নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবদায়ী নিয়তি

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫৭


প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে উক্তদেশ আয়োজিত ত্রিজাতি "নিদাহাস T-20" ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ বনাম ভারত। ফাইনাল ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের কাছে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। প্রথমে বাংলাদেশ দল ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষ সংগ্রহ করে ১৬৬ রান। সেটা প্রতিপক্ষ ভারতের ব্যাট লাইন অপের কাছে খুব সহজ বা একেবারেও কঠিন কিছু নয়। নিদাহাস ট্রফিতে আমরা বাংলাদেশকে ২০০+ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে দেখেছি। যে শ্রীলঙ্কা ঘরের মাটিতে আমাদের ওয়াইট ওয়াশ করে ঘরে ফিরে আবার তাদের ঘরের মাটিতে আমাদের কাছে পরাজিত হয়ে ফাইনাল দর্শক হয়ে উপভোগ করেছে। অথচ তারাই ফাইনাল ম্যাচের টিকেট প্রিন্ট করেছিল ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা দিয়ে। অবশেষে ফাইনাল ম্যাচের টিকেট আর নিমন্ত্রণ পত্র থেকে শ্রীলঙ্কার নাম কেটে দিতে হলো।
ফাইনাল ম্যাচ হিসেবে প্রতিপক্ষ ভারতের কাছে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬৭ রান তেমন কঠিন কিছু না।
যাই হোক, ফিল্ডিংয়ের শুরুতে বাংলাদেশ অধিনায়কের স্পিন অ্যাকশন সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে মনে হয় না। যদিও প্রথম পর্যায়ে স্পিন অ্যাকশনে সাকিব শেখর ধাওয়ানের উইকেট নিয়ে ছিল ঠিকই কিন্তু রোহিত শর্মা সাকিব আর মেহেদী মিরাজকে ঠিকই পিটিয়ে নাস্তানাবুদ করেছে।
বাংলাদেশ বোলিংয়ের উনিষতম ওভার নিয়ে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা ক্রিকেট প্রেমী দর্শক সমালোচনা করছে। এ ওভার বা পেসার রুবেল হোসেনকে দায়ী করে অনেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছি দেখলাম। আমার মতে রুবেলকে দায়ী করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। গত T-20 বিশ্বকাপ ফাইলানে ইংল্যান্ডের পেসার স্টোকও কিন্তু তীরে এসে তরি ডুবিয়ে ছিলেন। সুতরাং রুবেলকে দায়ী করা আমার মনে হয় ঠিক হবে না। ছাড়া এমন পরিস্থিতি রুবেল ম্যাচ জিতিয়েছে অতীতে আমরা দেখেছি। আজ হয়তো হয়নি তাই দায় ভার চাপিয়ে সমালোচনা করতে হবে?
এমন কন্ডিশনে ভারত যদি ফিল্ডিং থাকত আর মাঠে অধিনায়ক হিসেবে ধোনি থাকলে উনিশতম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হওয়ার পর কমপক্ষে দশ মিনিট বোলারকে বুঝাতো, সাহস দিত। কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় পরপর তিন বলে মার খেয়ে রুবেল যখন তরী ডুবিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে তখন অধিনায়ক সাকিব আর মুশফিক দুজনে মিলে রুবেল হোসেনকে সাহস দিতে দেখা যায়। তার আগে নয়। কেন, প্রথম বলে ছক্কা হওয়ার পর কি অধিনায়কের বলা উচিত ছিল না বল অফ স্ট্যাম্পের বাহিরে রাখতে হবে। তাহলে ব্যাটম্যাট দিনেশ কার্তিকের পক্ষে বাউন্ডারি হাকানো একটু কঠিন হবে।
২০১২ সালে এশিয়া কাপে আমরা শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল খেলে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছি। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলে পরাজিত হলাম ভারতের কাছে। আবার নিদাহাস T-20 সিরিজেও পরাজয়ের মালা পরতে হলো বাংলাদেশকে।
আমার দৃষ্টিকোণে নিদাহাস ট্রফি ফাইনাল ম্যাচ পরাজয়ের জন্য বাংলাদেশ দলের কোনো খেলোয়ার-ই দায়ী নয়। সব দায়ী নিয়তি। নিয়তি শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচগুলিতে বাংলাদেশকে পরাজিত করে পাঁকাপোক্ত করছে অনেক বড় কিছু বিজয়ের জন্য।


-সোহাগ তানভীর সাকিব
গল্পলেখক
[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.