবও!!!

৫. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ

১৯৯২ সাল। স্কুলে পড়ি। হঠাত একদিন পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম যে, ভারতে হিন্দুরা ‘বাবরী’ নামের এক মসজিদ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। খবরটি বারুদের মত ছড়িয়ে গেল সবখানে। তখন আমাদের ক্লাশে এক হিন্দু বন্ধু ছিল। এই দেশে কোন চরম প্রতিক্রিয়া হবে কি-না সেই ভয়ে ও সহ অনেকেই অস্থির ছিল। আমরা ওকে অভয় দিলাম। তবু ওর ভয় কাটে না। পরে আমরা ওকে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে বাড়ি থেকে সাথে করে নিয়ে যেতাম আবার ফেরার পথে বাড়িতে রেখে আসতাম। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া অবধি এই ছিল আমাদের রুটিন কাজ। এভাবেই আমরা বহু শতাব্দী ধরে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে এই ভূখন্ডে বসবাস করে আসছি।

আল্লাহর দয়ায় ইসলাম বাংলাদেশে বৃহত্তম ধর্ম। এখানকার প্রায় ৯০.৪% লোক ইসলাম ধর্মাবলম্বী। এমন সংখ্যাঘরিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এদেশে সকল ধর্মের লোকজন নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করছেন। ধর্মের ভিত্তিতে কোন সংঘাত বাংলাদেশে নেই। বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন কোন হিন্দু রাষ্ট্রেও এত বিশাল পরিসরে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কারনেই তা পারছে। আমরা যখন মাগরিবের নামায পড়ি তখন হয়ত পাশের বাসা থেকে উলুধ্বনির আওয়াজ ভেসে আসে। এতে কারো তেমন অসুবিধা হয়না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মের লোকজন স্বাধীন ভাবেই তাদের ধর্ম-কর্ম পালন করছেন। কাজেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

এইরকম একটা দেশে আজ একটি চক্র ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র কথা বলে রাস্ট্রধর্ম থেকে ইসলামকে বাদ দেয়ার ষরযন্ত্রে লিপ্ত। এটা অনেকটা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার অপপ্রয়াস বৈ কিছু নয়। মুক্তিযুদ্ধের আসল চেতনা প্রকাশ সেদিনই সম্ভব যেদিন রাস্ট্রীয় কোষাগার লুটসহ সমস্ত চুরি-বাটপারি, নানান প্রকার অসাধুতা থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্নের মধ্যে ‘চোরমুক্ত’ বাংলাদেশও ছিল। ‘ভারতরত্ন’দের উপদেশে কান না দিয়ে সরকারের উচিত বৃহত্তম জনগোষ্ঠির মতামতের দিকে গুরুত্ব দেয়া। অবশ্য ইতিমধ্যে আদালত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের রিট খারিজ করে দিয়েছে। মহামান্য আদালতের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

৬. মুশফিকের টুইটকান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেতার পর, "ভালো ঘুম হবে" লিখে পোস্ট দিয়ে বেচারা মুশি পড়েছে ভীষণ গ্যাড়াকলে। মুশফিকের সাথে আমার চিন্তার কি আজব মিল ছিল। কারণ সেদিন রাতে আমিও ভারতের হার দেখে চরমানন্দে ঘুমাতে গেছিলাম। কিন্তু আমার আবার আরামের ঠ্যালায় তেমন ঘুমই হয়নি। তবু পরের দিন ফেবুতে "ভালো ঘুম হয়েছে" জাতীয় কিছু লিখব বলে পরিকল্পনাও করেছিলাম। কিন্তু শেষমেষ লেখা হয়ে ওঠেনি। আর আমার বদলে মুশফিক সেই স্ট্যাটাসটা দিয়ে দিল!! আর যায় কোথায়!!

আচ্ছা, আপনাদেরও কি মুশফিকের মত অনুভূতি হয়েছিল?? যদি হয় তাহলে ত বলতে হবে মুশফিক গোটা দেশের অধিকাংশ মানুষের মনের কথাই বলেছে।

৭. ধামাচাপা

‘ধামা’ একটি বিশেষ্য পদ। ধামা হলো শস্যাদি রাখার বা মাপার জন্য বেতের তৈরি একপ্রকার পাত্রবিশেষ [ছবিতে দেখুন]। গ্রামের কৃষক ভাইদের কাছে ধামা বিশেষ প্রয়োজনীয় বস্তু। কিন্তু ‘ধামা’র সাথে ‘চাপা’ যোগ হলেই সব্বোনাশ! তখন এটি হয়ে ওঠে এক অব্যর্থ মারনাস্ত্র। একটু ব্যাখ্যা করি। ‘ধামা+চাপা’= ‘ধামাচাপা’ একটি বিশেষণ পদ। এর মানে ‘কোন কিছু লুকানো বা গোপন করা’। বিস্তারিতভাবে বললে, ‘অন্যায়ভাবে কোন বিষয় বা বস্তু লোকচক্ষুর আড়ালে নিয়ে যাওয়া’। এই ‘ধামাচাপা’ শাসককূলের নিকট তুমুল জনপ্রিয় এবং অতি প্রয়োজনীয় বিষয়।

বেতের তৈরী নিরীহ ‘ধামা’ কিভাবে শহরে এসে বিশাল বিশাল সব ঘটনা ‘চাপা’ দিয়ে দিচ্ছে তা ভেবে পেরেশান গোটা দেশবাসী।
মনে রাখবেন,

‘ধামা’ অবধি সব ঠিকঠাক
‘চাপা’ যোগ হলেই কিন্তু সাড়ে সব্বোনাশ!

