![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে তোর ভালোবাসার দরকার নেই। শুধু পাশে থেকে একটু সাহস যোগাস, দেখবি তখন ভালোবাসাটা এমনিতেই চলে আসবে!!
পপি ফুল! যার অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে হয়তো আমাদের মধ্যে কোন ধরনের বিতর্ক নেই। পারস্য রাজ্যে যাকে আদর করে ডাকা হয় ভালোবাসার ফুল। উর্দুতে যার নাম 'গুল-ই-লালাহ' বা শহীদের প্রতীক। পপি গাছ এর আদি নিবাস ইউরোপে হলেও বর্তমানে এটি পৃথিবীর সর্বত্র পরিচিত তার ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের জন্য। যদিও মাদক দ্রব্য উৎপাদনের জন্য পপির লাল এবং গোলাপী রঙের ফুলটাকেই সর্বাধিক প্রধান্য দেওয়া হয়। তবে লাল এবং গোলাপী ছাড়াও সাদা, হলুদ এবং নীল রংয়ের পপি ফুলকেও বিভিন্ন দেশে দেখতে পাওয়া যায়। এই ফুলের পাপড়িগুলো হয় রেশমের মতো নরম এবং ততধিক কোমল প্রকৃতির।
☆☆ পপি ফুলের পরিচয়ঃ- পপি, Plantae জগতের মধ্যে Papaver Somniferum প্রজাতির Ranunculales বর্গের Papaveraceae পরিবার ভুক্ত একটি ভয়ংকর সুন্দর ফুল। যার বৈজ্ঞানিক নাম- 'Papaver Somniferum'. ফুল বিশেষজ্ঞদের ধারনা, পপি ফুলের এই নামকরণ করা হয় প্রাচীন গ্রীক পুরাণের ঘুমের দেবতা 'সোমনাস'-এর নামানুসারে। কারণ পপির ক্ষেতে বয়ে যাওয়া মৃদু শীতল বাতাস এতটাই স্পর্শকাতর আর আরামদ্বায়ক যে, তা যে কোন প্রাণীদেরকেই ঘুম পাড়িয়ে দিতে সক্ষম!
প্রকৃতির বুকে পাওয়া বিভিন্ন রং-এর পপি ফুল আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রূপকার্থে বিশেষ ভাবে সমাদৃত। এবং এর রং-কেও আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ জিনিসের প্রতীক হিসাবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন বিশ্বে লাল রং-এর পপি ফুলকে মূলত মৃত্যু, স্মরণসভা, সাফল্য এবং ভালবাসার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। সাদা রং-এর পপি ফুল শেষকৃত্যানুষ্টান, স্মৃতিচারণ মূলক সভা-সেমিনার এবং শান্তি পূর্ণ ঘুমের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। এবং নীল, গোলাপী এবং বেগুনি রং-এর পপি ফুলকে কল্পনা, বিলাসিতা এবং সাফল্যের অন্যতম বাঁধার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়ে থাকে।
তাছাড়া প্রাচীন গ্রীক এবং রোমানদের কাছে এটি প্রশান্তিদ্বায়ক, ঘুমবর্ধক এবং আনন্দদ্বায়ক হিসাবেও বেশি পরিচিত। তবে চীন এবং জাপানের কাছে লাল রং-এর পপি মূলত গভীর-প্রগাঢ় প্রেম এবং বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবেই বেশি সমাদৃত। আর সাদাকে তারা দেখে তাদের সংস্কৃতির প্রতীক হিসাবে।
ঐতিহাসিক তথ্য মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রতীক হিসেবে এই ফুলটি লাগানো হয়েছিল ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের পাশের বাগান। তাছাড়া প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মধ্যে গভীর সম্পর্কের অন্যতম প্রতীক হিসাবেও লাল পপি বিশেষ ভাবে জনপ্রিয়। এমন কি বিশ্বের কিছু কিছু দেশে সেই দেশের অন্যতম শহীদ বীরদের প্রতি সম্মান জানাতে তাদের শ্মষান-সমাধিতে পপি ফুলের পুষ্পস্তবকও অর্পণ করা হয়। নিচে তেমনই কিছু বিখ্যাত কাজে পপি ফুলের ব্যবহার উল্লেখ করা হলঃ-
☞ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন প্রায় ৮ লাখ ৮৮,২৪৬ জন ব্রিটিশ ও কমনওয়েলথ সেনা। তাঁদের স্মরণে ঠিক ততগুলো হাতে তৈরি কৃত্রিম পপি লাগানো হয়েছিল ঐতিহাসিক লন্ডন টাওয়ারের পাশের বিশাল উদ্যানে। ১১ নভেম্বর শেষ হয় এই প্রদর্শনী।
☞ একই স্থানে প্রায় ১৬ একর জমির উপরে পপি লাগানোর ফলে দূর থেকে দেখলে মনে হতো, লন্ডন টাওয়ারের আশ-পাশটা যেন রক্তের সমুদ্রে পরিণত হয়ে গিয়েছে। প্রায় ১৬টি ফুটবল মাঠ বা ২৫০টি টেনিস কোর্টের সমান জায়গায় লাগানো হয়েছিল এই ফুলগুলো।
☞ তৎকালিন সময়ে লন্ডন টাওয়ারের পাশের সেই পপির বাগান পরিদর্শন করেছিলেন ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সাথে ছিলেন প্রিন্স উইলিয়ামস এবং হ্যারিসহ পুরো রাজ পরিবার।
☞ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও এই পুষ্প সমুদ্র দেখতে গিয়েছিলেন। এসময় নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে তারা একটি করে ফুল লাগান।
☞ ধারনা করা হয়, পুরোনো পদ্ধতিতে প্রতিটি গাছ লাগাতে স্বেচ্ছাসেবীদের দিনে তিন শিফটে প্রায় ২৩ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয়েছিল। মূলত মাটির তৈরি ফুল, ইস্পাতের ডাল আর কাঠামো তৈরি করতেই এই বিপুল সময় ব্যয় হয় তাদের।
☞ তৎকালিন সময়ে প্রায় ৪০ লাক্ষ পর্যটক এই প্রদর্শনী পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। আর তাদের বেশিরভাগই সেই প্রদর্শনী থেকে ফুল কিনেছিলেন, পরবর্তিতে যে ক্রয়কৃত টাকার সবটাই যুদ্ধে আহত সৈনিকদের ত্রাণ তহবিলেই জমা দেয়া হয়।
☞ ব্রিটেন সহ গোটা বিশ্বে পপিকে কেন স্মারক হিসাবে দেখা হয় (?) এই প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্য অনেক পুরোনো। ১৮০৩ থেকে ১৮১৫ সালের মধ্যে 'নেপোলিয়নিক যুদ্ধে' নিহত সৈন্যদের কবরের (বর্তমানে বেলজিয়ামের অংশ 'ফ্ল্যান্ডার্স' এলাকায় অবস্থিত) চারপাশে হঠাৎই অত্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে লাল পপি জন্মেছিল। অনূর্বর হলেও যুদ্ধের কারণে সেখানকার মাটিতে লাইম এর পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলেই মূলত পপি'র জন্মের মূল কারণ বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় লিখিত একটি বিখ্যাত কবিতার মধ্যেও এই লাল পপি স্থান পায়। আর সেই থেকেই ব্রিটেনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের স্মরণের প্রতীক হিসেবে পপি'র ব্যবহার হয়ে আসছে।
☞ প্রদর্শনী শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু যারা এই রক্তাক্ত সমুদ্র দেখেছেন তাদের স্মৃতিতে এটি আজীবন ধরে অমলিন হয়ে থাকবে।
☆☆ পপি ফুলের ইতিহাসঃ- পপিকে আমাদের মধ্যে অনেকের কাছে একটি নতুন প্রজাতির ফুল বলে মনে হলেও, এটি আসলে কোন মতেই নতুন প্রজাতির কোন ফুল নয়। বরং আজ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পূর্বেই এর গোড়াপত্তন হয়ে গেছে। পপি ফুল সম্পর্কিত ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪০০ সালের দিকেও মাদক হিসাবে পপি চাষের প্রমাণ পাওয়া যায়। অনেক ইতিহাস বিদরা মনে করেন, তৎকালিন মেসোপটমিয়া অর্থাৎ ইরাকের নিম্নাংশে সব থেকে বেশি এই পপি চাষ হতো। তৎকালিন সময়ে যার নাম ছিল 'গুলগিল বা আনন্দের গাছ।'
তারপর সেই আনন্দের গাছ তার আনন্দ ছড়াতে ছড়াতে ধীরে ধীরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। এমন কি ভূ-মধ্যসাগর থেকে শুরু করে সদূর চীন পর্যন্ত সিল্ক রোডের অন্যতম বানিজ্য পন্য হয়ে ওঠে পপি থেকে উৎপাদিত সব থেকে মারাত্মক ড্রাগস্ আফিম। যার কারণে চিকিৎসাশাস্ত্র তথা বর্তমান বিজ্ঞানীদের কাছে পপি 'মাদার অব ড্রাগস্ বা মাদকদ্রব্যের আম্মা' হিসাবেই বেশি পরিচিত।
তাছাড়া ১৮৩৯ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে দুই দফায় বৃটেন এবং চীনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মূল কারণও ছিল এই পপি। কিন্তু তারপরেও পপির যুগ যুগান্তরের এই ধ্বংসাত্মক ভ্রমণ থেমে থাকেনি। বরং কিছু কূচক্রি মহলের লালসার কারণে তা আরো বেশি বিস্তৃতি লাভ করেছে বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত। বর্তমানে মধ্য এশিয়ার তুর্কিস্থান থেকে শুরু করে পাকিস্থান, আফগানিস্থান এবং মায়ানমারের প্রায় ৪৫০০ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে এই ধ্বংসাত্মক পপি চাষের অভায়রণ্য গড়ে উঠেছে।
পৃথিবীর সর্বপেক্ষা মারাত্মক ফুল এই পপি চাষে আমাদের বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকটি জেলার চাষীরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। অনেকে জেনে, অনেকে না জেনে আবার অনেকে বিভিন্ন কূচক্রি মহলের দ্বারা লালসার শিকার হয়ে দিনের পর দিন চাষ করে চলেছে পপি নামক এই মাদকদ্রব্যের আম্মাকে। দেশের অনেক বিশিষ্টজনরা মনে করেন, গত নব্বইয়ের দশকে অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে দূর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে এই সর্বনাশা পপি।
বর্তমানে বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার সর্বত্রই এখন পপি চাষ আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে। থানচি সীমান্তে সার্বক্ষনিক পাহারায় নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের দাবি, চাষীরা এগুলো লাগায় মূলত সরিষা, সয়াবিন তামাক বা ঐজাতীয় গাছের সাথে। যার কারণে গাছ ছোট থাকতে যা একদমই ধরার উপায় নেই যে, কোনটা সরিষার চারা আর কোনটা পপি গাছের চারা। তারা এই পপি চাষের জন্য মূলত সাঙ্গু নদীকেই বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করে। তাছাড়া এই পপি চাষের জন্য থানচি উপজেলার গভীর অভায়রণ্যের মাঝে এমন কিছু দূর্গম পাহাড়ী এলাকা গুলোকে বেছে নেওয়া হয়, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীর দ্বারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেওয়াটা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার।
