![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈষম্যের ভেতরে সাম্য, অসুন্দরের ভেতরে সৌন্দর্য খুঁজে ফিরি।
স্থান:
বাংলাদেশ সার্বিকভাবে এখন মুসলমানদের দেশ। ইদানিং ধর্মানুভূতি বলতেও অন্য কোন ধর্মের অনুভূতিকে বোঝায় না, শুধুমাত্র মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি বোঝায়। এখানে ভিন্ন কোন ধর্ম, আদর্শ বা দর্শনের উপর বিশ্বাস এমন কি সংশয় এখন অবাঞ্চিত, পাপ। তা সে সাধারণ মানুষের কাছে হোক, প্রশাসন বা রাজনীতিকদের কাছে হোক: পাপ, পাপ-ই।
কাল:
৬ই মার্চ ১৯৯৯ (উদীচী হামলা), ১৪ই এপ্রিল ২০০১ (রমনা হামলা), ১৭ই আগস্ট ২০০৫ (৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা), ২১শে আগস্ট ২০০৫ (ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা) এসব ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’। এসবের থেকে সাধারণ মানুষেরও কিছু শেখার নেই, রাজনীতিকদের তো প্রশ্ন-ই আসে না। পুলিশ, গোয়েন্দা, সরকারী প্রশাসনের আসলে অত সময় নেই এসব ঘাঁটাঘাঁটি করার।
রাজনীতির ক্ষেত্রে যত বড় খুনি, যত বড় ডাকাত, যত বেশি ঋণ খেলাপি: তত ‘বড় নেতা’। চাকুরির ক্ষেত্রে যত বেশি ঘুষ, যত বেশি বসের পা চাটা: তত প্রমোশন। স্কুল, কলেজে প্রশ্ন আউট, ক্লাসে নকল, ইসলামপরায়ন শিক্ষানীতি, না লিখলেও নম্বর দিয়ে শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার বাড়ানোর প্রতিযোগীতা। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আজ জামাই উপাচার্য, তো ভাই চেয়ারম্যান, শ্বশুর ডীন, ভাইরা প্রক্টর, শালী কোষাধ্যাক্ষ, ছেলে-মেয়ে প্রভাষক। সরকার বদলের সাথে এইসব পদও বদলে যায়।
আজীবন ফতোয়াবাজ, নির্যাতনকারী, রাজাকার যখন সরকারী দলের ‘দেশ প্রেমিক’। তখন বাকি ‘এক জন’ও বিক্রি হতে বাদ থাকে না। ঐ ‘এক জন’-এর আঁচলের তলায় বড় হওয়া বখাটে যুবক তখন ‘সোনার ছেলে’।
সাংবাদিক, শিক্ষক, ব্লগার হত্যা; রাস্তাঘাটে যুবতী মেয়েদের ‘নেংটা করা’ এসব এখন স্রেফ ‘দুষ্টামি’।
পাত্র:
ঠিক এমন এক গ্রহণকালে বাংলাদেশের বুকে কান পাতলেই শোনা যায় কিছু পরিচিত সান্ধ্যালাপ। প্রত্যেকেরটাই আলাদা কিন্তু পাহাড় সমান:
১. অনন্ত বিজয়ের খুন আমাকে রাস্তায় নামাতে পারে নি। আমি পাথর হয়ে গেছি। এসব প্রতিবাদ সমাবেশ করে কিচ্ছু হবে না। ওয়াশিকুরের খুনে আমি দুই দুইটা বিশাল স্টাটাস দিয়ে, কমেন্টস করে, শেয়ার দিয়ে শোক প্রকাশ করেছিলাম, প্রতিবাদ করেছিলাম। অভিজিত ব্লগ চালাতো, আমেরিকায় থাকতো, ভালো চাকুরি করতো, দেখতেও হ্যান্ডসাম ছিল তাই তার জন্য প্রতিবাদ করতে অফিস থেকে আসার পথে মিছিলে যোগ দিয়েছিলাম। বন্ধুকে বলেছিলাম জানিস মিছিল থেকে এলাম, অভিজিতকে খুন করে ফেলেছে, বাংলাদেশ রসাতলে গেল। অভিজিত রায়েরা হেরে গেলে, হেরে যাবে বাংলাদেশ।
২. অনন্ত বিজয় আবার কে, নাম শুনিনি। আরে ভাই আমি ওসবের মধ্যে নেই। ওসবের দিন শেষ, এক সময় কত্ত করেছি, এখন আর না। শরিফ ভাইরে চিনো? এক লগে মিটিং করছি, কুপা কুপিতে নেতৃত্ব দিছি মিঞা। এখন ঠাণ্ডা হয়ে গেছি। রাত তিন চারটে অবধি বায়ারদের মেইলের রিপ্লাই, স্কাইপ, ভাইবার কইরা ঘুমাইতে গেছি। সারাদিন কারখানা ঘুরে দেখাও, বাজার করো, নামাজ পড়, ভাত খাওয়ার টাইম নাই। এর মধ্যে আবার কী সব অনন্ত ফনন্ত! এইগুলার টাইম নাই। শুনছি এইগুলা আমাদের নবীরে গাল দিছে, কার্টুন বানাইছে, এইগুলা শালা নাস্তিক। ইসলামরে নিয়ে খুঁচাইতে আসে ক্যান, আর কাম নাই? চুলকাইতে গিছে, কুপাই দিছে, ঠিক-ই আছে!