৮. ফেরাউন বনাম ইবলিশ

ফেরাউন তার কৃত অসংখ্যা পাপ সম্মন্ধে সচেতন ছিল। একদা ইবলিশ শয়তান তার সম্মুখে এলে সে তাকে জিজ্ঞেস করল, “আমাদের দু’জনের মধ্যে কে বেশী পাপিষ্ঠ”?
শয়তান প্রত্যুত্তরে বলল “তুমি”।
ফেরাউন জিজ্ঞেস করল “কেন”?

শয়তান বলতে লাগল, “আমি খুবই শক্তিশালী; আমি মুহুর্তের মধ্যে যেখানে ইচ্ছে সেখানে অবাধে গমন করতে পারি। অগাধ ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও আমি আল্লাহকে দম্ভভরে বলেছিলাম, “আমি আদমের চেয়ে শ্রেষ্ঠ (আল কুরআন ৭:১২); কিন্তু তুমি, তোমার সকল দোষ-ত্রুটি ও দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও, মুসার (আঃ) কাছে দম্ভভরে ঘোষণা করলে, “আমিই তোমার সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন প্রভু”।

[রেফারেন্সঃ ‘Wit and Wisdom of Famous People’ লেখকঃ Murtahim Billah Jasir Fazile-পাতা-১৮]

ইদানিং আমাদের দেশের কতিপয় থু থু নিক্ষেপকারী ইতরের দল স্বয়ং আল্লাহকে কটাক্ষ করা শুরু করেছে। ওহে ইবলীশের অধম থু থু নিক্ষেপকারীর দল, তোমরা কি জান না থু থু উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা নিজের গায়েই এসে পড়ে?

৯. ভূমিকম্প ও আমরা

বিশ্বে গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচটি বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে; এতে বহু ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানী হয়েছে। মায়ানমারে আঘাত হানা ভূমিকম্পে বাংলাদেশও প্রবলভাবে কেঁপে উঠেছে। গত ছয় মাসে আমরা আরও বেশ কয়েকবার তীব্রভাবে কেঁপে উঠেছিলাম। তবে আমাদের ভাগ্য অতি সুপ্রসন্ন। কারণ ঐ সকল ভূমিকম্পের কোনটারই কেন্দ্র বাংলাদেশ ছিল না।

এটা সকলেরই জানা যে, একটা বড় মাত্রার ভূমিকম্প বাংলাদেশের ভেতরে বা কাছাকাছি আঘাত হানলে ঢাকা বা বড় শহরগুলো স্রেফ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে। কারণ ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের কোন প্রস্তুতি নেই। ফলে সাধারণ জনগণ মহান সদা মহান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে দিনাতিপাত করে। কেননা প্রকৃতির সর্বময় নিয়ন্তা তিনিই। এ জন্য হাটে-মাঠে-ঘাটে-বাসে-অফিস-আদালতে ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা হলে অধিকাংশ মানুষ প্রবল আস্থা ও বিশ্বাস সহকারে বলে ওঠেন, “আমাদের উপর আল্লাহর রহমত আছে। আল্লাহ আমাদের বড় কোন ক্ষতি হতে দিবেন না”। মানুষের এ হেন বিশ্বাসে ভরা আশ্বাসে আমিও আশ্বস্ত হয়ে উঠি। আর কায়মনোবাক্যে মহান আল্লাহর কাছে মিনতি করে বলি, “হে আমাদের প্রতিপালক! সকল অবস্থায় তুমি আমাদের সহায় থেকো”।

১০.

"জীবন তোমার বিষাদ সিন্ধু ,
কচু পাতার পানি ।
এক সেকেন্ডের নাই ভরসা ,
ফুরাবে তা জানি"

১১. বাংলার হালখাতা


ছোটবেলায় বাংলা নববর্ষের আগমন আমরা বুঝতাম ‘হালখাতা’র মাধ্যমে। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তাঁরা একটা দাওয়াতপত্রের মাধ্যমে নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানাতেন। দাওয়াতপত্রে আগের বছরের বকেয়ার পরিমাণ অবশ্যই উল্লেখ থাকত। এ উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা আগত অতিথিদের সম্মানে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়।

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে যে, সম্রাট আকবরের সময় থেকে আজ অবধি এটাই ছিল বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব। ঐ সময় মানুষের মনে ‘রঙ’ একটু কম ছিল বিধায় মেলার আয়োজন খুব একটা দেখা যায়নি। তবে এ দিনটিতে ভালো খাওয়া, ভালো থাকা এবং ভালো পরতে পারাকে তারা ভবিষ্যতের জন্য মঙ্গলজনক বলে মনে করত।

গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষেরা আজোও মূল বাঙ্গালী সংস্কৃতি ধারণ করে আছে।
আর আমরা শহরের তথাকথিত শিক্ষিত লোকজনেরা সেই আবহমান সংস্কৃতির সাথে মঙ্গল মঙ্গল শোভাযাত্রা, মঙ্গলপ্রদীপ যোগ করে পহেলা বৈশাখের বারোটা বাজিয়ে ছেড়েছি।

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

ঘুমের ঘোরে বলেছেন: ভালো লাগল

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধন্যবাদ কস্ট করে পড়ার জন্য। একটু বড় হয়ে গেছে।

ভাল লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। মন্তব্যের জন্য আবারও ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

প্রনীত দেব বলেছেন: বাঃ লেখাখান পইরা মনটা বেবাক ভালো হইয়া গেলো। খুব ভালো লেখা।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমার লেখা পড়ে আপনার মন ভাল হয়েছে জেনে খুব আনন্দ লাগছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

কল্লোল পথিক বলেছেন:


ভাল লেগেছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

ইছামতির তী্রে বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

কালনী নদী বলেছেন: ভালো আর্টিক্যাল+++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.