পপি মূলত ফুল হিসাবে যতটা না বিখ্যাত, তার থেকে বেশি বিখ্যাত (নাকি কূখ্যাত?) এটা থেকে উৎপাদিত মরণঘাতি মাদকদ্রব্য 'আফিম, ফরফিন, হিরোইন এবং প্যাথেড্রিন'-এর জন্য। কারণ এই পপি ফুলই হল মাদকদ্রব্যের অন্যতম প্রাকৃতিক কাঁচামাল। যদিও পূর্বেই বলা হয়েছে লাল এবং গোলাপী রং-এর ফুল থেকেই মূলত ঐধরনের ধ্বংসাত্মক মাদকদ্রব্য তৈরি হয়ে থাকে। তবে পপির এমন কিছু নিরীহ প্রজাতি আছে যেগুলোকে কেবলই বাগানের শোভা বর্ধনের জন্যই ব্যবহার করা হয়।
তাছাড়া ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের পাশাপশি পপি ফুলের কিছু ঔষধি গুণও রয়েছে। তবে সে যাই থাকুক না কেন, সব কিছু ছাপিয়ে যখন একটা সুন্দর জিনিসকে কুৎসিত কাজে ব্যবহার করা হয়; তখন তার যতই ভাল গুণাগুণ প্রচার করা হোক না কেন সেটা বোধহয় চাপা পড়ে যায় ঐ খারাপের মধ্যেই।
☆☆ পপি ফুল থেকে চাষীরা কিভাবে আফিমের কাঁচামাল সংগ্রহ করে থাকেঃ- মূলত ডিসেম্বরের শেষ ভাগ থেকে নিয়ে জানুয়ারি মাসের পুরোটাই হল পপি চাষের জন্য একটি উপযুক্ত মৌসুম। ডিসেম্বরের শেষ দিকে পপির বীজ বপন করার পরে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বীজ থেকে চারা অঙ্কুরিদগম হয়ে সেটা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফুল ধরার জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠে। তারপর আরো দু'একদিনের মধ্যেই সেই ফুলের পাপড়ি ঝরে গিয়ে সেখানে থেকে যায় গুঁটি গুঁটি দেখতে পপি ফল।
আর ফল যখন পরিপক্ব হয়ে ওঠে, তখন ব্লেড দিয়ে তার গায়ে গভীর আঁচড় কেঁটে দেওয়া হয়।
ফলে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পরপর ফলের গা থেকে যে কষ বের হয় সেটাকেই চাষীরা সংগ্রহ করে, এবং এটাকেই বলা হয় প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া আফিমের অন্যতম কাঁচামাল। এরপর অবশ্য বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এটাকে অন্যান্য উপজাত জৈব রাসায়নিক দ্রব্যে পরিণত করা হয়।
☆☆ পপি ফল থেকে উৎপাদিত মাদকদ্রব্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ- দ্যা মাদার অব ড্রাগস্ খ্যাত পপি হল মরণঘাতি মাদকদ্রব্যের অন্যতম প্রাকৃতিক কাঁচামাল। এটা থেকে প্রাপ্ত ফলের কষ দিয়েই প্রথমতো আফিম নামক নেশা জাতীয় দ্রব্যাদী তৈরি হলেও পরবর্তিতে বিভিন্ন প্রকৃয়ায় এই ফলের কষ থেকেই উৎপাদিত হয় নেশার রাজা হিরোইনও। এছাড়া পপি ফল থেকে সর্বনাশা মাদক মরফিন এবং প্যাথড্রিন নামক আরো দুইটি নেশা জাতীয় দ্রব্যাদীও উৎপাদন করা সম্ভব। এক কথায় বলতে গেলে বিশ্বের যাবতিয় ধ্বংসাত্মক মাদকদ্রব্যের অন্যতম উপদানই হল এই পপি! তো আসুন এবারে জেনে নিই কিভাবে পপি ফল থেকে আফিম, মরফিন এবং হিরোইন নামক মাদকদ্রব্য গুলো প্রস্তুত করা হয় সেটাঃ-
☆☆ পপি ফল থেকে আফিম উৎপাদনের প্রকৃয়াঃ- পপি গাছে উৎপাদিত কাঁচা ফলের খোসার উপরে ব্লেড বা ছুরি জাতীয় জিনিস দিয়ে গভীর আঁচড় কাটলে যে সাদা সাদা কষ বের হয়, তা ২৪ ঘণ্টা রোদে শুকালেই পাওয়া যায় আফিম। তখন এর রং সাদা থেকে হয়ে যায় কালো বা কালচে বেগুনী। যদিও চিকিৎসাগত দিক থেকে বেদনা-নাশক হিসেবে মানুষ আফিমকে ব্যবহার করে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই, তবে বর্তমান সময়ে সেটা আর চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত না হয়ে বরং ব্যবহৃত হচ্ছে যুবসমাজকে ধ্বংস করার কাজে।
তাছাড়া তৎকালিন সময়ে মানুষ আফিমকে ব্যবহার করতো ব্যথা কমানো, অনিদ্রা দূর করা এবং কাশি ও ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করার মত ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা ক্ষেত্রে। তবে ধীরে ধীরে যখন মানুষের কাছে এর নেশা সৃষ্টির সক্ষমতা প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়, ঠিক তখনই শুরু হয়ে যায় এর অপপ্রয়োগ। প্রথমে রোমান, সেখান থেকে আরবীয়রা। তারপর তাদের থেকে চীন, ভারত, মায়ানমার থেকে শুরু করে পাকিস্থান, আফগানিস্থান এবং সর্বশেষ বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশেও ছড়িয়ে পড়ে এর ব্যাপক প্রচলন। আর এভাবেই ক্রমশ্য এটি তার প্রভাব বিস্তার করতে করতে এখন বিশ্বের কাছে "আফিম" হিসাবে এক নামে পরিচিত!
☆☆ পপি ফল থেকে মরফিন উৎপাদনের প্রকৃয়াঃ- সাধারণত নেশা সৃষ্টির প্রকৃত মূল উপাদান থাকে আসলে পপি ফলের রসে। আর এই রসকে বিভিন্ন উপায়ে প্রকৃয়া জাতের মাধ্যমেই তৈরি হয় মরফিন। পপি ফলে এটার পরিমাণ থাকে শতকরা প্রায় ১০ ভাগের মত। এছাড়াও এই রসের মধ্যে 'নোসকাপিন, প্যাপাভেরিন, কোডিন, থিবেইনের' মত নেশা জাতীয় দ্রব্যাদিরও সংমিশ্রণ থাকে বেশ অল্প পরিমাণে।
তবে সব থেকে বেশি থাকে মরফিন এবং অনেক চিকিৎসকদের ধারণা তীব্র কাঁশির আশ্চার্যজনক প্রতিসেধক হিসাবে মরফিন খুবই কার্যকরি। তাছাড়া ব্যথা কমাতে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা হার্টফেল করার মতো অবস্থায় উদ্বেগ দূর করতে, ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে, অস্ত্রোপচারের আগে, অসুস্থ ব্যক্তির অতিরিক্ত শারীরিক চাঞ্চল্য দূর করতে; এমনকি কখনো কখনো মুমূর্ষু ব্যক্তির মনে সাময়িক আনন্দের ভাব জাগাতেও মরফিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চিকিৎসা শাস্ত্রানুসারে অনেকেই মনে করেন, মরফিন সরাসরি আমাদের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমে (CNS) কাজ করে বলেই ব্যাথা কমাতে এর জুড়ি মেলা ভার।
ঐতিহাসিক তথ্য মতে, ১৮০৪ সালে জার্মান রসায়নবিদ 'ফ্রেডরিক এডাম' জার্মানির পিডারবর্নে সর্ব প্রথম মরফিনকে আলাদা করতে সক্ষম হন। এবং আলাদা করার পরে তিনি এর নাম দেন 'Morpheus', যেটাকে তখন একটু ভিন্নভাবে 'The Greek God of Dreams'-ও বলা হতো। তারপরে অবশ্য ধীরে ধীরে এটাকে 'Morphium' নামকরণে অভিসিক্ত করা হয়। তবে এই আবিষ্কারের দীর্ঘ সময় পরে অবশেষে 'ইউনিভার্সিটি অব-রচষ্টারের প্রফেসর ড. মার্শাল ১৯৫২' সালে এসে সর্ব প্রথম তার ল্যাবরেটরীতে বসে মরফিন তৈরি করতে সক্ষম হন। এবং সেখান থেকে নিয়ে এখনো পর্যন্ত মরফিন, চেতনানাশক হিসাবে হসপিটালে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে সমান ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তাছাড়া শারীরিক ভাবে কোনো অসুস্থ রুগীকে যদি ৪ ঘণ্টা পর পর মরফিন দেওয়া হয়, তাহলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সে তার ওপর শারীরিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তবে এর ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক সময় ধীরে ধীরে ব্যবহৃত ব্যক্তি মারাত্মকভাবে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং তার জীবন, চিন্তা-চেতন এমনকি তার ব্যক্তি-মানসিকতা সবকিছুই তখন মরফিন নির্ভর হয়ে পড়ে।
☆☆ পপি ফল থেকে হিরোইন উৎপাদনের প্রকৃয়াঃ- নেশার রাজা হিসাবে হিরোইনের নাম আমাদের কাছে সর্বাধিক পরিচিত। জার্মান শব্দ 'heroisch (heroic)' থেকেই মূলত হিরোইন নামের উৎপত্তি। ১৮৭৪ সালে বৃটিশ ডাক্তার 'এলডার রাইট' সেন্ট ম্যারি হাসপাতালে মরফিনের সাথে 'এ্যাসিটিক এনহাইড্রাইড' গরম করতে গিয়ে সর্ব প্রথম হিরোইন আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। সাথে সাথে তিনি এটাও বুঝতে পারেন যে, মরফিনের থেকে হিরোইনের কার্যক্ষমতা আরো অনেক গুণ বেশী। রাইটের আবিষ্কার এরপরে অবশ্য প্রায় ২৩ বছর যাবত ঐ আবিষ্কারের ভিতরেই সীমাবদ্ধ ছিল। তারপর '১৮৯৭ সালে এসে জার্মান রসায়নবিদ হফম্যান' তার ল্যাবরেটরীতে বসে সর্ব প্রথম স্বতন্ত্রভাবে হিরোইন প্রস্তুত করতে সক্ষম হন। মূলত জার্মান রসায়নবিদের আবিষ্কারের পর থেকেই হিরোইন নামটি জন-সাধারণের কাছে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। তাছাড়া হফম্যান তার সেই গবেষনায় আরও দেখান যে. হিরোইন মরফিনের থেকে প্রায় ২-২.৫ গুন বেশি শক্তিশালী।
মূলত মরফিন আসক্তদের আসক্তি কমানোর জন্যই হিরোইনের আবিষ্কার। অর্থাৎ তৎকলিন সময়ে হিরোইন ছিল মরফিন আসক্তদের ঔষুধ সরুপ। তবে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে নেশা বাড়ানোর উপকরণ হিসাবে এর কার্যক্ষমতা লক্ষ করে ধীরে ধীরে এটাকে এখন কেবল মাত্র একটি নেশাজাতীয় দ্রব্যাদী হিসাবেই দেখা হয়ে থাকে। তাছাড়া নেশা সৃষ্টির সক্ষামতা হিসাবে হিরোইনের শক্তি এতটাই বেশি যে, কেউ যদি কোন রকম ভাবে একবার এটাতে আসক্ত হয়ে পড়ে; তাহলে এর থেকে বেরিয়ে আসাটা তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। এমনকি হিরোইনের আসক্তি ক্ষমতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইন্ডিয়ার বিখ্যাত মনোচিকিৎসক ডাঃ শত্রুজিৎ দাশগুপ্ত বলেন যে, "একাধিকবার যৌন মিলনে একজন মানুষের কাছে যে ধরনের সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়, তার চেয়ে অন্তত দশগুন বেশি আনন্দ আসে একবার হিরোইন চেজ করলে.....!!"
