![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাছে আছে দেখিতে না পাও, তুমি কাহার সন্ধানে দূরে যাও। মনের মতো কারে খুঁজে মর, সে কি আছে ভুবনে, সে যে রয়েছে মনে।
"God sleeps in the minerals, awakens in plants, walks in animals, and thinks in man. "
কিছুদিন আগে Animal Planet চ্যানেল এ একটা program দেখছিলাম... ওখানে বিদেশী একজন লোক একটা ঘোড়ার কিছুটা অদ্ভুত ধরণে চিকিৎসা করছিল!! কিভাবে?? বলে রাখা ভালো, ঘোড়াটি Arthritis এ কষ্ট পাচ্ছিল... তার মালিক তাকে সেই ডাক্তার এর কাছে নিয়ে আসে। ডাক্তারটি treatment করে কি দিয়ে জানেন, বিভিন্ন ধরণের crystal দিয়ে... সে professional doctor কিন্তু treatment করে cosmic ray আর বিভিন্ন mineral crystal এর আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, বিচ্ছুরণ প্রভৃতি তত্ত্বের সাহায্যে! যার যা বিশ্বাস আর কি !! এই পাথর বা খনিজের আসলে ঠিক কবে থেকে ব্যবহার শুরু হয়েছে সঠিক করে হয়ত কেউ বলতে পারবে না... তবে এগুলো বিভিন্ন সভ্যতাতে বিভিন্ন ভাবে ভূমিকা রেখেছে। প্রাচীন কাল থেকে পৃথিবীতে বিভিন্ন বর্ণের খনিজ পদার্থ, রত্ন পাথর, gemstone বা যাদের ভূতাত্ত্বিক ভাষাতে mineral বলা হয়ে থাকে ব্যবহার হয়ে আসছে বিভিন্ন কাজে। কখনও কখনও এই mineral গুলো ব্যবহার হয়েছে পিগমেণ্ট হিসেবে, কখনও ব্যবহার হয়েছে রূপচর্চার কাজে, কখনও চিকিৎসাবিদ্যাতে, আবার কখনও শিল্পের কাজে। তো এরকম আসুন দেখে নেয়া যাক প্রাচীনকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিভিন্ন সমাজে, বিভিন্ন সভ্যতাতে ব্যবহার হওয়া কিছু mineral এর গাঁথা ----
1. Aetites:
একে Aquilaeus বা Eagle stone ও বলা হয়ে থাকে। এটি iron oxide এর তৈরি যেখানে কিছু পরিমাণে flint অথবা alumina র উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। দ্রুইড(Druid) সভ্যতার লোকেরা মনে করত এই পাথর ঈগলের পাকস্থলীর মধ্যে, গ্রীবা দেশে অথবা এটি ঈগলের বাসস্থানে থাকে... যে ধারণা অনুসারে এর নামই হয়ে গেছে Eagle stone!! প্রাচীন যুগে লোকে ধারণা করত, এই পাথর মৃগীরোগ সারাতে কাজে লাগে এবং গর্ভপাতের হাত থেকে রক্ষা করে...এ কারণে অনেকে সে সময় এটি গর্ভধারণের সময় তাদের বাহুতে বেঁধে রাখত... যাতে তারা একটি সুস্থ বাচ্চা ভূমিষ্ঠ করতে পারে!
2. Agate:
এর ব্যবহার ব্যাপক আকারে সুমেরীয়(Sumerian) সভ্যতায় দেখা যায়... তাদের সময় থেকে এটি পুরাকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাজানোর সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। Agate হল একধরণের quartz জাতীয় mineral যা অতি মসৃণ ধরণের হয়ে থাকে এবং সাধারণত এরা আগ্নেয় বা রূপান্তরিত শিলাতে পাওয়া যায়। অনেক সময় এদের সমুদ্র সৈকতেও পাওয়া যায়... যদিও তা খুব বিরল!
3. Alabaster:
এই mineral টিকে নিয়ে দ্বিমত রয়েছে... বর্তমানে Alabaster বলতে Gypsum শ্রেণীর mineral কে বোঝানো হয় কিন্তু প্রাচীন কালে Alabaster বলতে ছিল Calcite. প্রাচীন কালে পূর্ব প্রাচ্যে এটি ভূষণের কাজে ব্যবহৃত হত... মিসরীয়রা এই Alabaster দিয়ে বোতল, জার , এমন কি কফিন জাতীয় জিনিসও বানাত। পাতলা ভাবে কাটলে এটি স্বচ্ছ দেখায় বিধায়, অনেক সময় এটিকে আলোকসজ্জার কাজে অথবা তাদের বাড়িঘরে জানালা হিসেবেও ব্যবহার করত। Gypsum Alabaster এর প্রথম প্রচলন ঘটে Nagar এ... তৃতীয় শতাব্দীতে। তবে Gypsum Alabaster এর ব্যাপক ব্যবহার দেখা যায় প্রাচীন England এর নিদর্শনে..!
