নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতারিত সরকারী ব্যাংকার

অপমানিত,নিপীড়িত,মানসিকভাবে নির্যাতিত,অবহেলিত,প্রপঞ্চিত।

সাঈদ রহমান ০০৭

উচ্চশিক্ষিত

সাঈদ রহমান ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে করুণ নাটক মঞ্চস্থ হলো বাংলাদেশের সরকারী ব্যাংকাদের নিয়েঃ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

সরকারী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলেন মাননীয় সচিব মহোদয় এম আসলাম আলম । আগামী ইলেকশনে এই প্রতারণার দাতঁ ভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য রেডি হওয়ার এখনই সময়।সকল ব্যাংকার ভাই-বোনদের বলছি যে যেই দলকেই পছন্দ করুন না কেন সবাই প্রতারক,সবাই আামাদের মতো সাধারণ জনগণকে নিয়ে ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। আমাদের পেটটা তাদের কাছে ফুটবল সদৃশ তাই যখন খুশি ফুটবলে (পেটে) লাথি মারে। মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার এখনই সময় তাই আপনারাও দল মতের বাইরে গিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।



মাননীয় গভর্নর মহোদয় ব্যাংকার পরিবারের অভিভাবক কিন্তু অভিভাবক হয়ে তিনি কি আমাদের জন্য কিছু করতে পেরেছেন; না পারেননী তিনি পেরছেন অভিভাবক হিসেবে আমাদেরকে শোষণ করে সরকারের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে নিজের ক্ষমতার মসনদকে শক্তিশালী করতে। আমরা হয়েছি গর্ভনর মহোদয়ের ক্ষমতাসীন হওয়ার সিড়ি কারণ গর্ভনর মহোদয়ের নির্দেশে আমরা সরকারী ব্যাংকারেরা 10 টাকার বিনিময়ে কৃষক একাউন্ট খুলেছি,কৃষি ভর্তুকীর হিসাব খুলেছি,মাটি কাটার একাউন্ট খুলে শ্রমিক পেমেন্ট নিশ্চিত করেছি এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের ভাতা প্রদানের একাউন্ট খোলা প্রতিদিন নতুন করে যোগ হয়। আর এইসব কার্যক্রমে অবহেলিত ব্যাংকারদের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে আপনি হয়েছেন সফল এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছেন।মাননীয় গর্ভনর মহোদয় এবং অন্যান্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যাদেরকে অফিসার বলে অবহিত করেন (আমরা বলি কামলা) তারা সরাদিন পরিশ্রম করে যখন দুপুর গড়িয়ে বিকাল ছুঁই ছুইঁ তখন পেটে জামিন দেওয়ার জন্য খাবারের প্লেট সামনে নিয়ে বসে তখন একজন গ্রাহক এসে দুপুরে ভাত খাওয়ার দরকার কী হালকা খাবার খেতে পারেননা এই বলে হুঙ্কার প্রদর্শন করে অথবা কখনো বলেন খাওয়া পরে আগে আমার চেক পেমেন্ট দেন অর্থাৎ উত্তম সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে একজন কামলা তার খাবার গ্রহণের স্বাধীনতাও হারিয়ে ফেলেছে অথচ তাদের আর্তনাদ,তাদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করণের কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে আপনাদেরকে দেখেনি অবহেলিত ব্যাংকার সমাজ। ( প্রসঙ্গক্রমে একটি ছোট্র গল্প বলি সকলের অবগতির জন্য একদিন গভীর রাতে একজন লোক হেটে যাচ্ছে বাড়ীর পাশ দিয়ে ঘরের ভিতর থেকে হেটে যাওয়ার শব্দ পেয়ে একজন মহিলা তার স্বামী কে জিজ্ঞাসা করছে এতরাতে কে যাচ্ছে প্রতি উত্তরে ভদ্রলোক বলেন হয় কোন মাতাল নতুবা কোন ব্যাংকার অর্থাৎ এ থেকেই বোঝা যায় একজন ব্যাংকার কখন অফিসে আসেন আর কখন বাড়ীতে ফেরেন- এটি আসলে গল্প নয় একজন ব্যাংকার এর বাস্তব জীবন কাহিনী) এধরণের জীবনযাপন কী কখনও আমাদের প্রিয় সচিব মহোদয়,গভর্নর মহোদয় এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কল্পনা করতে পারে; না কখনও পারেননা।



আজ আইন মন্ত্রনালয়ের আইনগত অজুহাত,নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অজুহাত,আমলাদের কালক্ষেপন ইত্যাদি বিষয়কে সামনে এনে সরকারী ব্যাংকারদের গণদাবীকে যেভাবে পদদলিত করা হলো,তাদের আশা ভরসাকে ক্ষতবিক্ষত করা হলো,। আমাদের জিজ্ঞাসা সরকারের কাছে,সচিব মহোদয়দের কাছে, গভর্নর মহোদয় এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে কেন পত্র-পত্রিকায়,টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারণার মাধ্যমে আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করা হলো?? এই সামাজিকভাবে হেয় করার দায়ভার কে গ্রহণ করবে???

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.