![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে নারীকে তার ন্যায্য সন্তান সর্বাবস্থায় মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে। মৃত ব্যক্তির ওয়ারিস থাকুক বা না থাকুক। নিম্মে কিছু পাথ্যর্কসমূহ তুলে ধরা হলো ঃ
হিন্দু আইন ঃ
হিন্দু উত্তরাধিকর আইনে কন্যা সর্বাবস্থায় উত্তরাধিকারী হতে পারে না। মিতক্ষরা এবং দায়ভাগ উভয় আইনেই মৃত ব্যক্তির পুত্র, পৌত্র, প্রপৌত্র, মৃতের বিধবা স্ত্রী, পুতের বিধবা স্ত্রী এবং পৌত্রের বিধবা স্ত্রী জীবিত থাকলে কন্যা সন্তান সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হয়।
ইসলামী আইন ঃ
মৃত ব্যক্তির পিতা কিংবা পুত্র জীবিতি থাকলেও কন্যা উত্তরাধিকারী হয়ে থাকে।
হিন্দু আইন ঃ
হিন্দু উত্তরাধিকার আইনে মৃত ব্যক্তির পুত্র জীবিত থাকলে কন্যা সন্তান কোন অংশ পাবে না।
ইসলামী আইন ঃ
কন্যা যদি চরিত্রহীনা এবং অসতীও হয় তথাপি মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হবে।
হিন্দু আইন ঃ
দায়ভাগ আইনে অসতীত্বের কারণ কন্যা সন্তান মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীত্ব হতে বঞ্চিত হবে।
ইসলামী আইন ঃ
মৃত ব্যক্তির স্ত্রী জীবিত থাকলেও কন্যা তার নির্ধারিত অংশ পাবে।
হিন্দু আইন ঃ
মিতক্ষরা আইনে মৃত ব্যক্তির সকল বিধবা স্ত্রী মৃত না হওয়া পর্যন্ত কন্যা তার মৃত পিতার পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হতে পারবে না।
ইসলামী আইন ঃ
কন্যা যদি অন্ধ, বোবা, বধির হয় সে উত্তরাধিকারী হতে বঞ্চিত হবে না।
হিন্দু আইনে ঃ
কন্যা যদি অন্ধ, বোবা, বধির হয় সে উত্তরাধিকারী হতে বঞ্চিত হবে।
ইসলামী আইন ঃ
মাতা যদি অসতী হয়, তাহলে সে উত্তরাধিকারী হতে বঞ্চিত হবে না।
হিন্দু আইনে ঃ
দায়ভাগ আইনে মাতা যদি অসতী হয়, তাহলে সে উত্তরাধিকারী হতে বঞ্চিত হবে।
এরকম আরো অনেক পার্থক্য রয়েছে যা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও এরকম বৈষম্য রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: ধর্মগুলো হলো গু-য়ের নানান পিঠ। হিন্দু ধর্মে নারী উত্তরাধিকার সূত্রে কিছুই পায় না। আর ইসলাম ধর্মে নারী পুরুষের অর্ধেক পায়। দুইটাই বৈষম্যপূর্ণ। আপনি শুধু বলতে পারেন হিন্দু ধর্ম অধিক বৈষম্যপূর্ণ।