নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রওনুক হাসান

আমি শূন্য অনুভূতির শূন্য লতা ।

রওনুক হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি আরব জনশক্তি রপ্তানি নয় এটা হবে যৌনশক্তি রপ্তানি ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০০








"After Beheading, Indonesia Bars Maids from Work in Saudi Arabia"
-TIME
ইন্দোনেশিয়ান জনৈক এক নারীর শিরোচ্ছেদের ঘটনার পর ঠিক এমনি একটি সংবাদ প্রচার করে টাইম...
২০১১ সালের ২৩ জুনে ইন্দোনেশিয়ান সরকার সরকারি ভাবে ঘোষনা দেন সৌদিতে নতুন করে আর কোন গৃহকর্মী তারা পাঠাচ্ছেন না এবং সময় বেধে দেন সৌদিতে থাকা তার দেশের সব ওয়ার্কারকে স্বদেশে ফেরত যেতে...
মুলত তখন থেকেই সৌদিতে শুরু হয় গৃহকর্মী হাহাকার,
Human right watch এর মতে, সৌদি আরব গৃহকর্মীদের জন্য খুবই ভয়ানক জায়গা যেখানে সেক্সুয়াল ভায়ালেন্স থেকে শুরু করে একজন গৃহকর্মী শারীরীক মানসিক নানা সমস্যায় পতিত হন,
জনৈকা গৃহকর্মীর উপর শারীরীক অত্যাচারের একটি ঘটনা নিয়ে ১০ জানুয়ারী ২০১১ তে একটি নিউজ করেছিলো বিবিসি এটা তার লিংক Click This Link
ইন্দোনেশিয়ান কর্মী পাঠানো বন্ধ হওয়াতে যে সৌদি সরকার অন্য চেষ্টা করেনি ঠিক তা নয়
পর্যায়ক্রমে প্রচেষ্টা চলেছে নাইজেরিয়া, ইথোপিয়া, কেনিয়া ও আরো অনেক আফ্রিকান দেশ থেকে গৃহকর্মী আনার কাজ, এসেছেও অনেক তবে খর্বকৃাতি, কদাকার, পুরোপুরি উল্টো সংস্কৃতি, জাতিগত ভাবে ইন্দোনেশিয়দের মত নিরীহ না হওয়া ও ভাষাগত বিশাল সমস্যার কারনে মনে শান্তি মেলেনি তাদের ।
এর পরই মুলত তাদের বদ নজর পড়ে বাংলাদেশের দিকে !!!!
সৌদিতে বর্তমানে এমন পরিস্থিতি, থেকে যাওয়া অধিকাংশ ইন্দোনেশিয়ান ও ফিলিপিনোরা এখন পার্টটাইম জব করেন সৌদিদের বাসায় ও বিভিন্ন পলি ক্লিনিক গুলোতে যাদের গড় মাসিক ইনকাম ৩৫০০ থেকে ৪০০০ রিয়াল !!
আর যারা নিয়োগকর্তার বাসায় কাজ করেন তাদের বেতন গড়ে ২০০০ রিয়াল।
এই বাস্তবতায় ৮০০ রিয়ালে বেতনে সৌদিতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহকর্মী পাঠানো যেমন হাস্যকর তেমনি এ উদ্যোগ গরীব নারীগুলোকে ধাক্কা মেরে আগুনে ফেলে দেয়ারই শামিল,
সৌদি সরকার যে আমাদের উপর দয়া দেখাচ্ছে ভিসা খুলে এমনটা ভাবার কোনই অবকাশ নেই তারা যে ভীষন বিপদে পড়েই বাংলাদেশ মুখী হয়েছে এটা পরিস্কার আর জনস্বার্থে এই গুরুত্বপুর্ন ব্যপারটা দালাল মিডিয়া গুলো একটা বারের জন্যও সামনে আনার চেষ্ট করলো না তারা যে কত বড় সরকারের পদলেহন কারী তা দেখার মতই ঘটনাই এখন,
সবশেষ বলি, ভাই যারা সৌদি যাচ্ছে তারা আপনার আমার মতই কারো না কারো মা বোন জন সচেতনতা গড়তে শুধু একবার আপনি কষ্ট করে গুগুল সার্চ বক্সে "Indonesian Woman in saudi arabia" এটি লিখে ঘেটে দেখুন আশা করি আর যাই হোক অন্তত আমাকে মিথ্যুক বলবেন না !!!
নিচে কিছু লিংক দেয়া আছে নিউজ গুলো পড়ে দেখতে পারেন...
http://www.hrw.org/en/reports/2008/07/07/if-i-am-not-human-0
https://themuslimissue.wordpress.com/…/saudi-human-slavery…/
http://www.emirates247.com/…/saudi-human-rights-group-backs…