4. Amethyst:
প্রাচীন গ্রীকদের একধরণের বেগুনি বর্ণের পাথরের উপর অনেক বেশি আগ্রহ কেন্দ্রীভূত ছিল... এই বেগুনি বর্ণের পাথরটিকে তারা বলত “Amethustos”… যার অর্থ গ্রীক ভাষাতে- যা বিষের হাত থেকে রক্ষা করে! গ্রীকদের সেই Amethustos হল আজকের Amethyst… প্রাচীন কালে গ্রীক এবং রোমান জাতি এই Amethyst দিয়ে তাদের পানীয়ের আধার বানাত... এবং তারা এটিকে ধারণ করত এই বিশ্বাসে যে পাথরটি তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত মদ খাওয়া থেকে বিরত রাখবে! অপরদিকে মিসরীয়রা এটিকে গহনা বানানোর কাজে, এবং মোমের উপর খচিত সিল রূপে ব্যবহার করত...মধ্য ইউরোপের মানুষ প্রাচীন কালে যুদ্ধে যাওয়ার সময় এটিকে রক্ষাকবচ হিসেবে পড়ত। অ্যাংলো সাক্সন জাতি এই Amethyst তাদের প্রিয়জনদের মারা যাওয়ার পর কবরে সাথে দিয়ে দিত... কারণ তারা ধারণা করত এই Amethyst এর সাথে স্বর্গীয় কোন যোগাযোগ রয়েছে!
5. Antimony:
এটি সাধারণত সালফার যৌগ হিসেবে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়... এটিও প্রাচীন কালে ব্যবহৃত হত ভিন্ন রূপে। মধ্য পূর্ব প্রাচ্যে এটি চোখ সাজানোর উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হত যাকে “Kohl” বলা হত সেই সময়। যদিও এটি আর্সেনিকের খালাত ভাই (!!) বৈশিষ্ট্যে...মানে বিষাক্ত... তারপরেও পূর্বকাল থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে এর ব্যবহার রয়েছে antiprotozoan হিসেবে!
6. Aquamarine:
এটি হালকা নীল বর্ণের বেরিল জাতীয় mineral. মধ্য যুগে বিশ্বাস করা হত, এর বিষনাশক ক্ষমতা রয়েছে এবং নাবিকরা এটিকে তাদের সাথে সবসময় রাখত কারণ তারা বিশ্বাস করত... এটি তাদের নিরাপদ নৌ-ভ্রমণ সম্পন্ন করে তাদের দুর্যোগ থেকে বাঁচাবে ... এটিকে তারা বালিশের তলায় রেখে ঘুমাত! অনেকে আবার এও ধারণা করে, মৎস্যকুমারীর রহস্যের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে... এই Aquamarine এর কারণে মৎস্যকুমারীর দেহের নিম্নাংশ মাছের মত... প্রাচীন কাল থেকে এটি একটি উপকথা হয়ে বিবেচিত হয়ে আসছে কোন কোন দেশে!
7. Arsenic:
প্রাচীন কাল থেকেই এর ব্যবহার মূলত বিষ হিসেবে। সেই সময়ে পারস্য এবং তার আসে পাশের এলাকাতে আর্সেনিককে বিষের রাজা হিসেবে অভিহিত করা হত কারণ এর বিষক্রিয়া আস্তে আস্তে ঘটতে থাকত এবং কোন বড় ধরণের লক্ষণ ছাড়ায় মানুষ মারা যেত বিধায় এটি সেই মাপের বিষ ছিল সেই সময়ে। আর্সেনিক কেউ কোন উপায়ে গ্রহণ করেছে কিনা তা আবিষ্কার হয় ১৮৪০ সালে এসে, যে পরীক্ষাটিকে Marsh Test বলা হয়। এছাড়া আর্সেনিকের আরেকটি ব্যবহারও ছিল প্রাচীন কালে... ব্রোঞ্জ কে আরও মজবুত করতে তাতে আর্সেনিক মিশিয়ে দাওয়া হত!
8. Asbestos:
বর্তমানে এর বিষক্রিয়ার কারণে ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলেও(এর সংক্রমণে Asbestosis হয়ে থাকে)... পূর্বে তা কাপড় তৈরিতে ব্যবহৃত হত। সেই সময়েও এই Asbestos এর কারণে যে অনেকের মৃত্যু ঘটত তা মানুষ খেয়াল করেছিল, কিন্তু গুরুত্ব সেভাবে দেয়নি। রাজা শার্লেমেইন এর একটি টেবিল ঢাকার কাপড় বর্তমান পর্যন্ত সংরক্ষিত রয়েছে যা Asbestos এর তৈরি ছিল। পারস্য সভ্যতার মানুষ আবার এগুলো থেকে এক ধাপ এগিয়ে ছিল... তারা তাদের অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তাদের কাপড় চোপড় আগুন দিয়ে ধোয়া যায় এটি প্রদর্শন করত... কারণ তাদের কাপড় গুলো কাপড়ের বদলে Asbestos দিয়ে বানাত যা অদাহ্য !
