নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

{♥ যদি কখনো নিজেকে একা ভাবো, তাহলে ঐ দূর আকাশের অসীম সীমান্তের দিকে তাকিয়ে থাকো! কখনো নিরাশ হয়ে যেও না! হয়তো বা একটা বাজপাখিও তোমার দিকে উড়ে আসতে পারে! ♥}

সাহসী সন্তান

আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!

সাহসী সন্তান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা/অজানাঃ- "কল্পনা থেকে বাস্তবে রুপান্তর! রুপকথার অদ্ভুত আর ততধিক রহস্যময় ড্রাগন \'নিনকা-নানকা\'র সাতকাহন!"

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪


মহাবিশ্বের অলি গলিতে ঘুরলে এমন কিছু বিরল দৃশ্য সচারচর আমাদের চোখে ধরা পড়ে যেগুলো দেখে অনেক সময় আমরা মুগ্ধ হয়ে যাই, আবার বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি সেই দৃশ্যটার পানে। মহান সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টি জগৎকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে গড়ে তুলতে এবং সুনিপূণ হাতে সাঁজাতে এমন কিছু প্রাণীও সৃষ্টি করেছেন, যার মধ্যে অনেক অদ্ভুত, অতিকায় হিংস্র আবার অতি ক্ষুদ্র, দেখতে অনিন্দ্য সুন্দর অথচ খুবই ভয়ংকর এবং লাজুক প্রকৃতির নিরীহ প্রাণীও রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলোর খোঁজ আমরা জানলেও অধিকাংশই রয়ে গেছে যুগ যুগ ধরে আমাদের দৃষ্টির অন্তরালে।

তবে এই ধরনের অদ্ভুত দর্শন প্রাণীর সন্ধান লাভ করতে মানুষের কৌতুহলের যেন শেষ নেই। আর তাইতো সেই সমস্থ কৌতুহলি মানুষ বারবার ছুটে যান দেশ-বিদেশের চিড়িয়াখানা গুলোতে। কারো কারো আবার খাঁচায় পুরে রাখা প্রাণী দেখে সাধ না মিটলে বেরিয়ে পড়েন গহিন বন-জঙ্গল আর পাহাড়-পর্বত গুলোতে। আর ভাগ্যক্রমে যদি তেমনই কোন রহস্যময় প্রাণীর সন্ধান লাভ ঘটেই যায়, তাহলে তো কথাই নেই। অনেকে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে হলেও চরম ঝুঁকি নিয়ে ছুটে যান সেই প্রাণীটিকে অন্তত এক নজর দেখার জন্য।

গাম্বিয়া অভিযানের সময় পরিচালনাকারী দলটির অফিসিয়াল লোগো।

ঠিক তেমনই একটা প্রাণী নিয়ে ২০০৬ সালে গাম্বিয়ায় অভিযান পরিচালনা করেন একদল বৃটিশ অনুসন্ধানী বিজ্ঞানী দল। স্যার রিচার্ড ফ্রিম্যানের নেতৃত্বে চূড়ান্ত ভাবে যে অভিযানটির নামকরণ করা হয়েছিল "J. T. Downes Memorial Gambia Expedition 2006" নামে। আর সেই অভিযানে এই অনুসন্ধানকারী দলটি যে অদ্ভুত আর রহস্যময় প্রাণীটির সন্ধান লাভ করতে পেরেছিলেন, সেই প্রাণীটিই হলো আমার আজকের পোস্টের মূল টপিক 'নিনকা-নানকা!' গাম্বিয়ায় স্থানীয় ভাবে আসলে নিনকা-নানকা একটি অদ্ভুত আর রহস্যময় ড্রাগন হিসাবেই বেশি পরিচিত। তবে অনেকে হয়তো বলবেন, ড্রাগন তো ড্রাগনই। সুতরাং এটাতে আর আশ্চার্য হওয়ার কি আছে? বিশেষ করে যারা নেপাল, তিব্বত, তাইওয়ান বা চীনের গহিন বন-জঙ্গল অথবা পাহাড়-পর্বত গুলোতে ঘুরে বেড়িয়েছেন, তারা হয়তো এটাকে খুবই মামুলি বলে মনে করবেন। তবে সত্যিটা হলো, 'নিনকা-নানকা' আদৌতে মামুলি কোন ড্রাগনের নাম নয়!!

অভিযান পরিচালনাকারী দলের কয়েকজন সদস্যবৃন্দ।

সে এক ভয়াবহ আর রহস্যময় অদ্ভুত প্রাণীর নামই হলো 'নিনকা-নানকা!' এমনকি এই প্রাণীটার সন্ধান লাভের জন্য বৃটিশ অনুসন্ধানকারী বিজ্ঞানীদলটি ছুটে বেড়িয়েছেন গাম্বিয়ার 'কিয়াং ওয়েস্ট ন্যাশনাল পার্ক' থেকে পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই। এছাড়াও তৎকালিন সময়ে বিশ্বের অনেক বড় বড় অনলাইন নিউজ চ্যানেল গুলোও অত্যন্ত ফলাও করে ছাপিয়ে ছিল এই 'নিনকা-নানকা'র সচিত্র। তবে বিবিসি নিউজ থেকে দাবি করা হচ্ছিল, 'আসলে এই প্রাণীটির অস্তিত্ব পৃথিবীতে আদৌ আছে কিনা মূলত সেটা প্রমাণের জন্যই বৃটিশ অনুসন্ধানী বিজ্ঞানী দলটি এই অভিযানে নেমেছিল। কেননা এই অভিযানের বহু পূর্বেই পশ্চিম আফ্রিকার অনেক কল্প-কাহিনী আর পৌরাণিক মিথে এই নিনকা-নানকার বেশ কিছু বর্ননা পরিলক্ষিত হয়।'

জিরাফের মুখমন্ডলের আদলে সৃষ্ট নিনকা-নানকার একটি কাল্পনিক চিত্র!

