![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাক্তারী বিদ্যায় অধ্যনয়রত শিক্ষানবিস একজন। ছোট বেলা থেকেই সৃজনশীল কাজ ভাল লাগে। বাবার অনুপ্রেরণায় প্রথম লেখালেখির শুরু। ভাল লাগে ছবি তোলতে। বেশ কয়েকবার ছবি প্রদর্শিত ও হয়। এইতো লেখালেখি,ছবি,পড়াশোনা,মানব সেবার ইচ্ছা। সব মিলিয়েই আমি।
অনুকাব্য
১.
ভর দুপুরে একলা আকাশ
মেঘের রাজ্য কল্পনা,
ভালবাসি তোমায় অনেক
এটা কোন গল্প না।
২.
বর্ষা জমে চোখের পাতায়
এক চিলতে হাসি,
তোমার জন্য আনতে পারি
হ্যামিলনের বাঁশি।
৩.
মেঘে মেঘে গেল বেলা
আশার...
- এই শোন,তোমাকে যদি বলি চোখ বন্ধ করে একটা সবুজ বাংলো বাড়ি কল্পনা করতে তুমি পারবে?
-রাত ক\'টা বাজে খেয়াল আছে?
-আচ্ছা,ওই তারাভরা আকাশটা কি দেখবো আমরা ছাদে বসে?
-ঘুমাও তো। সারাদিন...
একবার দেখে যাও আমাকে..
দূরের ছায়াপথে কেন আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম,
কেন ওরা আমায় এভাবে ছিঁড়ে দেখলো?
লাশ ঘরের অশুভ আত্মার ভীড়ে
কেন অনেক বেশি একা আমি।
জানবে না তুমি ...
বোকা ডাক্তার...
নিখোঁজ সেই ছেলেটির খবর কেউ জানো?
যার নিজের হাতে আঁকা একটা পৃথিবী ছিল,
সে পৃথিবীতে আকাশী রঙের এক পাখি ছিল,
গভীর রাতে মেঘে ঢাকা মায়াবী এক চাঁদ ছিল,
হারিয়ে গেল অজান্তেই...
হারিয়ে যাওয়ার সংবিধানে জুড়ে...
প্রেম একবার এসেছিল নীরবে । স্নিগ্ধ শরতের শিশিরে ভিজে । আর তার উপর তোমার ঐ প্রেমময় চাহনি । যেন পদ্মপাতায় জমে থাকা শিশির যা সকালের রোদে চারদিকে এক অপূর্ব প্রতিফলন...
গল্পের নগরে হেঁটে বেড়াই আমি
যেখানে আনাচে কানাচে বসে গল্পের হাট,
দিনভর চলে বেচা কেনা ।
কোন গল্প বিক্রি হয় বেশি দামে,
আবার কোনটা হয়ত নিতান্তই মূল্যহীন।
কোন গল্প মোড়া দু:খের চাদরে,
কোনটা...
একজোড়া রঙিন চুড়িওয়ালা হাত,
কালো চোখের চাহুনি,
আর পায়েলের টুংটাং কিছু আওয়াজ ।
এতটুকুই যথেষ্ট বালিকা...
তোমার মন্ত্রে আমায় বশীভূত করতে।
জানি লোক সমাজ
আড়ালে কথা কানাকানি করবে,
বলবে এই ছেলেটা বুঝি
লজ্জা...
খোলা আকাশ, দুই একটা তারা মিটমিট করে জ্বলছে....
মেয়েটির উদ্দেশ্যহীন চাহুনি । গল্পগুলো বন্দী হাতের মুঠোয় তার। ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিচ্ছে নিজেকে। অভিনয়টা আজকাল ভালই আয়ত্তে এনেছে সে। এখন আর অভিনয়ে...
তারপর আবারো অপেক্ষা !!
ভেঙে যাওয়া গল্পে
আর একটি ছোট্ট উপসংহার,
সেই উপসংহারে নতুন গল্প শুরুর ইঙ্গিত।
গল্পের টানেই গল্পের শুরু,
নতুন কোন গল্প..
যে গল্পে নেই কোন উপসংহার।
লিখতে লিখতে মাঝ পথে এসে,
নিখোঁজ আমার সে...
_______________________________
ঢং ঢং .... এলার্মের শব্দ। সকাল ৬:৪৫ মিনিট।
ঘুম থেকে উঠে চশমাটা চোখে দিতে দিতে ঘড়ির দিকে তাকালেন হাসান সাহেব। প্রতিদিনের মত বের হয়েছেন প্রাত:ভ্রমণে।এত বয়স হয়ে গেল কিন্তু যুবক বয়সের...
স্বপ্নেরা পালিয়ে গেছে ঘর ছেড়ে
হারিয়ে গেছে গহীন বনে,
যে বনে জন্ম নেয় হাজার রঙের কষ্ট।
কোন কষ্ট নীল রঙে
কোন কষ্ট ছাই
কোন কষ্টের জন্ম স্বপ্ন পুড়ে।
দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছি-
মৃত কিছু ধূসর রঙা...
গল্পেরা উড়ে গেছে অনেক আগেই..
বাতাসের ঝড়ে সেদিন ছিঁড়ে গেল
এক একটা কবিতার পাতা।
কবিতাগুলো অনেক অসহায় এখন...
অনাত্মীয়ের মত তাড়িয়ে দিয়েছি,
রক্তাক্ত করেছি তার অন্তর আবারো।
কবিতার মনে আজ অনেক ঘৃণা
আজন্ম অভিশাপের বলয় চারদিকে...
আর...
বলেছিলে লিখে দিতে
অমর এক কবিতা।
বিনিময়ে দিবে বিশুদ্ধ অক্সিজেন..
বহুদিন পর-
আজ আমার কবিতা শেষ হলো।
কিন্তু "তুমি" নামের সেই অক্সিজেন..
আর খুঁজে পেলাম না ।
এখন আমার দিন কাটে
ঘুমের ঘোরে অন্ধকারে...
অক্সিজেন ছাড়াই -
বেঁচে...
তারপর??
তারপর একরাশ ভালবাসা বুকে নিয়ে
মেয়েটি হারিয়ে গেল অজানায়।
একলা ঘরে বসে আছে যুবক-
অগণিত প্রশ্নের ভীড়ে মাথাটা ধরেছে তার।
আচ্ছা,মেয়েটা না করলো কেন?
রোজ একসাথে সূর্যোদয় দেখতে চাওয়ার অপরাধে?
মনের ভুলে হাতটা ধরে -
বুক পকেটের...
একদিন দুদিন সময়ের চাকা ঘুরে
ব্যাকরণের নিয়মের মতই
প্রেমে পড়ে যাওয়া!!
তারপর এক আকাশ জোছনায়
কিংবা কৃষ্ণপক্ষের রাতে,
লিখে রাখা অবাক করা চিরকুটে -
"বারবার পথ হারানো
একজনেরই জন্যে !!"
©somewhere in net ltd.