আমার নিজ চোখে দেখা একটি ঘটনা শুনুনঃ


একটি মেয়েকে কি ভাবে অত্যাচার করে । বিশাল বড় বাড়িতে মাত্র এক জন গৃহ কর্মী । তাদের তো ছেলে সন্তানের অভাব নেই । একেক জন ৩ -৪ টা বিয়ে করে । একজন ৬০ অর্ধ সৌদিইয়ানেরও ৪-৫ বছর এর সন্তান আছে । প্রত্যেক টা পরিবারে কম করেহলেও ২০ জন সদস্য হবে । এতো গুলো মানুষের দেখবাল করার জন্য শুধু একটা'ই কাজের মেয়ে । রান্না বান্না থেকে শুরু করে ঘরের প্রত্যেকটি কাজ মেয়ে টা একা একা করে । একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে
, ইভেন্ট এর কাজ করতে গিয়ে মেয়েটার দুঃখের গল্প শুনে আসি । মেয়েটাকে যেতেও দেয় না... অনেক বার চেষ্টা করেও মেয়েটা ব্যর্থ হয় । ৬-৭ বছর ধরে এখানে । এভাবেই মেয়েটা তার কষ্টের কথা গুলো আমাদের কয়েক জন কে বলেছে । খুব খারাপ লাগলো মেয়েটার বন্ধী জীবন দেখে । এদের মানুষ গুলো কেউ কাউকে সম্মান করতে জানে না । বাপ ছেলে বসে একসাথে সিগারেট টানে , টাস খেলে ।
খারাপ কথা বলে । অনেকের মুখে শুনেছি , অনেক সৌদি বাপ ছেলে মিলে কাজের মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করে । কাজের মেয়েকে মার ধর করে । এমন অনেক ঘটনার নজির রয়েছে ।


তার পর তারা ইন্ডিয়ান হাউজ ড্রাইভার এনেছে । এক জন হাউজ ড্রাইভার কে দিয়ে সব কাজ করানো নয় । যদিও তাকে শুধু গাড়ী চালানোর কথা বলে আনা হয় । এজন্য ইন্ডিয়ান ড্রাইভার একবার দেশে ছুটিতে গেলে আর ফিরে আসে না ।

আর সৌদি তে কাজের দিক দিয়ে সব চেয়ে কর্মঠ এবং দক্ষ শ্রমিক হচ্ছি আমরা ।
সৌদি রা কোন কাজের জন্য সবার আগে বাংলাদেশী দের খোজে । আমরা যত সহজে , যত দ্রুত আরাবিক বলতে পারি ... এক জন ইন্ডিয়ান শ্রমিকের ভাষা শিখতেই এক- বছর সময় লেগে যায় ... সেখানে এক জন বাংলাদেশী ৩ মাসের মধ্যে আরাবিক ভাষা শিখে যায় । এই নিয়ে অনেক সৌদি আমাদের প্রশংসা করেছেন ।


