নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের দর্পণ

সোহাগ তানভীর সাকিব

বাস্তবতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস।

সোহাগ তানভীর সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দীনতা ও অনলাইন আসক্ত তরুণদের মস্তিষ্ক

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬


জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষকে নানা ধরণের কাজ করতে হয়। যেকোন সৎ কাজ বা সৎ পথে উপার্জন সম্মান জনক হলেও সৎ পথের সকল কাজের মানুষ সম্মানিত হিসেবে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিবেচনা করা হয় না। মানুষ তার যোগ্যতা ও সামর্থ্য অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে থাকে।
ডাস্টবিনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ হতে রক্ষা পেতে কেউ নাক চেপে ধরে আবার কেউ ওই ডাস্টবিনের ময়লা পরিস্কার করে জীবিকা নির্বাহ করে। তার মানে এই নয় যে, যে ডাস্টবিনের ময়লা পরিস্কার করে জীবিকা নির্বাহ করে তার নাক নাই কিংবা দুর্গন্ধ উপলব্ধি করার ক্ষমতা নাই। জীবন যেখানে যেমন সেখানে সেটা মানিয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। যে যত ছোট কাজই করুক না কেন, তাকে দেখে বা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
গত দুদিন দেখছি, পশ্চিমবঙ্গের একজন ফেরিওয়ালার সুরে সুরে বা গান গেয়ে বাদাম বিক্রি করার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন বাদাম বিক্রেতা গানের সুরে বিভিন্ন পরিত্যাক্ত জিনিষের বিনিময়ে বাদাম বিক্রি করে। ভুবন বাদ্যকর নামে সেই ফেরিওয়ালা বা বাদাম বিক্রেতার চেহারায় দীনতার ছাপ স্পষ্ট। চেহারা মলিন দেখালেও সে যে সুখি যেটা বুঝা যায়। মনে আনন্দ নিয়ে ফেরি কোরে বাদাম বিক্রি করে। সুখি হলে মনে আনন্দ আসে। আর সেই আনন্দে মন থেকে বেড়িয়ে আসে গান। ফেরিওয়ালা ভুবন বাদ্যকরের এই গান কিন্তু লোককে বিনোদিত করার জন্য নয়। জীবিকার তাগিদে মানুষকে আহ্বান।
অলিগলির মোড়ে, পথে-ঘাটে, হাটে-বাজারে অর্থাৎ জনসমাগম হয় এমন স্থানে ভুবন বাদ্যকরের মতো দৈন্য পেশার অনেক মানুষ প্রায়-ই চোখে পড়ে। ছন্দে ছন্দে বা গানে গানে লোকদের আহ্বান কোরে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে থাকে তারা।
এরা তো কাউকে ধোকা দিচ্ছে না। ফাঁকি দিয়ে বা প্রতারণা করে টাকা ইনকাম করছে না। এদেরকে নিয়ে এতহাসি কিসের? এদের জীবিকা অর্জনের পদ্ধতি নিয়ে এত কৌতুক কেন? টিকটক করার কি আর কোনো বিষয় নাই? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামান্য লাইক পাবার জন্য দিনে দিনে মূল্যবোধ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে! কন্টেন তৈরি করতে কি এতটা নিচে নামতে হবে? একজন মানুষের জীবিকা অর্জন নিয়ে এত হাসাহাসি কিভাবে সম্ভব বুঝে আসে না। যারা এসব করেছে বা করে তারা স্বাভাবিক মস্তিষ্কের অধিকারী নাকি মস্তিষ্ক বিকৃতকারী উন্মাদ এ বিষয়ে সন্দিহান। উন্মাদ ছাড়া জুতা-স্যান্ডেল প্রদর্শন করে একজন মানুষের জীবিকা অর্জন নিয়ে কৌতুক সম্ভব!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকরের জীবিকা অর্জন নিয়ে টিকটক করা দেখে খুবই অবাক হয়েছি। সেই সাথে এটাও উপলব্ধি হয়েছে, শিক্ষা-দীক্ষার উন্নতির ফলে মানুষ বিভিন্ন ভাবে নিজেদের উন্নতি করলেও মনুষত্ত্ব ও মূল্যবোধের কোনো উন্নতি করতে পারছে না।


সোহাগ তানভীর
গল্পকার

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১১

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার এই পোস্ট শেয়ার করা দরকার। আসলে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতার এর সাথে পরিবার থেকে মৌলিক মানবিক শিক্ষা দিতে না পারার কুফল হইতে এইসকল অমানুষ গুলা।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান প্রজন্ম হলো- নষ্ট প্রজন্ম।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৪

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: এরা বিকৃত মস্তিস্কের উন্মাদ

৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চিন্তার বিষয়

৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাইরাল নামক শব্দে পাগল এখন প্রজন্ম।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

সাজিদ! বলেছেন: যথাযথ লিখেছেন।

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

মরুর পথে বলেছেন: ধীরে ধীরে একটা মূল্যবোধহীন প্রজন্ম গড়ে উঠছে। বাবা মায়েরা সাবধান না হলে সামনে ভয়াবহ বিপদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.