![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার খুব-ই পরিচিত এক দম্পতির গল্প শোনাব আজ।
আব্দুল ওয়াদুদ এবং নাসিমা আক্তার (ছদ্মনাম) দু'জন-ই ভালো চাকুরি করে। দু'জন-ই ইসলামি জ্ঞানে বেশ পারদর্শী এবং ইসলামি মনা রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত। আব্দুল ওয়াদুদ সাহেব ফেসবুকে সক্রিয়। মাঝে মাঝে লেখালেখিও করে।
আব্দুল ওয়াদুদ এবং নাসিমা আক্তার দম্পতি আধুনিক বা ডিজিটাল যুগের ইসলামি মনা ব্যক্তি। তাদের চাল চলন, কথা-বার্তা এবং পোষাক পরিচ্ছদে আধুনিকতার ছোঁয়া লক্ষণীয়।
যাই হোক, আব্দুল ওয়াদুদ সাহেব একটি ইসলামি মনা রাজনৈতিক দলের শিল্প-সাহিত্য বিভাগের সাথে জড়িত ছিলেন আর নাসিমা আক্তার একটি স্বনাম ধন্য মাদরাসার সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক। সেই সুবাদে ইসলাম ধর্ম এবং সাহিত্য এ দুটি বিষয়ে তাদের সাথে তর্কে পারা কঠিন।
পবিত্র ঈদুল আযহার শুরু থেকে আব্দুল ওয়াদুদ সাহেবের ফেসবুকে জাতীয় কবি কাজী নজরুলের "কোরবানি" কবিতার অংশবিশেষ পোষ্ট দেখতে পাই। এবং উক্ত কবিতায় তার মনোনিত অংশ থেকে থেকে পোষ্ট করেন তিনি।
যার মূল লক্ষ্য তার ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে পবিত্র কোরবানির যথাযর্থ শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া।
ফেসবুক পোষ্টসহ বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তিনি মানুষের উদারতা এবং মহানুভবতার সবক দেন।
আব্দুল ওয়াদুদ সাহেবের গ্রামের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ি একই গ্রামে। প্রতি বছর আব্দুল ওয়াদুদ সাহেব কোরবানি করেন গ্রামে। কোরবানির পশু কেনা থেকে শুরু করে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আব্দুল ওয়াদুদ সাহেবের শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
এখানে আরেকটা কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য। আব্দুল ওয়াদুদ সাহেবের নিজের ভাই-বোনদের চেয়ে সুমন্দি বা শ্যালকদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো।
কোরবানির দিন দেখা যায়, আব্দুল ওয়াদুদ সাহেব শহর থেকে গ্রামে এসে নিজের বাড়ি (যেখানে মা এবং দরিদ্র ভাইরা থাকে) এবং বোনের বাড়ি অতিক্রম করে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে পশু কোরবানি করে বস্তা ভর্তি করে মাংস নিয়ে বোনের বাড়ি এবং তার গ্রামের পৈতৃক নিবাস অতিক্রম করে শহরে চলের বাড়ি চলে যায়। মাংস রেখে দেয় ফ্রিজে।
এবার কোরবানির ঈদের দু'দিন আগে শুনলাম, আব্দুল ওয়াদুদ সাহেব বোনের বাড়িতে কোরবানির মাংস পাঠিয়েছে। আব্দুল ওয়াদুদ সাহেবের গৃহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করলাম,
- ঈদ তো আসেই নাই; এখন-ই মাংস?