আর সেই বর্ননানুসারে এটাই বোঝা যায় যে, পাহাড়ি জলাভূমি এবং বন-জঙ্গল পরিবেষ্টিত এলাকাতেই নিনকা-নানকা'রা বিচরণ করতে বেশি সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাছাড়া উক্ত বিজ্ঞানী দলটিও মনে করেন যে, নিনকা-নানকারা মূলত জলাভূমি পরিবেষ্টিত এলাকাতেই বসবাস করে। তবে বিবিসির ভাষ্য মতে, 'গম্বিয়ার অসংখ্য গল্প বা কল্প-কাহিনীতে নিনকা-নানকার নানা জাতি, নানা আকার এবং নানা চেহারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।'

যদিও সাধারণ ড্রাগনদের মধ্যেও নানা জাতি, আকার এবং বর্ণের বর্ননা আমরা পেয়ে থাকি। তবে আফ্রিকান এবং গাম্বিয়ান সেই সব প্রাচীন উপকথায় যে নিনকা-নানকা'র বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে নিনকা-নানকা'দের অদ্ভুত সব চেহারা আর আকার আকৃতির কথা। ফলে এতদিন যাবত নিনকা-নানকা'কে কেবল মাত্র একটি কাল্পনিক ড্রাগন হিসাবেই মনে করা হতো। সেই সব প্রাচীন রুপকথায় কখনো নিনকা-নানকা'র মুখমন্ডলকে ঘোড়ার মুখমন্ডলের সাথে তুলনা করা হয়েছে, আবার কোথাও বা জিরাফের মত মুখমন্ডলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সব থেকে বেশি নিশ্চিত এবং অধিকাংশ তথ্যেই ঘোড়ার আদলের মুখেরই বর্ননা পাওয়া গেছে বলে অনেকে মনে করেন।

বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, লম্বা শরীর আর লম্বা লেজওয়ালা নিনকা-নানকা'দের অ্যাবড়ো-থ্যাবড়ো শরীরজুড়ে গোলাকার আয়নার মত অতি সচ্ছ আর চকচকে অসংখ্য আঁশ আছে। যেমনটি থাকে আমাদের দেশের বনরুইদের শরীরে। তাছাড়া নিনকা-নানকা'র মাথার উপরে চামড়ার দর্শনীয় একজোড়া ঝুঁটি আছে, যা দেখতে অনেকটা জিরাফের মাথার উপরকার চামড়াওয়ালা শিং অথবা বল্গা হরিণের মাথার উপরকার চামড়াওয়ালা শিংয়ের ন্যায়। তবে তাদের মুখমন্ডল দেখতে একদমই জিরাফের মত নিরীহ প্রকৃতির নয়, বরং অত্যন্ত ভয়ংকর।

কুমিরের মত দেখতে নিনকা-নানকার একটি কাল্পনিক চিত্র।

আর সেকারণেই তাদের মুখের মধ্যে অত্যন্ত ভয়ংকর দর্শন দু'পাঁটি দাঁতও থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। যা দেখলেই পিলে চমকে উঠতে পারে যে কোন দর্শনার্থীরই। তাছাড়া অন্য আর একটি বর্ননায় উল্লেখ করা হয়, কিছু কিছু নিনকা-নানকা দেখতে অনেকটা কুমিরের মত। তবে তারা লম্বায় কুমিরের থেকেও আরো অনেক বৃহৎ আকৃতির হয়ে থাকে। দেখলে হয়তো এটাকে অনেকটা ডাইনোসরের মতই মনে হবে, তবে আদৌতে ডাইনোসরের মত অতটা বিশাল মোটা শরীর সাধারণত নিনকা-নানকা'দের নেই। শরীর মাত্র এক মিটার বা তার চেয়ে সামান্য বেশি মোটা এবং যা লম্বায় প্রায় সতের থেকে আঠারো মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও এদের শরীর যেমন লম্বাটে ধরনের, ঠিক তেমনই যেন তার সাথে মিল রেখেই গলা এবং লেজও একই অনুপাতে লম্বা হয়ে থাকে। পা'গুলোও আদলে ডাইনোসরের পায়ের মত বলে মনে হলেও আদৌতে সেটা অতটা বিশাল আর শক্তিশালী নয়। সাধারণত এদের শরীরের সাথে মানানসই সামনে এবং পেছনে দু'টি করে মোট চারটি পা আছে। তবে পেছনের পায়ের থেকে সামনের পা দু'টি সামান্য কিছুটা ছোট হয়ে থাকে, যা দেখতে অনেকটা ক্যাঙ্গারুর মত।

পাখাওয়ালা উড়ন্ত সাপের মত দেখতে ঘোড়ার মুখমন্ডলের আদলে তৈরি করা নিনকা-নানকার একটি কাল্পনিক চিত্র।

এছাড়াও আরো একটি বর্ননায় নিনকা-নানকা'কে দেখতে অনেকটা পাখাওয়ালা সাপের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এবং অনেকেই মনে করেন যে, এরা পাখি বা উড়ন্ত ডাইনোসরের মত আকাশে উড়তে পারে। তবে এই ধরনের নিনকা-নানকা এখনো পর্যন্ত কেউ দেখেছে বলে তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই পাখা ওয়ালা নিনকা-নানকা'র কথা শুনলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মনে হয়তো ভুত-প্রেত বা দৈত্য-দানব নিয়ে বহুল প্রচলিত আজগুবি সব কল্প-কাহিনীর মত গল্প বলে সন্দেহ জাগতে পারে।

যদিও আফ্রিকান রুপকাথায় নানাবিধ নিনকা-নানকার হাজারও আকার আকৃতির বিবরণ পড়ে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে ইদানিং কিছু ঘটনা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণের কারণে নিনকা-নানকার অস্তিত্ব যেন বিশ্ববাসিকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। একসময়ের অতি কল্প-কাহিনী আর অতিকথন নিনকা-নানকা'র অস্তিত্বকে যেভাবে বিতর্কের মুখে ঠেলে দিয়েছিল, সেই কল্প-কাহিনীই যেন আজকে 'ক্রিপটোজুলোজিক্যাল' গবেষণার একটি অন্যতম বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে বৃটিশ অনুসন্ধানকারী বিজ্ঞানী দলটির দলনেতা ক্রিপটোজুলোজিস্ট জনাব রিচার্ড ফ্রিম্যান জানিয়েছেন, বর্তমান পারিপার্শ্বিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় প্রাণীটির অস্তিত্বের প্রমাণ খুবই অসম্পূর্ণ। কেননা, বেশিরভাগ লোকই প্রাণীটিকে দেখার পরে প্রচন্ড ভয়ে এতটাই আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন যে, পরবর্তিতে সেই কারণে খুবই দ্রুত তারা মৃত্যুমুখে পতিত হন। তবে রিচার্ড ফ্রিম্যানের নেতৃত্বে অনুসন্ধানকারী দলটি তাদের প্রাথমিক সাফল্যের অংশ হিসাবে গাম্বিয়ার 'কিয়াং ওয়েস্ট ন্যাশনাল পার্ক'-এর একজন প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি গ্রহণ করতে পেরেছিলেন।