☆☆ আফিম থেকে হিরোইন তৈরির কয়েকটি ধাপঃ- প্রথমত আফিম থেকে হিরোইন প্রস্তত করার জন্য সর্ব প্রথম কাঁচা আফিমকে ভিজিয়ে পরিশুদ্ধ হয়। তারপর সেই পরিশুদ্ধ ভেজা আফিম থেকেই বেরিয়ে আসে মরফিনের উপাদান। এরপর দ্বিতীয় ধাপে সেই মরফিনকে অ্যাসিটাইলেশন করে সেটাকে আবারও পরিশুদ্ধ করা হয়। এবং তৃতীয় ধাপে এসে সেই পরিশুদ্ধকৃত উপাদানের সাথে আরো বিভিন্ন কিছু রাসায়নিক পদার্থ (যেমনঃ সুরাসার ,কাঠকয়লা, এসিটোন ইত্যাদি) মিশিয়ে সেটাকে তাপ দিয়ে তৈরি করা হয় ডায়াএসিটিল মরফিন। আর এই ডায়াএসিটিল মরফিনকেই আমরা সহজভাবে হিরোইন নামে সব থেকে বেশি চিনি। যার রাসায়নিক নাম হল- 'ডায়ামরফিন হাইড্রোক্লোরাইড।' আর শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্য যে, মরণঘাতি এই সব নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি তৈরির অন্যতম প্রাকৃতিক কাঁচামালই হল পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর ফুল পপি।
❏ ❏ সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ- যে কোন নেশাজাতীয় দ্রব্যাদিই মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটা ব্যক্তি, গোষ্টি তথা গোটা জাতির জন্য এতটাই মারাত্মক যে, এর প্রভাবে পড়ে একটা জাতিও ধীরে ধীরে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে। তাছাড়া এই নেশা একজন নেশাখোরের উপরে এতটাই প্রভাব বিস্তার করতে পারে যে, সেটা থেকে তার জীবন-যৌবন, পরিবার-পরিজন এমনকি সমাজ; এই তিনটিকেই একদম সমূলে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তাই আসুন, আমরা নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি বর্জন করি। নিজে বাঁচি অপরকেউ বাঁচতে সহযোগিতা করি!!
☞ পরিশেষে, এইটা ফ্রিইইইই হিসাবে দিয়া দিলাম! পোস্ট পড়তে পড়তে যারা অতিশয় ক্লান্ত হইয়া গেছেন, শুধুমাত্র তাদের জন্য.....
❏ ❏ তথ্যসূত্রঃ- প্রত্যেকটা ছবিসহ পোস্টে উল্লেখিত যাবতিয় তথ্য ইন্টারনেটের বাংলা এবং ইংরেজি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা। সেগুলোরই উল্লেখযোগ্য কয়েকটি লিংক নিচে উঠিয়ে দেওয়া হলঃ-
☞ উইকিপিডিয়া & এনসাইক্লোপিডিয়া- পপি ফুল।
☞ পপি ফুল; এর অর্থ এবং প্রতীক সমূহ।
☞ শহীদদের স্মরণে পপি ফুল- ডয়েচেভেল।
☞ ভালোবাসার ফুল ‘পপি’; সর্বনাশের আঁতুড়ঘর- বিডিটাইম।
☞ ছবি সূত্র-পোস্টে উল্লেখিত সবগুলো ছবিই এখান থেকে সংগ্রহ করা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- টাইপিংয়ের ভুলের কারনে হয়তো অনেক জায়গায় বানানে ভুল থাকতে পারে। সেটাকে বিবেচ্য বিষয় হিসাবে না ধরে বরং ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখলে কৃতার্থ হবো! তাছাড়া এতক্ষণ যাবত সাথে থেকে এবং কষ্ট করে এতবড় একটা পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন! সবাইকে বিলম্বিত নতুন বছরের শুভেচ্ছা! হ্যাপি ব্লগিং.....
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২১
সাহসী সন্তান বলেছেন: সেটাই তো মনে হচ্ছে! আসলে পপির বাগান গুলো এতটাই স্নিগ্ধ এবং নমনীয় হয় যে, তার প্রভাবেই আপনা থেকে ক্লান্তি দূর হয়ে চোখে ঘুম চলে আসে! ভাবছি ক্লান্তি দূর করার জন্য আমি বাসাতেই একটা পপির বাগান করবো!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা জানবেন!
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: বিশ্বে লাল রং-এর পপি ফুলকে মূলত মৃত্যু, স্মরণসভা, সাফল্য এবং ভালবাসার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। সাদা রং-এর পপি ফুল শেষকৃত্যানুষ্টান, স্মৃতিচারণ মূলক সভা-সেমিনার এবং শান্তি পূর্ণ ঘুমের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। এবং নীল, গোলাপী এবং বেগুনি রং-এর পপি ফুলকে কল্পনা, বিলাসিতা এবং সাফল্যের অন্যতম বাঁধার প্রতীক হিসাবে দেখা হয়ে থাকে। -------------------
লাল রঙের পপি মৃত্যু, স্মরণসভা- প্রতীক, বুঝলাম। সেটাই আবার সাফল্য এবং ভালবাসার প্রতীক হয় কিভাবে? মাথায় ওদের গন্ডগোল ছিল। সাদাটা পারফেক্ট। আরগুলোও এলোমেলো।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
সাহসী সন্তান বলেছেন: আমার মনে হয় ব্যাপার অনেকটা অপজিট হিসাবে ধরা হয়েছে! অর্থাৎ স্মরণ সভা তো ভালবাসারই একটা নিদর্শন, তাই না? তাছাড়া এক এক দেশে এটা এক এক ভাবে পরিচিত তো সেজন্যই এমনটা হয়েছে!
তাছাড়া খৃষ্টানদের বিয়ের সময় যেমন ফুল দিয়ে বরণ করা হয়, ঠিক তেমনই হিন্দুদের মৃত্যুর পর শেষ শ্রদ্ধাটা কিন্তু ঐ ফুল দিয়েই জানানো না! মানে এক এক জাতি ফুলকে এক এক কাজে ব্যবহার করে! ঠিক তেমনি ভাবে লাল পপির ব্যবহারটাও সেরকম!
ফিরতি মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ!
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: পপি ফুলের প্রভাব, প্রক্রিয়া যাই হোক না কেন । আমার পপি পছন্দ (ভাই, আপনি বাগান করলে আমাকে দু'একটা চারা দিয়েন) । ছবিতেই যদি এত সুন্দর লাগে তবে প্রকৃতই না জানি কতটা মায়াময় ।
শুভ কামনা রইল ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: পপি আমারও পছন্দের একটা ফুল! শুধু পপি না, ফুল বলতেই আমার খুবই পছন্দ! তবে পপির ক্ষেত্রে আফসোসটা হল, মানুষ এটাকে অসৎ উপায়ে ব্যবহার করে এর প্রাধান্যটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে! অনেকটা সুন্দরকে কুৎসিত কাজে ব্যবহার করার মত!
যদি কখনো পপির বাগান করি, তাহলে আপনার জন্য কয়েকটা পপির চারা এখন থেকেই উঠিয়ে রাখলাম! তবে আমার পূর্বে যদি আপনি করেন, তাহলে আমাকেও দু'একটা চারা দিতে ভুলবেন না!
ব্লগে স্বাগত ফাতিমা আপু! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: সাহসী সন্তান
বেশ তথ্যপূর্ণ এবং পরিশ্রমী পোস্ট!
প্লাস
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০২
সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
প্লাস-এর জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো!
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৩
আহলান বলেছেন: বাপরে ...এত্ত কিছু .... সুপার পোষ্ট ...!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলেই এত্ত কিছু! ধন্যবাদ আহলান ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩২
তারেক ফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, অনেক অজানা কিছু জানার জন্য । তবে মজার ব্যাপার হল পপি নামের মেয়েরাও কিন্তু সে পপি ফুলের ন্যায় আমার কাছে মনে হয়।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাকে অজানা কিছু জানাতে পেরে সত্যিই আনন্দিত! কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে পপি নামের মেয়েদের সাথে পরিচিতি নেই বলে আসলে বলতে পারছি না তারা ঠিক কেমন! তবে চিত্র নায়িকা পপিরে কিন্তু সেই লাগে....
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পপি ফুলের উপর মোটামুটি গবেষণা করে ফেলেছেন সাস ভাই। দুর্দান্ত ব্যাপার! কিন্তু বাসায় বাগান করলে গবাদিপশু পাখি খেলে মারাত্মক ঘটনা ঘটে যেতে পারে! হা হা হা!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: কোন কিছুর সাতকাহন মানেই তো গবেষণা ডানা ভাই! তবে বাসায় বাগান করতে চাইলে প্রথমে বাসার চারপাশ দিয়ে শক্ত করে বাঁশ দিয়ে বেঁড়া দিয়ে নেবেন, যাতে গবাদিপশু আক্রমন না করতে পারে!
নইলে পপি খেয়ে যদি পশুরা টাল হয়ে যায়, তাইলে কিন্তু তারা আপনারেও ডিজি-টাল কইরা দিতে পারে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সর্বনাশ, মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন আই মিন যুক্তি দিচ্ছেন যে পপি ফুল খাসি খাইল/ এরপর খাসির পায়া, স্যুপ, বা ভুনাখিচুড়ি খায়ে আপ্নিও ইন্ডাইরেক্টলি পপি খায় দিলেন।
সারছে সাস ভাই, গুরু কি জায় জায় হো!
সবাই বল " অহো"
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্যে বোঝা গেল, খাসির মাংশ ডানা ভাইয়ের খুব প্রিয়! ভাইয়ুসোনা বিয়া/সাদি কি হইছে? না হইলে শীতের দিনে আর ওয়েট কইরা লাভ নাই! খাসির মাংশ আমারও খুব প্রিয়, তয় বহুতদিন খাই না! এই সুযোগে যদি আহেম.....
তয় আমি সেইটা বুঝাই নাই! আগুনে পুড়াইলে মাংশের যত সমস্যাই থাক মোটা-মুটি সব নষ্ট হইয়া যায়! আমি বলছি, ধরেন আপনি পপির ক্ষেতে কাজ করতাছেন! সেই সময় বাগানে ইয়া বড় একটা ষাড় ঢুইক্কা পপি খাইয়া তার নেশা হইয়া গেল, তখন তাড়াইয়া সে তো আপনার জান তামা তামা কইরা ফেলাইবো!
যদিও হবে বলছি না! কিন্তু হতেও তো পারে....
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২
রাসেল খাইরুল বলেছেন: ভালো লাগলো
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্লগে স্বাগত খাইরুল ভাই! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
শুভ কামনা জানবেন!
১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পপি ফল থেকে আফিম উৎপাদনের প্রকৃয়াঃ
হায়রে পপি তাইলে তুমিই যুব সমাজকে নষ্ট করলা ।
জানা ছিল না যে পপি ফল থেকে আফিম হয়।
যে কোন নেশাজাতীয় দ্রব্যাদিই মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটা ব্যক্তি, গোষ্টি তথা গোটা জাতির জন্য এতটাই মারাত্মক যে, এর প্রভাবে পড়ে একটা জাতিও ধীরে ধীরে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে। তাছাড়া এই নেশা একজন নেশাখোরের উপরে এতটাই প্রভাব বিস্তার করতে পারে যে, সেটা থেকে তার জীবন-যৌবন, পরিবার-পরিজন এমনকি সমাজ; এই তিনটিকেই একদম সমূলে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। তাই আসুন, আমরা নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি বর্জন করি। নিজে বাঁচি অপরকেউ বাঁচতে সহযোগিতা করি!!
একমত ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০
সাহসী সন্তান বলেছেন: ঠিক তাই! পপিই আসলে আমাদের যুবসমাজকে ধ্বংসের মূল হোতা! তবে সেক্ষেত্রে দোষটা কোন ভাবেই পপিকে দেওয়া যায় না! কারণ পপিতো নিছক একটা ফুল, কিন্তু সেটাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করছে আমাদেরই মত কিছু মানুষ!
কোন জিনিস খারাপ হয় না! খারাপ তারা, যারা সেই জিনিসটাকে এটাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করে! পরিশেষে ফুট নোটে উল্লেখিত কথাটার সাথে একমত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ!