৩. আরে তোমরা ছেলেরা ওসব করো ক্যান বলো তো? বাপ মা খাটুনি খাইটা কী তোমাদের বড় করছে এইসব করার জন্যে? বাপ মা’র দিকে চাও না তোমরা। পড়া লেখা শিখছো, চাকরি করো, বিয়ে করছো, এখন একটা মাথা গোঁজার ঠাই তো হওয়া চাই, না কী? তোমার বয়সের মুকুল, তোমার চেয়ে বয়সে ছোট রোকন দেখ কেমন সুখের চাকরি করছে, দুই ছেলের বাপ। আর তুমি! বোমা মারলেও দুই পয়শা বাইর করার ক্ষমতা নাই। মা’র অষুধ কিনবার, মোবাইলে দুইটা টাকা দেবার মত টাকা থাকে না। চাকরির দুই পয়সা কামায় করো কি না করো, বারো ভুতেরে দিয়ে খাওয়াও। লজ্জা করা উচিত। নিজের বাপরে ডাক্তার দেখানোর ক্ষমতা নাই আবার রাত জেগে লেখা-লেখি। মাস শেষে দুই পয়সা বেতন তা দিয়ে আবার বই কেনা। ওসব কী পেটে ভাত দেবে? সময় থাকতে বুঝো, নইলে পস্তাবা।
৪. পাড়ার লোকজন সব ছিঃ ছিঃ করে। ইসলামরে নিয়া, আমাদের নবীরে নিয়া কী সব কইছো? কী দরকার এইসব কথা বলা? কই পাও এই সব ফালতু বই? শুক্রবারেও তো উষ্টা দিয়ে মসজিদমুখী হও না। তুমি ইসলামের কী বুঝো? বড় জ্ঞানী হয়ে গিছো, না? এসব কথা যেন আর কোন দিন না শুনি। বই খাতা আমি সব পুড়াই দিবো। এই কম্পিউটার সব নষ্টের গোড়া। সারাদিন গুটুর গুটুর ফুটুর ফুটুর, ফেসবুক-টেসবুক কিসব। কোন ভালো পোলাপান এই বয়সে ওসব করে না।
উদ্দেশ্য:
প্রগতিশীল(!) বাংলাদেশে এদের সংখ্যা-ই ১০০%। ৫৬% অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের দেশে হাতে গোনা দুই চার জন জ্ঞানের সাথে জীবনের মিল খুঁজতে যায়, এরা গোনার মধ্যে না পড়া ‘ব্যতিক্রম’। ১০০% এদেরকে ডাকে ‘নাস্তিক’। দুষ্টামি হলেও সত্য: একমাত্র এরাই সমাজটা পাল্টাতে চায়, এমনকি বিশ্বাসটার মুলে আঘাত করার দুঃসাহস দেখায়! অথচ তলায় হাত দিয়ে দেখে না ওজন কত! কী হয়ে কাকে পাল্টাতে চাওয়া হচ্ছে! এই চাওয়ার কৌশলটা কী! লিখে? প্রথাগত চিন্তাকাঠামো, বাপদাদার অভ্যেস, দানবের দানব প্রশাসনযন্ত্র সব পাল্টিয়ে ফেলতে চায় কেবল ‘লিখে’!
উপায়:
দেখুন: হুমায়ূন আযাদ, রাজিব হায়দার, অভিজিত রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় কী উপরের কথাগুলো জানতেন না? এটাও কী জানতেন না যে ঠিক এই কারনেই বেঁচে থাকাকালীন এরা কেউ থালে ভাত পাবে না? জানতেন। তারপরেও বিবেকের তাড়নায় স্থান, কাল বিবেচনা না করে যতটুকু পারতেন কেবল ‘লিখতেন’। আমরা ঐ ১০০% এর ভেতরে বলে খুন হবার পরেই আমরা এদের নাম জানতে পারি। এবং ঠিক এই কারনেই আমরা কাল আবার এদের ভুলে যাবো। এবং আগে পরে কোনদিন আমরাও এদের একটা লেখা পড়েও দেখবো না। ক’জন আজ অবধি এদের বইগুলো, লেখাগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি? এমনকি এদের খুন হয়ে যাবার পরেও? সেটার চর্চা করা তো দূরের কথা।
সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, যাঁরা খুন হয়েছে তাঁরা কি কোন প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে? করে নি। কোন মুখশের আশ্রয় নিয়েছে? নেয় নি। একে কী সাহস বলবেন? খালি গায়ে, খালি হাতে ক্ষুধার্ত কুমিরের পালের ভেতর বসে ‘সত্যবাণী’ শোনাবেন আর কুমিরেরা তাই শুনে সব ভালো মানুষ হয়ে যাবে? বিবর্তনবাদের ঝাণ্ডা উড়ানোর কৌশলটাও বিবর্তনবাদী হওয়া চাই, না হলে বিবর্তন হয় না, টেকে না। যা হয় তা তো দেখছেন, কিন্তু কেবল-ই দেখছেন।
এক্ষেত্রে যারা নাস্তিকতার পক্ষে মৌসুমি দুটো স্টাটাস দিয়ে, ইভেন্ট ডেকে একটা ফাইন ব্যালান্স করে টিকে থাকতে চাইছেন তাদেরই কেবল জয় সুনিশ্চিত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান মনস্ক হতে চাচ্ছেন, যুক্তিবাদী হতে চাচ্ছেন তাঁদের শুধু পড়ালেখা করলেই চলবে না। লেখার কৌশল নিয়েও দু’পাতা পড়ুন। কী লিখলে, কী ভাবে লিখলে টার্গেটেড লোকজন ‘খাবে’ তা নিয়েও একটু ভাবুন। নইলে লিখে কী লাভ? হয় আত্মরতিমুলক বা উষ্কানিমুলক লেখা লিখছেন না কেবল তাহলে?
