![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা গ্রহণ শেষে আমাদের দেশের বেশীরভাগ মানুষ একটা চাকুরীর প্রত্যাশায় থাকেন। প্রায় সকলেরই প্রধান উদ্দেশ্য থাকে একটা সরকারী চাকুরিতে যোগদান করা। কিন্তু বাস্তবিক কারণেই সবার ভাগ্যে সরকারী চাকুরি জোটে না। অগত্যা তারা বেসরকারী কোন চাকুরিতে নিজেকে নিয়োজিত করেন। সরকারী-বেসরকারী চাকুরির বাইরেও কেউ কেউ ভিন্ন পথে নিজেদের জীবন গড়েন। এরা নিজেকে চাকরিপ্রার্থী হিসেবে তৈরী না করে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই শ্রেণিকেই অধিক শ্রদ্ধা করি। কারণ তারা চাকুরির পেছনে না ছুটে নিজেই চাকুরি সৃষ্টি করে অনেকের ভাগ্য খুলে দেন। যাইহোক, আজকে আলোচ্য বিষয় অবশ্য চাকুরিজীবিদের নিয়েই; আরও স্পস্ট করে বললে, একজন উত্তম চাকুরিজীবির আবশ্যকীয় গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করা।
মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে চাকুরিজীবির সংজ্ঞাটা একটূ ঝালাই করে নেই। শিক্ষানবিশ সহ কোন ব্যক্তি, তাহার চাকুরির শর্তাবলি প্রকাশ্য বা ঊহ্য যে ভাবেই থাকুক না কেন, যিনি কোন প্রতিষ্ঠানে বা শিল্পে সরাসরিভাবে বা কোন ঠিকাদারের মাধ্যমে মজুরি বা অর্থের বিনিময়ে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরি, ব্যবসা উন্নয়নমূলক অথবা কেরানিগিরির কাজ করার জন্য নিযুক্ত হন তিনিই চাকুরিজীবি।
সহজ কথায়, অর্থের বিনিময়ে যে অন্যের কাজ করে দেয় সেই চাকুরিজীবি বা কর্মী। এজন্য অনেকে মজা করে করে চাকরকেই চাকুরিজীবি বলে থাকেন।
এবার মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাওয়া যাক। একটা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ-অদক্ষ দু’রকমের চাকুরীজীবীই থাকেন। যারা কাজে দক্ষ তারা যেকোন প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হন। আর যারা অদক্ষ তারা যেকোন প্রতিষ্টানের ‘বোঝা’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। একজন দক্ষ চাকুরিজীবি হতে হলে কি কি গুণাবলী থাকা আবশ্যক? আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে তা নিম্নরুপঃ
যোগ্যতা ও সক্ষমতাঃ প্রথমেই দরকার কাজের উপযুক্ততা। মানে কেউ কোন কাজে যোগদান করতে চাইলে সেই কাজ করার যোগ্যতা বা সক্ষমতা তার আছে কি না অবশ্যই প্রতিষ্টানের কাছে প্রমাণ করতে হবে।
সততাঃ ‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’। কাজে-কথায়-আচরণে তা প্রমাণ করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের দেশে প্রচলিত একটা কথা আছে, ‘আর্থিক ও নারীঘটিত কেলেংকারী ব্যতিত চাকুরী যায় না। কথাটা সত্য।
ইতিবাচক মনোভাবঃ খুব জরুরী একটি গুণ। একটা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। সকল প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা জরুরী। এটি চাকুরিজীবিকে সফলতার পথে নিয়ে যায়।
নির্ভরযোগ্যতাঃ- একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বহুবিধ দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে। সেগুলো যথাযথভাবে পালন করাই তার মূল কাজ। অর্পিত দায়িত্ব সূচারুরূপে পালন করে প্রতিষ্ঠানের কাছে নিজের নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।
আন্তরিকতাঃ- যেকোন কাজে আন্তরিকতা থাকা আবশ্যক। আন্তরিকতাহীন কাজ কখনোই নিখুত হয় না। তাই অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরুপে পালনে যথেস্ট আন্তরিকতা থাকতে হবে।
প্রো-একটিভ এটিচ্যুডঃ- ‘বস কাজ দিলে করি, অন্যথায় বসে থাকি’ মনোভাব আপনাকে গতানুগতিক চাকুরীজীবীতে পরিণত করবে। আপনাকে সক্রিয় মনোভাব দেখাতে হবে; স্ব-উদ্যোগী ও সৃজনশীল হতে হবে। এতে প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। যদিও আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে এই গুণটি অনেকের কাছে হিংসার পাত্র করে তোলে।