9. Azurite:
অসম্ভব সুন্দর বর্ণের এই খনিজটি মধ্যযুগে ব্যবহৃত হত পিগমেন্ট হিসেবে। এই খনিজটি ফ্রান্স বা সাক্সনদের খনি থেকে উত্তোলন করা হত। এই Azurite মধ্যযুগের অনেক চিত্রকর্মের নীল বর্ণের উৎস ছিল বিশেষত ইউরোপে। জাপানিজদের বিভিন্ন শিল্পকর্মেও এর প্রচুর ব্যবহার পাওয়া যায় !
10. Bismuth:
Bismuth এর বর্ণের জন্য অনেক সময় একে Lead বা Tin এর সাথে গণ্ডগোল করে ফেলা হয়। প্রাচীনকাল থেকে এটিরও বিভিন্ন কাজে উপযোগিতা রয়েছে। ইনকা সভ্যতার লোকজন ব্রোঞ্জের সাথে বিসমাথ মিশ্রিত করে এক বিশেষ ধরণের অস্ত্র তৈরি করত। এছাড়াও এটি রূপচর্চার সামগ্রী এবং ওষুধ হিসেবে সেই প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে!
11. Carnelian:
এটিকে chalcedony গ্রুপের খনিজ বলা হয়ে থাকে... যা পুরোপুরি সিলিকন দিয়ে তৈরি হলেও iron oxide এর উপস্থিতির কারণে লাল বর্ণ ধারণ করে। ২০০০ বছর আগে এটি সাজসজ্জার কাজে ব্যবহৃত হত... এটি Signet ring তৈরিতেও ব্যবহৃত হত কারণ মোমকে সচরাচর পাথরে বসানো যেত না... ফলে মোমের পরিবর্তে Carnelian ব্যবহৃত হত। হিব্রু যাজকদেরদের কাছে Carnelian বা Sard অনেক মূল্যবান একটি পাথর হিসেবে বিবেচ্য ছিল এবং তারা এটিকে বর্ম সজ্জার পাথর হিসেবে পরিধান করত!
12. Cerrusite:
এটিকে ব্যবহারের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অষ্টম শতাব্দীতে... এটি রঙ হিসেবে ব্যবহৃত হত। রানী Elizabeth I -- Venetian Ceruse অর্থাৎ সাজসজ্জার অংশ হিসেবে এই Cerrusite ব্যবহার করতেন!
13. Cinnabar:
রোমান সাম্রাজ্যের লোকেরা প্রচুর পরিমাণে Cinnabar উত্তোলন করত কারণ এটি পিগমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হত যতটা না তার থেকে বেশি ব্যবহার করত লোকে একে মার্কারির আকরিক হিসেবে। Cinnabar থেকে অতি সহজে মার্কারি আলাদা করে নেয়া যায়। তবে Cinnabar এর বিষাক্ত ধর্মের কারণে এর খনিতে যারা উত্তোলনের কাজ করত তারা মারা যেত। ফলে অতি দ্রুত তারা এর ব্যবহার সীমিত করেও দেয়...এর সুন্দর বর্ণের জন্য ওলমেক(Olmec) এবং মায়ান (Mayan)- রা এটিকে ব্যবহার করত বিশেষত সমাধিস্থ কফিন এবং সমাধি রঙ করার কাজে কারণ এটির রং সেসব জায়গার সৌন্দর্যবর্ধনের সাথে সাথে নিরাপত্তা দিত কবরচোরদের হাত থেকে... কারণ Cinnabar দিয়ে করা রং জিনিস অদৃশ্য একটা বিষের অস্তিত্ব সাথেই রাখত! চাইনিজরা এই Cinnabar কে lacquer এর সাথে মিশিয়ে(যাতে এর বিষাক্ত ধর্ম হ্রাস পায়) রং করার কাজে ব্যবহার করত... এবং তারা এর একটি ঔষধি গুণও আবিষ্কার করেছিল! Byzantine সাম্রাজ্যে বিশপেরা সিঁদুর জাতীয় পদার্থের সাথে এই Cinnabar এর পাউডারের মিশ্রণ ব্যবহার করত!