ক) একদল যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক চাকুরিজীবী এবং সবশেষে লেখক। তাঁরা বিজ্ঞানকে নিজের জীবন ও কর্মে প্রয়োগ করতে চায়, ফলে অজান্তেই জ্ঞাননির্ভর যু্ক্তিকে ধারণ ও প্রয়োগ করতে থাকে। ফলে প্রচলিত বিশ্বাসভিত্তিক যুক্তিগুলোর দেয়াল খসে পড়ে এবং তারা সবকিছুকেই প্রশ্ন করতে থাকে। এমনকি তারা সমাজের আর দশটা মানুষের বিশ্বাস, কর্ম ও চিন্তাকে প্রশ্ন করে ফেলে। খুব শিগ্গিরি-ই তারা পরিচিত চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় পড়ে এবং এই ‘পরিচিত চারপাশ’ যখন তাকে চ্যালেঞ্জ করে, হেয় করে, দূরে ঠেলে দেয়; তখন এসব প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ থেকে সে আরও শক্তি সঞ্চয় করে। দৈন্দন্দিন আর দশটা কাজের চেয়ে পড়াশুনা, চর্চা ও যুক্তিভিত্তিক প্রশ্নগুলোকে সবার উপরে প্রাধান্য দিতে থাকে। এই লেখককূলের কেউ কেউ আবার একটু বেশি উত্তেজিত। তাঁদের উত্তেজনা যুক্তিকে ছাপিয়ে যায় এবং স্রেফ আক্রমনের জন্য আক্রমন, তর্কের খাতিরে তর্কে উপনিত হয়। কিন্তু তাতে মাত্রাতিরিক্ত অনুভূতিপরায়ণ মুসলিমদের খুব একটা যায় আসে না। এরা চোর, ঘুষখোর, মুনাফেক, মিথ্যুক, সুবিধাবাদী, হারামখোর, অলস, ও মুর্খ হলে কী হবে ধর্মের অনুভূতির জায়গায় ষোল আনা।
খ) প্রতিপক্ষের আরেক দল ধর্মের খাঁচায় জন্ম নিয়ে, সেই খাঁচাকেই অমোঘ ধরে নিয়ে জীবনবাস্তবতাকে অস্বীকার করে কল্পনায় দিনাতিপাত করে। যার কাছে চারপাশে সব ভয়ানক শত্রু, পাপে ভরপুর। মানুষ বলে কিছু নেই। হয় মুসলমান না হয় কাফের। মুসলমানদের ভেতর কে কতখানি খাঁটি মুসলমান তার প্রতিযোগীতা আরও ভয়াবহ। এবং সে যা বিশ্বাস করে কেবলমাত্র সেই গোত্র ছাড়া আর সব টাইপের মুসলমানরাও কাফের। শিয়া সুন্নিরা একে অপরের কাছে কাফের। এছাড়া হানাফি, শাফি, হাম্বলি, ইসমায়েলি, আহলে হাদিস ছাড়াও শ’য়ে শ’য়ে ভাগ রয়েছে। কে নামাজের সময় কত বার সেজদা দিলো, কেমনে দাঁড়ালো, কে আমিন জোর গলায় বললো, কে কোন দুআ পড়লো তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং একে অপরের চরম শত্রু। মোটা দাগে আবার এদের প্রত্যেকের কাছে মুসলমান বিনা সবাই ইসলামের জাতশত্রু। এক্ষত্রে হিন্দু, ইহুদী, খৃষ্ঠান, বৌদ্ধ, শিক, যে কোন উপজাতী সবাই ইসলামের শত্রু। এরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত। এদের যে কোন কার্যকলাপ, পোষাক-আশাক, হাঁটা চলা ইসলামের জন্য চরম হুমকী। এই চরম আতঙ্কের ভিতর থাকতে থাকতে এরা মনে করে গান শোনা পাপ (শয়তানের কাজ), বাদ্যযন্ত্র বাজানো পাপ, ছবি তোলা পাপ, সিনেমা দেখা পাপ, হাসি-ঠাট্টা পাপ, বেড়াতে যাওয়া পাপ, গোড়ালির নিচে কাপড় পরা পাপ, গোঁফ না কাটা পাপ, চুল লম্বা রাখা পাপ, শার্ট-প্যান্ট লুঙ্গি পরা পাপ, ব্রাশ করা পাপ, কুলুপ না করা পাপ, বাম পাশে কাত হয়ে শোয়া পাপ, পশ্চিম দিকে পা দিয়ে শোয়া পাপ। এ তো শুধু পুরুষ-মহিলা উভয়ের বেলায়। তাছাড়া মহিলাদের বেলায় পাপ ও নিষিদ্ধের কোন সীমা নেই। সর্বাঙ্গ অনাকর্শনীয় কাপড় দিয়ে ঢেকে দরজা বন্ধ করে শুধু নামাজ আর কুরআন পড়লেই পাপ থেকে নিষ্কৃতি মিলবে না। তাকে শস্যক্ষেত্র হয়ে জীবন যাপন করতে হবে, কারনে অকারনে অপবিত্র হতে হবে। তখন এটা ছোঁয়া যাবে না, ওটা ধরা যাবে না, কোথাও যাওয়া যাবে না। এই জীবনকেই মুসলমানরা বলে ‘সম্পূর্ণ জীবন বিধান’। ইসলামের এই সম্মোহনী শক্তির ভেতরে ডুবে গেলে সেই মানুষ আর মানুষ থাকে না। সে তখন স্থায়ী ঘোরের ভেতর ঢোকে। তার বাপ মা, বোন, ঔরশজাত সন্তান, কবিতা, গান, প্রেমিকাকে ডিঙ্গিয়ে অজান্তে বাংলা ভাই, ওসামা, শফি বা তাদের জিহাদী সৈনিক হয়ে ওঠে।
ফলাফল:
এই জিহাদী সৈনিকেরা চারিদিকে, এমনকি স্কুল কলেজ হাসপাতালে কেবল কাফের মুনাফেক এবং ইসলামের শত্রু দেখে। ঠিক এই সময়ে যদি বড় হুজুর বলে শাহবাগ নাস্তিকদের জায়গা, প্রজনন চত্ত্বর, সে তো আর ভুল বলে না। জিহাদী সৈনিক তখন প্রত্যেক নামাজের শেষে দুই রাকাত নফল পড়ে হাত তুলে কান্নায় গলা ভাসায়। হে আল্লাহ, পরওয়ার দেগার তুমি তোমার বান্দাকে এরকম একজন নাস্তিককে কতল করে শহীদ হবার তৌফিক দাও। বড় হুজুর যখন ৮৪ জনের লিস্ট প্রকাশ করে তখন জিহাদী সৈনিকের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় তখন খোঁজ চলে, এশার নামাজের পর দ্বীনের আলোচনা একটু ঘনঘন শুরু হয়। ঐ ৮৪ জন বা তাদের মত এ পাড়ায় কে কে আছে তার খোঁজ পড়ে যায়। এবং মেসের সবচেয়ে মেধাবী, নামাজী, কথা না বলা, ভীড় এড়িয়ে চলা ছেলেটা আরও নামাজী হয়ে ওঠে। মাঝে মধ্যে কসাই