নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা কোন রকমে শেষ , , এখন আমি কর্পোরেট __ > সামুতে কেবল ভ্রমণ ব্লগ লিখি , না আসলে লিখতাম আবার লিখা শুরু করবো , , , শার্ট টাইয়ের নিছে বৈরাগী মনটা এখনও জীবিত আছে তাই মাঝে মাঝে সব কিছু তুচ্ছ করে বেড়িয়ে যাই বাংলার পথে থে থে থে থে থে

সাজিদ ঢাকা

ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছিলাম , আবার ফিরে এলুম ম ম ম ম ম

সাজিদ ঢাকা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার পথে(পর্ব ৩৬) -- গাইবান্ধা ভ্রমণ

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০১

সেপ্টেম্বর ২০১২,

উত্তর বঙ্গে একটা ট্যুর দেয়ার প্লান করলাম। উত্তর বঙ্গে এটা আমার ২য় বার যাত্রা। সাথে যাওয়ার কাওকে পেলাম না । আল্লাহর নাম নিয়ে একাই রউনা দিলাম, গাইবান্ধার পথে। যাওয়ার আগে অনেকেই বলেছে আমিও জানতাম, দেখার মত তেমন কিছুই নেই গাইবান্ধায়, নেটে খোজাখুঁজি করলাম তেমন কিছুই পেলাম না।কিছু না থাকলেও অবশ্যই থাকবে সবুজ ধানের ক্ষেত , নীল আকাশ আর নতুন কিছু মানুষ। এক মামা চাকরি করেন জেলা পরিষদে , কথা বলে ঠিক করলাম উনার সাথেই থাকবো। উনি অবশ্য অফিসারদের মেসে থাকেন, সেথানেই কয়েকটা বেড খালি আছে।



সকাল ৮ টা নাগাদ রউনা দিলাম ঢাকা হতে গাইবান্ধা পৌঁছাতে দুপুর ৪ টার মত বেজে গেলো। বগুরা থেকে যেতে সময় লাগে ১ ঘণ্টার বেশি। মামার সাথে মেসে উঠলাম। ঐ দিন আর বের হলাম না। মেসে রান্না বুয়া করে দিয়ে যান। আমার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক রান্না করা হল। পেট টাইট করে খেয়ে দিলাম ঘুম। সন্ধার পর বেশির ভাগ সময় ই কারেন্ট থাকে না। তাই ঘুমই শ্রেয়।

পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার গাইবান্ধা অভিযান শুরু। রিক্সা একটা নিলাম। কোন ভাড়া ঠিক করলাম না। সারা দিন তাকে নিয়ে ঘুরবো। ভাড়া নিয়ে তেমন মাথা ঘামালাম না। উত্তর বঙ্গে সব কিছুরই দাম কম।

গাইবান্ধা জেলা সদর তেমন বড় না। বড় রাস্তার চার পাশে দোকানপাট উন্নয়ের বাতাস অব সময়ই হয়তো এই এলাকাকে এড়িয়ে গেছে। অনেক উপজেলা রয়েছে যার অবস্থা এই জেলা সদরের চেয়ে ভালো। দেশের একটি জেলা এখনও এত পিছিয়ে সত্যি হতাশা জনক। রিক্সা ও ব্যাটারির গাড়ি রয়েছে চলাচলের জন্য। আসুন এবার ঘুরে দেখাই জেলা সদরটাকে





গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন





ঐ স্টেশন মাস্টারের রুম





এটা স্বাধীনতা চত্বর





লাইব্রেরি ও ক্লাব





লাইব্রেরির এমনেই বিরাট গাছ। শহরে এমন আরও অনেক বড় বড় গাছ আছে , স্টেশন রোড পুরোটা দুপাশে গাছে সারি এমন





একমাত্র সিনেমা হল "তাজ"





শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১ম স্পিকার হলেন শাহ আব্দুল হামিদ । ১০ এপ্রিল ১৯৭২ তিনি স্পিকার হন কিন্তু ১ মে ১৯৭২ তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯০০ সালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দপুরের খলসি গ্রামে। ১৯৩৬ সালে তিনি মুসলিম লীগের যোগদান করেন. ১৯৪১ সালে শাহ আবদুল হামিদ রংপুর জেলা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৩ পর্যন্ত পোস্টে অব্যাহত থাকেন। ১৯৪৫ সালে তিনি ভারত লেজিসলেটিভ এসেম্বলি সদস্য নির্বাচিত হন. তিনি ১৯৫৬ সালে রংপুর আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং সভাপতি থাকেন ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত। তথ্য সূত্র





গ্যালারি দেখে মনে হয় না এখানে খেলা হয়





এটা সম্ভবত শাহ সুলতান গাজীর মসজিদ , স্থানীয় কেও ঠিক বলতে পারেন না। আসলে এই সব ব্যাপার নিয়ে কারো তেমন মাথা ব্যাথা নেই।



