নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন হাসিখুশি মানুষ

রমজান আহমেদ সিয়াম

যত আশা রয়েছে থাকনা কোন কাগজে নয়তো কোথাও লুকোনো ৷ fb.com/RomjanAhmad28

রমজান আহমেদ সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটুক্তি বন্ধ করুন

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮

১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ৷
অনেককেই দেখি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড নিয়ে কটুক্তি করেন ৷ বুদ্ধিজীবীরা নাকি রাজাকার ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেননি, দেশের জন্য
কিছু করেনি ইত্যাদি ইত্যাদি ৷
আমি গতকালই এরকম লেখা দেখেছি ৷
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি মুক্তিযোদ্ধ না করেও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা যায় ৷
কেউ শব্দ সৈনিক হিসেবে কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের আহার করিয়ে কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান না জানিয়ে দিয়ে
কেউ যুদ্ধে যাবার জন্য তার সন্তানকে পাঠিয়ে দিয়ে বিভিন্নভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন ৷
বুদ্ধিজীবীদের হত্যার উদ্দেশ্য ছিলো দেশের সাংস্কৃতিক,সামাজিক শিক্ষাগত দিক থেকে দেশকে দুর্বল, মেধাশূন্য করা ৷
“ এটা অবধারিত হয়, বুদ্ধিজীবীরাই
জাগিয়ে রাখেন জাতির বিবেক,
জাগিয়ে রাখেন তাদের
রচনাবলীর মাধ্যমে, সাংবাদিকদের
কলমের মাধ্যমে, গানের সুরে,
শিক্ষালয়ে পাঠদানে, চিকিৎসা,
প্রকৌশল, রাজনীতি ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের সান্নিধ্যে এসে। একটি জাতিকে নির্বীজ করে দেবার প্রথম উপায় বুদ্ধিজীবী শূন্য করে দেয়া। ২৫ মার্চ রাতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অতর্কিতে, তারপর ধীরে ধীরে, শেষে পরাজয় অনিবার্য জেনে ডিসেম্বর ১০ তারিখ হতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দ্রুতগতিতে। ’’


১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পনার মূল অংশ
বাস্তবায়ন হয়। অধ্যাপক, সাংবাদিক, শিল্পী,
প্রকৌশলী, লেখক-সহ চিহ্নিত বুদ্ধিজীবীদের পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসরেরা
জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেদিন প্রায় ২০০ জনের মত বুদ্ধিজীবীদের তাদের বাসা হতে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরকে বিভৎসভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় ৷
সেই কালো অধ্যায়টা যদি না আসতো! আমরা এখন যতোটা জানি তারা থাকলে আরো অনেক কিছু শিক্ষতে পারতাম এটা বলাই যায় ৷ যুদ্ধে শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণ যায়নি গিয়েছে হাজারো সন্তান হারানো অনেক মায়ের ৷
দেশ স্বাধীন হবে সেই আশায় মুক্তি হবে
পরাধীনতার সেই আশায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধে তাদের সাহস যুগিয়েছিলেন তাদের পরিবার, বুদ্ধিজীবীরা ৷ বুদ্ধিজীবিরা কখনো শব্দ সৈনিক হয়ে যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের
সাহস যুদ্ধ করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন ৷
তখনকার সময় আপনি ছিলেননা [কটুক্তিকারী] তাহলে না জেনে রাজাকার বলেন কেন? আমিও তখনকার সময় ছিলাম না তাহলে ৷ আমাদের উঠিৎ তাদের সম্মান করা ৷
আমরা তাদের সম্পর্কে কটুক্তি করতে পারিনা ৷ আজ যদি বুদ্ধিজীবীরা থাকতেন দেশ আরো উন্নত হতো তাদের মেধা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতো ৷

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

অেসন বলেছেন: এরা (কটুক্তিকারী) জামাতিদের শেখানো বুলি প্রচার করছে। তারা হত্যাকারীদের পক্ষে সাফাই গাইছে এবং ভবিষ্যতেও গাইবে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৪