- গত ঈদের মাংস। দেওয়ার কথা মনে ছিল না।
আর কি বুঝতে বাকি থাকে যে, কোরবানির ঈদের আগে ফ্রিজ পরিষ্কার করবে বলেই গত ঈদের মাংস এবার দরিদ্র বোনের বাড়ি পৌঁছালো।
আব্দুল ওয়াদুদ সাহেবের মত আমাদের সমাজে অনেকেই আছে যারা কোরবানির মাংস নিয়ম অনুযায়ী দরিদ্র আত্মীয় স্বজন বা প্রতিবেশিদের মাঝে বিতরণ করেন না। কিন্তু এসব বিষয়ে নীতি কথায় থাকে সবার ওপরে।
যারা নীতিহীন প্রীতি করে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে চায় তারাই প্রকৃত কপতাচারী। একদিকে অন্যের হক ভক্ষণ করবে অপর দিকে অন্যকে হক কথা শোনাবে।
-সোহাগ তানভীর সাকিব
আগষ্ট-২০১৮
দড়িসারদিয়ার, পাবনা।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:২৮
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
মানুষ যে খারাপ হয় কেমনে সেটাই তো বুঝে আসে না। তবে খারাপের ভেতর মুখোশধারীরাই বেশি খারাপ।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:৪২
ঢাবিয়ান বলেছেন: এইরুপ বকধার্মিকের সংখ্যাই বেশি আমাদের সমাজে।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩১
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
এইসব বকধার্মি আর উগ্রপন্থী ধার্মিকদের জন্য-ই আজ পৃথিবীতে এতো বিশৃঙ্খলা আর অশান্তি।
লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তানভীরভাই,
বেশ ভালো একটা কাহিনী তুলে ধরেছেন। গল্পে ওয়াদুদ সাহেব বিভিন্ন স্থানে ভাষণ দিয়ে বেড়ান, যে কারনে বোনের বাড়িতে সঠিক সময়ে পাঠাতে ভুলে গেছেন। শেষ মুহূর্তে মনে পড়ায় উনি যে দিলেন এটাই কম কিসে। ওনার দিকটা একটু ভাববেন না। বিয়ের পর বেশিরভাগ ওয়াদুদ সাহেবদের শরীরে শ্বশুরের প্রবেশ করে, বাবার রক্ত গায়েব হয়ে যায়। যে কারনে নিজের ভাইবোনরা অনাত্মীয় পরিনত হয় আর শ্বশুরকুল আপন হয়। জীবনের মাঝ পথে এরকম রক্তের ভোলবদল খারাপকী। আমি আপনি যারা এখনও পুরান ভাইবোন নিয়ে পড়ে আছি বরং আসুন আজ থেকে আমরাও শ্বশুরকুলকে আরও আপন করে ভাইবোনদের লাথিমেরে দূরে ঠেলে দিয়ে শ্বশুরগৃহের জয়গান করি। হা হা হা।
কথায় আছেনা, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ।আর রাগারাগি নয় এক নির্মল ভাইবোন মুক্ত সমাজ গড়তে আজই সামিল হোন ওয়াদুদ সাহেবদের বাংলায়।
শুভকামনা রইল।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
কি আর বলবো, ভাই। কিছুই বলার নাই। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষদের এমন আচরণ দেখলে খুবই খারাপ লাগে।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্পের এমন ওয়াদুদ সাহেব সব পরিবারেই আছে। কী আর করা যাবে। কারো জন্য তো কোনও কিছু থেমে থাকেনা।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
হুম, ঠিক-ই বলেছেন। এমন চরিত্রের মানুষ আমাদের সমাজে প্রায় প্রতিটা পরিবারেই আছে।
লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, ভাই।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৯
হবা পাগলা বলেছেন: ইসলামের আলোকে কোরবানির মাংস বিতরনের সঠিক নিয়ম বা আদেশ কি?
২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি যতটুকু জানি, যেটা হলো। পশু কোরবানির পর প্রাপ্ত মাংস সমান তিন ভাগে ভাগ করা।
১ ভাগ গরিব-মিসকিন, দরিদ্র পাড়া প্রতিবেশি এদের মাঝে বিতরণ করা।
অপর ভাগ আত্মীয় স্বজনের মাঝে বিতরণ করা। এবং অবশিষ্ট ভাগ পরিবারসহ নিজে খাওয়া।
দুই ভাগ বিতরণের পর আপনার ভাগ আপনি ফ্রিজে রেখেও খেতে পারবেন।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪১
হবা পাগলা বলেছেন: আমরা অনেক কিছু জানি, কিছু ভুল জানি এবং ইহা কে সঠিক বলে মনে করি, এই ভুল বিদ্যা কে বলা হয় অবিদ্যা। অনুগ্রহ করে ইসলামের আলোকে সঠিক reference উল্লেখ করুন
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব গল্প।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন:
হুম। একদম বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছি।
গল্পটি পড়ে মতামত জানানোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৪
চাঙ্কু বলেছেন: মানুষ এত খারাপ হয় কেমনে? আগের ঈদের মাংশ এই ঈদে?![#:-S](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/emot-slices_32.gif)