![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উচ্চশিক্ষিত
আমলাদের কূট কৌশল এবং প্রতারিত সরকারী ব্যাংকের তরুণ কর্মকর্তাবৃন্দ:
2007 সালের 15 নভেম্বর ভেন্ডর চুক্তির মাধ্যমে সরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে রূপান্তরীত করা হয়েছে।পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর চাকরী প্রবিধানমালা অনুযায়ী 2007 সাল থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রদান ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা স্পস্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মারপ্যাচে পরে দীর্ঘ 06 বছর পার হয়ে গেলেও এখন অবধি স্ততন্ত্র বেতন স্কেলতো কার্যকর করা হয়নি বরং ব্যাংকারদের সাথে বিভিন্ন ধরণের নাটক দৃশ্যায়নের মাধ্যমে প্রতারণা করা হচ্ছে এবং সামাজিকভাবে হেয় করা হচ্ছে যা অত্যন্ত নীতিগর্হিত এবং প্রতারণার শামিল।এই স্বতন্ত্র বেতন স্কেল সর্বশেষ 14 নভেম্বর 2013 প্রধানমন্তীর অনুমোদনের পর তথ্য মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে সংবাদ আকারে তুলে ধরা হয়েছে এবং বলা হয়েছিল এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারী করা হবে। কিন্তু আজ প্রায় 20 কার্যদিবস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে অদ্যাবধি গেজেট তো প্রকাশিত হয়নি বরং সাবেক এবং বর্তমান আমলাগণ নানা ধরণের কূটচাল এর আশ্রয় গ্রহণ করছেন একজন কলাম লেখক আমলা বণিক বার্তা পত্রিকায় লিখেছেন বাংলাদেশ ইউনিটারী রাস্ট্র এখানে দুই রকম বেতন কাঠামো ঠিক নয় আমরা বলতে চাই তিনি কি জানেন বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের অভ্যন্তরেই শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত বেসিক ব্যাংক আলাদা বেতনস্কেল ভোগ করেন,দীর্ঘাদন ধরে লোকশানে থাকা ডিপিডিসি,বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস কোম্পানী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আলাদা পে-স্কেল ভোগ করছেন ?? আমার মনে হয় তিনি এই তথ্যগুলো জানেন না (তাঁর সদয় অবগতির জন্য তথ্যগুলো উপস্থাপন করলাম)।
এই বার বলতে চাই মাননীয় সচিব মহোদয়গণকে আপনারা বলছেন জরিপ চালিয়ে দেথেছেন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মহোদয়গণ এবং প্রিন্সিপাল অফিসার থেকে ডিজিএম মহোদয়গণ এই বেতন স্কেল চাননা। আমরা আপনাদের এই সকল চাতুর্য্যপূর্ণ কথার সাথে সম্পূর্ণরূপে দ্বিমতপোষণ করে বলছি আমরা বেশ কিছু সংখ্যক মধ্যমসারীর অফিসার এবং জেনারেল ম্যানেজার মহোদয়গণ এর সাথে কথা বলেছি তা্রা কখনও এর বিরোধীতা করেননি আর এখনও করেন না্ । অতএব আপনাদের এই খোড়াযুক্তি আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই জিজ্ঞাসা দেশের সর্বোচচ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর স্বাক্ষরিত অনুমোদনপত্রকে তোয়াক্কা না করে সচিব মহোদয়গণ কেন এই ধরণের লুকোচুরী খেলছেন তাহলে কী আমলাদের লালফিতার দৌরাত্মের কাছে আপনাদের স্বাক্ষর এবং আমাদেরকে দেওয়া আপনাদের প্রতিশ্রুতির কোন দাম নেই সচিব মহোদয়দের কাছে???
সর্বোপরী আমরা বলতে চাই যদি সরকারী ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে চান এবং জনগণের দোরগোড়ায় উন্নতমানের সেবা পৌছে দিতে চান এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত তরুণ,কর্মঠ,আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন অফিসার নিয়োগদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও বেশি গতিশীল করতে চান,ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কে দুর্নীতিমুক্ত করতে চান এবং সরকারী চাকুরীতে তাদের অন্র্তভুক্তি হওয়ার জন্য উৎসাহীত করতে চান তাহলে আলাদা পেস্কেল এবং যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
আরিফ আহমেদ বলেছেন: তরুণ,কর্মঠ,আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন অফিসার নিয়োগদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও বেশি গতিশীল করতে চান,ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কে দুর্নীতিমুক্ত করতে চান এবং সরকারী চাকুরীতে তাদের অন্র্তভুক্তি হওয়ার জন্য উৎসাহীত করতে চান তাহলে আলাদা পেস্কেল এবং যৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: বাংলাদেশের জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতে একটা অভিশাপ। তারচেয়েও বড় অভিশাপ যদি আমলারে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কোন কাজকে বিরত করে রাখে।
রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো এখন সময়ের দাবি। এটি অবিলম্বে কার্যকর করা হউক।
Click This Link