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: হতে পারে

২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: এরা আর কেউই না এরা হোল সেই সব ক্ষুদ্র আপজাতি যাদের আমরা দক্ষিণা দিয়ে পালতেছি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: আমাদের তাদেরকে বুঝাতে হবে

৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

শিখণ্ডী বলেছেন: এরা সারা বছর ইনিয়ে-বিনিয়ে ছাগুদের কাজকে হালকা করার চেষ্টা করে। আবার সুযোগ মত কট্টোর মুক্তিযুদ্ধ-প্রেমিক সেজে ওঠে। এই বর্ণচোরাদের উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: হুমম

৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৮

Ahmad R. Siaam বলেছেন:
আমাদের তাদের সম্মান করা উচিত

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: অবশ্যই

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভাই আপনি মাল্টি নিক ব্যবহার করছেন ভাল কথা। কিন্তু সহজে ধরা পড়লেন।
ভুল হলে ক্ষমা প্রার্থী

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: ভূল হয়েছে আপনার
মাল্টি নিক ব্যবহার করার এতো সময়
নাই ভাই ৷ এই নিকেই তো সময়
দিতে পারিনা ৷ মাল্টি নিক হাসলাম [হাসার
ইমো হবে]

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: বুদ্ধিজীবিদের রাজাকার বলা হয় মাত্র কয়েক জনের জন্য। এদের মধ্যে প্রথম হলেন কবির চৌধুরি, আর এর পরে হলেন শাহরিয়ার কবির। ইনারা দুইজনেই পুরা একাত্তর সাল জুড়েই বিভিন্ন সরকারী কাজ করে গেছেন, অনুকম্পা লাভ করেছেন। পরে ১৬ ডিসেমবরে হয়ে গেছেন সিক্সটিন ব্রিগেডের সদস্য! ইনারাই সেই রাজাকার বুদ্ধিজীবি!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: কয়েকজনের জন্য সবাইকে রাজাকার বলা যায় না ৷ যারা রাজাকারের কাজ করে বুদ্ধিজীবী দাবি করে আমার কাছ থেকে ঘৃণা তাদের জন্য

৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ৪৫ বছর পরও যখন জিয়াউর রহমানকে বাই চান্স মুক্তিযোদ্ধা শুনতে হয়, কাদের সিদ্দীকে রাজাকার শুনতে হয় তখন আরেক পক্ষ তো সুযোগ নিবেই। মুক্তিযুদ্ধকে একটা দলের একক সম্পত্তি না বানালে এত ভেদাভেদ হতো না। আর সত্য অনেকসময় তিতা হয়। তখন অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিই পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন এমনকি দালাল আইনে অনেক নামকরা প্রফেসর (কেউ কেউ এখন টক শো-তে নিয়মিত) - কেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। কাজেই যত তেনা প্যাঁচাবেন ততই দুর্গন্ধ বের হবে...

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধ কোন দলের সম্পত্তি না যে দল যাই বলুক ৷ যারা রাজাকার কর্মকান্ড করেছে তারা আমার কাছে ঘৃণার পাত্র ৷ কয়েকজনের জন্য সবাইকে দোষ দেয়া যায়না ৷

৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৮

বিলুনী বলেছেন: ঠিকই বলা হচ্চে যতই তেনা পেচানো হবে ততই দুর্হন্ধ বেরোবে, কার কার বেড় হচ্চে তা তো দেখাই যাচ্চে এখন , কেও না বুঝলেও কিছুটা কর্নেল তাহের বুঝেছে ফাসিতে ঝুলে ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: হুম তেনা প্যাচালে দুর্গন্ধ বের হবেই

৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

যোগী বলেছেন:
রাজাকারদের গেলমানরা এখন পাগলা কুত্তা হয়ে গেছে।
বাদ দেন ওদের কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.