খানার আশেপাশে ঘুরফির করে। সযত্নে রাখা চা’পাতিটাকে খুব আপন মনে হয় হঠাত, মিস করতে থাকে। বড় হুজুর আশ্বাস দেয় আল্লা’য় দিলে সব সময়মতো হাজির হয়ে যাবে। ওসব নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। তার পর কোন এক শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরীবের নামাজ পড়ে সে চাপাতিটা সযত্নে ব্যাগে ভরে বের হয় যেখানে নাস্তিকটা প্রতিদিন সন্ধ্যায় চা-বিড়ি খেতে আসে । কিন্তু সেদিন সে ছোট্ট ছেলেটাকে যাদুঘর দেখাতে নিয়ে গেছে। শনিবার সকালে, যখন নাস্তিকটা রিক্সায় করে অফিস যায় তখন তো আর মিস হয় না। নাস্তিকের মাথায় সৌখিন আল্পনা এঁকে দিয়ে বড় হুজুরের সারের দোকানের পেছন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেই হয়।
এদিকে ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যেই দিন দু’য়েকের জন্য সুশিলেরা মিডিয়ায়, ইন্টারনেটে দামামা বাজাবে। বড় হুজুর ভালোই জানে এসব ক্যামনে সুনিপুন সামাল দিতে হয়। বড় হুজুর জানেন কারণ তিনি খুব ভালো করেই খেয়াল করেন পুলিশের মুরোদ কতটুকু এবং কোন কোন ক্ষেত্রবিশেষ। তিনি জানেন যার অর্ডারে পুলিশ দৌঁড়ায় তিনি কে এবং কী বললে তিনি গুটিয়ে যান। এমন কি প্যাঁচটা ঠিকমত দিতে পারলে তিনি পায়ে পড়ে মাদ্রাসার জন্য জান-মাল ঢেলে দিবেন। হাসিনা সরকার তখন জালেম হলেও বন্ধু, আমরা-আমরাই।
মুসলমানরা সব থেকে কম লেখাপড়া করে। দর্শন, বিজ্ঞান ও যুক্তির নিয়ে পড়াশুনা করতে এরা ভয় পায়, মনে করে নাস্তিক হয়ে যাবে, বা কী দরকার এত পড়াশুনার। ফলে নিজেদের বিশ্বাসের ভিত্তিগুলো সম্পর্কেও এরা তেমন কিছুই জানে না। কুরআন হাদিসের বাক্যগুলো সম্পর্কে, ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে, আধুনিক জীবন যাপনের সাথে এদের অস্তিত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ১০০% মানুষ কোন সদুত্তর দিতে পারে না। তারা গোঁড়া ধার্মিক, মুর্খ এবং পরিবারের একমাত্র শিক্ষিত ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে; জীবনে এর চেয়ে পাওয়ার আর কিছু নাই। আর সময় কখন, ছেলেটাকে ঢাকায় ম্যাচে রেখে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ যোগাতে হয়। আর আজকাল সবকিছুর যা দাম!
কিন্তু হাতে গোনা ‘কয়েকজন হুজুর’ ঠিক-ই জানে এই প্রশ্ন কেন জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। সময় নষ্ট না করে এরা শুরুতেই খুঁজতে শুরু করে কীভাবে অপর পক্ষকে কুপোকাত করা যায়। এবং যেহেতু জ্ঞান বাস্তবতা দিয়ে এই আলোচনায় অংশগ্রহন করা শয়তানের কাজ তাই মুসতাকিমের পথে আহ্বান শুরু করে। পাড়ার দোকানে, ফেসবুকে বা ব্লগের কমেন্টেও ব্যাপারটা একেবারেই একই রকম। এই কয়েকজন হুজুরের ব্যক্তিগত জীবন ইসলামবিরুদ্ধ কাজে ভরপুর থাকলেও ১০০%এর এই সমাজে এরা যে কোন প্রশ্নের ঊর্ধে। ফলে প্রশ্নকারীর প্রতি ওয়াজিব কাজটি করার জন্য নিজে সরাসরি চাপাতি তুলবার দরকার হয় না। এদের চারপাশে এমন অনেক সাহাবী থাকে যারা তথ্য প্রমানের ধার না ধেরেই ‘বড় হুজুর নাস্তিক বলেছেন’ এটুকুই যথেষ্ঠ ধরে চাপাতি জিহাদে ঝাঁপ দেন। ১০০% এর এই সমাজটা এইসব হুজুর এবং তাদের তালেবুল এলেমদের সম্পূর্ণ অনুকূলে।
পুরো জীবনকে যে ধর্ম অস্বীকার করে, যে মানুষ তাকে ধারণ করে, সেই ধর্ম ও তার অনুসারীকে খালি হাতে মনুষত্ব, জ্ঞান, যুক্তি এসব দিয়ে বিশ্লেষণ করতে যাওয়া মৃত্যুর সামিল। যাদের কাছে যুদ্ধের দাওয়াত, যুদ্ধ এবং যুদ্ধে মৃত্যু-ই কেবলমাত্র লক্ষ্য, তাঁদের কাছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জীবনের আহ্বান শুধু লিখে পৌঁছানো যাবে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হলে এর পেছনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে। তারপর সামাজিক শক্তি অর্জনের চেষ্টা করতে হবে, তার পর যদি কোনদিন একটুও পাল্টায়।
২| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪
সুদিন বলেছেন: অনেক কিছু বোঝাতে চেয়েছেন.......... শেষ ফিনিশিং-এ নাস্তিকদের বিরুদ্ধে হুজুররা লেগে আছে এটাই বোঝালেন।
মুসলমানদের তুলনায় নাস্তিকরা অনেক বেশী পড়ালেখা করে বিধায় তারা নাস্তিক সেই তুলনায় মুসলমানরা মুর্খ/স্বল্পশিক্ষিত বোঝাতে চেয়েছেন......... আমার এটা স্বীকার করতে অসুবিধা নেই যে নাস্তিকদের তুলনায় আমরা এত বেশী স্টাডি করি না বা আমি আমার ধর্ম সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞান রাখি না।
তবে আমার প্রশ্ন জ্ঞানের কোন স্তরে গেলে নাস্তিক হওয়া যায়..?