ঘোড়ার মুখমন্ডলের আদলে দেখতে নিনকা-নানকার একটি কাল্পনিক চিত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী সেই ব্যক্তিটি জানান, 'প্রায় কয়েক বছর আগে তিনি নিনকা-নানকা নামক এই রহস্যময় প্রাণীটির দর্শন লাভ করতে পেরেছিলেন। যার গায়ের রং ছিল অনেকটা সবুজ বর্নের এবং শরীর প্রায় এক মিটার বা চল্লিশ ইঞ্চির (৪০") মত চওড়া। তবে প্রাণীটির আপাদমস্তক আনুমানিক প্রায় পঞ্চাশ মিটারের মত লম্বা ছিল এবং যার অর্ধেকটাই প্রায় তার লেজের অংশ। অর্থাৎ মাথার অগ্রভাগ থেকে লেজের প্রান্ত ভাগ পর্যন্ত প্রায় একশত দশ (১১০) হাতের মত লম্বা, যার মধ্যে শুধুমাত্র লেজটাই প্রায় ২৫ মিটার বা পঞ্চান্ন (৫৫) হাতের মত লম্বা! এবং গলাও ছিল ঠিক জিরাফের গলার মতই অনেকটা লম্বাটে ধরনের। তবে সেটা ঘোড়ার গলার মতই সকল অংশে সমান্তরাল ছিল। আর পায়ে ছিল খুবই শক্তিশালী নখ যার প্রত্যেকটাই ছিল ধারালো কাঁটা যুক্ত এবং খুবই বিষাক্ত। '

এখন ব্যাপারটা হলো, একশত দশ হাত লম্বা রেলগাড়ি টাইপের বিশাল এই প্রাণীটার দর্শন যদি কেউ লাভ করতে পারে; তাহলে তার যে প্রথম স্বাক্ষাতেই পিলে চমকে যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। আর তার উপরে সেটা যদি হয় অদ্ভুত দর্শন ভয়ানক কোন প্রাণী, তাহলে অবস্থাটা যে কি হতে পারে-তা তো সহজেই অনুমেয়। সুতরাং এক্ষেত্রে যদি উক্ত প্রাণীটি দর্শনে প্রত্যক্ষদর্শীরা ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে মারাই যান, তাহলে দোষটা তো আর তাদেরকে দেওয় যায় না? তবে কিয়াং ওয়েস্ট ন্যাশনাল পার্কের সেই প্রত্যক্ষদর্শী বর্ননা করেন যে, তিনি প্রায় কোন ধরনের দূর্বলতা ছাড়াই প্রায় এক ঘন্টা যাবত উক্ত প্রাণীটিকে পর্যবেক্ষন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এবং তারপরেও তিনি অন্যদের মত ধিরে ধিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে অসুস্থতার কারনে তিনি আর নিনকা-নানকার পরবর্তি কোন কাজ-কর্মগুলো দেখার সুযোগ পাননি। তবে বিজ্ঞানীদের সাথে মত বিনিময় কালে তিনি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে এতটাই দূর্বল হয়ে পড়েন যে, ঐ একঘন্টার মধ্যে নিনকা-নানকাটি ঠিক কি খেয়েছিল, কিংবা কিভাবে বিচরন করছিল অথবা তাদের পছন্দনীয় খাবার ঠিক কোন গুলো ছিল তার কিছুই তিনি বলতে পারেননি।

তবে নিনকা-নানকা নিয়ে হাজার বছরের কল্প-কাহিনী, রুপকথা বা শোনা কথা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণগুলো একত্র করে পর্যবেক্ষক মহল ধরনা করছেন যে, যেহেতু নিনকা-নানকা পাহাড়ি জলাভূমি ও বন-জঙ্গলে বিচরনকারী প্রাণী এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে আত্মগোপনকারী প্রাণীদের মত নিভৃতচারী, সেহেতু স্বাভাবিক ভাবেই তারা প্রকৃতিগতভাবে অত্যন্ত নিরীহ স্বভাবের হতে পারে। আর এই স্বভাবের প্রাণীরা সাধারণত তৃণভূজীই হয়ে থাকে। তাছাড়া হয়তো আত্মরক্ষার তাগিদে কখনো কখনো শিকারীর পিছনে ধাওয়াও করতে পারে। তবে তাদের মুখে কুমিরের মত ধারালো দাঁতের সারি কিন্তু এই ধারনার কিছুটা ব্যতিক্রমই দাবি করে। তাছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিটার বর্ননানুসারে পার্কের জলাভূমিতে দেখা নিনকা-নানকাটি যতো লম্বাই হোক না কেন, ওর কিন্তু চারটি পা ছিল শরীরের সাথে বেশ মানানসই। সুতরাং এক্ষেত্রে আমাদের দেখা সাধারণ ড্রাগনদের মত ওদেরও যে ছয়টি বা তারও অধিক পা থাকতে পারে একথাটা কিন্তু খুব জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।

অর্থাৎ নিনকা-নানকা কুমির, গিরগিটি, টিকটিকি বা বনরুইয়ের মতই চারটি পায়েরই অধিকারী। তবে নিনকা-নানকার পায়ের নখ এবং কাঁটার মত বাড়তি অঙ্গগুলোই বলে দিচ্ছে ওরা আসলেই বিশাল আকৃতির একটা ড্রাগন। তাছাড়া তার গায়ের চকচকে যে আঁশের কথা বলা হয়েছে সেটা থেকে তাকে অনেকটা আমাদের দেশের বিরল প্রজাতির বনরুই এর শরীরের সাথেও তুলনা করা যেতে পারে। হয়তো বা নিনকা-নানকার শরীরের সেই আঁশ এতটাই চকচকে যে প্রত্যক্ষদর্শীরা সেটাকে অনেকটা 'আয়নার মত' বলেই উল্লেখ করেছেন।

তবে এতদিন যাবত নিনকা-ননকা একটা অদৃশ্য এবং সম্পূর্ণ কাল্পনিক প্রাণী হিসাবে বেঁচে থাকলেও বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রার যুগে এবং এযাবত কাল অবধি নিনকা-নানকা সম্পর্কিত যে সমস্থ তথ্য ও বিবরনাদি পাওয়া গেছে তাতে হয়তো খুব শীঘ্রোই বিশ্ববাসি নিনকা-নানকা সম্পর্কে একটা বাস্তব সত্যের সম্মূখিন হতে পারবে বলে বিশ্লেষকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত অভিযান পরিচালনাকারী দলটি বাস্তবতার থেকে বহু দূরে অবস্থান করছে, তথাপি সাধারণ কৌতুহলি মানুষ হিসাবে তাদের উপরে সামান্য একটু আস্থা রাখতে বা দোষ কি? হয়তো অনেক অপ্রকাশিত ঘটনার মত এইটাও একদিন ঠিকই বিশ্ববাসির সামনে প্রকাশিত হবে......!!