14. Cymophane:
এটি Chrysoberyl এর একটি প্রজাতি যাকে আমরা চলতি ভাষাতে Cat’s eye বলে জানি। প্রাচীন কালে এটি অনেক মূল্যবান একটি পাথর ছিল যা গহনার কাজে ব্যবহৃত হত। শোনা যায়, Duke of Connaught ১৯ শতাব্দীর শুরুতে তার বাগদত্তাকে engagement ring হিসেবে এই Cat’s eye দিয়ে তৈরি একটি আংটি দিয়েছিলেন যার সেই সময়ে মূল্য ছিল ৮০০০ ডলার !
15. Emerald:
Emerald বা পান্না বিভিন্ন সভ্যতাতে সেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। ধারণা করা হয়, এর ব্যবহার শুরু হয়েছিল ৬০০০ বছর আগে থেকে। ৪০০০ B.C তে এটি ব্যাবিলনের বাজারে বিক্রি হত...ইনকা সভ্যতার এবং ক্যালিডীয় সভ্যতার মানুষ এই পান্নাকে পূজা করত এটিকে সৌন্দর্যের এবং আধ্যাত্মিকতার দেবীর উপহার স্বরুপ ! প্রাচীন মিশরে পান্নাকে মনে করা হত, অনন্ত জীবনের প্রতীক , প্রজ্ঞার দেবতা Thoth এর উপহার...এবং এটি রানী Cleopatra র অন্যতম পছন্দের রত্নও ছিল! Emerald কে অনেকে যেমন Aristotle, Alexander the Great, Charlemagne এবং ভারতের Mogul বাদশাহরা জাদু গুণ সম্পন্ন পাথর হিসেবে বিবেচনা করত...যাকে বলা হত Talisman! এসব কারণে তারা পান্নাকে জায়গা দিয়েছিল তাদের রাজমুকুটে অথবা সিংহাসনে !
16. Galena:
এটি মধ্যপ্রাচ্যে সুরমা হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রকৃতিতে এটি lead sulfide হিসেবে পাওয়া যেত এবং যায়!
17. Glauconite:
এটি iron silicate বা phyllosilicate জাতীয়...এই খনিজটি প্রাচীনকাল থেকে ইউরোপে অধিক ব্যবহার হত তৈলচিত্রের অংশ হিসেবে... বিশেষত রাশিয়ার বিভিন্ন অভিজাত চিত্রকর্মে! রোমান গল (Gaul)দের প্রতিকৃতি তৈরিতেও এর ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় !
18. Goethite:
প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে iron এর এই আকরিকটি ব্যবহার হয়েছে গুহাচিত্র আঁকার কাজে... বিশেষত লাল বর্ণের যেসব গুহাচিত্র দেখা যায় তা Goethite এর আকরিক দিয়েই আঁকা বলে ধারণা করা হয়ে থাকে !
19. Gypsum:
এই খনিজটির মূল উপাদান Calcium Phosphate. প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এটি ব্যবহার হয়ে আসছে প্লাস্টার তৈরিতে, ওষুধ হিসেবে, অলঙ্করণের কাজে এবং স্থাপত্যের কাঁচামাল হিসেবে!
20. Hematite:
এটিও Iron Oxide এর আরেকটি গোষ্ঠী...এই Hematite বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে যেমন কালো, ধূসর , বাদামী, এবং লাল। Hematite এর লাল বর্ণের খনিজটি পূর্বকালে ব্যবহৃত হত “Ochre” নামের পিগমেন্ট হিসেবে। আজ থেকে ১০০০০ বছর পূর্বে Hematite এর চক ধর্মীয় এবং সামাজিক উদ্দেশ্যের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হত। খুব সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে, আদিম কালে মিসরীয়রা এর বিরক্তি তৈরি করা বৈশিষ্ট্যের জন্য একে বিভিন্ন sarcophagus এ ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করত!
21. Jade:
এর আকৃতিগত কারণে প্রাচীনকাল থেকেই একে জপমালা, বোতাম প্রভৃতি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হত। প্রাগৈতিহাসিক যুগে Jade এর আরও ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ছুরি, কুঠারের মাথা এবং অস্ত্রের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে। Jade কে পৃথিবীর অনেক স্থানে পুরস্কারের সামগ্রী স্বরুপ ব্যবহার করা হত বিশেষত মেসো আমেরিকা, চীন ,নিউজিল্যান্ড, ভারত , ইউরোপের বিভিন্ন দেশে!
22. Jasper:
প্রাগৈতিহাসিক মানুষদের সব থেকে পছন্দের রত্ন পাথরের মধ্যে Jasper অন্যতম। ৭০০০ বছর আগে এটি ধনুকের তীরের অগ্রভাগ তৈরিতে ব্যবহৃত হত। এছাড়া এটা দিয়ে Minoan Crete এর সিল ও তৈরি হয়েছিল এবং হিব্রু ধর্মযাজকদের উরস্ত্রাণে সজ্জিত রত্ন রূপে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে থাকত!
