নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা কোন কথা হলো!!!

০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৭



আজ ২ রা মার্চ। জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে, ঢাবি ক্যাম্পাসে তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম আব্দুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এই ইতিহাস এদেশের অষ্টম শ্রেণি অতিক্রম করেছে এমন কারো অজানা আছে বলে আমার মনে হয় না।

আমি ইতিহাস জানাতে আসি নি। ইতিহাস ও বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে দুইটা ছোট্ট গল্প শোনাবো আজ।

গল্প-১
স্বাধীনতা দিবস কিংবা মহান বিজয় দিবস আসলে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অত্যান্ত শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করি। স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। বিনম্র শ্রদ্ধায় গেয়ে ওঠি "এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আসলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না।"
এই গানের সাথে বর্তমান বাস্তবতার মিল আমি খুব একটা পাই না।

মনে করেন, সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ এর ভেতর যেকোন একজন। ধরে নিলাম মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে।
জাহাঙ্গীর বেঁচে আছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে একমাত্র জীবিত বীরশ্রেষ্ঠ তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাব তার। তিনি রাজনীতি করেন। ধরে নিলাম শাপলা পার্টি তাঁর রানৈতিক দলের নাম। বর্তমান ক্ষমতায় আছে গোলাপ পার্টি। শাপলা পার্টি সংসদে বিরোধী দল। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শাপলা এবং গোলাপ দুই দলের নেতা বা কর্মীদের কম বেশি অবদান আছে। মহিউদ্দিন যখন খেতাব পান তখন রানৈতিক সম্প্রীতি ছিল ভালো। সময় আর পরিস্থিতির কারণে এখন রাজনৈতিক পরিবেশ ভালো না। যারা ক্ষমতায় যায় দেশের কথা কিছুই ভাবে না। তারা শুধু দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে বাড়ি গাড়ি করে। শাপলা এবং গোলাপ দুই পার্টিইর একই অবস্থা।

তারপরও মহিউদ্দিন কিছু করতে চায়। কারণ, সে প্রকৃত দেশ প্রেমিক। সরকারী দলের গঠন মূলক সমালোচনা করে। দেশের স্বার্থ নিয়ে মিডিয়ায় কথা বলে। একারণে সে সরকারী দলের চক্ষুশূল। অনেক মন্ত্রী তাকে রাজাকারও বলে। বলে পাকিস্তানের এজেন্ট। দেশের জন্য সর্বোচ্চ করার পরও শুধু মাত্র রাজনীতি ভিন্ন মতের কারণে তাকে রাজাকার বলা হয়। স্বাধীনতা বা বিজয় কোন দিবসেই তাকে ডাকা হয় না।

গল্প-২
মনে করেন, ১৯৭১ সালের ২ রা মার্চ পতাকা উত্তোলন করার পরে পাকিস্তানি মিলিটারি আ স ম আব্দুর রব কে মেরে ফেলে ( কখনও এটা কামনা করি না। তিনি যুগ যুগ বেঁচে থাকুন)।
২০২০ সালে এসে দেখা যেত, মধুর ক্যান্টিনের মধুদার মত ডাকসু ভবনের সামনে আ স ম রবের একটা ভাস্কর্য থাকতো। ২ রা মার্চ পতাকা দিবসে আ স ম আব্দুর রবকে সবাই শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতেন। তাঁর বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হতো। পতাকা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ঢাবি উপাচার্য আ স ম আব্দুর রবের অবদান তুলে ধরে সারগর্ভ বক্তৃতা দিতেন।

এটা বাংলাদেশ। এখানে শুধু মাত্র রানৈতিক কারণে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় রাজাকার। আবার রাজাকার হয় মুক্তিযুদ্ধা। এখানে জীবিত থাকলে কেউ কারো অবদানের স্বীকৃতি দেয় না। মরে গেলে পুষ্পস্তবক চাপা দিয়ে কফিন ভারি করে।

কথা কি ক্লিয়ার? নাকি কোন ভেজাল আছে?
বুঝলে বুঝ পাতা। না বুঝলে তেজপাতা।


মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: No. :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.