তথ্যসূত্রঃ- পোস্টে উল্লেখিত কিছু তথ্য ২০০৮ সালে প্রকাশিত 'পৃথিবীর আশ্চার্য প্রাণী জগৎ' সংক্রান্ত একটি ম্যাগাজিন বই থেকে সংগৃহিত এবং প্রত্যেকটা ছবি সহ বাকি তথ্য ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু তথ্যের লিংক নিচে উল্লেখ করে দেওয়া হলোঃ-
=> উইকিপিডিয়া & এনসাইক্লোপিডিয়া- নিনকা-নানকা।
=> বিবিসি নিউজ- গাম্বিয়ার পৌরাণিক ড্রাগনকে অনুসরণ।
=> গাম্বিয়া এক্সপিডিশন-২০০৬।
=> গাম্বিয়ায় অভিযান পরিচালনাকারী দলটির অভিযান শেষের প্রতিবেদন।
=> নিনকা-নানকা কি?

প্রাণী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার লেখা ঠিক একই কোয়ালিটির আরো তিনটি পোস্ট আছে। নিচে তার লিংক উল্লেখ করে দেওয়া হলো। সময় থাকলে একই সাথে সেগুলোর উপরেও একবার চোখ বুলিয়ে আসতে পারেনঃ-
জানা/অজানাঃ- "বৈচিত্রময় জোনাকি পোকার সাতকাহন"
জানা/অজানাঃ- "প্রাগৈতিহাসিক যুগে বিলুপ্ত হওয়া এক অতিকায় দানবীয় প্রাণী ডাইনোসরের সাতকাহন"
জানা/অজানাঃ- "রুপকথার রঙিন পাখি 'হামিংবার্ড'-এর সাতকাহন!"

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো! তাছাড়া এতক্ষণ যাবত সাথে থেকে এবং কষ্ট করে এতবড় একটা পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন! হ্যাপি ব্লগিং....!! !:#P

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এই হইলো আসল ড্রাগন।



বাচ্চা অবস্থায়



বুইড়া অবস্থায়

B-))

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

সাহসী সন্তান বলেছেন: খাইছে আমারে! ইহা আমি কি দেখিলাম! আসলেই তো তাই। এটাই তো দেখি সত্যিকারের ড্রাগন! তয় আমার কিন্তু বুইড়া অবস্থারডা পছন্দ হইছে সব থেকে বেশি! এ যেন এক রক্ত চোষা বাদুড়...... ;)

অনেকদিন পর পোস্টে আপনাকে দেখলাম! তাও আবার প্রথম মন্তব্যকারী হিসাবে! এই খুশি যে বাঁধ মানতে চায় না! :P

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: দারুন!
ধন্যবাদ রইল।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্লগে স্বাগত বরকত উল্লাহ ভাই! আর পোস্ট দারুন লাগার জন্য ধন্যবাদ!

শুভ কামনা রইলো!

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

সেলিম৮৩ বলেছেন: রহস্যে ঘেরা এই পৃথিবীর অামরা কতটুকু জানি! ভালো লাগলো পোষ্টটি পড়ে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: ঠিক তাই! অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রের তুলনায় পৃথিবীটা হয়তো ছোট হতে পারে, তবে এর প্রতিটা পরতে পরতে ছড়ানো রয়েছে হাজার রকমের রহস্য আর রোম্যান্স! আসলেই, আমরা সেই রহস্যের কতটুকুই বা খোঁজ-খবর রাখি!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আসলেই অজানা রয়েছে অনেক কিছু

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম! তবে সেই অজানাকে জানার তাগিদ মানুষকে সব সময়ের জন্যই বেতিব্যস্ত করে রাখে! :)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: রক্তিম দিগন্তের সাথে একমত। উহাই আসল ড্রাগন। উহার অস্তিত্ব নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। B-))
প্রিয়প্লাস!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও কিন্তু কোন ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করা ছাড়াই ধরে নিয়েছি যে, উহাই সত্যিকারের আসল ড্রাগন! আর বাদ বাকি সব গুলাই হইলো ড্রাগন সাহেব গো ভাইরা ভাই! সেকারণেই মন্তব্যে লাইকাইছি..... ;)

পোস্ট পাঠ, প্লাস এবং প্রিয়তে রাখার জন্য ট্রিপল ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

পুলহ বলেছেন: ".....পৃথিবী পালটে যাচ্ছে। কমে আসছে বনভূমি। সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে মানুষের সময়। একটা যুগ ছিলো- যখন মানুষের রূপকথা শোনার অবসরটুকু, মানসিকতাটুকু অন্তত ছিলো। সেটার বদৌলতে হলেও- নানা গালগল্প আর লোককাহিনীর মধ্য দিয়ে বেচে ছিলো সামতু, বগালেক-কিংবদন্তী কিংবা বুনিপেরা। আজ মানুষের সে সময় নেই, মানসিকতাও হয়তো নেই..."

লেখাটা আমার একটা পোস্টের অংশ, কিছুদিন আগেই লিখেছিলাম- আপনার পোস্ট পড়ে সেটার কথা আবার মনে হোল। তাই দিলাম আর কি!

নিনকা-নানকারা বেচে থাকুক, ভালো থাকুক আরো যুগের পর যুগ। বাস্তবে না হলেও অন্তত মানুষের কল্পনা আর স্বপ্নে।
মায়া আর ভালোবাসায় !
পোস্টে প্লাস

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২০

সাহসী সন্তান বলেছেন: অবশ্যই আপনার পোস্টে কিছু চমৎকার কথা উল্লেখ করেছেন! ছোট থাকতে এক সময় দাদু-দাদীকে বিরক্ত করে তুলতাম তাদের মুখে রুপকথার গল্প শোনার জন্য! তবে অত্যন্ত আশ্চার্য হলেও সত্য যে, বর্তমানে এখন আর সেই যুগ নাই!