23. Kaolinite:
এটি একটি সিলিকেট জাতীয় খনিজ যা সচরাচর প্রাচীন উষ্ণমণ্ডলীয় rainforest এ clay আকারে পাওয়া যায়। এটি porcelain তৈরির প্রধান কাঁচামাল এবং রং করার কাজে এটি modifier হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আগেকার যুগে এটি ডাইরিয়া সারানোর মুখ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হত !
24. Kermesite:
এটিকে অনেক সময় red antimony ও বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন মিসরীয় সাম্রাজ্যে এটি ঠোঁট রাঙ্গানোর উপকরণ হিসেবে অনেক বিখ্যাত ছিল। বলা হয়ে থাকে, মিশরের রানী Hatseput এই খনিজের বিশাল ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত পুরাকালের Punt এলাকা নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছিল... Kermesite তাদের কাছে এতটাই মূল্যবান ছিল! আলকেমিতে এটি লাল রং তৈরি করার তত্ত্ব হিসেবে ব্যবহৃত হত, যদিও এটা একই সাথে বিষাক্ত ধর্ম বহন করত !
25. Lapis Lazuli:
প্রাচীন মিথ গুলোতে এই পাথরের বর্ণনা পাওয়া যায়... এটি Lapissuite এর একটি ধরণ যা নীল বর্ণের হয়ে থাকে। প্রাচীন কালে স্থাপত্য শিল্পে এটি দেয়াল, প্যালেস এবং চার্চের পিলার সজ্জার কাজে ব্যবহৃত হত। পাথরটিকে সুন্দর ভাবে ঘষামাজা করে তারা গহনা, বাক্স, মোজাইক, এবং ফুলদানী তৈরিতেও কাজে লাগাত। Lapis Lazuli র পিগমেন্ট tempera এবং তৈলচিত্রের কাজে চিত্রকারদের কাছে একটি অত্যন্ত মূল্যবান উপকরণ ছিল। মিসরীয়রা এটিকে তাদের বর্ম সজ্জিত করার কাজে ব্যবহার করত এবং অ্যাসিরীয় , ব্যাবিলনিয়রা এটিকে সিল হিসেবে ব্যবহার করত। Lapis এর পাউডার সেই সময় অনেক সমাজে নীল বর্ণের চোখ সাজানোর সামগ্রী “eye shadow” হিসেবে ব্যবহৃত হত। মধ্য যুগে বিশ্বাস করা হত Lapis Lazuli শরীর সুস্থ রাখে, এবং এটি যে কোন ধরণের ভুল ত্রুটি, হিংসা, বিদ্বেষ থেকে মানুষকে দূরে রাখে। অনেকে সেই সময়ে আলসার এবং ফোস্কার চিকিৎসায় Lapis Lazuli র পাউডার দুধের সাথে সেবনের পরামর্শ দিত আরোগ্য লাভের জন্য!
26. Lazurite:
এই খনিজটি প্রায় ৬০০০ বছর আগে থেকে আফগানিস্তানে ব্যবহার হয়ে আসছে... এবং এটিকে তারা চিত্রশিল্পে এবং কাপড় রং করার কাজে সেই আদি আমল থেকে ব্যবহার করছে!
27. Lead:
ভারী এই মৌলটি সুপ্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে... আলকেমির মতে এটা প্রাচীন ধাতু গুলোর মধ্যে অন্যতম এবং এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে শনি গ্রহের সাথে! রোমান যুগের শুরুতে এটি নল তৈরিতে এবং নির্মাণ শিল্পে অগ্রণী ভূমিকা পালন করত। এটি বন্দুকের গুলি, মারণাস্ত্র তৈরিতে এবং neurotoxin হিসেবে ব্যবহৃত হত...!
28. Magnetite:
এটি প্রকৃতিতে প্রাপ্ত খনিজের মধ্যে সব থেকে বেশি চৌম্বক ধর্ম বিশিষ্ট। একে lodestone ও বলা হয়ে থাকে। এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় একটি চাইনিজ সাহিত্যে যা খ্রিস্টপূর্ব ৪ শতাব্দী প্রাচীন ছিল। ১২ শতাব্দীর দিকে এই চাইনিজরা ই এটিকে দিক নির্দেশনার কাজে ব্যবহার করতে শুরু করেছিল!
29. Malachite:
Green Copper Carbonate এর চলতি নাম Malachite. গ্রীক মিথলজিতে এর উল্লেখ রয়েছে... তারা বিশ্বাস করত তাদের উর্বরতার দেবতা Demeter এর রাজসিংহাসন malachite দিয়ে তৈরি! ১৮০০ সাল পর্যন্ত এটিকে সবুজ বর্ণের পিগমেন্ট হিসেবে এবং অলঙ্করণের কাজে ব্যবহৃত হত!