যদি তাই হয় তাহলে পৃথিবীর এত বড় বড় বিজ্ঞানীরা কেন নাস্তিক নয়..?
যত জ্ঞানবিদ্যার জনক আছেন তারা কেন নাস্তিক হন নি...?
চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা, রসায়ন বিজ্ঞানের জনক- আল কেমী, বীজ গণিতের জনক- জাবির ইবনে হাইয়ান, মধ্যাকর্ষণ শক্তির আবিষ্কারক ইবনে হাইসাম (পশ্চিমা বিশ্ব বলে নিউটন) এরাতো সবাই মুসলমানই ছিলেন।
নাস্তিকরা আস্তিকদের নিয়ে ঘাটাঘাটি, তাদের বিশ্বাসে কুঠারাঘাত, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে অপমান অপদস্ত করারই দরকার কি আর এভাবে মরারই দরকার কি........ আপনার নিজের বিশ্বাস যুক্তি নিজের মাথার ভিতরই রাখুন না তাতে নিজেও ভালো থাকবেন অন্যরাও ভালো থাকবে.. দ্যটস গুড ডিসিশান এন্ড পিসফুল সলুশন।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: +++++++++++++++++++
৪| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
গোলাম রব্বান বলেছেন: চমত্কার বলেছেন। কাউকে বদলানোর সবচেয়ে সহজ শর্ত হচ্ছে ওষুধটা তার পছন্দমতো দিতে হবে। আমার পছন্দমতো ওষুধ তা সে যতই কার্যকর হোক, তার মনমতো না হলে সে খাবে না। আপনার কথাগুলোও মনে ধরেছে। ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: সব ব্যবসায় লাভ লোকসান থাকে, যারা মুক্তচিন্তার নাম ভাঙিয়ে বিদেশী ভিসার জন্য ইসলাম ধর্মকে টার্গেট করে, এরা কতটুকু মুক্তমনা যথেষ্ট সন্দেহ থেকে যায়।
৬| ১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২১
মুনতাসীর রোমান বলেছেন: সামুর মৌলবাদ তোষন নীতির কারনে ব্লগিং এর শুরুতেই ছেড়ে দিয়েছলাম । আপনার লেখা নির্বাচিত পাতায় দেখে ভালো লাগলো । আশা করি চালিয়ে যাবেন । শুভ কামনা রইল ।
৭| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৪০
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: "মুসলমানরা সব থেকে কম লেখাপড়া করে। দর্শন, বিজ্ঞান ও যুক্তির নিয়ে পড়াশুনা করতে এরা ভয় পায়, মনে করে নাস্তিক হয়ে যাবে, বা কী দরকার এত পড়াশুনার। ফলে নিজেদের বিশ্বাসের ভিত্তিগুলো সম্পর্কেও এরা তেমন কিছুই জানে না। "
কথাটিতে একমত হতে পারলাম না।
হয়তো আপনারা অনেক জানেন, কিন্তু সম্পুর্ণটা এখনও কেউ জানিনা। আমি ব্যাক্তিগতভাবে যুক্তিকে সমর্থন করি, কিন্তু যুক্তির মাধ্যমে কাউকে গালি দেওয়া মানতে পারি না। আমি নিহত ব্লগারদের ব্লগ কখনো পড়িনি, তবে ফেসবুকে আসিফ মহিউদ্দীনের লেখা পড়েছি। সেখানে সরাসরি নবী স: কে কটাক্ষ করতে দেখেছি।
ইসলাম আসলেই পুর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা, সেখানে গোপনে কাউকে হত্যার কথা কোথাও লেখা নেই। এখন কেউ ইসলামের নামে হত্যা করলে তার জন্য ইসলাম দায়ী নয়। আমরা এখনো কতিপয় মাওলানার ভাষন শুনে রক্ত গরম করি, কিন্তু আসলেই আল-কুরআনকে কতোজন বুঝি?
নারীর পোশাক নিয়ে কথা হলেই গোড়া মুসলিম বা মৌলবাদকে টেনে আনা হয়। অথচ নারীদের অনেক খারাপ দিকই সমাজে বিদ্যমান, অনেক নরপশু রাস্তায় বসে থাকে আমাদের মা-বোনের অপেক্ষায়। কী এমন দোষ, যদি কোন নারীকে পর্দার কথা বলা হয়, কোন নারীকে অল্প বয়সে বিয়ের কথা বলা হয়?
কেন, বিয়ের পরে একজন মেয়ের পড়া লেখার বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে? কেন একজন স্ত্রী বিয়ের পর উচ্চ শিক্ষায় পড়তে পারবে না, কেন তাকে ঘরের কাজের জন্য বাধ্য করা হবে। নিশ্চয়ই মানবেন, এখন নারীই বিয়ের আগে সতীত্ব হারাচ্ছে, তবে কেন তাকে অল্প বয়সে তারই প্রিয়জনের সাথে বিয়ে দেওয়া যাবে না? কেন আমাদের অভিভাবক রা বিয়ের পর আমাদের লেখাপড়ায় উৎসাহী নয়, বিয়ে মানেই ঘরে আটকে থেকে সন্তান পালন করতে হবে এমন কোন নির্দেষ আছে আল-কুরআনে?
