নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা দেখেও না দেখার ভান করি, আজ থেকে চলুন তাই দেখি।

রিয়াদ আল সাহাফ

রিয়াদ আল সাহাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোর

৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৩১

চোর ধরা পড়েছে! চোর ধরা পড়েছে!

আব্বার বা হাতের তর্জনীটা ধরে চোর দেখতে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম চোর মনে হয় চিড়িয়াখানার কোন প্রাণী। কে চোর হয়, চোর কেমন হয় কোন ধারণাই ছিলো না।

আচ্ছা, চোর কি জ্বীন, পরী জাতীয় কোন কিছু, নাকি ইদুরের মতো ছোট্ট কোন প্রাণী? এরকম কিছুই হওয়ার কথা। নাহলে বন্ধ ঘরের ভিতরে ঢুকে চুরি করে কিভাবে?

বাস্তবে যখন চোর দেখলাম তখন আমি একেবারেই আশাহত। ওমা! চোর তো দেখি, জ্বীনও না, ইদুরও না। একেবারে রক্তে মাংশে গড়া মানুষ।

চুরি করা তো শুনেছি অনেক খারাপ কাজ। তাহলে মানুষই চোর! মানুষ এতো খারাপ কাজ করতে পারে!

সেই থেকে মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস উঠা শুরু হলো। আস্তে আস্তে বড় হলাম আর এই অবিশ্বাস আরোও গাড় হতে শুরু করলো আর সেই সাথে মানুষের উপরও বিশ্বাস কমতে লাগলো। এখনতো দেখি পৃথিবীর সকল খারাপ কাজ মানুষই করে থাকে!

পরিচিত বন্ধুটি তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ব্রেক-আপ করে হাসতে হাসতে বলে, "দোস্ত, আগেই খায়া দিসিলাম। আজকে ব্রেক-আপ করলাম।" আমি ভাবি, মানুষ আবার মানুষকে খায় কিভাবে। (কেউ আবার কমেন্টে বা ইনবক্সে আমাকে বুঝেতে আসবেন না যেন খায়া দেয়া মানে কি।)

এক পরিচিত মেয়েকে দেখলাম বয়ফ্রেন্ড ছেড়ে অন্য এক লোকের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে ঘোরাঘুরি করছে। জিজ্ঞেস করলাম, "ইনি কে?" স্মার্টলি উত্তর দিলো, "তেমন কেউ না। জাস্ট ফেসবুকে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব। বুঝোই তো, সিঙ্গেল একজনের সাথে পুরো লাইফ কাটানোটা কতটা বোরিং!"

না, মেয়েটা আমাকে ডিরেক্ট এই উত্তর দেয়নি। কিন্তু, যা বলেছে তার মানে এটাই দাড়ায়। আমি বুঝলাম।

এক আঙ্কেল আছেন, বড় এক অফিসের বড় এক কর্মকর্তা তিনি। পরিচিত একজনের চাকরীর জন্য সুপারিশ করলাম। লাখ তিনেক টাকা ম্যানেজ করতে বললেন। বললেন, "বুঝোই তো, উপরে নিচে অনেক দিকেই ম্যানেজ করতে হবে।"

আমি বুঝলাম। উনি নিজেই যেখানে অফিসের সর্বেসর্বা তখন উনার উপরে কে আছে আর নিচেই কাকে ম্যানেজ করার প্রয়োজন আছে।

চোর ধরা পড়েছে! চোর ধরা পড়েছে!

হ্যা, শুধু এই ছিচকে চোর গুলোর শাস্তিই হবে। আর কারো না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫১

প্রামানিক বলেছেন: চোর নিয়ে ভালো লিখেছেন।

নিচে আমার লেখা ছড়ার কয়েকটা লাইন দিয়ে দিলাম।

চান মিয়া করে চুরি
সাংসারিক অভাবে।
গতরাতে চুরি হলো
সাড়ে তিনশো বস্তাা
রিলিফের গম বলে
দামে অতি সস্তা।

চেয়ারম্যান সব নিল
কিছু দিল অফিসে
মূল কাগজ রেখে দিয়ে
জমা দিল কপি সে।
নীতিতে উভয়ই চোর
চোর দেশের আইনে
চেয়ারম্যানরা বৈধ হয়
কর্মকর্তার সাইনে।

৩১ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: ছড়াটা সুন্দর। ধন্যবাদ জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.