শুভ কামনা জানবেন!
১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনি পপির বাগান করবেন, আমি অলরেডী করে ফেলেছি।
নেপালে আমাদের অফিসিয়াল হাউসের বাগানের পপি ফুল। এই রঙের ফুল আপনি দেখাইতে পারেন নাই!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: ওহঃ আপু, আমি কিন্তু মুগ্ধ হওয়া ভুলে যাইতেছি? এমনিতে নিজের ফিলিংস নিয়ে হাজার মানুষের কাছ থেকে হাজার রকমের কথাবার্তা শুনতেছি, তার উপ্রে এভাবে নাইচলি ছবি দিয়ে বাকি মুগ্ধতাটুকু নষ্ট করলে; সব দোষ কিন্তু আপনার!
পপি তো সুন্দরই! তবে আপনার ছবি উঠানোর স্ট্যাইলে সেটা আরো বেশি সুন্দর হয়ে গেছে! কিন্তু পোস্টে এই কালারের ছবি তো এড করেছি মনে হচ্ছে (উপর থেকে ৩ নং ছবিটা দ্রষ্টব্য)? তাছাড়া আপু, পোস্টে আর ছবি এড করার জায়গা ছিল না বলেই দেওয়া হয় নাই! থাকলে আমি আপনার ছবিটাও এড করে দিতাম!
ফুলন্দেবীর কাছ থেকে ফুল উপহারে মোগাম্ব বহুত খুশ হুয়া! শুকরিয়া আপুমনি!
১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
তানজিম হক বলেছেন: বিশাল পোষ্ট আর সেইরাম তথ্যে ভরপুর, ধন্যবাদ অজানা বিষয়ে জানানোর জন্য।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫১
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য! ব্লগে স্বাগত তানজিম ভাই!
শুভ কামনা জানবেন!
১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: এত সুন্দর!! এত্ত এত্ত সুন্দর!!!
আসলেই সমুদ্র, তথ্যবহুল পোস্ট এ +++ দিলাম।
আর এর ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়া কিছু বললাম না,যারে ভালোবাসি তার সাইড ইফেক্ট দেইক্ষা কাম কি
আমার কাছে এই ফুলের বীজ আছে
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০০
সাহসী সন্তান বলেছেন: মনিরা আপারে কাউন্টার এ্যাটার্ক করবো কিনা ভাবছি! ওরে ঐ পপি ফুলের বীজটা যে আমার দরকার আপুমনি! তবে মন্তব্যে আমি আপনার কথার সাথে সহমত! একটা জিনিসের ভাল/খারাপ উভয় দিকই থাকতে পারে! আমরা না হয় ভালটা গ্রহণ করি, খারাপটা পড়ে থাকুক তার জায়গায়!
পোস্টে আপনার প্রাণবন্ত পদচারণা বরাবরই আমাকে অনুপ্রাণীত করে আপু! কৃতজ্ঞতা জানবেন!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!
১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
অন্যদের কথা জানি না, পোস্ট পড়ার পর আমার মনে হচ্ছে, আমি নতুন কিছু জেনেছি, বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও সুন্দর ফুলের চাষ হচ্ছে!
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার অনুপ্রেরণাদ্বায়ক মন্তব্য! পোস্টটার মাধ্যমে আমি যে আপনাকে নতুন কিছু জানাতে পেরেছি, সেটা ভেবে সত্যিই আনন্দ লাগছে! আপনার অনুপ্রেরণাই আমার আগামীর লেখালেখিকে আরো উৎসাহ জোগাবে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ গাজী ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৮
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: পপি দেখে অামিতো ফিদা,ভালবাসা নিংড়ে দিলাম।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার নিংড়ানো ভালোবাসাটা স্বযত্নে উঠিয়ে রাখলাম! এভাবে পাশে থেকে উৎসাহ প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
শুভ কামনা জানবেন!
১৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,
নিঃসন্দেহে খিটুনীর আর অনেক অজানা তথ্যে ভরা পোস্ট ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে পপিফুলের ব্যবহার আর নেশার জগতে এর ব্যাপক প্রসার তুলে ধরেছেন । এটা ভালো ।
কিন্তু এই যে কি করে আফিম, হেরোইন বানাতে হয় তা কাদের জন্যে ? এখন তো ঘরে ঘরে এটা বানাতে লেগে যাবে পোলাপানের দল । তখন সামাল দেবে কে ?
( জাষ্ট জোকিং ..)
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২২
সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাই সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ বার্তা তো সিগারেটের প্যাকেটের গায়েও লেখা থাকে! কিন্তু যার খাবার, সে তো খাবেই (জোক হলেও অন্যরা যাতে এমন প্রশ্ন সিরিয়াসলি না করতে পারে সেজন্য বললাম)! তাছাড়া আমার দ্বায়িত্ব ছিল এর ক্ষতিকর দিকটা তুলে ধরা, আর আমি কেবল সেটাই করেছি!
এখন কেউ যদি এটা থেকে উদ্ভুদ্ধ হয়ে ড্রাগ তৈরি করে, তাহলে আর কি করা যাবে? কিন্তু ব্যাপারটা জানতে এবং জানাতে এতটুকু তথ্য উল্লেখ করার প্রয়োজন ছিল বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি! তাছাড়া ল্যাবরোটরিতে ছাড়া পপি থেকে ড্রাগ তৈরি করাটাও মনে হয় বেশ কষ্টসাধ্য!
জোকিং করে করলেও আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা প্রশ্ন করেছেন! আর আমাকে সেটার যুক্তি খন্ডানোর দরকার ছিল বলেই কিন্তু আমি প্রতিউত্তরটা সেভাবেই করেছি! আশাকরি আপনিও সেটাকে সেভাবেই গ্রহণ করবেন?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জী এস ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
১৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: উরিব্বাস! এতো দেখি পুরাই পপির সাতকাহন।
মূলত মরফিন আসক্তদের আসক্তি কমানোর জন্যই হিরোইনের আবিষ্কার। - হিরোইন কিন্তু মরফিনেরে হটায়া তার জাগা ঠিকি বানায়া লইছে।
যাউকগা পুস্টে পিলাচ লন।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: আসলেই সাতকাহন ভাই! তবে মন্তব্যে রাজনৈতিক কোন গন্ধ আছে কিনা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা দরকার! আসলে ভাই ব্যাপারটা হল, জোর যার মূল্লুক তার! হিরোইনের শক্তি ছিল বলেই সে মরফিনকে হটাতে পেরেছে!
তাছাড়া অল্পতে তৃপ্তি পাওয়া জিনিসের ডিমান্ডটাও ঠিক তেমনই থাকে! আর সেটা আমি পোস্টেই বলে দিয়েছি- 'একাধিকবার যৌনমিলনের সুখকর অনুভূতির থেকে নাকি একবার হিরোইন চেজ করলে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়!'
তাইলে ভাবেন একবার? কেন হিরোইন, মরফিনকে হটিয়ে জায়গা দখল করবে না?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
১৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মরফিন এবং প্যাথড্রিন এগুলো তো চিকিৎসা করার জন্যই ছিল। কিন্তু এখন তা মাদক দ্রব্য হয়ে গেছে। পোস্টে ১০ নাম্বার পিলাস।
পিচকার কি চিত্র নায়িকা পপির?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার ধারনা ঠিক! তবে মরফিন, হিরোইন অথবা প্যাথড্রিন প্রথমতো চিকিৎসার জন্য তৈরি হলেও; ধীরে ধীরে এটাকে মানুষ আসক্তির দিকে টেনে নিয়ে গেছে! আসলে ব্যাপার অনেকটা সেই আলফ্রেড নোবেলের ডেনামাইট আবিষ্কারের মত!
নোবেল যেমন তার আবিষ্কারকে মানুষের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করতে চাইলেও কিছু অসৎ মানুষ সেটাকে খারাপ কাজে ব্যবহার করছিল! এটাও ঠিক তেমন!
আর শেষের ছবিটা পপিরই! আফসোস, একসময়ের বাংলা চলচ্চিত্র কাঁপানো নায়িকাকে এত দ্রুত ভুলে গেলেন ভাই?. তবে ছবিটা মূলত মজা করার জন্যই দেওয়া! তাছাড়া পপি ফুল নিয়ে আলোচনা হবে, আর সত্যিকারের পপি থাকবে না; তাই কখনো হয় নাকি?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পাঠক ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
১৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাউন্টার এ্যাটার্ক কইরাই দেখ এক্কেবারে হারু পার্টি হৈবা ।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: ভয় দেখাইয়া লাভ নাই আপুমনিতা! দাবি আদায়ের লাইগা আমি যে কোন আন্দুলন করতে সদা সর্বদা প্রস্তুত! তাই না হইলে সাধে কি আর নাম রাখছি সাহসী সন্তান.....
প্রয়োজন হইলে কাউন্টার ট্রেরিজম ইউনিট দিয়া এ্যাটার্ক করুম, তাও পিছু হটবো না!
২০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন:
পপিকে ভুলে যাইনি সাহসি ভাই। কালা চশমার আড়ালে বিস্মরণ খাইছিলাম আর কি!!!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১
সাহসী সন্তান বলেছেন: এইরে, শীতের সকালে এখন আবার মুখ ধুয়ে আসা লাগে! তয় আপনার বিস্মরণ খাওয়ার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত! আসলে চশমা পরে স্ট্যাইল মারার ব্যাপারটাই আমার কাছে একটু অন্যরকম লাগে তো, সেইজন্যই ঐ ছবিটা দিছিলাম!
ফিরতি মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ!
২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমার কথা মাথায় রেখে কোনদিন কি কিছু লিখবেন না?
আগামীকাল এই পোস্টের জন্য বরাদ্দ করলাম। ২৪ ঘন্টা পর মন্তব্য করা হবে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: এই পোস্টটা তো আপনার আর জুনা'পুর কথা মাথায় রেখেই লেখা! পোস্টে আরো অনেক বেশি তথ্য ছিল। কিন্তু পোস্ট পড়তে আইসা আপনারা দু'জনে যেমনে বাবারে মারে করেন, তাতে ভাবলাম তথ্য একটু কমাইয়া দিয়া প্রকাশ করি!
কিন্তু তারপরেও এই কইশ্চেনেরে মুখোমুখি হইতে হইলো? তাইলে কি এরপর থেকে এমন পোস্ট করা স্টপ কইরা দিমু?
আমি ২৪ ঘন্টা পর আপনার ফেরার অপেক্ষায় রইলাম। আশাকরি আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মত আপনি সেই ২৪ ঘন্টাকে ২৪ হাজার ঘন্টায় রুপান্তরিত করবেন্না.....
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪
নীলপরি বলেছেন: এককথায় অসাধারণ পোষ্ট । +++++
শুভকামনা
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি! শুভ কামনা আপনার জন্যেও!
২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ পোস্ট । সরাসরি প্রিয়তে গেল । দেশ বিদেশে বসবাসকালে এ্ই পপির সাথে কিছুটা পরিচয় থাকলেও এর এত বিস্তারিত দুষগুন জানা ছিলনা । দীর্ঘ সময় নিয়ে এটা পাঠ করতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২১
সাহসী সন্তান বলেছেন: তাহলে পাঠ করেই ফিডব্যাক দিতে পারতেন? যাহোক, আশাকরি ব্যস্ততা কাটিয়ে আপনি পোস্টটা পড়ে নেবেন!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
২৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০৭
দাঁড়কাউয়া বলেছেন: ফুলগুলো অসাধারণ দেখতে!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২২
সাহসী সন্তান বলেছেন: হুম! ধন্যবাদ আপনাকে!
ব্লগে স্বাগত!
২৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫১
স্বপ্ন কুহক বলেছেন: মুগ্ধ হয়ে পুরো পোস্ট পড়লাম। জানলামও অনেক কিছু
পরিশেষে, এইটা ফ্রিইইইই হিসাবে দিয়া দিলাম! পোস্ট পড়তে পড়তে যারা অতিশয় ক্লান্ত হইয়া গেছেন, শুধুমাত্র তাদের জন্য....