জেলা সদরে আর তেমন কিছুই নেই। এইবার রিক্সা নিয়ে রউনা দিলাম সাদুল্লাহপুরের দিকে। এখানে নলডাঙ্গায় জমিদারবাড়ি আছে। তা অবশ্য গাইবান্ধা শহরের কেও জানে না। সাদুল্লাহপুর প্রায় ১১ কিমি। রিক্সা তেই গেলাম। রিক্সা ওয়ালাটা পুরাই পাঙ্খা বাতাসের বেগে রিক্সা চালাচ্ছে । তার চোখ আমার দিকে মুখ দিয়ে অনবরত পক পক করতেসে আরে পায়ে প্যাডেল মারতেসে। যতই বলি দেখে রিক্সা চালাতে ততই তার বাহাদুরি বেড়ে যায়। আমি এবার শক্ত হয়ে বসে প্রস্তুতি নিলাম। যে কোন মুহূর্তে লাফ দেয়া লাগতে পারে। অবস্থা ভালো না, এরকম এক অভিজ্ঞতা এর আগে ঢাকায় একবার হয়েছে। এ পাগলা আমাকে ১৬ মিনিটে রিক্সায় মতিঝিল থেকে জিগাতলা নিয়ে গিয়ে ছিল। মনে হচ্ছিল রিক্সা কোস্টার। আর শেষ মুহূর্তে এক গাড়িতে লাগিয়ে বাম্পার খুলে ফেলসিলো। আজও এমন কিছু হবে জানতাম।



সাদুল্লাহপুরে প্রবেশ









দুপাশে কেবল ধান ক্ষেত





ঐ যা বলছিলাম, রিক্সা নিয়ে এক্কারে ধান খেতে। আমি একবারে অন্তিম মুহূর্তে একটা লাফ দিয়ে বেচে গেলাম। আর বেকুবটা রিক্সা নিয়ে ক্ষেতে। আমি আগে একখান ফটু তুইলা নিলাম। এরপর প্যান্ট গুটিয়ে নামলাম রিক্সা তুললে।





সাদুল্লাহপুর থানা







শহর থেকে রিক্সায় ১৬ কিমি এর মত এসে গেছি। আমার জানা মতে সাদুল্লাহপুরের নলডাঙ্গায় একটি জমিদারবাড়ি আছে। কিন্তু গাইবান্ধা শহরের কেও তো না ই ই ই সাদুল্লাহপুরের ও কেও কিছু বলতে পারছে না। সাদুল্লাহপুর থেকে নলডাঙ্গা আরও ৯ কিমি তাই আর সামনে না গিয়ে আবার ফিরতি পথ ধরলাম। এই দিকে মোবাইলে নেটওয়ার্কের অবস্থা খারাপ।

এই ছিল গাইবান্ধা ভ্রমণ। অনেক কিছুই খুঁজে পাই নাই, ইচ্ছে ছিল সব খুঁজে বের করার কিন্তু যেতে হবে রাজশাহী

>> গাইবান্ধা ভ্রমণে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ মামার কাছে থকার জন্য সুন্দর একটা জায়গা পেয়েছি আর বেলায় বেলায় বিশাল খাবারের আয়োজন।



পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন , , রেখে আসবেন পদচিহ্ন আর নিয়ে আসবেন শুধুই ফটোগ্রাফ।



=============================================

সাজিদ ঢাকা'র ভ্রমণ পোস্ট সংকলন

=============================================

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

জুন বলেছেন: অনেক ভাললাগলো গাইবান্ধা ভ্রমন।
লাইব্রেরীর সামনে বিশাল বটগাছটা দেখে মনে হলো আজও কিছু বৃক্ষ নিধনকারীর হাত থেকে বেচে যাওয়া কিছু গাছ এদেশের আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে মাথা তুলে।
এক দিক দিয়ে অনুন্নত থাকায় মনে হয় ভালোই হয়েছে। নাহলে উন্নয়নের নামে প্রথমেই কতৃপক্ষের খড়গ হস্ত নেমে আসতো ঐ গাছগুলোর উপর। যেমন হয়েছে যশোহর বেনাপোল রোডে।
ছোট ছবিগুলো সরিয়ে দিলে সুবিধা হয় পেইজ লোড হতে সাজিদ ঢাকা ।
+

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: এমন আরও অনেক বড় বড় গাছ আছে , , , কয়েকশো বছর পুরানো , , উন্নয়ন হয়নি , মানুষ গুলো এখনও সহজ সরল , , ছোট ছবি সরানো যায় না আপু , , আমি তো এখনও পুরানো নিয়মে একটি একটি করে ছবি আপলোড করি

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু :) :)