আমি মনে করি, ইসলাম ঠিকই আছে শুধু তার ব্যবহারেই ভূল হচ্ছে। ইসলামে অন্য ধর্মাবলীর লোকদের আড়ালে নিয়ে মারার নির্দেষ নেই, কাউকে নিয়ে খারাপ কথা বললে তাকে হত্যার নির্দেষ নেই। বেশী কিছু নয়, ইসলাম মানেই জিহাদ, আল-কায়েদা, তালেবান এসব ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৮| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৪২
জনৈক রুয়েটিয়ানের ব্লগ বলেছেন: মডারেট মুসলমানদের মুখ সেলাই করে দিয়েছেন।
পোস্টে প্লাস থাকল।
৯| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:২৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটার মুল বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করছি । তবে লেখাটায় লেখকের মনের কিছু অসহিষ্ণুতা এবং কিছু তেতো অংশ লক্ষ্য করলাম ।
মুসলমান বা মাদ্রাসা শিক্ষিতরা সম্পূর্ণই অশিক্ষিত, কুশিক্ষিত আর মিথ্যা নয় - এদের মধ্যে যে দীনতা, যুগের পর যুগ পশ্চাৎপদতা থেকে সৃষ্ট অভিমান আর বুদ্ধিবৃত্তিক পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্নতা তার মধ্যে একটা শক্তি আছে, সত্য পদার্থ নিহিত আছে । আপনি যদি আপনার এলাকায়, মফস্বলে বা গ্রামে এই গোষ্ঠির সাথে মিশে থাকেন তাহলে ঐ দীনতা, বিচ্ছিন্নতা আর দূঃখের ভিতর থেকে জন্ম নেওয়া সত্য আর এর শক্তিটাকে হয়ত উপলব্ধি করে থাকবেন । এই শক্তিটাই আজ ভারসাম্যহীন অর্থনৈতিক, সমাজ-রাজনৈতিক শক্তির সাথে মিথষ্কৃয়ায় বিকৃত মস্তিষ্ক চাপাতি-অলাদের জন্ম দিচ্ছে ।
আবার উল্টোদিকে হুমায়ুন আজাদীয় বুদ্ধিবৃত্তির মধ্যেও ভুরি ভুরি মিথ্যা আছে । এর উৎস "আমি সবজান্তা" এই বিনয়হীন উৎকট অহমিকা, ইন্দ্রিয়-লোলুপতা আর ভোগবাদী ব্যাক্তি-সর্বস্বতা । যে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা একাধারে প্রবল ভোগবাদী এবং নিজেকে সবজান্তা মনে করে তা আমাদের সমাজকে ঠিক কতটুকু পাল্টাতে পারবে তা আমি নিশ্চিত নই, তবে তারপরও তারা চাপাতি-তন্ত্রের সমর্থক বা সুবিধাবাদী গোষ্ঠির চেয়ে লক্ষ-কোটিগুনে শ্রেয় ............।
১০| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
িরয়াজ উিদ্দন বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসা সাব মনে হয় এই ব্লগেরই একজন মড়ু,তিনি কেন কোনো এক পক্ষকে সমর্থন করবেন?
এই লেখাটা পুরা পড়ুন তাহলেই ইহার গূড় রহস্য বের হবে।
মুসলমানরা পড়াশোনা করেনা, এটা পাপ ওইটা পাপ বলে বেড়ায়! বাহ মুক্তমনের মুক্ত কথা কোনো প্রমান আর যুক্তি ছাড়া। সুন্দর ব্রো ইউ ওয়েলকাম!
আল্লাহর রাসুল (সা শিক্ষিত যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দিতেন নিরক্ষর মুসলিমদের শিক্ষা দেয়ার শর্তে।
মুসলিমরা পড়াশুনা করেনা, এইড়া পাপ ওইড়া পাপ বলে বেড়ায়, বাহ বাহ বাহ। বেড়াতে যাওয়া পাপ কোন মুসলিম বলেছেন, ইসলামের কোথায় আছে বেড়াতে যওয়া পাপ? বরং মুসাফির মানে যারা সফর অব্স্থায় থাকে মানে যারা বেড়ানো অবস্থায় থাকে তাদের নামায এবং রোযা পালনে অনেক শিথিলতা আছে। সুচতুর ভাবে ঢুকাইয়া দিলেন মুসলমরা বলে বেড়াতে যাওয়া পাপ! বাহ মুক্তমনের কত সুন্দর নজির স্থাপন করতেছেন। ভালো, ভালো চালিয়ে যান, খুব ভালো,।
১১| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪১
আলী আকবার লিটন বলেছেন: ল্যামার্কের মতে, জিরাফগুলো এক ধরণের কৃষ্ণকায় হরিণ থেকে বিকশিত হয়েছিল । যখন হরিণগুলো উঁচু বৃক্ষের পাতা খাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করত, তখন তাদের ঘাড় একটু একটু করে প্রসারিত হয়ে এক প্রজন্ম হতে অন্য প্রজন্মে লম্বা হয়েছে । ডারউইন নিজেও একই ধরণের উদাহরণ দিয়েছেন ; দৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি তার প্রজাতির উৎস বইটিতে বলেছেন যে খাবারের খোঁজে পানিতে নামতে গিয়ে কিছু ভালুক কালের পরিক্রমায় নিজেরাই তিমিতে রূপান্তরিত হয়েছিল ।
এই হল নাস্তিকদের জ্ঞানের খতিয়ান নামা
হরিন থেকে জিরাফ ভাল্লুক থেকে তিমি
েি
১২| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
িরয়াজ উিদ্দন বলেছেন: ও আরেকটি কথা মুসলিমদের শাসন আমলে কর্ডোবাকে বলা হতো ইউরোপের বাতিঘর, তাও পড়াশোনা বিকাশের জন্য।
আপনাদের ইগনোর করতে গিয়েও পারিনা আপনাদের চালনো প্রোপাগান্ড দেইখা।
এই নেন উইকি লিংক আর পইড়া দেহেন ভিবিন্ন সাইন্টিফক ফিল্ডের কয়জন মুসলিম রয়ছেন যাদের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রর ফাদার ধরা হয়। সত্য কথন হলো পশ্চিমাদের প্রভাব যহেতু আধুনিক বিশ্বে প্রকট তাই তারা মুসলিমদের ইগনোর করবে এটাই সাভাবিক তবুও লিংকে গিয়া দেখন অনেক মুসলিম বিজ্ঞানী যাদের নাম বাদ দেয়া সম্ভব হয় নাই।
তয় মনে হয় বঙ্গিয় মুক্তমনারা হইলে তাও বাদ দিয়া দিতেন!
http://en.m.wikipedia.org/wiki/List_of_people_considered_father_or_mother_of_a_scientific_field
১৩| ১৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫১
অেসন বলেছেন: "বাংলাদেশে ধর্মানুভূতি বলতেও অন্য কোন ধর্মের অনুভূতিকে বোঝায় না, শুধুমাত্র মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি বোঝায়। এখানে ভিন্ন কোন ধর্ম, আদর্শ বা দর্শনের উপর বিশ্বাস এমন কি সংশয় এখন অবাঞ্চিত, পাপ।" -অন্য ধর্মের অনূভূতিতে সজোরে আঘাত হানুন, কোন সমস্যা নেই। সারাদেশের জিহাদী মানুষ আপনার পাশে থাকবে আর
সরকার, আইনের চোখ বন্ধ থাকবে। কি দরকার মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে নিজের জীবন বিপন্ন করার ?
