![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান সরকার বেশ কয়েক বছর পূর্বে দেশে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করেছে। অনেক আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষানীতিতে কিছু ভালো দিক রয়েছে। কিন্তু মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সততা, ভদ্রতা, শিষ্টাচার শিক্ষানীতিতে ব্যর্থতা যথেষ্ট রয়েছে। আর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যর্থতা-ত যথেষ্ট রয়েছে এ নিয়ে অনেক ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা।
উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করতেই একজন শিক্ষার্থীর চারটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। আর প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে প্রতিটি শ্রেণিতে অংশ নিতে হয় কমপক্ষে ছয়টি পর্বের স্কুলের পরীক্ষায়। একটি পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই আরেকটি পরীক্ষার সূচি ঘোষণা হয়ে যায়। পরীক্ষার এই বোঝা মাথায় নিয়ে ভীত হয়ে পড়ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।
পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় একজন শিশু শিক্ষার্থীকে। এই পরীক্ষায় পাস করা বা ভালো ফল করার প্রস্তুতি শুরু হয় বছরের শুরু থেকেই। দিতে হয় একাধিক মডেল টেস্ট। ভালো ফল করানোর জন্য শিক্ষার্থীর ওপর স্কুল কর্তৃপক্ষের চাপিয়ে দেয়া বাড়তি বোঝার চাপে ভীত হয়ে পড়ছে শিশুরা।
২০০৯ সালে বাংলাদেশে এই পরীক্ষা চালু হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই পরীক্ষার আয়োজন করে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ করা হয়।
পঞ্চম শ্রেণির পাসের তিন বছর পেরুলেই অংশ নিতে হচ্ছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায়। পঞ্চম শ্রেণির আদলেই শুরু হয় কোচিং-পরীক্ষা। স্কুলের কৃতিত্ব বাড়ানোর দায়ভার পড়ে শিক্ষার্থীর ওপর। এ পরীক্ষাও ২০১০ সালে শুরু হয়।
অষ্টম শ্রেণি পাসের দুই বছর পর এসএসসি এবং এর আরো দুই বছর পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এভাবে চারটি পাবলিক পরীক্ষা ছাড়াও স্কুলের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার চাপে দিশাহারা শিক্ষার্থীরা।
এত পরীক্ষার আয়োজনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরাও। পরীক্ষা নিয়ে সন্তানের দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা এখন বিপাকে। ব্যবসায়ী আবুল কালামের ছোট মেয়ে শান্তা। পড়ছে রাজধানীর একটি নামিদামি স্কুলে। নভেম্বরে শুরু হয়েছে তার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা। ৯ বছর বয়সেই প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় লড়তে হচ্ছে এই শিশুটিকে।
কোচিং ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে পুরোটা বছরই কাটছে ব্যস্ততায়। একটু বিশ্রাম পায়নি। সকালে স্কুলের কোচিং, বিকালে অন্য এক শিক্ষকের কোচিংয়েই কেটেছে তার পুরো ৯ মাস। অবসর বা খেলাধুলার সুযোগ পায়নি বা দেয়া হয়নি। পড়া মুখস্ত করানোর জন্য স্কুলে শিক্ষকের চাপ, বাসায় বাবা-মায়ের চাপ। সব মিলে ভালো নেই শিশুটি।
সে জানায় সারাক্ষণ বই পড়তে হয়। পরীক্ষা দিতে হয়। স্কুলে যেতে হয়, কোচিং ক্লাস করতে হয়। কোথাও বেড়াতে যেতে পারি না।’ অভিভাবকদের বক্তব্য, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করার নামে বিরামহীন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভারে ভীত শিক্ষার্থীরা। শিশুদের সক্ষমতার কথা বিবেচনা করা হয় না। চাপিয়ে দেয়া হয় একের পর এক পরীক্ষা আর বিশাল পাঠ্যক্রমের বোঝা।
পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষার আয়োজন, ঢাক ঢোল পিটিয়ে পরীক্ষার ঘোষণা, উচ্ছ্বাস প্রকাশের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাচ্ছে-শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন বক্তব্য প্রচার করলেও অভিভাবকদের ক্ষেত্রে চিত্র ঠিক উল্টো।
এই পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। অসংখ্য পরীক্ষা এবং যখন তখন নতুন বিষয়ের চাপে শিক্ষা নিয়ে শিশুদের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক। তাই শিক্ষা নিয়ে অতিমাত্রায় চলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
কোমলমতি শিশুদের ওপর চাপ কমাতে পরীক্ষা ও পাঠ্যবইয়ের বোঝা কমানোর জোর দাবি অনেক দিনের।
কিন্তু বাস্তবতা হলো শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া পাঠ্যক্রমের বোঝা তো কমেইনি, বরং মেধা যাচাইয়ের নামে শিশুদের ওপর চাপছে একের পর এক পরীক্ষা ও নতুন নতুন বইয়ের বোঝা।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভবিষ্যতের জেনারশনকে রক্ষা করতে হলৈ এই পাগলামো বন্ধ করতেই হবে।
বাইরে তাদের শিক্ষঅ আন্দের মাধ্যম.. আমাদের দেশৈ ছোট থৈকেই শীক্ষঅ এক ভয়ংকর বিভীষিকা.. শীক্ষকদের কাছৈ বেতই হল মানুষ! করার অস্ত্র!
তার উপর গোদের উপর বিষফৌড়া পিএসসি, জেএসসি!!!
আর মরার উপর খাড়ার ঘা প্রশ্ন ফাসে স্বার্ধনতার পর ব্যর্থতায় আওয়ামী হিমালয় সম রেকর্ড!!!!!
এইসব থেকে শিশূদের রক্ষা করুন।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাদের মত অসভ্য জাতি ছাড়া দুনিয়ায় আর কোথাও এইসব বাকোয়াস পরীক্ষা নেই!
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
জ্যানাস বলেছেন: দুনিয়ার কোন দেশে এই রকম নিয়ম আছে জানিনা!
১০-১১ বছর বয়সে অপরিচিত স্কুল এর হলে অপরিচিত শিক্ষকদের গার্ড এ পরিক্ষা দেওয়ার মত অমানবিকতা এই দেশেই সম্ভব।
শিক্ষা হচ্ছে কিনা সেটার চেয়ে পরিক্ষাই যেন গুরুত্বপুর্ন!
আমি জানি বেশিরভাগ উন্নত দেশেই নিন্ম শ্রেনিতে ফেল নাই সবাই প্রমোশন পায় তবে পরিক্ষা অবশ্যই নেয়া হয়। এর মাধ্যমে যারা পিছিয়ে থাকে তাদের কে বিশেষ কেয়ার ও নেয়া হয়।
এই অমানবিক পরিক্ষাগুলি বন্ধ হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
মনোজ কুমার বলেছেন: ভাই আমাদের ও সমস্যা আছে । আমরা কেনো এই নগদ লাভের জন্য আমাদের বাচ্চাদের গাধা তৈরি করছি? কি হয় এ+ না পেলে? কি লাভ এই প্রশ্ন দেখে পরীক্ষা দিয়ে? আমাদেরও সচেতন হতে হবে।