তাই বোধ হয় মহা-মনীষিরা বলে গেছেন- 'আধুনিক বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ!' :(

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! জানলাম অনেককিছু । ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার পোস্টের নিয়মিত পাঠক, সাধু ভাইকে স্পেশালি থ্যাংক্স! পোস্টটা আপনার কাছে চমৎকার লেগেছে জেনে ভাল লাগছে!

শুভ কামনা রইলো!

৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লেখা বড় যে :( লাইক আর প্রিয়তে রাখলাম

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২১

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

আবু ইশমাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ! অনেক কিছু জানলাম

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা মাধ্যমে আপনাকে যে নতুন কিছু জানাতে পেরেছি সেটাতেই আমি খুশি! :)

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নীলপরি বলেছেন: আপনার পোষ্টগুলো একদম আপনার নিকের মতো হয় । এইরকম বিষয় ও তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট লিখতে গেলে সাহস দরকার ।

হ্যাটস অফ্‌ টু ইউ । ++++++++

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: এভাবে কম্পিলিমেন্ট জানিয়ে লজ্জা দেওয়াটাকি খুব বেশি জরুরি ছিল নীলপরি? তবে অবশ্যই আপনার এমন সুন্দর মন্তব্য আমার আগামী নতুন কোন অজানা পোস্টের বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে!

আমি নিজেই আপনার কবিতার ফ্যান! সেই সাথে আপনার বর্তমান সময়ের ঐতিহাসিক পোস্ট গুলোও খুব খুব সুন্দর হচ্ছে! আর মিথ সমৃদ্ধ কবিতা গুলোও অসাধারন!

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
সাতকাহনগুলো কিন্তু ব্লগের এসেট। খুঁটিনাটি সব জানা যায়। আপনায় আর ধন্যবাদ জানাবো না। এটা আপনার দায়িত্ব। ;)

রূপকথা হোক আর বিজ্ঞান। জানতে ভালোলাগে। সত্য বলতে আবছাভাবেই পড়েছি। স্কিপ করে করে। রবিবারটা আমার ব্যস্ত দিন। আবার আসার ইচ্ছে রাখছি।

ভালোবাসা জানবেন।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: এই অধমের ঘাড়ে দ্বায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে রাজপুত্তুর কি এবার নিজের দ্বায়িত্ব থেকে অবসর নিতে চাচ্ছে নাকি? কিন্তু এ যে বড় গুরু ভার, চাপিয়ে দেওয়ার আগেই তো আমি মাটির সহিত ফটোর্স্ট্রাট হয়ে যাবো....... ;)

আসলে কোন বিষয় সম্পর্কে যখন সাতকাহন লিখতে হয়, তখন খুঁটিনাঁটি বিষয়ের সবই যদি তুলে না ধরা হয়; তাহলে আর সেটা কিসের সাতকাহন? আর আমি সব সময়ের জন্য চেষ্টাকরি আমার প্রত্যেকটা পোস্টেই সর্বোচ্চ তথ্য যোগ করতে, যাতে পোস্টটা পড়ার পরে আর এটা সম্পর্কে অন্যের মনে কোন প্রশ্ন না জন্মায়!

আবার আসলে তো অবশ্যই ওয়েলকাম! তবে সেটা না জানালেও চলবে! আসলে আমি চাই, আমি কি বলতে চেয়েছি সবাই যাতে সেটা বুঝতে পারে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো! আর অবশ্যই রাজপুত্রকে লাভ ইউ ঠু..... জানানো হইলো! :p

১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



সাহসী ভাই,

নিনকা- নানকাদের নিয়ে লেখা এই মেগা পোষ্ট পড়ে বহুত কিছু জানা হল। বলতে গেলে এটা এক নতুন অধ্যায়। এভাবেই হয়ত বিবর্তনের অনেক কিছুই আমরা জানতে পারব। আর এটা অনেকের জন্যই ভাল হবে।

আপনি যেভাবে অতিকায় ডায়নাসোর থেকে ক্ষুদ্রকায় জোনাকি পোকা নিয়ে লেখা শুরু করছেন এতে আমাদের প্রাণীজগতের প্রতি আগ্রহ আরো বাড়ছে। আরো লিখুন। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন।



পরিশেষে কিছু বানান দেখলাম ভুল ঠিক করে নিয়েন!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমত বানান ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি! আসলে পোস্ট লেখার সময় দ্রুত টাইপিংয়ের কারণে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল থেকেই যায়! তবে কথা দিচ্ছি পোস্ট আপডেট করার সময় অবশ্যই সেটা ঠিক করে নেওয়া হবে!

আর একটা সিক্রেট বলি- যদি আমার কোন পোস্ট এক্কেবারে নির্ভুল বানানে পান, তাহলে সন্দেহাতীত ভাবে ধরে নেবেন সেটা একদমই আমার কোন পোস্ট নয়! বরং অন্য কোথাও থেকে কপি করেছি! ;)

আমার পোস্ট পড়ে প্রাণী জগৎ সম্পর্কে আপনার আগ্রহ বাড়ছে জেনে খুশি হলাম। কিন্তু কথা হলো, পূর্বে কি তাইলে তাদেরকে অবহেলা করতেন নাকি! খুব সাবধান, ভাবিও কিন্তু প্রাণীর মধ্যে পড়ে..... :P

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিনকা নানকা :)

মানুষের কল্পনা শক্তি আসলেই অনেক শক্তিশালী!
আবার মানুষের বিশ্বাস করানোটাও এক জটিল হাল!

কল্পনা আর বিশ্বাসের পাতে ভর করে চলুক ভাবনার গাড়ী... কু ঝিক ঝিক ঝিক ঝিক ;)

+++++++++

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫২

সাহসী সন্তান বলেছেন: হাওয়ার উপর চলে গাড়ি, লাগে না পেট্রল ডিজেল.....
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল!
ওসে চমৎকার গাড়ির মডেল......ঐ

কিন্তু কথা হলো গাড়ীর ইস্টিয়ারিং থাকবো কার কাছে? ভৃগু ভাইয়ের হাতে থাকলে গাড়ীযে কই যাবে উহা জাতি খুব ভাল ভাবেই জানে! ;)

আসলে মূলত আমি কোন বিষয় সম্পর্কে পোস্ট করি মানুষকে জানানোর জন্য! বিশ্বাস বা অবিশ্বাস সেটা তো যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার! চাইলে কেউ বিশ্বাস করতে পারে, আবার অবিশ্বাসও করতে পারে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আগে অবহেলা করি নাই। বায়োলজি আমার প্রিয় সাবজেক্টগুলির মধ্যে অন্যতম প্রিয় সাবজেক্ট। কিন্তু ডায়ানোসোর বা এই যে ফসিল জগৎ তার সাথে কোন কানেকশন নাই। তবে এখন আপনি কানেক্ট করায় দিতেছেন। এখন প্রায় টিকটিকি দেখলে মনে হয়, ইস রে ডায়ানোসোরটা!