ফ্রি টা কিন্তু জম্পেশ ছিল
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: এতক্ষণ পরে আমার লেভেলের কাউরে পাইলাম মনে হয়! ফ্রি টা জম্পেশ লাগায় একগাদা ধইন্যাপাতা! উহাতো কেবল জম্পেশ লাগার জন্যই দেওয়া হইছিল! সুতরাং সেইটা লাগাতে পেরে খুশি হইলাম, না লাগলে বরং বেজারই হইতাম.....
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
২৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৮
সোহানী বলেছেন: ওওওওও খুবই দারুন পোস্ট.... পপি কাহন অনেক অনেক ভালো লাগলো। অনেক কষ্ট করেছেন। এখানে প্রতি নভেম্বর মাসের ১১ তারিখে আমরা পপি ফুল পরি নিহতদের স্মরণে। তবে দেশে যেভাবে নেশারুদের সংখ্যা বাড়ছে সে দিকে কি কারো নজর আছে তবে মজার ব্যাপার কানাডায় মারিজুয়ানা কিন্তু আইনত বৈধ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু, শুধু কানাডাতে নয়; আরো বেশ কয়েকটি দেশেই এটা বৈধ আছে! আর সেই কারণেই তো দিনকে দিন এর প্রভাবটা বেড়েই চলেছে। আপনাদের কানাডায় যেটাকে মারিজুয়ানা বলা হয়, আমাদের দেশে সেটা সম্ভাবত গাঁজা হিসাবেই পরিচিত!
তবে সব থেকে আশ্চর্যের বিষয়টা হল, যে জিনিস গুলোকে মূলত ওষধ হিসাবে তৈরি করা হয়; দেখা যায় পরবর্তিতে সেগুলোই নেশার আসক্তিতে রুপান্তরিত হয়ে যায়!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা জানবেন!
২৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: "একাধিকবার যৌন মিলনে একজন মানুষের কাছে যে ধরনের সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়, তার চেয়ে অন্তত দশগুন বেশি আনন্দ আসে একবার হিরোইন চেজ করলে.....!!" হেরোইনের বিরাট বিজ্ঞাপন বটে!
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: কথাটা যে আমার নয় সেটা নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন? তবে ওটাকে বিজ্ঞাপন না বলে রি-এ্যাকশানও বলা যায়! একটা জিনিসের ভাল/মন্দ বিষয় সম্পর্কে অন্যকে বুঝাতে গেলে যখন তার উদাহরণ প্রয়োগ করা হয়, তখন সেটারই ধারে কাছের এমন বস্তুর সাথে তাকে তুলনা করা হয়; যেন সেই উদাহরণটা পারফেক্ট ভাবে ম্যাচ করে!
আর আমার মনে হয় কেবল মাত্র সেই ধরনের দৃষ্টিকোণ থেকেই ডাঃ শুত্রুজিৎ উপরিউক্ত উদাহরণটা দিয়েছিলেন। কোন ভয়ংকর ড্রগস্-এর বিজ্ঞাপন প্রচার করা জন্য নয়!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ লিটন ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
২৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সাহসী ভাই, একটা কথা ভুলে গেছি- আপনার ভাবীর নামও ''মাদার অব ড্রাগস্''
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: হা হা হা, তাইলে এখন থেকে আর নাম ধরে ডাকার দরকার নেই লিটন ভাই! ঐ সুন্দর বিশেষণটা ধরেই না হয় ডাকবেন.... অবশ্য তার পরে ভাবির রি-এ্যকশনটা কি হয়, সেটা নিয়ে একটা রম্য পড়ার অপেক্ষায় রইলাম!
ফিরতি মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ লিটন ভাই!
২৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: তাহলে তো বেড রুমের জানালার পাশে ছোট্ট একটা পপি বাগান বানানো লাগে ! অবশ্যই নিরীহগুলা দিয়ে !
এর ইতিহাস তো দেখছি বেশ লম্বা, এবং গুরুত্বপূর্ণ অনেক যুদ্ধ এবং নানবিধ সংস্কৃতির সাথে ব্যপকভাবে সম্পৃক্ত !
আমার কাছে মনে হলো এসব নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি প্রস্তুত প্রক্রিয়াটা না বর্ণনা করলেই ভাল হতো ।
ঘাম বেরনো পোস্ট । অনেক ধন্যবাদ রইলো ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
সাহসী সন্তান বলেছেন: প্রস্তুত প্রকৃয়াটা বর্ননা করেছি মূলত পোস্টে তথ্যগত অপূর্ণতা না রাখার জন্য! তাছাড়া প্রকৃয়াটা যেভাবে বর্ননা করা হয়েছে সেটা খুবই জঠিল পদ্ধতি এবং বিশদ বর্ননা তো দেওয়া হয়নি? আর ল্যাব ছাড়া যেটাকে প্রস্তুত করা সাধারণ কারো কাজ নয়! তাছাড়া যারা করবে তারা এমনিতেও করবে ওমনিতেও করবে! সে আমি বলি অথবা না বলি!
ডিসেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি, বান্দবানের থানচির গহিন অরণ্যে একাধিকবার সেনা অভিযান চালানো হয় কেবলমাত্র এই পপি নিধনের জন্য! বিশ্ব মাদক বিরোধী দিবস আছে, তারপরেও কি মাদকদ্রব্যের ব্যবহার কমছে?
আসলে এটা অনেকটা যার নীতি তার কাছে! আমি যদি চাই আমি ভাল হবো, তাহলে কেউ যেমন আমাকে খারাপ বানাতে পারবে না! ঠিক তেমনি ভাবে আমি যদি খারাপ হতে চাই, তাহলে চাইলেও কেউ আমাকে ভাল বানাতে পারবে না! তাছাড়া একটা জিনিসের যখন সুফল নিয়ে আলোচনা করতে হয় তখন অনেকটা ডোমেনো ইফেক্টে তার কূফলটাও চলে আসে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
৩০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
জুন বলেছেন: প্রথম মহাযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্মরনে বৃটেন আজও পপি ফুল গেথে নেয় তাদের জামায় । সেই রেশম কোমল পপি আজ পরিনত হয়েছে ভয়ংকর মাদকে । এই নেশার ছোবলে কত যুবক যুবতী তাদের জীবন ধ্বংস করছে, কত বাবা মা এর কান্না ঝরে পরছে অপরূপ এই ফুলের বুকে তা সবার জানা সাহসী । বিস্তারিত বর্ননায় ফুটে উঠেছে পপির সাতকাহন ।
একসময় গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গাল নামে কুখ্যাত মাদক উৎপাদনের এলাকা ছিল লাওস মায়ানমার আর থাইল্যান্ডের উত্তরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা । গরীব আদিবাসীরা বেচে থাকার সংগ্রামে কিছু তরিতরকারীর মাঝে লুকিয়ে চাষ করতো পপির । সদ্য প্রয়াত রাজা ভুমিবলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সে অঞ্চলের জনগন আজ পপির বদলে পীচ ফলের চাষ করছে । সেখানকার মাটিতে কোন ফসল উপযোগী তা গবেষনা করে বের করে রাজা তার নিজস্ব অর্থায়নে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন প্রজেক্ট । বিশ্মমানের চা থেকে কফি , বিভিন্ন ফল আর ফুল যা রফতানী করে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে ভাগ্য উন্ন্যয়ন ঘটিয়েছে সেই পপি চাষিরা ।
আমাদের দেশেও এমন কেউ এগিয়ে আসুক যাতে পার্বত্য চট্টগ্রাম এর দুর্গম এলাকা যেন কিছু মাদক ব্যাবসায়ীর কবলে না যায় । অত্যন্ত সুচিন্তিত ও পরিচ্ছন্ন লেখা যেটা বরাবরই তুমি লিখে থাকো । অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো ।
+
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু, থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল-এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় পপি'র বদলে পীচ ফল চাষের জন্য চাষীকে উদ্ভুদ্ধ করার যে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আপনি বর্ননা করলেন, সেটা নিয়েই কিন্তু আপনি একটা বিস্তারিত চমৎকার পোস্ট করতে পারেন!
সত্যি বলতে, আমি এই মানুষটার সম্পর্কে যতই শুনছি ততই যেন মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। যদিও ভূমিবল সম্পর্কে পূর্বেই হালকা একটু ধারনা ছিল। তবে মূলত আপনার আগের একটা পোস্ট পড়ার পরেই আমি এই ব্যক্তিটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি।
একজন রাজা কতটা জনপ্রিয় হলেই যে তার প্রজারা তার জন্য চোখের পানি ফেলতে পারে, সেটা দেখছিলাম রাজা ভূমিবলের মৃত্যুর পর। আর তাই আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাইবো, আপনি উপরিউল্লেখিত ঘটনাটার বিস্তারিত বর্ননা দিয়ে এই মানুষটা নিয়ে আরো একটা পোস্ট করেন!
অন্তত সেটা দেখে আমাদের দেশের বড়বড় নেতার বুঝুক, চাইলেই একজন নেতা তার দেশের সাধারণ মানুষকে খারাপের দিকে থেকে ভালোর দিকে ফিরিয়ে আনতে পারে। অবশ্য সেটা আমাদের দেশে আদৌ সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। কিন্তু তারপরেও....
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
৩১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এ জন্যই মানুষ বলে সুন্দর ভয়ঙ্কর। পপি ফুলের ইতিবিত্ত জেনে ভাল লাগল।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন! কোন কোন ক্ষেত্রে সুন্দর ভয়ংকরও হতে পারে! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
শুভ কামনা জানবেন!
৩২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৩
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: তা ঠিক আছে ।
আমি বলতে চাচ্ছি যে কারো কারো মনে হয়তো কিউরিউসিটি জাগতে পারে, তাই সে হয়তো এটেম্পট ও নিতে পারে । মানুষের মন তো বিচিত্র ধরণের সাথে রহস্যেও ঘেরা ! তাই বললাম । তবে আপনারটাই সই ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: মানুষ বোধহয় জন্মগতভাবেই কৌতুহলি! এখন পোস্টটা পড়ে কেউ যদি কৌতুহলি হয়ে গবেষণা করে পপি থেকে ড্রাগ প্রস্তুত করে, তো করুক না! দেখা গেল তার সেই আবিষ্কারটা ভিন্ন মাত্রা নিয়ে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিলো.....
কথাকথি, এখানে মূল ব্যাপারটা হল- পোস্টে আপনি আপনার যুক্তি দেখিয়েছেন, যার পাল্টা যুক্তি হিসাবে আমি আমারটা দেখিয়েছি! একবার 'গর্ভপাত' সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে একটা পোস্ট করার পরে সেখানেও ঠিক এমন কিছু প্রশ্ন এসেছিল!
এখন কথা হল, আমি কেবলমাত্র অন্যকে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানানোর জন্যই কেবল পোস্টে তার নেগেটিভ বিষয় গুলো তুলে ধরেছি! এবং অনেকটাই মূল বিষয়টা হাইড করেই তুলে দিয়েছি! তারপরেও মানুষ যদি তার মাধ্যমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে খারাপ কিছু করার প্লান করে, তাহলে লেখকের আর কিইবা করার আছে বলেন?
তবে এখানে একটা কথাই বলা যায়, যারা করবে তারা আসলে জেনে বুঝেই করবে! তাদের মানসিকতাটাই আসলে নেগেটিভ! আর চাইলেও তাদের সেই নেগেটিভ মানুসিকতাকে পজেটিভ দিকে টার্ন করানো সম্ভব নয়!
পূনঃ মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ!
৩৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা । যে গবেষণা করেছেন আপনি একটু হলে তো আপনিওই বানায়ে ফেলতেন !!!