30. Mercury:
প্রাচীন কালে চাইনিজ এবং মিসরীয়রা ধারণা করত, Mercury আয়ু বর্ধক, ভাঙ্গা হাত পা সারানোর ক্ষমতা রাখে অর্থাৎ দেহ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। Mercury অনেক সময় সমাধিতেও তারা দিত। মিসরীয়রা এবং রোমানরা Mercury রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করত যেখানে গ্রীকরা এটিকে মলম হিসেবে কাজে লাগাত। আলকেমিরা ধারণা করত, Mercury হল প্রথম পদার্থ ( “The first matter” ) যা থেকে পৃথিবীর অন্যান্য পদার্থের জন্ম হয়েছে! স্প্যানিশ এবং ইটালিয়ান খনি থেকে ১৯ শতাব্দীর শুরু পর্যন্ত Mercury উত্তোলনের যথেষ্ট প্রকোপ ছিল... পরে যা কিছুটা হ্রাস পায় এর বিষাক্ত বৈশিষ্ট্যের কারণে!
31. Mica:
১৯ শতাব্দী পর্যন্ত Mica র বড় আকারের নমুনা কিছুটা বিরল ছিল, চীন এবং আমেরিকা ছাড়া তা পাওয়া যেত না(বি.দ্র: Mica খুব ভঙ্গুর ধরণের হয়, প্রচলিত ভাষায় একেই আমরা অভ্র বলে থাকি, এবং বালুতে প্রচুর পরিমাণে থাকে )... কিন্তু এখন এই ধরণের নমুনা খুব একটা বিরল নয়! প্রস্তর যুগে মানুষ Mica ব্যবহার করত গুহাচিত্র আঁকতে সাদা বর্ণের পিগমেন্ট হিসেবে। Teotihuacan এর পিরামিড তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে Mica ব্যবহার করা হয়েছিল সেই সময় যাতে সেটি দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে ঝিলিক দেয় এবং মানুষের দৃষ্টিগোচরে পড়ে ! Mica ভঙ্গুর হলেও এর তাপধারণ ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণে আগেকার যুগে এটি বয়লার বা লন্ঠনের কাঁচ তৈরিতে “isinglass” হিসেবে ব্যবহৃত হত !
32. Nephrite:
এটি Actinolite এর গোত্রভুক্ত এবং প্রাচীন কালে মনে করা হত এটি বৃক্ক পাথরের চিকিৎসায় কাজে লাগে!
33. Onyx:
এটি quartz এরই গোষ্ঠীভুক্ত এবং মিসরীয় সাম্রাজ্যে এটি বাটি এবং অন্যান্য ব্যবহৃত জিনিস তৈরিতে কাজে লাগত!
34. Orpiment:
Monoclinic Arsenic Sulfide এর বাণিজ্যিক বা চলতি নাম Orpiment. রোমান এবং চাইনিজরা এটিকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করত। এটি দেখতে সুন্দর হলেও খুব উত্তম মানের বিষ এবং আলকেমিদের এটি অত্যন্ত প্রিয় বস্তু ছিল... প্রাচীন কালে তীরের ডগা বিষযুক্ত করতে Orpiment ই ব্যবহার করা হত। ১৯ শতাব্দীর আগে পর্যন্ত এর সোনালী বর্ণের আভার জন্য চিত্রশিল্পীরা একে পিগমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করত!
35. Palygorskite:
একে Magnesium Aluminum Phyllosilicate বলা হয় রসায়নের ভাষাতে! মেসোআমেরিকান সভ্যতার তৈরি সিরামিক, প্রাচীর, ভাস্কর্য এবং তন্তুজ শিল্পে ব্যবহৃত “Mayan-blue” পিগমেন্ট তৈরির প্রধান উপকরণ এটি। মায়ানরা এই খনিজটিকে ওষুধ রুপেও ব্যবহার করত এবং বাসন পত্র তৈরিতে ব্যাবহার করত। মায়ান সভ্যতার উদ্ভট সংস্কৃতির বলির শিকার হওয়া মানুষগুলোর দেহাবশেষের সাথেও এই খনিজের পিগমেন্ট পাওয়া গেছে! ২০০৩ সাল পর্যন্ত এটি anti-diarrhea ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হত!
36. Platinum:
এই মৌলটির ব্যবহার শুরু করেছিল ইকুয়েডরের প্রাক-কলাম্বিয়ান গোষ্ঠী! ইউরোপিয়ানরা এটিকে পুনরাবিষ্কার করে ১৫০০ সালে এবং ১৭০০ সালের দিকে পৃথিবী এর ব্যবহার শিখে! ১৭৮৬ সালের দিকে স্পেনে প্লাটিনাম যুগের সূচনা হয়েছিল!