লেখককে ধন্যবাদ।
১৪| ১৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪
বাংলার ডাকু বলেছেন: ““দুষ্টামি হলেও
সত্য: একমাত্র এরাই সমাজটা
পাল্টাতে চায়, এমনকি
বিশ্বাসটার মুলে আঘাত করার
দুঃসাহস দেখায়!””
কি চমৎকার কথা ইসলামকে হেয় করে মুসলমানদের মূল্যবোধে আঘাত করলে নাস্তিকতা প্রচারের করলেই সমাজ পাল্টে যায়| বাহ খুবই ভাল| কমলাকান্তের ভাষায় ও মধু মধু
১৫| ১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
জনাব মাহাবুব বলেছেন: ঠিকই বলছেন মুসলমানরা খারাপ, অশিক্ষিত, বিজ্ঞান বুঝে না, মানবতা বুঝে না, নারী স্বাধীনতা বুঝে না।
যা বুঝার সব নাস্তিক শ্রেণীরাই বুঝে, আপনিও কিন্তু বেশি বুঝেন
যাউকগা, আপনার লেখা পইড়া একটা লোকও আপনার দলে যাবে বলে মনে হয় না। শুধু যারা নিজেকে বেশি জ্ঞানী মনে করে তারাই আপনার সাথে সুর মেলাবে
মন ভইরা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের গালি দেন তাতে আপনার বুদ্ধি আরো বিকশিত হবে।
১৬| ১৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
মুকতোআকাশ বলেছেন: অনেকে ই অনেক যুক্তি দিয়ে উত্তর দিয়েছেন ।তাদের একটা করে লাইক ও দিয়েছি। আমি যে টুকু বুঝলাম তা হচ্ছে- ধর্মের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে বলতে পারলে ই তাকে বিজ্ঞান মনস্কঃ বা প্রগতিশীল বলে মনে করা হয়। দুই ধরনের হতে পারে, ইসলাম না যেনেই অন্য নাস্তিক দের বই পড়ে অন্ধের মত বিশ্বাস করে ফেলেছে। অথবা জেনে শুনে বিশেষ উদ্দেশ্যে ইসলাম বিরোধী যুক্তি প্রচার করছে। আর এ করতে গিয়ে তারা মুসলমান দের উদাহারন টানছেন। বর্তমানে ইসলাম আর মুসলমানে বিস্তর পার্থক্য। কিভাবে মুসলমান দের এই অবস্থা তা বিশ্বের মুসলমানদের ইতিহাস পড়লেই জানা যাবে। ভারত উপমহাদেশে মুসলমান শাসন অবসানের যে বর্বর অত্যাচারের ইতিহাস আছে তা ইতিহাসের বই থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। মুলতঃ এই সব রাজনৈতিক কারন গুলোই মুসলমান ও ইসলামের পার্থক্য হবার কারন। প্রকৃত পক্ষে যে সব চেয়ে বেশি শিক্ষিত সেই মুসলমান হবে। যে, সব চেয়ে বেশি বিজ্ঞান মনঃস্ক সেই হবে মুসলমান। যে প্রগতিশীল সেই মুসলাম,যে আধুনিক সেই মুসলমান হবে। কিন্তু ব্যাপার টা এখন উলটো হয়ে গেছে। বেশির ভাগ মুসলমানেরাই কুরআন শরিফ বুঝে পড়ে না। আমি নিজেও যে সব বুঝি তাও নয়। তবে এটুকু বুঝেছি যে এই লেখক প্রকৃতই কুরআন শরিফ বুঝেন নি অথবা বুঝেও বুঝেননি। তবে এই সব ব্লগারদের বুঝতে হবে যে, সময় পাল্টাচ্ছে। ইংরেজ দের দুশ বছরের শাসনে মুসলমান শিক্ষিতের সংখ্যা প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসে ছিল, এখন সে অবস্থা নেই।তাই যা তা লিখে অর্ধ শিক্ষিত মুসলমানদের আর অত সহজে পথভ্রষ্ঠ করতে পারবেন না। কারন এখন শিক্ষিত মুসলমানের সংখ্যা ও খুব কম নয়।
১৭| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শিক্ষার মানের উপর নির্ভর করছে সমাজের পরিবর্তন
১৮| ১৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
যুক্তিপূর্ন লেখা।++্
প্রিয়তে নিলাম।
১৯| ১৯ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩
ক্রান্তী সৌরভ বলেছেন: দেশে এমন এক অবস্থা, নাস্তিক বলতে কি, সেটা পর্যন্ত ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে। যারা এই নাস্তিকতার কথা বলছে, তারা নিজেরা কখোন দেখে নি,কোথায় সেই লেখাটা। কারও মুখে শুনেই বলা হয় নাস্তিক। নাস্তিক তো সেই যে কোন ধর্মকেই বিশ্বাস করে না। দেশ আজ এমন কুলে এসে তরী ভীরিয়েছে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস না করলেই সে নাস্তিক। এটা কোন ধরনের বোকামী কথা।
উত্তর নাই।
২০| ২০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