নিন্মক্ত কথাগুলি সত্য ।
আপনাকেও পুনঃ প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি বানাইলে মানুষের মঙ্গলের জন্যই বানাবো! ভাল পুলারা কখনো মানুষের অমঙ্গল চাইতে পারে না.....
আর পোস্টে যেহেতু আপনি মন্তব্য করেছেন, সেহেতু তার প্রতিউত্তর করাটা আমার ব্লগিয় নৈতিক দ্বায়িত্ব! সুতরাং প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ জানিয়ে দয়া করে আমাকে বড় করবেন না!
ট্রিপল মন্তব্যে আপনাকেও ট্রিপল ধন্যবাদ!
৩৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পিছু হটার দরকার নাই , নিজের জায়গায় থেকে ই আন্দুলুন হবে
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপামনি ব্যাপারটা হইল, এখন যে দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি আপনারাই! সুতরাং যতই হাকডাক করি, আপনাদের বিরুদ্ধে আন্দুলনের ডাক দিয়ে কতক্ষন পর্যন্ত দন্ডায়মান থাকতে পারবো, সেইটা নিয়েই মনে বহুত কনফিউশন কাজ করতেছে!
অবশ্য ছোট ভাই হিসাবে যদি হালকা পাতলা একটু ছাড় ছোড় পাই, তাইলে হয়তো বিষয়টা ভেবে দেখা যায়!
৩৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১২
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: জুনাপুকে খুঁজছিলাম। সাপোর্টিভ খুঁটি হিসেবে। দেখলাম না। চোখজনিত সমস্যা কিনা কে জানে।।
একটু লেট হয়ে গ্যালো।
কিন্তু কি করলেন আপনি? বাংলা সিনেমার প্রাক্তন নেশার নাম পপি। তারে ভেঙে গুঁড়োগুঁড়ো করে বিভিন্ন ধাপে ফেলে ছেঁচে নিয়ে আবার হিরোইন বানালেন।
তার দিকটা একবার ভাবলেন না সে কি চায়
মোরাল ~ সুন্দর জিনিস মাত্রই আত্মস্থ না করাই শ্রেয়।
+++++
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: ভাবছি এখন থেকে পোস্ট করাই বাদ্দিয়ে দেবো! আমাকে একা কইরা দিয়া আপুমনিদের সাথে যোগসাজশ হইয়া এভাবে কাউন্টার এ্যাটার্কের তেভ্রো ফরতিভাদ জানাইলাম! নিজে পোলা হইয়া আপনি আর এক পোলার বিরোধী হইতে পারেন না!
আজ যদি আপনি আমার পাশে থাকতেন, তাইলে কেউ আমাকে হটাইতে পারতো না! আপচুচ, জীবনে খালি ভুলই কইরা গেলাম!
তয় কথা হইল, সুন্দর জিনিসরে একটু উল্টায়া পাল্টায়া দেখার মধ্যেও একধরনের ভাল লাগা কাজ করে! তাছাড়া ঐটাতে নতুন নতুন অভিজ্ঞতাও অর্জন করা যায়! আর জানেনই তো, এসব ব্যাপারে আমার আবার ইন্টারেস্ট কত বেশিইইইইই.....
এনি ওয়ে, মোরালডা মাথায় রাখার চেষ্টা করবো! তবে কতক্ষন থাকবে বলা যাচ্ছে না! তবে কথা দিয়ে কথা রাখার জন্য ধন্যবাদ! ফিরতি কমেন্টে আবারও ভাললাগা!
৩৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪০
জুন বলেছেন: আছিলাম দিশেহারা , সাতকাহন নিয়ে কিছু লেখার জন্য হাত নিশপিস করছিলো । তারপর ভাবলাম এভাবে তার বিমল মিত্রের কড়ি দিয়ে কিনলাম উপন্যাস লেখার মত প্রতিভাকে টুটি চেপে মেরে ফেলা ঠিক হবে কি
তাই বহু কষ্টে নিজেকে সংযত রাখা যাকে বলে
এটা নেহাতই একটা ফান কমেন্ট । লেখক গোস্বা করলে নিজ দায়িত্বে করবেন
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০০
সাহসী সন্তান বলেছেন: রাগ উঠতে গিয়াও উঠতেছে না! ভাবছি একটা মাল্টি খুলে সেখানে 'সাহসী সন্তান' নিকের পোস্ট গুলো অল্প অল্প করে পোস্ট করে তার লিংকটা আপনাদের দুইটার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলবো- 'নেন, এবার পড়েন!'
আমার এত পরিশ্রমের পোস্টকে আপনি এভাবে নানান উপমা দিয়া বিশ্লেষণ করতে পারলেন আপামনি? আপনার ব্যাপারে তো আমার একটা অন্যরকম ধারনা ছিল! আপচুচ, আম্রে কেউ বুঝলই না!
৩৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫
জুন বলেছেন: পুনশ্চ: কার কাছে জানি শুনেছিলাম কে একজন বালিশের অভাবে ঐ দশ ইন্চি সাইজের থান ইটের মত আকারের উপন্যাস কড়ি দিয়ে কিনলাম মাথার নীচে দিয়ে ঘুমাতো
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: কে সেই নরাধম, যে বালিশের অভাবে উপন্যাস মাথার নিচে দিয়া ঘুমাইতো জাতি জানতে চায়? প্রয়োজন হইলে তাকে বাংলাদেশের সব থেকে নামিদামি গার্মেন্টস্ থেকে বালিশ কিনে দেওয়া হবে, তবও উপন্যাসের এহেন অপমান জাতি সহ্য করবে না!
মনে রাখবেন, একটা উপন্যাস একটা জাতির দর্পন সরুপ!
৩৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: পোস্ট পড়ে একটুখানি বিরক্তিও লাগে নি।
ভাই নিরীহ আর হিংস্র পপি পার্থক্য কি কি?
থানচির ব্যাপারে ব্যবস্থা না নিলে ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪০
সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্ট পড়ে আপনার বিরক্ত লাগেনি জানতে পেরে খুশি হলাম! আসলে পপির ডেফিনেশন উল্লেখ করতে গিয়ে এখানে কেবলমাত্র একটা ফুল এবং সেই ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যের কারণেই তাকে নিরীহ বলা হয়েছে! পক্ষান্তরে তার থেকে উৎপাদিত মাদকদ্রব্যের কারণেই তাকে হিংস্র এবং ভয়ংকর বলা হয়েছে!
যদিও সেটার জন্য পুরোপুরিভাবে আমরা মানুষরাই দ্বায়ী! আর আপনার শেষ কথাটার সাথে আমিও একমত! থানচির ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে, একসময় ঐ এলাকাটা হয়তো মাদকের অভায়রণ্য হিসাবে গড়ে উঠবে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাতুল ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
৩৯| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৩
কালীদাস বলেছেন: লেখাটা ভালু, সুপাঠ্য, এবং এত মারদাঙা জিনিষের উপর হওয়ার পরও আমার নেশা হয় নাই। কিন্তু লাস্টের ফটুটা দেইখ্যা ভেক ভেক কইরা নেশাটা চাগায়া উইঠা গেলু কামডা ভালু করলেন না মিয়া
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: কালীদাস ভাই এই বয়সেও..... আমি কিন্তু আপনার ব্যাপারে অন্য রকম ধারনা রাখতাম!
তাছাড়া পোস্টে অরজিনাল পপির ছবিটা রাখছিলাম কেবলমাত্র ক্লান্ত পাঠকদের জন্য! আর আমি কোনদিনই ভাবিনি, এমন একটা পোস্ট পড়ে আপনি কিলান্ত হইবেন!
যাহোক, এখন হইয়া গেছেন যখন তখন আর কি করা যাবে! তাছাড়া বয়সের সাথে সাথেও হয়তো সহ্যক্ষমতাটাও কমে যাইতেছে! ব্যাপার না। তবে এটা থেকে কিন্তু আরও একটা ম্যাসেজ অত্যন্ত স্পষ্ট- 'ক্রাশ কখনো বয়স মেপে আসে না!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
৪০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৯
আমি মাধবীলতা বলেছেন: দারুণ পোস্ট ! অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি... চমৎকার সব মনভোলানো পপি দেখে মন ভালো হয়ে গেলো
মাদকদ্রব্য ছাড়াও অন্য সেক্টরে এর ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারলে আমার মনে হয় লাভ বৈ ক্ষতি হবে না.. সৌহার্দ্য বন্ধুত্ব কিংবা গভীর যেকোন সম্পর্ক প্রকাশে গোলাপের পাশাপাশি পপি ও কিন্তু জায়গা করে পারে ! অথবা চিকিৎসাক্ষেত্রে... সবকিছুই নির্ভর করবে প্রজন্মের ইচ্ছের উপর...
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: আমরাও আপনার মতই মত মাধবীলতা! একমাত্র মাদকদ্রব্য বাদে পপিকে যদি ভাল কাজে ব্যবহার করা যায়, তাহলে সেটা হবে সব থেকে সুন্দর একটা উদ্দ্যোগ! কিন্তু আদৌ কি সেটা করা সম্ভব? আসলে আমাদের মন-মানসিকতাটাই যে ভিন্ন রকম!
আমরা ভালকে খারাপ বানাতে পারি, কিন্তু খারাপকে ভাল বানানোর একটুও চেষ্টা করি না!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
৪১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯
কালীদাস বলেছেন: এহেম এহেম, পুলা মাত্রই পিয়াজ খায়, আর ব্যাচেলর পুলা মানে পিয়াজের চাটনী খায়!!
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: চাটনী অতি উপাদেয় খাদ্য এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই! তাছাড়া মুখরোচক খাদ্য হিসাবে এর গুরুত্বও বেশ ভাল! কিন্তু কথা সেটা না! এখানে মূল কথাটা হল, পেঁয়াজে থাকা অতি উচ্চমাত্রার সালফিনিক এসিড পরবর্তিতে সালফার অক্সাইড-এ রুপান্তরিত হয়ে বাতাসের সাথে মিশে যে সবার চোখেই পানি ঝরাবে সেইটা তো ভাবি নাই!
অবশ্য ব্যাচলের পুলা হিসাবে এ ব্যাপারে কিছুটা কন্সিডার তো করাই যায়! আফটার অল আমরা আমরাই তো.....
ভাইরে, ফিরতি মন্তব্য কইরা মনের দুঃখডা যে কি পরিমাণে বাড়াই দিছেন সেইটা আর কি কমু! তয় আপাতত কিচ্ছু করার নাই! আসেন, সবাই মিলে ভাগা-ভাগি কইরা চাটনী উদরস্ত করি!
৪২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৫
প্রামানিক বলেছেন: পপি নিয়ে অনেক কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই! শুভ কামনা জানবেন!
৪৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: পপির ক্ষেতে বয়ে যাওয়া মৃদু শীতল বাতাস এতটাই স্পর্শকাতর আর আরামদ্বায়ক যে, তা যে কোন প্রাণীদেরকেই ঘুম পাড়িয়ে দিতে সক্ষম! - ক্ষেতে থাকতেও ঘুম পাড়ায়, ক্ষেত থেকে বেরিয়ে এসেও নেশা ধরায়!
'গুলগিল বা আনন্দের গাছ।' - অনেকের কাছে তা নিখাদ আনন্দেরই বটে!
'মাদার অব ড্রাগস্ বা মাদকদ্রব্যের আম্মা'র সাতকাহন পড়ে অনেক অজানা বিষয় জানলাম। অসুন্দর জিনিসের সুন্দর ছবিগুলো মনোমুগ্ধকর।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৮
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন! পপি আসলে সর্ববিধ গুণ সম্পন্ন একটা ফুল। যেটাকে ভাল এবং খারাপ, উভয় কাজেই ব্যবহার করা যায়! কিন্তু খারাপটা যখন ভালকে ছাপিয়ে যেতে চায়, ঠিক তখনই তার লাগাম টেনে ধরতে হয়; নাহলে তার প্রভাবে ভালও একসময় খারাপে পরিণত হয়!