সৌদি তে জনশক্তি রপ্তানি করা হোক এতে কোন সমস্যা নেই । কিন্তু গৃহ কর্মী কেন ? নারীদের জন্য এখানে আরও অনেক পোস্ট রয়েছে ... হাসপাতাল , ক্লিনিক , এবং বড় বড় অনেক ফ্যাক্টরি তেও মেয়ে রা কাজ করছে । প্রশিক্ষণ দিয়ে সেই সব , পোস্টে নারী কর্মী আনাহক । তবুও গৃহ কর্মী নয় ।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪১

মিতক্ষরা বলেছেন: বুঝলাম। কিন্তু বাংলাদেশেও তো নারী গৃহকর্মীরা ভাল নেই।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:২১

রামন বলেছেন:
কথাটি বিশ্বাসযোগ্য যে ওরা অন্য কোথাও গৃহকর্মী না পেয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের প্রতি নজর দিচ্ছে। এখন চুক্তি যেহেতু হয়েছে কেউ যেতে চাইলে সরকার না করতে পারবে না৷ এই মুহুর্তে যে জিনিষটি সবচেয়ে প্রয়োজন সেটা হল প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা৷ প্রার্থীদের জানাতে হবে তাদের ভবিষ্যত পরিনামের কথা৷ এরপরও যদি কেউ জেনে শুনে বাঘের মুখে মাথা পেতে দেয়, তাহলে কারো কিছু বলার নেই৷

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: আমাদের সরকারের তো জানা দরকার যে সেখানে কী হয়?
দেশে এতো তথ্য প্রযুক্তি তা যদি দেশেরই কাজে না আসে তবে লাভ কী

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

মুগলী নন্টে বলেছেন: হুজুগে বাঙালির এই অবস্থা হবেই।........বিদেশে তো টাকা উড়ে। ...........

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪

গরু গুরু বলেছেন: খুব ভালো লাগল

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

সোহানী বলেছেন: আমি খুব জানি বা বুঝি। তারপর ও এতটুকু বুঝি সৈাদিতে কোন নারী গৃহকর্মী ভালো থাকতে পারে না যেখানে তারা মেয়েদেরকে যৈানদাসী ছাড়া কিছুই মনে করে না। মানবিকতা বা মেয়েদের সন্মান বলতে ওই দেশে কিছু নেই।

তারউপর হাস্যকর বেতন। এ দেশে একজন রিক্সাওয়ালা ও মনে হয় এর থেকে বেশী বেতন পায়।

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

আহলান বলেছেন: স্বভাবতই সৌদি আরব নামের প্রতি যে কোন মুসলমানেরই দূর্বলতা আছে, এই দূর্বলতাকেই কাজে লাগাচ্ছে বর্তমান সৌদি সরকার। বর্তমান সরকার এটিকে তাদের বিরাট সাফল্য হিসাবে দেখাতে চায়। চাকর সরবরাহ করার জন্যই হয়তো বাংলাদেশীদের জম্ম .....। গৃহ পরিচারকদের উপর শারীরিক মানসিক অত্যাচার আমাদের দেশেও অনেক ঘটছে, শুধু একজন বা কয়েকজন সৌদিয়ানের উদাহরণ টেনে সবাইকে এই কাতারে দাড় না করানোই ভালো ....

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট -- আমি @ রামন' এর সাথে একমত

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

মোফিয বলেছেন: হিউম্যান রাইটস এর লোকজন কোথায় ?? তারা কি শুধু কোট টাই লাগিয়ে ভাষনই দেবে না কিছু কাজ করবে ?? আরবে একটি শক্ত সংগঠন গড়ে তোলা দরকার আমাদের শ্রমিকদের জন্য ....

