নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আম জনতার একজন।

ইছামতির তী্রে

I have a dream.

ইছামতির তী্রে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা মানে জাস্ট ‘ওয়াও’ মা মানেই ‘ওয়ান্ডারফুল\'!

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

সবচেয়ে ভোরে ঘুম ভাঙ্গে কার? মায়ের
সবচেয়ে পরে ঘুমান কে? মা
সবচেয়ে বেশী পরিশ্রম করেন কে? মা
সবচেয়ে কম বিশ্রাম নেন কে? মা
সবচেয়ে পরে খান কে? মা
মাছের সবচেয়ে ছোট টুকরোটি খান কে? মা
সবচেয়ে বেশী আবদার শোনেন কে? মা
সবচেয়ে কম আবদার করেন কে? মা
সবচেয়ে বেশী চোখের পানি ফেলেন কে? মা
সবচেয়ে কম হাসেন কে? মা
সবার খেয়াল রাখেন কে? মা
সবচেয়ে কম খেয়াল রাখা হয় কার? মায়ের
সবচেয়ে কম খরচ করা হয় কার জন্য? মায়ের

এভাবে আরও অনেক উদাহরণ টানা যাবে। কিন্তু কোন কিছু দিয়েই পরিবারে একজন মায়ের ভূমিকা, অবদানের ১% ও বোঝানো যাবে না। মায়ের কাজের যেমন সীমা-পরিসীমা নেই তেমনি এর কোন মূল্য নিরূপণ করাও অসম্ভব। জীবনভর সেবা দিলেও তা পরিশোধ হবার নয়। এক মা ভক্ত সাহাবী মায়ের অনেক সেবা করার পর নবীজীর (সাঃ) কাছে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি কিছুটা হলেও মায়ের ঋণ পরিশোধ করতে পেরেছি’? নবীজী (সাঃ) বললেন, ‘মায়ের একটা দীর্ঘশ্বাসের মূল্যও পরিশোধ হয় নি।



কাজেই মা মানে জাস্ট ‘ওয়াও’ মা মানেই ‘ওয়ান্ডারফুল’। মা হলো চোখের মণি, মা থাকবেন সকল সন্তানের অন্তরে। এমনই মায়ের সম্মান। এ সম্মান ও মর্যাদা স্বয়ং আল্লাহই বাড়িয়ে দিয়েছেন। কতটুকু সম্মান? মা-ই সন্তানের বেহেশত এবং দোযখ। ইসলাম নারীদের সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদা দিয়েছে মা হিসেবে।

তবে নারী কি শ্রেষ্ঠ শুধু মা হিসেবেই? না। একজন স্ত্রী হিসেবেও নারী অনন্য। স্ত্রী হিসেবে সে সকল দায়িত্ব পালন করে। সংসারে সে একাই একশ। জীবনের সকল ঘাত-প্রতিঘাতে একজন স্ত্রী তার স্বামীর অনুপ্রেরণা ও আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। স্ত্রী একটা পরিবারের অলংকার।

কন্যাও হিসেবেও নারী অনেক সম্মানের। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘মেয়ে শিশু বরকত (প্রাচুর্য) ও কল্যাণের প্রতীক।’ একজন মেয়ে পিতা-মাতার জন্য জীবনও দিতে পারে। বাস্তবতার বিষক্রিয়ায় বহু পুত্র পিতা-মাতার ছায়া থেকে সরে যায়। কিন্তু কন্যা কখনো তা করে না।

একজন বোন হিসেবেও সে অতুলনীয়। গোটা জীবন সে ভাইদের ভালবেসে যায়। ভাইয়েরা ভুলে গেলেও বোনেরা কখনো ভোলে না।
এভাবে মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, কন্যা হিসেবে, বোন হিসেবে মোটকথা সকল ভূমিকাতেই একজন নারী অতুলনীয়। এতকিছুর পরেও আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারীদের অনেক অবমাননার স্বীকার হতে হয়। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে এটা সবার লজ্জা।

নারীকে সম্মান করা কোন ‘দায়’ না। এটা অবশ্য কর্তব্য। হাদিসে এসেছে, ‘নারীকে সম্মান করার পরিমাপের ওপর ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদার বিষয়টি নির্ভর করে’।

আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এ বারও বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।



এবারের নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বা স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে “সময় এখন নারীর : উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরের কর্ম-জীবনধারা”।

দুনিয়ার সকল নারীকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

ওমেরা বলেছেন: দিবস টিবস দিয়ে কি আর কিছু হয়!! যদি মানুষের ভিতর নৈতিকতা না থাকে ।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

ইছামতির তী্রে বলেছেন: আসল কথা বলেছেন। আগে নৈতিকতা উন্নত করতে হবে।

ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙালি পুরুষের আসলে মানুষ হওয়া উচিত।

১১ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

ইছামতির তী্রে বলেছেন: হুম। এর কোন বিকল্প নেই। বাঙালি পুরুষ আর কোথাও না পারলেও বউয়ের উপর খুব পারে।

ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.