সাতকাহনের মাধ্যমে আপনাকে কিছু জানাতে পেরে আমি আনন্দিত! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
শুভ কামনা জানবেন!
৪৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বর্তমানে বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার সর্বত্রই এখন পপি চাষ আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে - এটা ভীষণ চিন্তার বিষয় বটে!
পপির এমন কিছু নিরীহ প্রজাতি আছে যেগুলোকে কেবলই বাগানের শোভা বর্ধনের জন্যই ব্যবহার করা হয়।- সৌন্দর্যের কারণে এসব প্রজাতির ফুল চাষকে উৎসাহিত করা যেতে প্যাঁরে।
মরফিনের বিবিধ ব্যবহার সম্পর্কে জেনে চমৎকৃত হ'লাম।
"একাধিকবার যৌন মিলনে একজন মানুষের কাছে যে ধরনের সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়, তার চেয়ে অন্তত দশগুন বেশি আনন্দ আসে একবার হিরোইন চেজ করলে.....!!" - এ জন্যই বোধকরি এর নেশাটা এতটাই মারাত্মক!
ভাল লিখেছেন। ১৮তম প্লাস + দিয়ে গেলাম।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: চিন্তার বিষয় তো বটেই! যতদূর জানি ডিসেম্বর টু জানুয়ারি থানচি সীমান্তে বেশ কয়েকবারই সেনা অভিযান চালানো হয় শুধুমাত্র এই পপি ফুলকে ধ্বংস করার জন্য! কিন্তু তারপরেও থানচি সীমান্তে বসবাস রত অধিকাংশ রহিঙ্গারা এতটাই ধূর্ত যে, তারা সীমান্তের এমনসব গহীন অরণ্যে এই ফুলের চাষ করে; যেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারি করাটাও বেশ কঠিন!
তবে ৩০ নং মন্তব্যকারিনী জুন'আপুর মত মাঝে-মাঝে আমারও ভাবতে ইচ্ছা করে- 'আহারে, আমাদের দেশেও যদি থাই রাজা ভূমিবলের মত কোন মানুষ থাকতো? যে নিজের জন্য নয়, বরং তার প্রজাদের জন্য ভাববে; তাহলে কতই না ভাল হতো!'
তবে আপনার বলা এই কথাটার সাথে আমি সহমত! কেবলমাত্র সৌন্দর্যের কারণে যদি এই ফুলের চাষ করা হয়, তাহলে তো সেটা ভালই হবে!
পূনঃমন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ! আর প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণীত হলাম! শুভ কামনা রইলো!
৪৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যগুলো পড়েও অনেক কিছু জানা গেল। কত বাবা মা এর কান্না ঝরে পরছে অপরূপ এই ফুলের বুকে তা সবার জানা- জুন এর এ মন্তব্যটা ছুঁয়ে গেল।
কালীদাস এর মন্তব্যটাও (৪১ নং) বেশ উপভোগ্য।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: মন্তব্য গুলো পড়েও যে আপনি অনেক কিছু জানতে পারছেন সেজন্য ধন্যবাদ! আসলে একটা পোস্টে মন্তব্যই তো তার প্রাণ! দেখা যায় পোস্টে যে বিষয়টা উঠে না আসে, অনেক সময় সহব্লগারদের মন্তব্যেই সেটা উঠে আসে!
তাছাড়া তথ্যভিত্তিক মন্তব্যের মাধ্যমে অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কেও জানা যায়! এবং একমাত্র মন্তব্যই একজন ব্লগারের সাথে অন্য একজন ব্লগারের মধ্যে আন্তরিকতার সৃষ্টি করতে পারে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি!
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ!
৪৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রথম ছবিটা এত ভালো লেগেছে, আমি হয়তো ২/১টা পপি গাছ লাগাবো
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: বোঝাই যাচ্ছে পপি ফুল আপনাকে বেশ ইমপ্রেসড্ করতে পেরেছে! আমারও ইচ্ছা আছে, আমার বাগানেও এই পপির চারা লাগাবো! তাছাড়া আসলে ফুলটার সৌন্দর্য দেখে আমি নিজেও মুগ্ধ! আর সেজন্যই ইচ্ছাটা এত জোরালো!
পূনঃমন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ! শুভ কামনা রইলো!
৪৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:০৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ সময় নিয়ে পোস্ট এর লিখা সাথে থাকা ছবিগুলি দেখলাম । সবকিছুতেই মুগ্ধতা । স্বিকার করতেই হয় পপি ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন ধরনের বিতর্ক নেই। জানা হল পারস্য রাজ্যে একে আদর করে ডাকা হতো ভালোবাসার ফুল। উর্দুতে যার নাম 'গুল-ই-লালাহ' বা শহীদের প্রতীক। জানা হল পপি গাছ এর আদি নিবাস ইউরোপে হলেও বর্তমানে এটি পৃথিবীর সর্বত্র পরিচিত তার ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের জন্য। পপির বৈজ্ঞানিক নাম ও এর প্রজাতির কথাও হল জানা । এ টাও জানা হল এটা Papaveraceae পরিবার ভুক্ত একটি ভয়ংকর সুন্দর ফুল।
এ ফুলের সাংস্কৃতিক ব্যবহার যথা সাদা রং-এর পপি ফুল শেষকৃত্যানুষ্টান, স্মৃতিচারণ মূলক সভা-সেমিনার এবং শান্তি পূর্ণ ঘুমের প্রতীক হিসাবে দেখা হয়ে থাকে বলেও জানা হল । তাছাড়া নীল, গোলাপী এবং বেগুনি রং-এর পপি ফুলকে কল্পনা, বিলাসিতা এবং সাফল্যের অন্যতম বাঁধার প্রতীক হিসাবে দেখা হয় জেনে বেশ পুলকিত হলাম ।
এটাও জানা হল ঐতিহাসিক তথ্য মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রতীক হিসেবে এই ফুলটি লাগানো হয়েছিল ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদের পাশের বাগান। এর পর বিশাল প্রায় প্রায় ১৬ একর জমির উপরে পপি দিয়ে সাজানো হয়েছিল পপি প্রদর্শনী । প্রদর্শনীতে আসা ৪০ লাক্ষ পর্যটকের বেশিরভাগই প্রদর্শনী থেকে ফুল কিনে যুদ্ধে আহত সৈনিকদের ত্রাণ তহবিল গঠনে করেছিল সহায়তা । ফুল বিক্রয় করে যে এত বড় মহত কাজ করা যায় তা হল জানা । গোটা বিশ্বে পপিকে কেন স্মারক হিসাবে দেখা হয় সে প্রশ্নের উত্তরটাও হল জানা ।
সুন্দরভাবে হয়েছে বলা পপিকে আমরা অনেকেই একটি নতুন প্রজাতির ফুল বলে মনে করলেও এটি আসলে কোন নতুন প্রজাতির ফুল নয় বরং আজ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পূর্বেই এর গোড়াপত্তন হয়েছিল । একটি ফুলের এত লম্বা ইতিহাস আছে এবং সেটাকে তখন 'গুলগিল বা আনন্দের গাছ নামে অভিহিত করা হত জেনে ভাল লাগল ।
সেই আনন্দের গাছ তার আনন্দ ছড়াতে ছড়াতে ধীরে ধীরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে ধীরে ধীরে কি ভাবে বিজ্ঞানীদের কাছে 'মাদার অব ড্রাগস্ ' হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে তার বিবরণটাও সুন্দরভাবে উঠে এসেছে । পপির কারনেই যে ১৮৩৯ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে দুই দফায় বৃটেন এবং চীনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে এই গুরুত্বপুর্ণ তথ্যটি জানা গেল । এখন এই পপির বিস্তৃতি মধ্য এশিয়ার তুর্কিস্থান থেকে শুরু করে পাকিস্থান, আফগানিস্থান এবং মায়ানমারের প্রায় ৪৫০০ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে কিভাবে গড়ে উঠেছে তা জানা গেল সবিস্তারে ।পৃথিবীর সর্বপেক্ষা মারাত্মক এই পপি চাষে আমাদের বাংলাদেশেও যে একেবারে পিছিয়ে নেই তাও গেল জানা । শুধু কি তাই নব্বইয়ের দশকে অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে কিভাবে বাংলাদেশে এটা ঢুকেছে তারও রয়েছে উল্লেখ , এখন বাংলাদেশের বান্দরবনে কোথায় এর চোরাই চাষ হচ্ছে তার উপরেও রয়েছে একটি অনুসন্ধানী দৃস্টি ।
জানা গেল পপি ফুল হিসাবে যতটা না বিখ্যাত, তার থেকে বেশি কূখ্যাত এর থেকে উৎপাদিত মরণঘাতি মাদকদ্রব্য 'আফিম, ফরফিন, হিরোইন এবং প্যাথেড্রিন'-এর জন্য। ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের পাশাপশি এর কিছু ঔষধি গুণের কথাও হল জানা তবে সব কিছু ছাপিয়ে এটা কুৎসিত কাজেই এখন বেশী ব্যবহার করা শুনে খানাপ লাগছে।
লিখাটির কিছুটা জুরে হালকা করে শুধু এর ভয়াবহতা বুঝানোর জন্য বলা হয়েছে এই ফুল থেকে চাষীরা কিভাবে আফিমের কাঁচামাল সংগ্রহ করে এবং এর ফল থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নেশা জাতীয় দ্রব্যাদী যথা নেশার রাজা হিরোইন তৈরী করে ।
বিখ্যাত মনোচিকিৎসক ডাঃ শত্রুজিৎ দাশগুপ্তের উক্তি , "একাধিকবার যৌন মিলনে একজন মানুষের কাছে যে ধরনের সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়, তার চেয়ে অন্তত দশগুন বেশি আনন্দ আসে একবার হিরোইন চেজ করল!! উল্লেখ করে হিরোইনের আসক্তির কুফল এর ছোট্ উদাহরন থেকে গেল গুরুত্বপুর্ণ কথা । তবে এই উত্তির সাথে পোস্ট লিখক স্পস্ট করে লাগিয়ে দিয়েছেন সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ এবং বলেছেন যে কোন নেশাজাতীয় দ্রব্যাদিই মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটা ব্যক্তি, গোষ্টি তথা গোটা জাতির জন্য এতটাই মারাত্মক যে, এর প্রভাবে পড়ে একটা জাতিও ধীরে ধীরে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে। লেখকের এই মুল বক্তব্যটিকে যথাযথভাবে নিতে হবে সংস্লিস্ট সকলের আমলে, তা না হলে ভয়াবহ বিপদ আছে সকলের কপালে ।
এই লিখাটির পরতে পরতে কেবলই ভাল লাগা । এই প্রয়াসলব্দ ও প্রচুর সচিত্র তথ্য সম্বলিত মুল্যবান পোস্টটির জন্য সুপ্রিয় লিখকের প্রতি রইল প্রানডালা অভিনন্দন ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০২
সাহসী সন্তান বলেছেন: ড. আলী, পোস্টটার মাধ্যমে যে আপনাকে আমি এত কিছু জানাতে পেরেছি সেজন্য সত্যিই আমার নিজের কাছে খুবই ভাল লাগছে! একটা তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট তখনই স্বার্থক হয়ে ওঠে, যখন সেই পোস্টটার মাধ্যমে পাঠক উপকৃত হতে পারে!
ইদানিং কালে আপনার ব্লগিংটা দেখে আমার পূর্বের ব্লগিং-এর কথা গুলো খুব মনে পড়ছে! প্রথম যখন সামুতে আসি তখন আমিও ঠিক আপনার মতই ধুমছে ব্লগিং করতাম! যদিও খুব বেশি পোস্ট করা হতো না, কিন্তু এ্যাক্টিভ থাকতাম প্রচুর পরিমাণে!