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

আবু শাকিল বলেছেন: সৌদি তে জনশক্তি রপ্তানি করা হোক এতে কোন সমস্যা নেই । কিন্তু গৃহ কর্মী কেন ? নারীদের জন্য এখানে আরও অনেক পোস্ট রয়েছে ... হাসপাতাল , ক্লিনিক , এবং বড় বড় অনেক ফ্যাক্টরি তেও মেয়ে রা কাজ করছে । প্রশিক্ষণ দিয়ে সেই সব , পোস্টে নারী কর্মী আনাহক । তবুও গৃহ কর্মী নয় ।

লেখকের সাথে সহমত।

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ইন্দোনেশিয়া , ফিলিপিন, শ্রীলংকা সবাই নারী শ্রমিক পাঠানো বন্ধ করেছে ১০ বছর আগে থেকে। সর্বশেষ একজন ফিলিপিনো কর্মীকে মালিক কে হত্যার দায়ে শিরচ্ছেদ করলে পুরো ফিলিপিন গর্জে ওঠে। মালিক যে মেয়েটিকে নিয়মিত ধর্ষণ করতো তা ওদের ইসলামিক আদালত আমলে নেয়নি। একজন বিধর্মীকে এবং দাসিকে সঙ্গম করা যায় এটাই আরবরা ব্যাবহার করে। একজন হাসপাতালে ভর্তি বাংলাদেশি নারীকে বাপ,পোলা ও পৌত্র মিলে লাগাতার ধর্ষণ করলে ওই মহিলা রক্তপাতে অজ্ঞান হলে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। নারী অধিকার সংগঠন গোপনে ওই মহিলার মুখ পোড়া ছবি ও কাহিনী ফাস করে দেয়। আমি ছবি দেখেছি ও পড়েছি। আমাদের অসহায়ত্বকে পুজি এবং সরকারি অব্যাবস্থা , দালালদের দৌরাত্ন আজকের ফসল। প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: মানবিকতা বা মেয়েদের সন্মান বলতে ওই দেশে কিছু নেই।

তারউপর হাস্যকর বেতন। এ দেশে একজন রিক্সাওয়ালা ও মনে হয় এর থেকে বেশী বেতন পায়। আমাদের অসহায়ত্বকে পুজি এবং সরকারি অব্যাবস্থা , দালালদের দৌরাত্ন আজকের ফসল। প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

সুমন কর বলেছেন: Human right watch এর মতে, সৌদি আরব গৃহকর্মীদের জন্য খুবই ভয়ানক জায়গা যেখানে সেক্সুয়াল ভায়ালেন্স থেকে শুরু করে একজন গৃহকর্মী শারীরীক মানসিক নানা সমস্যায় পতিত হন,

তারপরও এসব হচ্ছে !!


১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

জামাল হোসেন (সেলিম) বলেছেন: ফেসবুক আর টুইটারে একযোগে শেয়ার দিলাম। সরকারের টনক নড়ুক, এইটুকু কামনা।

১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: এই পোস্টটি স্টিকি করা উচিৎ !

১৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৮

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: অাপনি মেয়েটিকে সব বলেন, তারপরও দেখবেন সে যাবে, কেন? টাকা রোজগারে...্যে ভয় দেখালেন, অধিকাংশ দেখবেন ভয় পায় না। বরং খুশী, কারণ বেশি বকশিস পাওয়া যাবে, দুই ঈদে মসজিদে রুমাল বিছাইয়া রাখলে মেলা টাকা..।। আর নবীর দেশের ফ্রি ছোয়াব তো আছে। আরে ভাই, আমি, নিজে বুঝিয়েছি, খালি হাসে।

১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের দুই বেগমরে ধরে ওখানে পাঠানো উচিৎ।

১৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৩৫

রওনুক হাসান বলেছেন: টকশো তে বসে ...আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী নামের কিছু মানুষ দেশ নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেন । কিন্তু এই বিষয় নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যেথা নেই । এরা পারে শুধু দেশের রাজনীতি নিয়ে উস্কানি মূলক কথা বলতে । কিন্তু এমন ঘটনা গুলো কেউ ই মিডিয়ার সামনে তুলে ধরছে না । সব সরকারি এবং দেশ নেত্রীর দালাল । এরা দালালি'ই ভালো করতে পারে । আপনার আমার সমস্যা নিয়ে কারো মাথা ব্যেথা নেই ! ধিক জাতী !

১৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

রন৬৬৬ বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.