![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।
বাংলা সাহিত্যের একটি অনেক বিখ্যাত উক্তি দিয়ে আজকের পোস্ট শুরু করব... ভারতচন্দ্র রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল থেকে গৃহীত সেই উক্তিটি হচ্ছে “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”... কথাটা কিন্তু অনেক সাধারণ কিন্তু অসাধারণ কিছু অর্থ বহন করে... তাই নয় কি?? একটি সন্তান বা শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন তাকে মানুষের মত মানুষ বানাতে তার বাবা মা বাদেও পারিপার্শ্বিক সমাজের দায়বদ্ধতা নামের একটি element লাগে... কিন্তু এই ভবিষ্যৎ সমাজের উত্তরসূরিদের কি আমরা নিরাপত্তা নামের element টা দিতে পারছি??? শুধু পশ্চিমা বিশ্ব, আফ্রিকা বা প্রাচ্য নয়, আমাদের সমাজেও কি এই বাচ্চাগুলো নিরাপদ?? এর উত্তর... “নিরাপদ নয়”। Child abuse এক গুপ্ত সামাজিক অপরাধ যা আর দশটি গুরুতর অপরাধের মত অহরহ ঘটছে...... কিন্তু পক্ষান্তরে এর আইনি শাস্তি দেশ থেকে দেশান্তরে অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ের... একটি সন্তান কি তার মা বাবা বাদেও সমাজের সম্পদ নয়?? আমরা কি পারিনা সবাই মিলে তাদের assurance দিতে “তুমি নিরাপদ” এই সমাজে ??? উত্তরটা কিন্তু ultimately কারও জানা নেই......... আজকের মুভি review টা এরকমই একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে...South Korea তে “Dogani Bill” নামের এক বিলও শেষ পর্যন্ত পাস হয়েছে ২০১১ সালে এই সত্যি ঘটনার প্রতিবাদে।
Crucible/ Silenced 2011 (Korean Title: Do-ga-ni)
IMDB rating: 7.9/10
Genre: Drama/Crime
Cast: Yoo Gong, Yu-mi Jeong, Hyeon-soo Kim
You tube link: https://www.youtube.com/watch?v=pfHsRI-0LK0
“Silence is only frightening to people who are compulsively verbalizing.”
কখনও কখনও নিস্তব্ধতার মাঝেও অনেক গভীর সত্য লুকিয়ে থাকে... Kang In-ho একটি নতুন চাকরি পায় art teacher হিসেবে... একটি বোবাদের স্কুলে। চাকরিটি তার জন্য খুব প্রয়োজনীয় কারণ তার ছোট্ট মা- হারা একমাত্র মেয়ে অসুস্থ... স্ত্রীর আত্মহত্যার পর তাদের একমাত্র মেয়েকে দেখাশোনার ভার চলে যায় তার মায়ের উপর।সিনেমাটি কিছুটা parallel sequence এ শুরু হয়... একদিকে Kan In-Ho তার মায়ের সাথে কথা বলতে বলতে এবং গাড়ি চালাতে চালাতে Mu-jin এর পথে যায়... অপরদিকে দেখা যায় একটি ৩-৪ বছর বয়সী বাচ্চা ছেলে রেল লাইনের উপর দিয়ে বেখেয়ালে হাঁটছে ... এভাবে চলতে চলতে Kang In-Ho এর গাড়ির accident হয়, গাড়ি থেকে বের হয়ে সে দেখে এক নিরীহ হরিণ প্রজাতি ভুক্ত প্রাণী তার গাড়ির সাথে ধাক্কায় নিহত হয়েছে... অপরদিকে দেখা যায় সমসাময়িক সময়ে বাচ্চাটিও আগত রেল গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়...নিয়তির যেন এক অব্যক্ত পরিহাস দুই নিরীহ প্রাণের প্রতি!!! Accident হওয়ার ফলে In-Ho র গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়... সে স্থানীয় এক গ্যারেজে গাড়িটি নিয়ে যায়... সেখানে তার সাথে সাক্ষাত হয় এক পাগলাটে ধরনের কিন্তু friendly স্বভাবের Seo Yoo-jin এর সাথে। Seo Yoo-Jin এর সহায়তায় সে তার নতুন কর্মক্ষেত্রে আসে। তার নতুন কর্মক্ষেত্রে এসে সে তার নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আলাপে তৎপর হয় কিন্তু সে খেয়াল করে তার ছাত্র-ছাত্রীরা কিছুটা