=p~

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: বলেন কি....!!?? আমার পোস্ট আপনাকে ফসিল জগতের সাথে কানেক্ট করিয়ে দিচ্ছে....!!?? নিঃসন্দেহে ব্লগিং জীবন আমার সার্থক! এর থেকে ভাল পাওয়া বোধ হয় একজন লেখকের জীবনে আর ঘটা সম্ভব নয়! :)

নিজেরে তো এখন হাওয়ায় ভাসতে দেখতাছি! টাইন্না ধরেন ডানা ভাই, নয়তো উইড়া কিন্তু অন্য কোন অজানা গ্রহে চইল্লা যাইতে পারি! ;)

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: নিনকা নানকা সম্পর্কে চমৎকার পোস্ট! অনেককিছু জানা হলো । ধন্যবাদ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪১

সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৬

ক্লে ডল বলেছেন: আপনার পরিশ্রমকে সাধুবাদ জানাই। এবং

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার পোস্টে আপনার করা সব থেকে ছোট মন্তব্য! এধরনের অসম্পূর্ণ মন্তব্য আদৌ গ্রহণ যোগ্য নয় ক্লে ডল! মন্তব্যে ফাঁকি বাজির লক্ষণ পাইতেছি কিন্তু! এখন তো মনের মধ্যে খচখচ করতেছে, কি কইতে চাইছিলেন সেইটা জানার জন্য... ;)

যাহোক, তারপরেও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নিনকা নানকা সম্পর্কে অনেক পরিশ্রমী পোস্ট ! আপনি পারেন ও বটে !!
অনেক জানা হল

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: পারি তো বটে! কিন্তু কিছু জায়গায় যে পারতে গিয়ে হুড়মুড় করে পড়ে দাঁত মুখ ভেঙে ফেলি! দোয়া করবেন লিটন ভাই, সব ক্ষেত্রেই যেন পারতে পারি! ;)

পোস্ট পাঠে আপনাকে অনেক কিছু জানাতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত! শুভ কামনা রইলো!

১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

তথ্যপূর্ণ লেখা।

পৃথিবীটা একসময় নিনকা আর নানকাদেরই ছিলো। কিছু তো সত্যই ছিলো। ওরা আজ কই?
আমরাও কি কোনদিন চুনখা-চানখাতে রূপান্তরিত হবো? সাহসী কী বলেন?



বানানে কিছু ভুল ছিলো, কিন্তু সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসেবে ধরি নি ;)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমত বানানকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরায় মন্তব্যে লাইক! মাহমুদ ভাইও একটা দিছে, তাইলে টোটালে দুইটা! ;) সে যা হোক, আমার মনে হয়- যখন কোন কিছুর শুরু আছে; তখন সেটার শেষও হবে। এক সময়ের দাপটের সাথে রাজত্ব করা অতিকায় প্রাণী ডাইনোসররা যখন মাটির সাথে মিশে গেছে, তখন আর সামান্য মানুষও একদিন নিঃশেষ হয়ে যাবে; সেটাতে আর আশ্চার্যের কি!!

তবে সে জন্য যে চুনখা-চানখা'তেই পরিণত হবো, উহা কিন্তু তদন্ত ছাড়া স্পেসেফিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। অবশ্য নাম যখন মানুষ, তখন মুনকা-মানকা'তেই পরিণত হওয়ার লক্ষণ দেখতেছি সব থেকে বেশি! :P

অনেকদিন পর প্রিয় মইনুল ভাইয়ের সদা হাস্যজ্জল মুখশ্রী সম্বলিত ছবিটা দেখলাম! খুব ভাল লাগলো! ভাল থাকবেন প্রিয় ব্লগার! শুভ কামনা রইলো!

১৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: নামটা অদ্ভুত।মনে হয়,কোন ছোট বাচ্চাকে রাক্ষোস-খক্ষোসের গল্প শুননাইতে গিয়া এই "নিনকা-নানকা"নামের সৃষ্টি। ;)
যাই হওকে,তথ্যপূর্ণ পোষ্টে +

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: সম্ভাবত আপনার ধরনা অনেকটাই সত্য! আসলে মূলত নিনকা-নানকা মানুষের কাছে দৃশ্যমান হওয়ার আগে, কিন্তু সেটি ঐ রুপকথা আর কল্পকথাতেই সব থেকে বেশি প্রতিষ্টিত ছিল! তারপর সেখান থেকে তথ্য নিয়েই অভিযান পরিচালনাকারী দলটি তাদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন!

তবে ভুল কইরা দাদী-নানীরা যেই নাম দিয়া ফেলছে, উহাইযে বর্তমানে আমাদের আগ্রহের বস্তু হয়ে দাঁড়াইবে; তাহা কে জানতো! ;)

কৃতজ্ঞতার সহিত আপনার প্লাস গ্রহণ করা হলো! শুভ কামনা জানবেন!

২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৫

মার্কো পোলো বলেছেন:
দারুণ!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ মার্কো পোলো! শুভ কামনা রইলো!