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

শফিক আলম বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে সংক্ষিপ্তাকারে আপনার গাইবান্ধা ভ্রমন কাহিনী ভাল লেগেছে। আপরনার ছবিগুলো বাংলার কথা বলে। মনে হয় এখনি বেরিয়ে পড়ি। ছবিতে সবকিছু ছিমছাম মনে হলো, বুঝলাম না! চারিদিকে যেখানে মানুষ আর যানবাহনে গিজগিজ করে। আপনার মত আমারও ইচ্ছে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করতে, কিন্তু থাকবো কোথায়! ভাল হোটেল তো নেই কোথাও। দিনে দিনে ফিরে আসাটাও তো সবসময় সম্ভব না।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: ভাই থাকা খাওয়ার জন্য জীবন আটকে থাকে না , , আর যদি ভালো হোটেলের কথা বলেন , , তাহলে হয়তো বাংলার এই রূপ থেকে আজীবন বঞ্চিত থাকবেন , , নগরারয়েনের জন্য বাংলার এই সবুজ রূপ আর থাকবে না , , ,ধন্যবাদ ভালো থাকবেন :) :)

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

বলেই ফেলি বলেছেন: ভাই আপনি মিস করেছেন ড্রীমল্যান্ড যা পলাশবাড়ীতে অবস্থিত।আরও মিস করেছেন যমুনা নদী।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: যাওয়ার আগে ব্লগে একটা পোস্ট দেয়া উচিত ছিল , , আবার যাবো , , চিন্তা নট , , ধন্যবাদ :) :)

৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

নাইস পোস্ট +++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ :) :)

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২

রেজোওয়ানা বলেছেন: দারুন :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু :) :)

৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

ডি মুন বলেছেন: ঐ যা বলছিলাম, রিক্সা নিয়ে এক্কারে ধান খেতে। আমি একবারে অন্তিম মুহূর্তে একটা লাফ দিয়ে বেচে গেলাম। আর বেকুবটা রিক্সা নিয়ে ক্ষেতে।

ইশ, বেচারা ।

পোস্টে ভালোলাগা , ভালো থাকবেন সবসময় :)

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: আরে পানিতে পইড়া তার যে কি হাসি যদি দেখতেন ন ন ন ন ন :) :) :)

৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: :) :)

৩+++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ ফারজুল ভাই , , আপনি আজকাল ব্লগে আসতেসেন :) :)

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: ভাল লাগলো ।

++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ নিপু ভাই :) :)

৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০

জুন বলেছেন: পুরোনো নিয়মেও আমিও করি সাজিদ ।ছবি আপলোড করার পর বক্সে ইন্সার্টের উপর লেখা আসে মুছে ফেলুন । ছ পোষ্টের জায়গামত ছবি ইনসার্ট করে লাগিয়ে বক্সের মুছে ফেলুনে ক্লিক করুন । তাহলে ছোট ছবিগুলো থাকবে না। এখন যদি আপনি এই পোষ্টের বক্সে লেখা আপলোডে ক্লিক করলে দেখবেন সব ছবি আসবে। সেটা অপেন করে একটা একটা করে মুছে ফেলতে পারবেন। ভয় নেই পোষ্টের ছবি থাকবে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু চেষ্টা করতে দেখি :) :)

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: অতি চমৎকার পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো। রিকসাওয়ালা ভাইটির জন্য মনটা খারাপ হলো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: আমরা ২ জনই কিন্তু ব্যাপক মজা পাইসিলিয়াম , , কেও ব্যাথা পাই নাই , , :) :) :)

১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সাজিদ ভাই, আপনার রিক্সা ধান ক্ষেতে পড়ে যাবার ছবিটা আমি একটু ব্যবহার করেছি। আশা করি অনুমতি দেবেন।
Click This Link

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: করেন ভাই কোন সমস্যা নাই :) :)

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩০

পলাশ মিয়া বলেছেন: তুই গাইবান্ধায় গেছিলি....আমাকে তো একবার নক করতে পারতি। আমার বাসা তো গাইবান্ধায়। তোরে পুরো গাইবান্ধা ঘুরে ঘুরে দেখাতাম। আর ড্রিমল্যান্ড তো মিস করেছিস। ঐ ড্রিমল্যান্ডের পাশেই আমার বাড়ী। তুই মনেহয় আমারে চিনিস নাই। আমি তোর লেকার্স পাবলিক স্কুলের বন্ধু। ৮ মাসের জন্য তোদের সাথে ক্লাস করেছিলাম তারপর বাবার বদলির সাথে সাথে আমারো বদলি...আমাকে মনে না করতে পারলে পূরবকে জিজ্ঞাসা করিস......


আর আমি এখন জাহাঙীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ফাইনাল ইয়ারে পড়ছি....এখানে আসার আমন্ত্রণ রইল তোর...

পাবলিকলি ফোন নাম্বার দিলাম না তাই মেইল আই ডি টা দিলাম। মেইল করিস...

[email protected]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.