![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উচ্চশিক্ষিত
মুখ ও মুখোশ কখনো এক হতে পারেনা। তাই মুখোশের আড়ালে থেকে যায় কিছু প্রিয় মুখ। প্রিয় মুখগুলোর আচরণ সব সময় রহস্যময়। তাদের ছোঁয়ায় ক্ষণেক দেখা যায় রোদের লুটোপুটি আবার নিমিষেই নেমে আসে নিকষ কালো মেঘ। জীবনের এই উত্থান-পতন এবং ভালোলাগা ভালো না লাগার বিষয়টি নিয়ে কিছু প্রিয় মুখ পাশা খেলতে পছন্দ করে। পাশার বোটে নিষ্পেষিত হচ্ছে কিছু বোকা ও সহজ সরল মনা মানুষগুলো। নাচতে নেমে ঘোমটা দেওয়া আর মুখোশ পড়ে পাশে থাকা মানুষের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে বলে আমার মনে হয়নি। কারো সরলতা এবং অকৃত্রিম ভালোবাসাকে কেউ কেউ প্রচন্ড দুর্বলতা ভেবে মানসিকভাবে হত্যা করে চলেছে তাকে । কিন্তু এই মানসিক হত্যার দায়ভার কারো উপর বর্তায়না । আড়ালে থেকে যায় জিঘাংসাকারীরা। মুখোশ সবাই পড়তে পারেনা আর যারা পড়তে পারে তারা অভিনয়ে হয় অত্যন্ত সুনিপুন। আসলে পুরো জীবনটাই একটা বিরাট রঙ্গমঞ্চ।এই মানুষগুলো যতোদিন বেঁচে থাকে ঠিক ততোদিন প্রতিনিয়ত অভিনয়ে লিপ্ত থাকে।এই অভিনয়ের শেষ নেই। সেই কবেই সুখের সময় বন্ধ হয়ে গেছে।ধিরে ধিরে চারিদিকের জানালা গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিঃশ্বাস নেওয়ার প্রবল ক্ষমতাও হারিয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষের। পুরো জীবনটা হয়ে যাচ্ছে বিরাট এক ব্ল্যাকহোল।1757 সালের 23 জুন পলাশির আম্রকানন থেকে যে মিরজাফরের সূচনা হয়েছিলো সেই মীরফাজরের রক্তবিজ এখনও রয়ে গেছে আমাদের চারপাশে। আর যুগ যুগ ধরে থেকে যাবে মীরজাফরের দল। এদের রক্তবীজ কখনো ধ্বংস হয়না।মুখোশ পড়ে মীরজাফর আর ঘষেটি বেগমরা বারে বারে সুনিপুন অভিনয় করে চলে। ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখতে কতোইনা চলে অভিনয়। ক্ষমতার মসনদ আর মৃত্তিকা কখনো কারো আপন হয়না ।আপন হয় শুধুই বুকের ভেতর লালিত সবুজ শ্যামলিমা । যেই শ্যামলিমায় বেঁচে থাকতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় অন্যরা যখন মুখ ফিরিয়ে নেয়।ক্ষমতাকে আকড়ে ধরার প্রবণতা মানুষকে সাময়িকভাবে হয়তো গেইন করতে সহযোগিতা করে কিন্তু লংটার্মে ক্ষতিগ্রস্থ করে । হারায় তার ইজ্জত এবং সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা।আগরবাতি আর চন্দন মাটির বড়ই প্রয়োজন হয় অন্তিমকালে।তবে এই চন্দন মাটি আর আগরবাতি টাকা দিয়ে কিনে আনা যায় কিন্তু মানুষের মনের চন্দন মাটি আর ভালোবাসার আগরবাতি ভাগ্যে জোটানো দুরুহ ব্যাপর।স্নো,ক্রিম,পাউডার,শার্লি মেখে ফর্সা করার নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত থাকে বর্হি ত্বক নিয়ে। কিন্তু কলবের ভেতরে যে কালো দাগ লেগে থাকে তা কিভাবে মোচন হবে? সেটা একমাত্র মহান স্রষ্টাই বলতেই পারেন।মানুষের জন্য মানুষ এই কথা এখন শুধুই মুখের ভাষা আর বাঁচানোর আশা। রাজপথের শক্ত পিচে ফুল কি কখনো ফোটে? রোদগুলো পলাতক হয়ে যাচ্ছে। লজ্জা নিজেই লজ্জা পাচ্ছে ক্রমেই লজ্জা তার নিজের অস্তিত্বকে হত্যা করার চেষ্টা করছে।8টা 10 টা নানা বর্ণের কোট পড়লেই কি নিপাট ভদ্রলোক হওয়া যায়? মনের ভেতরের যে পশুত্ব আর চাতুর্যতা যদি তার টুটি চেপে ধরা না যায়। তাহলে সেই জীবনের আর বিদ্যা বুদ্ধির গড়িমার কি আছে প্রাপ্তি।এখন বেঁচে থাকাটই আমৃত্যু্ অন্ধকার। চাঁদের ফালি সব কালিমায় ঢেকে যাচ্ছে।বেদনার্তের আহাজারি কার কানে পৌছাবে জানা নেই অসহায় জনস্রোতের? অসহায় লোকের মিছিল ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। নিজেকে ক্ষমা করতে পারেনা। প্রবল যন্ত্রনায় কাতর এই অভিনয় দেখতে দেখতে। ছুটে চলেছি একফোটা জলের জন্য। চোখটা শুধুই পোড়ায়। মনে পড়ে ক্লান্ত পথিকের রাত করে বাড়ি ফেরা আবার কাক ডাকা ভোরে সুবহে সাদিকের সময় দায়িত্ব পালনের জন্য রুজির সন্ধানে খাবারের টিফিনকারী হাতে সারি সারি সহজ সরল মুখগুলোর কাতারে মিশে গিয়ে ফুটপাথ ধরে হেটে চলা।শুধুই নতুন ভোর আর নতুন দিনের আশায়। নতুন ভোর সেতো আসেনা পুরো সূর্যটাকে গ্রাস করেছে নিকষ আধার আগাসি সূর্যগ্রহণ। এই আগ্রাসি সূর্যগ্রহণ মানুষের মন।মানুষের আবেগ নিয়ে জুয়া খেলতে পছন্দ করে মুখোশধারী প্রিয় মুখ গুলো। আবেগের লুটোপুটি কে বাড়াবাড়ির কালো তকমা জুরে দেওয়ায় যেন তাদের চরম এবং পরম প্রাপ্তি।
বৃষ্টি আয়রে,আয় বৃষ্টি
ভিজবে তোর জলে কোটি দৃষ্টি।
স্বপ্ন খরায় পোড়ে কোটি কোটি চোখ
তোর ছোঁয়াতে নতুন দিন শুরু হোক।
বৃষ্টি আয়রে,আয় বৃষ্টি
ভিজবে তোর জলে কোটি দৃষ্টি।।
রাজা আসে,রাজা চলে যায়
আমজনতার ভাগ্যের কি হয়?
কিছু লোক মাতে স্বপ্নে রঙ্গে
কোটি জনতার স্বপ্ন ভাঙ্গে।
তোর স্রোতে মুছে দে যত জঞ্জাল
দেখ নিরবে কাঁদছে মহাকাল।
বৃষ্টি আয়রে,আয় বৃষ্টি
তোর স্রোতে ভেসে যাক অনাসৃষ্টি।
টু বি কন্টিনিউড..........
©somewhere in net ltd.