তবে বর্তমানে ব্লগিং-এ তথ্যপূর্ণ কোন পোস্ট মানেই প্রথমে আপনার কথা মনে ওঠে! এভাবেই আপনি আনন্দিত মন নিয়ে ব্লগিং করতে থাকুন সেটাই কামনা করি! আপনার জন্য অফুরন্ত শুভ কামনা রইলো! ভাল থাকবেন!
৪৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । শুধু ধন্যবাদের মধ্যেই শেষ নয় এমন জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ের উপরে আপনি পোস্টটি দিয়েছেন যা এ মহুর্তে দেশ ও জাতির জন্য খুবই প্রয়োজন । মাদকাশক্তের কারণে দেশের শুধু মাদক সেবীই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা নয় এর ফলে একটা গুটা পরিবার ধংসের শেষ সীমায় চলে যায় । শুধু কি পরিবার, এর দায় বইতে হয় গুটা সমাজ ও জাতিকে ।
আশা করি দেশ ও সমাজ কিছুটা হলেও এ লিখাটির কল্যানে উপকৃত হবে কারন এটা মাদকের বিপক্ষে জনমত তৈরীতে সহায়তা করবে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
ভাল থ্কার শুভ কামনা রইল
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: ফিরতি মন্তব্যে আবারও ধন্যবাদ ডঃ আলী! আপনার বক্তব্যের সাথে আমিও পূর্ণ সহমত জ্ঞাপন করছি!
শুভ কামনা জানবেন!
৪৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
নীলপরি বলেছেন: আমার ব্লগে গিয়ে এডিটিং শেখানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
আমি ট্রাই করছি ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৩
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার ব্লগ ঘুরে সেই পোস্টটা দেখে আসলাম! সমস্যার সমাধান হইছে দেখে ভাল্লাগছে! আপনার জন্যেও ধন্যবাদ এবং সাথে শুভ কামনা রইলো!
ভাল থাকবেন!
৫০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯
জুন বলেছেন:
আমার এই কালারটি পছন্দ সাহসী
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু, প্রতিউত্তরে সামান্য ভুল হয়ে গিয়েছিল! তাই বাধ্য হয়ে পূর্বের প্রতিউত্তরটা কেটে দিয়ে আবারও আপনার মন্তব্যের উত্তর দিলাম!
কালারটা আপু আমারও পছন্দের! যদিও গাঢ় নীল রংটাই বেশি ভাল লাগে! তবে এটাও মন্দ না! তাছাড়া এটা যে আপনারও ফেভারিট কালার, সেটা জেনে ভাল্লাগছে!
ছবিটা তো সেই আসছে! ভাবছি আপনার ছবিটাই উপ্রে সেট করবো কিনা! খুব সুন্দর পপি ফুল!
৫১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৬
গরল বলেছেন: অসাধারণ তথ্য সমৃদ্ধ একটি পোস্ট, খুব ভাল লাগল। আপনার পোস্ট পড়ে মনে পড়ে গেল যে এক সময় বার্মাতে এক আফিম সম্রাটের আধিপত্য ছিল, সম্ভবত তার নাম ছিল "খুন শা" এবং তার অধিকৃত এলাকাকে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল বলত। ছোট বেলায় পেপারে পড়েছিলাম। এবং বার্মার রোহিঙ্গারা কিন্তু সেই এলাকারি বাসিন্দা এবং রোহিঙ্গা গেরিলারা সেই আফিম সম্রাটের ছত্রছায়ায় প্রতিপত্তি বিস্তার করেছিল। সেই সমস্যাটাই মূলত এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তথ্য ভুল হলে মাপ চেয়ে নিচ্ছি। কারণ ৩য় বা ৪র্থ শ্রেণীতে থাকার সময়ে পড়েছিলাম খবরের কাগজে, যা মনে আছে বা যা বুঝেছিলাম আরকি।
১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: আফিম সম্রাট 'খুন শা'-এর ব্যাপারে জানা ছিল না! জানানোর জন্য ধন্যবাদ! আর সেই সাথে মন্তব্যের মাধ্যমে সেটা জানিয়ে যাওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো!
শুভ কামনা জানবেন!
৫২| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪১
মানবী বলেছেন: পেথেডিন, মরফিনের ব্যবহার চিকিৎসার ক্ষেত্রেই বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
ঠিক সার্জনের হাতের ছুড়ির মতো, যা প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করে আর সেই ছুড়ি নষ্টজনের হাতে পরলে প্রাণনাশি হয়ে যায়।
এক দল নষ্ট লোক এসব পেইন কিলার বা ব্যাথানশকের নেশায় আসক্ত হয়ে এখন ওষুধের চেয়ে বিষ হিসেবে এর নাম পরিচিত করেছে।
মারিজুয়ানা/গাঁজা, পেথেডিন, মরফিন থেক শুরু করে সাধারণ কাফ সিরাপ এখন এসব নষ্টদের নেশার বস্তুতে পরিনত হয়েছে। যা চিকিৎসকের পরামর্শানুযায়ী ব্যবহারে প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করে তা অর্থলোভী নষ্ট লোকদের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবসার কারনে জীবন ধ্বংস করছে।
বিস্তারিত পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
আমি পপি বাগানে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি ফটোশুটে, ঘুম পায়নিতো!!!
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে পুরোপুরি সহমত, সুতরাং বাড়তি কিছু বলে আর মন্তব্যের পেজটাকে ওভার লোড করতে চাইতেছি না। তবে আপনার 'আমি পপি বাগানে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছি ফটোশুটে, ঘুম পায়নিতো!'- এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয়, যতদূর ধারনা করা যাচ্ছে আপনি সম্ভাবত পপি বাগানে ঘুমাইতে যান নাই। আর আপনি যদি ঘুমাইতে না যান তাইলে পপি বাগানে গড়াগড়ি খাইলেও যে আপনার ঘুম আসবে না এটাই তো স্বাভাবিক!
তাছাড়া ঘুমানোর জন্যেও তো একধরনের প্রস্তুতি লাগে। শুধু নির্মল বাতাসে যদি চোখে ঘুম চলে আসতো তাইলে এখন আমি আপনার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে আয়েশ কইরা একটু ঘুমাইয়া লইতাম!
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা জানবেন!
৫৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হেরোইন কাহিনীতে ক্লান্তি নাশীতে আবার সেই হিরোইন
হা হা হা
হেরোইন বিশেষজ্ঞ বানায়া দিলেনতো ভায়া
দারুন পোষ্টে ++++++++++
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
সাহসী সন্তান বলেছেন: ব্যাপারটা বুঝতেছি না, আপনি অফটপিক (নায়িকা পপি) হিরোইন বিশেষজ্ঞ হইলেন নাকি অনটপিক হিরোইন বিশেষজ্ঞ হইলেন। অনটপিক হিরোইন বিশেষজ্ঞ হইলে অবশ্য আমার কিছু বলার নাই, তবে অফটপিক হইলে দুইখান কথা আছে......
প্লাসে অনুপ্রাণীত হইলাম, তয় লাইক বাটনটাতে ক্লিকাইলে আরো একটু ভাল্লাগতো আর্কি! অবশ্য আপনারটা মৌখিক প্লাস কিনা সেইটার কথা আপনি বলেন্নাই!!
যাহোক, মজা করলাম ভৃগুভাই! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
৫৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯
নায়না নাসরিন বলেছেন: দারুন পোষ্টে ++++++++++
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪২
সাহসী সন্তান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু! শুভ কামনা জানবেন!
৫৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
মানবী বলেছেন: " যতদূর ধারনা করা যাচ্ছে আপনি সম্ভাবত পপি বাগানে ঘুমাইতে যান নাই। আর আপনি যদি ঘুমাইতে না যান তাইলে পপি বাগানে গড়াগড়ি খাইলেও যে আপনার ঘুম আসবে না এটাই তো স্বাভাবিক!
তাছাড়া ঘুমানোর জন্যেও তো একধরনের প্রস্তুতি লাগে। শুধু নির্মল বাতাসে যদি চোখে ঘুম চলে আসতো তাইলে এখন আমি আপনার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে আয়েশ কইরা একটু ঘুমাইয়া লইতাম!"
- আপনি কি বলেছিলেন যে শুধু বিছানা বালিশ নিয়ে পপি বাগে গেলেই ঘুম আসবে, প্রিপারেশন ছাড়া গেলে ঘুম আসবেনা।
আচ্ছা আর এক/দেড় মাসপরই পপি ফোটা শুরু হবে, এবার ঘুমানোর বিশেষ আগ্রহ আর তাবু নিয়ে গিয়ে দেখবো ঘুম আসে কিনা
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: আপু পোস্টটা কিন্তু ঘুম বিষয়ক ছিল না, ছিল অন্য বিষয় নিয়ে! এখন কোন লেখা পড়তে গিয়ে সেই লেখার নির্দিষ্ট বিষয় বাদে আপনি যখন ভিন্ন টপিকের আরো দারুণ একটা জিনিস সম্পর্কে জানতে পারবেন, তখন কি আপনার উচিৎ নয় সেটা নিয়ে তর্ক না করে উক্ত লেখককে একটা বড়-সড় রকমের ধন্যবাদ দেওয়া?
তাছাড়া কোন বিষয় সম্পর্কে লিখতে গেলে কিন্তু খুবই সাধারণ ভাবে চলে আসে তার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে! এখন পপি ফুল নিয়ে লেখা আমার এই ফিচারটাতে পপির নির্মলতা বুঝানোর জন্য আমি যখন ঘুমের ব্যাপারটা উল্লেখ করলাম তখন কি আপনার এটাও বোঝা উচিৎ ছিল না যে, কোন ধরনের প্রিপারেশান ছাড়া জান্নাতে গিয়া শুইয়া থাকলেও আসলে ঘুম আসবে না (এক্ষেত্রে বিছানা বালিশের জন্য লেখককে কোন ভাবেই চাপা-চাপি করা চলিবে না, বরং উহা পাঠক/পাঠিকা নিজ দ্বায়িত্বে সংগ্রহ করিয়া লইবেন)!
"এবার ঘুমানোর বিশেষ আগ্রহ আর তাবু নিয়ে গিয়ে দেখবো ঘুম আসে কিনা"
- অবশ্যই দেখবেন! তবে ঘুম না আসলে আবার ডাক্তারের কাছে না গিয়ে আমার এইখানে আইসেন্না। একচুুয়ালি আপনার যদি কম ঘুমানো কোন রোগ থাকে তাইলে তো সেইটা ডাক্তার ছাড়া আমি সারাইয়া দিতে পারবো না, তাই না? তবে সব থেকে ভাল হয়, পপির বাগানে আয়েশ কইরা শুইয়া একটা এডভেঞ্চার মূলক উপন্যাস পড়তে পড়তে ব্যাকগ্রাউন্ডে- "খুকি ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে....." টাইপের কোন গান শুনতে পারলে! তখন ঘুম তো আসবেই সাথে ঘুম বুড়িও চইলা আসার সমূহ সম্ভাবনা দেখতাছি!
ফিরতি মন্তব্যে আবারও একগাদা ধইন্ন্যা! শুভ কামনা আপু!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: যার বৈজ্ঞানিক নাম- 'Papaver Somniferum'. ফুল বিশেষজ্ঞদের ধারনা, পপি ফুলের এই নামকরণ করা হয় প্রাচীন গ্রীক পুরাণের ঘুমের দেবতা 'সোমনাস'-এর নামানুসারে। কারণ পপির ক্ষেতে বয়ে যাওয়া মৃদু শীতল বাতাস এতটাই স্পর্শকাতর আর আরামদ্বায়ক যে, তা যে কোন প্রাণীদেরকেই ঘুম পাড়িয়ে দিতে সক্ষম! ------
এর মানে ফুলের বাতাসেও নেশা হয়, তাই মানুষ ঘুমিয়ে যায়।