২১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩১

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অসাধারণ , চমৎকার পোস্ট । আমি অভিভূত । প্রাণী বিষয়ক এত সমৃদ্ধ পোস্ট খুবই কম পড়েছি আমি। দারূণ রোমাঞ্চকর বিষয়ের সাথে সাবলীল তথ্যসমৃদ্ধ
বর্ণনা । ফিচার ব্লগের প্রাণ । এ ধরণের পোস্ট ব্লগের অক্সিজেন ও বটে। পড়তে পড়তে আরেকটা ব্যাপার ও ভাবছিলাম । আমার ভাইডি দেহি অনেক কিছু জানে B-) মইনুল ভাইয়ের মন্তব্যে লাইক ।

উনি বিবেচ্য বিষয় হিসেবে ধরেন নাই - আমি কিন্তু দেখি নাই ;)
আমার জন্য কয়টা লাইক হইবে? :D

আরো চাই মনের খোরাক মেটানো এমন পোস্ট । হামিং বার্ড এর জন্য আলাদা ধন্যবাদ । মোবাইলে পড়ছিলাম ।
শুভকামনা রইল ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা প্রিন্ট আউট কইরা আমার আম্মাজানের কাছে পাঠাইতে মন চাইতেছে, যার কাছে আজ পর্যন্ত 'আমার দ্বারা কিচ্ছু হবে না' টাইপের মন্তব্য অহরহ শুনতে হয়! কিন্তু আসলেই কি আমার দ্বারা কিচ্ছু হইবে না....... :((

একচুয়ালি মাহমুদ ভাই, আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। আর এই সীমিত জ্ঞানের অধিকারি হয়ে চেষ্টা করি এই বিশ্ব জগৎটাকে জানার। তো সেই জানার কৌতুহল থেকেই মূলত এই জানানোর পেক্ষাপটের শুরু।

তয় কথা হইলো, আপনি পোস্ট পাঠ শেষে বাড়তি সময় খরচা কইরা অন্যের মন্তব্য পড়তে গেছিলেন ক্যারে? ব্যাপারটাতো খুব বেশি সুবিধার বইলা মনে হইতেছে না! তার উপ্রে আবার লাইক চায়..... ওরে কইতরি রামদাডা লইয়া আয় তো! আজ মাহমুদ ভাইয়ের একদিন কি আমার যে কয়দিন লাগে......... ;)

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই! শুভ কামনা রইলো!

২২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

রমজান আহমেদ সিয়াম বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ৷ অনেক কিছু জানলাম

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: এক পবিত্রতার মানুষ গুলো হলো, একদম ফ্রেশ! আর দুই পবিত্রতার মানুষ গুলো হলো সেই রকম ফ্রেশ! ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ ডাবল পিউরিটি ম্যান! শুভ কামনা রইলো!

২৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৮

মাদিহা মৌ বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। আধিভৌতিক গল্পে হুট করে আবির্ভাব করায় দিবো নিনকা নানকা কে। তখন ইনফরমেশন গুলি খুব কাজে লাগবে।

নিনকা-নানকা, নামটা কী কিউট!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: হা হা হা, বলেন কি! তাইলে আপনার গল্প পড়ার প্রতিক্ষায় রইলাম! বেশি দিন কিন্তু ওয়েট করতে পারবো না! দ্রুত আপনার সেই আদিভৌতিক গল্প পোস্ট কারার জোর দাবি এখন থেকেই জানানো শুরু কইরা দিলাম! ;)

নিনকা-নানকা, নামটা কিউট হইলেও ব্যাটাদের কাজ কর্ম কিন্তু একদমই কিউটনেস নয়। আজ পর্যন্ত তাদেরকে দেখে কিন্তু একজন মানুষও বেশিদিন প্রাণে বাঁচতে পারে নাই। কোন ধরনের আক্রমন ছাড়াই যাদেরকে দেখেই কেবল মানুষের এমন ভিমড়ি খাওয়ার অবস্থা, তাহলে তারা যে কতটা কিউট সেটা নিশ্চই বুঝতেই পারছেন!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মৌ! শুভ কামনা রইলো!

২৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।

তবে পড়া শেষ করতে গিয়ে ক্লান্ত !!!!

ভাবছি এতো বড় লেখা মানুষ কিভাবে লেখে!!!!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি আমার এই পোস্টটা পড়তেই যদি এতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে আমার পূর্বের সাতকাহন গুলো পড়লে কি অবস্থা হতো তাই ভাবছি! জানামতে সাতকাহন নিয়ে এই পোস্টটাই সব থেকে ছোট করে দিয়েছি!

আসলে কোন বিষয় সম্পর্কে সাতকাহন লিখতে গেলে সেটার বিস্তারিত খুঁটিনাঁটি উল্লেখ না করলে পোস্টকে ঠিক সম্পূর্ণ বলে মনে হয় না! তারপরেও কষ্ট করে পোস্টটা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য! ভাল থাকবেন!

২৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: লেখায় ১০০ লােইক!!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: হা হা হা, অবশ্যই কৃতজ্ঞতার সহিত আপনার লাইককে সাদরে গ্রহণ করা হলো! আবারও ধন্যবাদ আপনাকে!

২৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

জুন বলেছেন: দু এক কাহন কম লিখলে কি হয় সাহসী :((
এ যেন পাঠকের উপর অত্যাচার /:)
দিশেহারা কি আসছে এই পোষ্টে :-*
আর আসলেও কি সে কিছু বলছে :``>>
যাক এতক্ষন একটু মজা করলাম। নিজে একটা পোষ্ট দিয়েছি আর নানারকম প্রতিকুলতায় আছি। খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে একখানা জ্ঞ্যানগর্ভ মন্তব্য করে যাবো অবশ্যই। চোখ বন্ধ করে একটা প্লাস দিয়ে গেলাম আপাতত B:-/
+

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

সাহসী সন্তান বলেছেন: দিশেহারা আর আপনি, এই দু'জনকে নিয়ে আমি আর পারলাম না! ফাঁকিবাজি ছাড়া হেতেরা জিন্দেগিভর আর কিছু শিখছে কিনা আল্লাই ভাল জানে! একজন স্কিপ করে করে পোস্ট পড়ে, আর একজন চোখ বুজে প্লাস মারে...... :(

তেব্রো প্রতিবাদ জানাইলাম! আপু, ভুলে গেলে চলবে কেন (?) সাতকাহন মানেই কিন্তু পাঠকের উপর অত্যাচার! তবে সে অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করার নামই হলো প্রকৃত পাঠক! আমি কখনোই চাই না অমনোযোগী পাঠকের দলে আপনাদের দু'জনের নাম উঠুক! :P

ফিরে আসলে খুশি হবো! না আসলে গোস্যা নাই! বড়'পা হিসাবে সব কসুর মাপ!
ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা!

২৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

ক্লে ডল বলেছেন: হা হা হা! মন্তব্য করেই দেখলাম, এবং খানা থেকে গেছে। :P
মনের ভিতর খচখচ করা একদম স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। :D

আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম। ---এবং আপনার পোষ্টের বিষয়বস্তু ও পরিশ্রমে প্লাস। কিন্তু পোষ্টে প্লাস নয়। কারণ আমি পড়ে শেষ করতে পারি নাই। :(

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: জোর কইরা ধইরা আইনা মন্তব্য করাইতে হইলো বলে মনে হচ্ছে! আপনি আসলে যেটা বলতে চেয়েছিলেন, ফিরতি মন্তব্যে সেটা ক্লিয়ার করে দেওয়ার জন্য এক লড়ি ধইন্ন্যা! তয় কৌতুহল প্রবণ মনতো, ও একটু খচখচ করেই! দমায়ে রাখা বড্ড কষ্টকর..... ;)

পূনঃকমেন্টে ভাল লাগা! ভাল থাকবেন মাটির পুতুল!

২৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,



রুপকথার অদ্ভুত আর ততধিক রহস্যময় ড্রাগন নিয়ে বিশাল সাতকাহন । সাহস আছে আপনার বলতেই হবে । আপনার এরকম ফিচার পোস্টগুলো দৈর্ঘ্যে এতোবড় হয় যে, আপনার মতো সাহস লাগে পড়তে । ( আগেই পড়েছিলুম পোস্ট হবার সাথে সাথে )
তবে এরকম তথ্যবহুল লেখাগুলো ব্লগের আকর্ষণ , ব্লগের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে । এরকম তথ্যবহুল লেখা সবাই পারিনে আমরা ।
তবে রূপকথারা রূপকথাই থাকে , বাস্তবে ধরা দেয় কমই । এর বেলাতেও তাই । আপনিও লিখেছেন --- এযাবত কাল অবধি নিনকা-নানকা সম্পর্কিত যে সমস্থ তথ্য ও বিবরনাদি পাওয়া গেছে তাতে হয়তো খুব শীঘ্রোই বিশ্ববাসি নিনকা-নানকা সম্পর্কে একটা বাস্তব সত্যের সম্মূখিন হতে পারবে বলে বিশ্লেষকরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

এ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনাকারী দলটি যে বাস্তবতার থেকে বহু দূরে অবস্থান করছে, তাই-ই বলছে - রূপকথারা রূপকথাই .....

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: সাহস না জী এস ভাই! আমার মনে হয় ইচ্ছা, একাগ্রতা আর ধৈয্য থাকলে যে কেউই এই ধরনের পোস্ট লিখতে পারবে! তবে আর কেউ পারুক বা না পারুক এমন পোস্ট আপনি লিখতে পারবেন না, এটা অন্তত আমি মানতে পারবো না!

কারণ আমি আপনার পোস্ট গুলো পড়েছি! বলা চলে আপনার অসাধারন সব পোস্ট গুলোর কাছে আমার এটা তো কিছুই না!

তবে নিনকা-নানকা নিয়ে আপনার কমপ্লিমেন্টকে আমি সমর্থণ করি! আসলেই, এই ব্যাপারটা নিয়ে আমরা এখনো অনেকটাই ধোয়াশার মধ্যে আছি! তবে খুব শীঘ্রোই সেই ধোয়াশা কেটে যাবে বলে আমার বিশ্বাস!

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

২৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিবিসির ফিচার নিউজে দেখছিলাম একদল বৃটিশ অনুসন্ধানী দল জাম্বীয়াতে গেছে নিনকি নানকা নামক এক বিরল ড্রাগনের সন্ধানে, তখন বিষয়টি এত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি । এখানে এর বিষদ বিবরণ দেখে ভাল লাগল , শেখা হল অনেক ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম, আসলে বৃটিশ অনুসন্ধানী দলটি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বিষয়টাকে মানুষের সামনে ক্লিয়ার করতে। তবে কবে নাগাদ পারবে, কিংবা আদৌ পারবে কিনা, সেটা নিয়ে জনমনে এখনো অনেক সন্দিহা বাসা বেঁধে আছে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ডঃ আলী! শুভ কামনা রইলো!

৩০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



এ ধরণের প্রাণীরা বিলুপ্ত হয়েছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্যাপারটা এখনো অমিমাংশিতই রয়েছে। যে কারণে স্পেসেফিক ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না!

ধন্যবাদ গাজী ভাই! শুভ কামনা!

৩১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: নিনকা নানকার উপর রচনাটা ভালো লাগলো।আমার কেনো জানি বিশ্বাস হয় এসব রহস্যময় প্রাণিদের অস্তিত্ব পৃথিবীতে থাকতে পারে।তারা চাচ্ছে না বলে আমরা খুঁজে পাচ্ছি না।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

সাহসী সন্তান বলেছেন: হয়তো আপনার ধারনা সত্যি! তবে এমন একদিন নিশ্চই আসবে, যেদিন অবশ্যই এমন রহস্যময় প্রাণীকে মানুষ ঠিকই খুঁজে পাবে। কিন্তু কথা হলো, সেটা কবে নাগাদ সম্ভব হবে? অবশ্যই এ প্রশ্নটাও সময়ই বলে দেবে!

মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!

৩২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

নায়না নাসরিন বলেছেন: সাহসী ভাইয়া ,
লিখাটি অনেক আগেই পড়া শেষ । নেটের ধীর গতির কারনে কিছু বলতে পারিনি। অচেনা জীব নিনকা নানকা নিয়ে দারুন লিখা লিখেছেন দেখা যায়। ভালোলাগা অনেক । ++++

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, দেরিতে হলেও চমৎকার এই মন্তব্যটার জন্য! আসলে বর্তমান সময়ে দেখছি সামুতে একটার পর একটা সমস্যা লেগেই আছে! এখন সামু যে পরিমাণে স্লো, তাতে লগইন করতেই ভাল্লাগে না! :(

সে যাহোক, পোস্টটা আগে পড়লেও মনে করে যে আবারও সেটা জানিয়ে গেলেন সেজন্য কৃতজ্ঞ! শুভ কামনা আপু!

৩৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা ইন্টারেস্টিং :) বেশিরভাগই যদিও রুপকথা বা লোকাল মিথের উপর বেস করে লেখা। এনিওয়ে, এইটারও কি মাথা কাটলে দুইটা নতুন মাথা গজাত? নাকি অফ যেত?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

সাহসী সন্তান বলেছেন: সেইটা তো জানি না ভাই? তাছাড়া এই নিনকা-নানকা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অনলাইন অথবা অফলাইন, লেখা-লেখি এতটাই কম যে; এটার সম্পর্কে চাইলেও ততটা ভাল ভাবে জানতে পারি নাই! তবে যতটুকু আন্দাজ করা যায়, মনে হয় না; মাথা কাটলে এটা আর বেঁচে থাকতে পারবে!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.