নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।
মহাদেব সাহার কবিতার রেশ ধরে বলা যেতে পারে, ‘করুণা করে হলেও চিঠি দিও, খামে ভরে তুলে দিও’। কিন্তু চিঠি কি আসবে? চিঠি আসুক আর না আসুক আজ আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস।
জীবনের সেই ধীরগতি আর নেই। সবকিছু অতিদ্রুত চলে। মুঠোফোন, ইন্টারনেটের কল্যাণে প্রিয়জনের সঙ্গে প্রয়োজনে যখন-তখন কথা বলা যায়। এই যুগে চিঠির জন্য অপেক্ষা নেই আক্ষেপও নেই। অথচ একসময় যোগাযোগের প্রধানতম মাধ্যম ছিল চিঠি। আর সেই সময়ের বাস্তবতা বহন করেছে কত শত বাংলা গান ও কবিতা। বাংলা গান যারা ভালোবাসেন এই গানও তারা শুনেছেন- ‘চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও’।
চিঠিকে তুলনা করা হয় শিল্পের সঙ্গে। দেশে দেশে চিঠি হয়ে উঠেছিল যুদ্ধের ময়দান থেকে শুরু করে বন্ধুত্ব, প্রেম অথবা দাপ্তরিক বার্তা প্রেরণের মাধ্যম। চিঠির আবেদন কোনো কালেই ফুরিয়ে যাওয়ার নয়। তুবও হারিয়ে যাচ্ছে চিঠি। এই শিল্পকে ধরে রাখতে তাই প্রতিবছর ১ সেপ্টেম্বর পালিত হয়ে আসছে ‘আন্তর্জাতিক চিঠি দিবস’।
জানা যায়, ২০১৪ সালে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক রিচার্ড সিম্পকিন এই দিবস প্রচলন করেন। সিম্পকিন নব্বই দশকের শেষের দিকে নিজ দেশের বড় ব্যক্তিত্বদের চিঠি পাঠাতেন। অনেক সময় সেই চিঠির উত্তর পেতেন না। তবে যখন পেতেন, তখন তার আনন্দের সীমা থাকত না। এই আনন্দ নাকি তার কাজকর্মে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিত।
সেই আনন্দের প্রকাশ ঘটাতে ২০১৪ সালে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তিনি চান চিঠি লেখার প্রচলন আবার হোক, মানুষ আবার হৃদয় নিংড়ে লিখুক মনের কথা।
এই দিনটি উপলক্ষে আপনিও প্রিয়জনকে চিঠি লিখতে পারেন। হোক না হারিয়ে যাওয়া রীতিতে নতুন যোগাযোগ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫১
নাহল তরকারি বলেছেন: যথাযথ সম্মান প্রদর্শন বিনীত নিবেদন এই যে আমি মোঃ নাহল ইমরোজ। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন শুভাকাঙ্খিদের ঈদের শুভেচ্ছা, নববর্ষের শুভেচ্ছা, হ্যাপি নিউ ইয়ার বিভিন্ন উপলক্ষে চিঠি পাঠাতাম। অনেক সময় পোস্ট অফিসে গিয়ে চিঠি পোস্ট করার সময় পাই না। তাই যদি অনলাইনে চিঠি লিখলাম বা চিঠি লিখে পিডিএফ করে আপলোড করলাম, আপনারা সেটা প্রাপকের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তাহলে সেটা আমাদের জন্য সময় বাচঁতো, গাড়ি ভাড়াও বাচতো। আবার মনে করেন ঈদের সময় বেশ কিছু লোকদের ঈদের বকশিস দিতে মনে চায়। বিকাশ, নগদ এভাবে দিলে সারপ্রাইজ দেওয়া হবে না। অনলাইনে মানি অর্ডার করে সারপ্রাইজ ফিল পাওয়া যাবে।
এই অনুরোধ করার পেক্ষাপট: এই বছরে আমার নানী মারা যান। নানী মারা যাবার আগে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আমার নানী তার বড় বোন কে দেখতে চেয়েছিলেন। নানীর বড় বোন কে ফোন দিচ্ছিলাম। কোন করনে তাহার মোবাইলে কল ঢুকতে ছিলো না। তখন মনে হচ্ছিলো নানীর বড় বোন কে চিঠি লিখি। আর পোস্ট অফিসে গিয়ে পোস্ট করে আসি। এখন অসুস্থ নানী কে আইসিও তে রেখে কোথাও move করা অসম্ভব ছিলো। তখন হাসপাতালের বেঞ্চে বসে বসে মনে হচ্ছিলো, অনলাইনে চিঠি লিখতে পারলে ভালো হতো।
সার্ভিস চার্জ, পেমেন্ট গেটওয়ে কিভাবে হবে: অধিকাংশ এক পৃষ্ঠার শুভেচ্ছা বানী পোস্ট করতে ২০ টাকার ডাক মাশুল লাগতো। আপনারা ১০ ডাকা সহ ডাকমাশুল ভাড়া মোচ ৩০ টাকা নিবেন। মানি ওর্ডার চার্জ এর ক্ষেত্রে নিদিষ্ট সার্ভিস চার্জ+১ টাকার ডাক মাশুল নিবেন।
আপনারা নিজিস্ব পেমেন্ট গেটওয়ে খুলতে পারেন। বা সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে এর সাহায্য নিতে পারেন।
এই মর্মে একটি আবেদন মাত্র ডাক বিভাগে ই-মেইল করলাম।
আমি এখনো প্রিয়জন কে চিঠি দেই। শুধু প্রিয় জনকে না, বন্ধু-বান্ধব, ব্যাংক ম্যানেজার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পছন্দের স্টাফকেও বিভিন্ন দিবসের শুভেচ্ছা পাঠিয়ে তাকের স্মরণ করি।