37. Quartz:
প্রকৃতিতে সর্বাধিক প্রাপ্ত খনিজ এটি।এটা সিলিকা দিয়ে তৈরি এবং প্রকৃতিতে এটি বিভিন্ন বর্ণে, আকারে এবং নামে পাওয়া যায়... যেমন rose quartz, milky quartz, smoky quartz, citrine, amethyst, agates, carnelians, jasper, tiger’s eye. অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী যাদের Aborigines বলা হয়ে থাকে তাদের মিথ অনুসারে এই quartz কে “mysterious maban” বলা হয়ে থাকে। ইউরোপে আদিকালে অনেকে এটিকে সমাধিতে দিত। এই প্রথা ১৬০০ সাল পর্যন্ত চলেছিল... তারপর আস্তে আস্তে তা হারিয়ে গেছে। প্রাচীনকালে স্বচ্ছ বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি প্রিজম হিসেবে ব্যবহৃত হত!
38. Realgar:
এটির রাসায়নিক নাম Arsenic Sulfide… রোমানরা এটিকে চিকিৎসাশাস্ত্রে এবং পিগমেন্ট তৈরিতে ব্যবহার করত। চীনে এটি ব্যবহৃত হত বিভিন্ন উদ্দেশ্যে যেমন মদ খাওয়ার কাপবা পাত্র তৈরিতে, ছবি আঁকতে, পেপার ওয়েট হিসেবে, এবং অলংকার তৈরিতে। তারা এটিও বিশ্বাস করত Realgar যে কোন ধরণের রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে... যদিও প্রকৃতপক্ষে এটিও আর্সেনিক গ্রুপভুক্ত অন্যান্য খনিজের মত সমান পরিমাণে বিষাক্ত !
39. Rhodochrosite:
এটির রাসায়নিক নাম Magnesium Carbonate. ইনকা সভ্যতার লোকজন বিশ্বাস করত তাদের মারা যাওয়া পূর্ব পুরুষদের রক্ত দিয়ে Rhodochrosite রঞ্জিত হয়েছে তাই এর বর্ণ গোলাপী আভা সম্বলিত লাল...!
40. Riebeckite:
এটি একটি Amphibole গ্রুপের খনিজ... যাকে ailite ও বলা হয়ে থাকে। স্কটিশরা একে স্থাপত্য শিল্পে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করেছেন curling stone হিসেবে!
41. Ruby:
Ruby বা বাংলাতে চুনি পাথর বলা হয়ে থাকে একে... চাইনিজরা ২০০ B.C তে Silk road দিয়ে এই চুনির ব্যাবসা করত। বৈদিক তত্ত্ব মতে, চুনি সূর্যের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চুনির একটা আলাদা জায়গা রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই... অনেকে এটিকে বর্ম অলংকরণের কাজে ব্যবহার করেছেন, আবার অনেক সমাজে এটিকে গৃহের ভিত্তিপ্রস্তরে রেখেছেন এটি সুভাগ্য আনে বিশ্বাস থেকে!
42. Serpentine:
এটি প্রকৃতপক্ষে Hydrous Magnesium Iron Phyllosilicate. নিউজিল্যান্ডের মাউরি সম্প্রদায় এই Serpentine দিয়ে “Tangiwai” নামের বিভিন্ন artifact বানাত... রোমানদের “Lapis atracius” ও এই Serpentine দিয়ে তৈরি। মূলত প্রাচীন সভ্যতাতে Serpentine স্থাপত্য শিল্পে ব্যবহৃত হত !
43. Soapstone:
এটি মূলত পাথর মানে talc schist… এটির ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন প্রতিকৃতিতে, ভাস্কর্যে এবং অন্যান্য স্থাপত্যে। Native American আদিবাসীরা এটি দিয়ে রান্নার পাত্র, বাটি প্রভৃতি তৈরি করত। Tepe Yahya নামে ইরানের একটি জায়গাতে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় থেকে পঞ্চম শতাব্দীতে soapstone এর ব্যবসা জমজমাট ছিল। ১৮ শতাব্দীতে Georgia এলাকার সমাধি গুলো soapstone দিয়ে বাঁধায় করা হত !
44. Turquoise:
এটি প্রথমে আবিষ্কৃত হয়েছিল ইরানে ২০০০ বছর আগে। যদিও কিছু কিছু তত্ত্ব মতে এটিকে প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ৫০০০ বছর আগে সিনাই অঞ্চলে। এটা তুরস্কে বাজারজাতকরণ হত প্রচুর পরিমাণে... যদিও তুরস্কে এর খনি নেই... এখান থেকে ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় তা আস্তে আস্তে জনপ্রিয় হতে থাকে... এবং এই তুরস্কের নামানুসারে ভেনেসিয়রা এর নাম রাখে “Turquoise” ! ফারাও রাজা তুতেনখামেনের সমাধিতে তার মুখোশ এ এই turquoise পাওয়া গিয়েছিল... কিন্তু সঠিক কখন থেকে এর ব্যবহার শুরু হয় এবং কি উদ্দেশ্যে সে বিষয় আজও কিছুটা ধোয়াটে !
আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে। যে কোন Archaeo Mineralogy র বই এগুলোর রেফারেন্স.. ধন্যবাদ
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯
রিকি বলেছেন: হ্যাঁ ভাই , সব এক সাথে দেয়ার চেষ্টা করেছি--- ভাগ ভাগ করে দিলে পরে আর মাথা থেকে নাই হয়ে যাবে দেয়ার কথা !! তাই একবারেই দিয়ে দিয়েছি !
২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন পোস্ট । মনিকবিদ্যা বা মিনারেলজিস্টদের জন্য তো কাজের পোস্ট । এখানে বেশ কয়েকটি মূল্যবান মিনারেল সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন । এর অনেকগুলি কিন্তু জেমস্টোন হিসেবে বা অর্নামেন্ট স্টোন হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।+
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২০
রিকি বলেছেন: Gemstone এখানে মেলাগুলো রয়েছে যেমন Amethyst, Cinnabar, Carnelian,Aquamarine,Emerald,Ruby,Quartz এর variety,Cat's eye, Turquoise,Jasper...এরকম অনেক গুলোই রয়েছে.....মণিমাণিক্যবিদ্যা (Mineralogy) অনার্সে পড়ে এসেছি ভাই...স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উভয়ই দেশের অবহেলিত সম্প্রদায় :'( Geology and Mining থেকে পাশ করেছি...!!! অনেক অনেক ধন্যবাদ ফিডব্যাকের জন্য
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাপরে!!!
কত্ত কিছূ জানার বাকী
আহা এত সুন্দর সুন্দর আইটেম গুলো আবার কি বিষাক্ত!!
বিবর্তনের কি বাহারী খেলা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
+++
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪১
রিকি বলেছেন: ভাই দেখতে যে নারী তার চলন বাঁকা হয়.... যে খনিজ দেখতে যত সুন্দর হবে বুঝবেন Chromium,Titanium,Vanadium প্রভৃতির inclusion আছে অথবা সালফেট বা সালফাইড...আর আর্সেনিক এর যৌগ হলে তো কথায় নাই...তারা আস্তে আস্তে মারে..তবে এগুলোর অনেকের কিন্তু ঔষধি গুণও আছে ভাই ! আর আমরা বাংলাদেশীরা তো Arsenic proof...WH0 ভয় পেয়ে যায় আমাদের সহ্যের মাত্রা দেখলে...! অনেক অনেক ধন্যবাদ ফিডব্যাকের জন্য !
৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আশা করি পোস্টটি ভালো লাগবে।
অবশ্যই অবশ্যই এবং অবশ্যই!
ভালো লাগা অনেক।
অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
রিকি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা....
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
বিশাল কিন্তু দারুণ পোস্ট।
প্রিয়তে রাখলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১০
রিকি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
একবারে না দিলে খাপছাড়া হয়ে যেত ভাই তাই একটু বিশাল আর কি !!!
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
আলোরিকা বলেছেন: দেখতে যত সুন্দর তত বিষাক্ত !!!.... পাথরের এত গুণাগুণ যখন জেনেই গেছেন.... শুরু হোক জ্যোতিষ চর্চা....আমি আসব মহাজ্যোতিষি রিকির কাছে পাথর নিতে...
...তথ্যসমৃদ্ধ লেখায় ভাললাগা....শুভকামনা
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
রিকি বলেছেন: নাহ আপু জ্যোতিষ চর্চাতে নাম লেখাবো না .........কুষ্ঠি বিচার, হাতের রেখা, বৃহস্পতির দশা বলা আমার দ্বারা হবে না !!! :-< :-< :-< আর Geology র Mineralogy.... Astrology র আশে পাশেও নাই ... মাফ চাই, দোয়া চাই...মালিকি কেরামতি হতে রাজি নই !!
আপু রত্ন পাথর কিন্তু পাথর নয় ......... খনিজ / mineral... wealth by nature!!
ভালো থাকবেন ...... ফিডব্যাকের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: শুধুমাত্র ছবিগুলো দেখলাম। মনোমগ্ধকর।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬
রিকি বলেছেন:
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
সোহানী বলেছেন: আরে দারুনতো.... সবগুলাই যে আমার চাই-ই-চাই
.... +++++
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪
রিকি বলেছেন: কিনে ফেলেন আপু তাড়াতাড়ি ...... স্টক সীমিত
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: বিশাল পোস্ট ।