ভয় পাচ্ছে তাকে... দূরে দূরে থাকতে চাইছে। এভাবে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার সম্মুখীন হওয়ার পরে সে সারমর্মে এসে পৌছায় স্কুল এর পরিবেশ মোটেও স্বাভাবিক নয়... মানবরূপী কিছু হায়েনার আস্তানা বোবাদের সেই স্কুল। Headmaster থেকে শুরু করে faculty member পর্যন্ত সবাই সেখানে একই ক্রাইম এর অংশীদার... ছোট্ট বাচ্চাদের abuse এর শিকারে পরিণত করা, physically এবং sexually নির্যাতন তাদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। তার সাথে এই ঘৃণিত অপরাধ প্রতিহত করতে এগিয়ে আসে child abuse এর শিকার তিন ছাত্রছাত্রী Yeon-doo, Yoo-ri, Min-soo এবং মানবাধিকার সেই কর্মী Seo Yoo-jin. Kan In-Ho কি পারে বাচ্চাগুলোকে বাঁচাতে ?? ধরা পড়ে কি মানুষরূপী হায়েনাগুলো?? ছোট ছেলেমেয়ে গুলো কি ন্যায় বিচার পায়?? সিনেমাটির সব থেকে pathetic দিক হলো, সিনেমাটি ২০০০ সালের শুরুর দিকে এক hearing impaired দের school এর কিছু বাচ্চাদের সাথে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা... যার ঘটনা অবলম্বনে Gong Ji-young “Dogani” নামে একটি বই প্রকাশ করেছিল.....যার celluloid representation এই মুভি। Gwangju Inhwa School এর সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই মুভি দেখে শুধু এটুকুই মনে হয়েছে... Crime and Punishment এর ক্ষেত্রে “Birds of a feather flock together” কথাটা অনেক বেশি মানায়....বিচারের নামে পৃথিবীতে শুধু প্রহসন হয়... আর কিছু না....
এই সেই Gwangju Inhwa School……
Gwangju Inhwa School এর সেই ঘটনার কিছু newspaper link:
Click This Link
Click This Link
Click This Link
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
রিকি বলেছেন: টরেন্ট লিঙ্ক আমি সব সরিয়ে ফেলছি ভাই ...... সতর্ক করার জন্য ধন্যবাদ
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আর কমেন্ট রিপ্লাই করতে সবুজ রঙ এর একটা বাটন আছে, সেটাতে ক্লিক করতে পারেন।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
তূর্য হাসান বলেছেন: ভালো লাগা রইল।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৮
রিকি বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৯
শাহরিয়ার নীল বলেছেন: আজকেই নামাবো, ভাল লাগল রিভিউ।।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৭
রিকি বলেছেন: দেখবেন সিনেমাটা খুব বর্বর একটা সত্য ঘটনা উন্মোচন করে.....
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
সাম্প্রতিক সময়ে আপনার দারুন সব মুভি সংক্রান্ত রিভিউ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আশা করি সামনেও আপনার কাছ থেকে বিভিন্ন ভাষার ভালো ভালো মুভি গুলো সম্পর্কে জানতে পারব।
তবে একটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি - এখন থেকে মুভি রিভিউ দেয়ার ক্ষেত্রে অনুগ্রহ করে টরেন্ট লিংক দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা কপিরাইটের একটি বিষয় জড়িত থাকায় এই ধরনের টরেন্ট লিংক দেয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আমরা অনেক অভিযোগ পাচ্ছি।
তাই অনুরোধ রইল এখন থেকে মুভি রিভিউ দেয়ার সময় টরেন্ট লিংক দেবেন না। এই ক্ষেত্রে ভিন্ন কোন কৌশলের আশ্রয় নেয়া যেতে পারে।
এবং এই পোষ্টে উল্লেখিত টরেন্ট লিংকগুলো অনুগ্রহ করে সরিয়ে নিন।
ধন্যবাদ। অনেক শুভেচ্ছা রইল।