গরল বলেছেন: এক মন্ত্রীর ছেলে আর এক এমপি মিলে ছয় জনকে গুম করে হত্যা করল, ফলাফল এমপি ও মণ্ত্রীর কিছুই হল না কারণ বাঙ্গালীর অনুভূতিতে আঘাত লাগল না। কোন হরতাল, বিক্ষোভ, আন্দলোন কিছুই হল না। আর এক এমপির ছেলে তার স্ত্রীকে হত্যা করল কিন্তু ইহা কারো অনুভুতিতে আঘাত করার মত কোন কাজ হল না বিধায় এমপি বা তার ছেলের কিছু হল না। ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হল, বাঙ্গালীর অনুভুতির কিঞ্চিত পরিমান দোলাতে পারল না এবং বাঙ্গালী আরও উৎসাহ নিয়ে হিন্দি চ্যানেল দেখা শুরু করল এবং ঈদে ভারতীয় নায়ক নায়িকাদের ড্রেস কেনার জন্য হুমরী খেয়ে পড়ল। বিশ্বজিৎকে জনসম্মুক্ষে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাও কারো অনুভূতিতে নাড়া দিতে পাড়লনা। একজন মণ্ত্রীর কিছু ফালতু কথায় বাঙ্গালীর অনুভুতি প্রচন্ড আঘাত খেয়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গেল, ফলাফল মণ্ত্রীত্ব তো গেলই তাকে জেলেও যেতে হল। যারা বানরের খেলা দেখায় তারা জানে বানরকে কখন কলা দেখিয়ে নাচাতে হয়। বাঙ্গালী হচ্ছে বানরের দল, যারা শুধু অন্যের কথায় নাচে। দেশের মানুষ নিজেদের বুঝ যতদিন না বুঝবে ততদিন তাদের কপালে ভাল কিছু জুটবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন। তবে সমস্যা হচ্ছে এই পোস্টের কথাগুলো অনেকেই বুঝবেন না, তাদের সেই সক্ষমতা নেই। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি মনে করি সব কিছুর একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, উপায় আছে। সময়ের আগে কোন কিছু করা ভালো না। যেমন দেখুন একটা সময় তসলিমা নাসরিন বলেছিলেন আমি ছেলেদের মত করে হোন্ডায় বসতে চাই। ৯০ এর শুরুতে সেই চিন্তা অনেকের কাছে অশ্লীল মনে হলেও বর্তমানে তা বহুল প্রচলিত। তখন সেই কথাকে অনেক কটু চোখে দেখলেও বর্তমানে তার সুযোগ নেই।
তাছাড়া আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও রুট লেভেলে প্রভাব ফেলতে পারে নাই। ফলে এখনও মুক্ত চিন্তার কনসেপ্ট এখনও আমাদের রুট লেভেলে পৌঁছায়নি। কারনটা আপনিই উল্লেখ্য করেছেন সুন্দর করে।
"মুসলমানরা সব থেকে কম লেখাপড়া করে। দর্শন, বিজ্ঞান ও যুক্তির নিয়ে পড়াশুনা করতে এরা ভয় পায়, মনে করে নাস্তিক হয়ে যাবে, বা কী দরকার এত পড়াশুনার। ফলে নিজেদের বিশ্বাসের ভিত্তিগুলো সম্পর্কেও এরা তেমন কিছুই জানে না। কুরআন হাদিসের বাক্যগুলো সম্পর্কে, ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে, আধুনিক জীবন যাপনের সাথে এদের অস্তিত্বের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে ১০০% মানুষ কোন সদুত্তর দিতে পারে না। "
আপনার সাথে সহমত জানিয়ে বলতে চাই, ইসলামের সেই স্বর্ণ যুগের পর আমরা কি এখন পর্যন্ত কোন আলকেমি বা ইবনেসিনা কে পেয়েছি? পাই নি। আমরা পেয়েছি বিন লাদেন, আল কায়দা, তালেবান সহ ইত্যাদি কট্টরপন্থি ইসলামি আইডোলজি বর্হিভুত ব্যক্তি ও সংস্থা।
আপনি আমাদের ব্লগের অফিসিয়াল ফেসবুকে প্রমোট হওয়া বিভিন্ন বিজ্ঞান ভিত্তিক পোস্টে বিভিন্ন মানুষের কমেন্ট দেখলে আঁতকে উঠবেন এই যুগে এসে এখনও কিছু মানুষ মনে করে পৃথিবী স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সূর্যই চারিদিকে ঘুরছে, বিজ্ঞান নিয়ে স্বাভাবিক আলোচনা করার তাদের সময় নাই। সবকিছুকে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করে তারা নিজেরা হাস্যকর হচ্ছে, এই ধর্মের অন্য মানুষগুলোকে হাস্যকর বানাচ্ছে।
দেখুন আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। এই দেশের অনেক মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এদের অধিকাংশদের নিজেদের জমি নেই, জমি থাকলে ভালো বীজ কেনার টাকা নেই, বীজ কিনতে গিয়ে দেখা যায় সার কেনার টাকা নেই, সার কেনার পর দেখা যায় মাটিতে পানি নাই। এই মানুষগুলো পাশে দাঁড়ানোর মত কেউ নাই। তাহলে তাদের বেঁচে থাকার জন্য একটা অনুপ্রেরণা দরকার, একটা শক্তিশালি ঐশ্বরিক ক্ষমতায় তাদের বিশ্বাস থাকা দরকার।
আর সেই বিশ্বাসের ঐশ্বরিক ক্ষমতার নামই হলো ঈশ্বর। তাকে আমরা যে নামেই ডাকি না কেন।
এখন হঠাৎ করে কিছু মানুষ যদি এই বিশ্বাস কেড়ে নিতে আসে, তাদের অনুপ্রেরণার স্থান নষ্ট করতে চায়, অসম্মান করে, খুব স্বাভাবিক ভাবে ঐ মানুষগুলো ক্ষিপ্র হবে, হাতের কাস্তে নিয়ে প্রতিহত করতে চাইবে। কেননা প্রিয়জনকে রক্ষার অধিকার আমাদের সবারই আছে।
তাই যে যে ভাষায় বুঝে, তাকে সেই ভাষায়ই বুঝানো দরকার। তাদের বুঝানো দরকার বিজ্ঞান আর ধর্ম একে অপরের শত্রু নয়। ঈশ্বরের ইচ্ছা ও সৃষ্টি বাস্তবায়নের কলাকৌশল যে জ্ঞান ব্যাখ্যা করে করে তার নামই বিজ্ঞান। এতে অবশ্য কিছু মানুষের ব্যবসা ও ধান্দা বন্ধ হবে, তারা অনেক বেহুদা আলাপ করবে- সম্মিলিত ভাবে সেটাকে রুখে দেয়াই হবে আসল চ্যালেঞ্জ।