টীম-ওরিয়েন্টেডঃ- একটা প্রতিষ্ঠানে নানা মন-মানসিকতার মানুষ একসাথে মিলেমিশে কাজ করে। সবার মধ্যে পারস্পারিক বোঝাপড়া থাকতে হবে অন্যথায় বিশৃঙ্খ্ল পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে। কাজেই দলবদ্ধভাবে মিলেমিশে কাজ করার মনোভাব অবশ্যই থাকতে হবে।
যোগাযোগে দক্ষতাঃ- বলা হয়ে থাকে সুন্দর করে কথা বলা একটা শিল্প। যেকোন মূল্যে এই শিল্পকে রপ্ত করতে হবে। আপনার প্রস্তাব/কথা সুন্দর ও প্রাঞ্জল ভাষায় অথোরিটির কাছে তুলে ধরতে বিশেষ দক্ষ হতে হবে।
পারস্পারিক সদ্ভাবঃ- ব্যক্তিগত পর্যায়ে অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের সাথে ভাল সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিকল্প নাই। কেউ যদি একে ‘ওয়েলিং’ বলেন তবে আপত্তি নেই। হাহা
প্রশংসা করতে হবেঃ কেউ যদি ভাল কাজ করে তবে তাকে অবশ্যই প্রশংসা করতে হবে। এতে করে কাজের প্রতি তার উৎসাহ আরও বাড়বে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে কাজের প্রশংসা খুবই কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
এসবের বাইরেও বুদ্ধিমত্তা, দায়িত্বশীলতা, আত্ববিশ্বাসী, নম্র-ভদ্র, উচ্চাকাংখা, সময়ানুবর্তিতা, লিডারশীপ কোয়ালিটি, কঠোর পরিশ্রমী, সংযমী, সুসংগঠিত, নমনীয়তা ইত্যাদি বিষয়গুলোও রপ্ত করতে হবে।
এখন হয়ত অনেকেই ভাবছেন, ‘এত্ত কিছু লাগে’? মনে রাখবেন, বাজার থেকে টাকা দিয়ে কেউ কখনো ‘পচা মাল’ কেনে না। তাছাড়া উপরিল্লেখিত গুণাবলীসমূহের মধ্যে অনেকগুলোই সহজাত। আর বাকীটা শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ধীরে ধীরে রপ্ত হয়ে যাবে। অতএব, সবার উচিত অফিসের ‘বোঝা’ না হয়ে সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হওয়া।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতায়ঃ চাকুরিজীবির সংজ্ঞা একটি অনলাইন লিঙ্ক থেকে নেয়া; ছবিগুলো গুগল থেকে নেয়া।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
পালক পালক বলেছেন: শিক্ষনীয় পোস্ট। ভাল লাগল।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আপনাদের কিছুটা কাজে লাগলেও আনন্দ পাব।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: এগুলো বলা বা লেখা সহজ কিন্তু একজন বেকারকে চাকরি দেয়া সহজ নয়।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
ইছামতির তী্রে বলেছেন: একমত। একজনকে চাকরি দেয়া সত্যি ভীষণ কঠিন। তবে আমার এই লেখাটা চাকরি পাবার পরের বিষয় নিয়ে।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনার এই পোস্ট বেকারদের কাজে আসুক।
ও চাকরীজিবীদের উপকারে আসুক।
ধন্যবাদ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এক কথায় পোস্টের উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
আটলান্টিক বলেছেন: ব্যবসা ছাড়া জাতির গতি নাই
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
ইছামতির তী্রে বলেছেন: হুম, ব্যবসা একটা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি ব্যবসায়ীদের শ্রদ্ধা করি। তবে সবাই তো আর ব্যবসা বোঝে না। যারা এমন তাদের জন্য চাকরিই ভরসা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: চাকুরী পেয়েনি তারপর।
অনুসরন করবো্।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৮
ইছামতির তী্রে বলেছেন: ঠিক পেয়ে যাবেন। কাজে মনোযোগী হলে উন্নতি অবশম্ভাবী।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একটা কথা হলো কি, তেল মালিশ ছাড়া আজকাল কোনো উন্নতি হয় না
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
ইছামতির তী্রে বলেছেন: অপ্রিয় হলেও সত্য, তেল মালিশ ছাড়া আজকাল উন্নতি করা কঠিন। তবু দক্ষ লোকের দাম সব সময়ই আছে, থাকবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭
মোঃ ইয়াসির ইরফান বলেছেন: ভালো করেছেন শেয়ার করে।
কাজে লাগতে পারে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
ইছামতির তী্রে বলেছেন: আমার বিশ্বাস, ভবিষ্যতে এটা অবশ্যই কাজে লাগবে। নিজেকে সেই ভাবে তৈরী করুন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।