![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের নতুন পরিচয় মিলেছে। এর ফলে দেশ, দেশের নাগরিকের সম্মান ও মর্যাদা বাড়বে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য শুভ সংবাদ। তবে এই ঘোষণার ফলে একদিকে বাংলাদেশের সামনে যেমন নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরী হবে তেমনি নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। যথা:
রপ্তানী আয়ঃ
চ্যালেঞ্জেঃ বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ের ক্ষেত্রে, বিশেষ তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে বড় ধরণের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা কমে যাওয়ার প্রভাব সবচেয়ে বেশী পড়বে পোশাক শিল্পের ওপর।
সম্ভাবনা ও সুযোগঃ তবে ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, বন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি, সঠিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সুষ্ঠ ও নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি খাতের নিশ্চয়তা পেলে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মত বাংলাদেশও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারবে।
বৈদেশিক ঋণঃ
চ্যালেঞ্জেঃ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে আগের মত সহজ শর্তে বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য পাবে না বাংলাদেশ। থাকবেনা বিদেশী ফেলোশিপ, স্কলারশিপ. প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা।
সম্ভাবনা ও সুযোগঃ তবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ভাবমূর্তি উন্নয়নের ফলে বৈদেশিক ঋণ পাওয়া সুবিধাজনক হতে পারে।
প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগঃ
চ্যালেঞ্জেঃ যেসব দেশ এখন পর্যন্ত স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের অধিকাংশের ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধির হার, বৈদেশিক সাহায্য ও বৈদেশিক আয় কমেছে।
সম্ভাবনা ও সুযোগঃ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আরো উৎসাহী হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যাইহোক, আমি ব্যক্তিগতভাবে সব সময় অন্যের কাছে ‘হাত পাতার’ বিপক্ষে। যত কষ্টই হোক, এই অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত। আমি খুব আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা সেটা পারব। বাংলাদেশে সমস্যার অন্ত নেই। তবু বহু সূচকে আমাদের অর্জন আশাপ্রদ। তাছাড়া অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে তিনটি সূচকের সবকটি পূরণ করে পরবর্তী ধাপে উন্নীত হয়েছে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাউন্সিলের মানদণ্ডে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ ডলার। বাংলাদেশের সেখানে রয়েছে ১ হাজার ২৭১ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে প্রয়োজন ৬৬ বা এর বেশি। বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২.৯।
এছাড়া অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে হতে হবে ৩২ বা এর কম। সেখানে বাংলাদেশের আছে ২৪.৮ শতাংশ। তিন সূচকেই বেশ ভালো করেছে বাংলাদেশ।
তবে এখনই চূড়ান্ত হচ্ছে না উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। এর জন্য আগামী তিন বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল পর্যন্ত এ দেশকে পর্যবেক্ষণে রাখবে সিডিপি। উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রেখে তাতে উত্তীর্ণ হলেই ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিলবে বাংলাদেশের।
তবে এখনই এত উল্লাসের কোন কারণ ঘটেনি। উন্নয়নশীল দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, যে কাঠামো বাংলাদেশে ক্ষীণ। এমন রাষ্ট্রের পরিচয়ে নতুন আরও কিছু সমস্যা যোগ হবে। এগুলো মোকাবেলা করাই হচ্ছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
শেষকথা, সকল প্রতবন্ধকতা পেরিয়ে সোনার বাংলা একদিন উন্নত দেশের তালিকায় নাম লেখাবে এই আশা করি।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ বিবিসি বাংলা এবং কয়েকটি অনলাইন প্রতিবেদনের আলোকে।
©somewhere in net ltd.