![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক সময়ে অনেকের মুখেই মেসি আর নেইমারের তুলনা শুনা যায়।যারা বার্সা বা আর্জেন্টিনার ভক্ত তারা বলে মেসি নেইমার থেকে অনেক ভালো আর ব্রাজিলিয়ান ভক্তরা বলে নেইমার মেসির চাইতেও সেরা।
আমি ব্রাজিলের ভক্ত হওয়ার পরও বলছি নেইমার এখনও মেসি থেকে সেরা নয়।কিভাবে সেরা হবে?ওর বয়স তো এখন অনেক কম।তবে এই বয়সেই যে ওকে বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবলারের সাথে তুলনা করা হচ্ছে,এটাই ওর অনেক বড় অর্জন।
এবার আসি মেসির প্রসঙ্গে,মেসি ঠিক কোন পর্যায়ের ফুটবলার সেটা নিয়ে অনেকের মতানৈক্য রয়েছে।তবে এতটুকু বলা যায় যে প্রজন্মের সেরা ফুটবলার।তবে আসলেই কি তাই?ফুটবল দলগত খেলা।জাভি ইনিয়েস্তা বিহীন মেসি আর্জেন্টিনায় কিরকম খেলে তা তো আমরা সবাই জানি।এখন মেসি যদি নেইমারের সান্তোসে খেলে নেইমারের চাইতে ভালো খেলা দেখাতে পারতেন তাহলে বলা যেত মেসি সন্দেহাতীত ভাবে নেইমার থেকে ভালো।নেইমার ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে খুব বেশি খারাপ খেলেছে এটা বলা যাবে না।পিছন থেকে ঠিক মতো বল না আসলে একজন ফরোয়ার্ড কখনোই খুব বেশি ভালো খেলতে পারবে না।
তবে আমার মতে ওদের তুলনা করা ঠিক নয়।ওদের তুলনা সেদিন করতে হবে যেদিন ওরা একই প্লাটফর্মে খেলবে।
এবার দয়াকরে আপনার মতামতটি জানান।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৪
সুব্রত ৪৩৯ বলেছেন: আপনি একটু বেশিই বলে ফেলেছেন।একজন খাঁটি ফুটবলবোদ্ধা হলে এরকম বলতেন না।মেসি সেরা ফুটবলার,এটা ঠিক আছে তাই বলে নেইমার একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়।
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬
কাউসার রানা বলেছেন: মি: লেখক আপনাকে বলছি ---
পেলের মতো গাধারাই শুধু এই সব কথা বলে। পেলের সঙ্গে ম্যারাডোনার একটা ঝামেলা সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি। এইটা সে এখন মেসি ও নেইমারের মধ্যে ছড়াতে চাচ্ছে। কারন মেসি আজেন্টাইন আর নেইমার ব্রাজিলের। যদি খেলোয়ারের দিকে তাকান তাহলে এই খুবই স্পষ্ট যে নেইমার এখনও শিখছে আর মেসি একজন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়ার। হ্যাঁ সে এখনো বিশ্বকাপ জিততে পারিনী, তবে আমার মনে হয় তার প্রমানের বাকি কিছু নেই।
আর নেইমারকে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
মেসির সঙ্গে তো এখন পেলে ম্যারাডোনার তুলনা চলছে, বরং এখন বলা হচ্ছে যে, মেসি ম্যারাযডোনা এবং পেলের চাইতেও ভাল।
নেইমার যদি মেসির চাইতে ভালই হবে তাহলে তো সে পেলের চাইতেও ভাল। এই কথা কেন সে বলছে না যে, নেইমার আমার চাইতে ভাল খেলোয়ার।
আশা করি বঝুবেন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২
সুব্রত ৪৩৯ বলেছেন: ব্রাজিলের ভক্ত হওয়ার পরও আমি আপনার সাথে একমত।তবে পেলেকে গাধা বলাটা আমার ঠিক পছন্দ হলো না।পেলে গাধা হলে ম্যারাডোনাও গাধা।ওনারা ভারতীয় সিরিয়ালগুলোর মত ঝগড়া করছেন।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২
রাস্তার ফকির বলেছেন: মেসি আর নেইমারের তুলনা করা এক প্রকার অযুক্তি। কারণ মেসির পায়ের কাছেও নেইমার জেতে পারেনি। তারপর আবার তার সাথে কিসের তুলনা
কাউসার রানা বলেছেন: মি: লেখক আপনাকে বলছি ---
পেলের মতো গাধারাই শুধু এই সব কথা বলে। পেলের সঙ্গে ম্যারাডোনার একটা ঝামেলা সেই ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি। এইটা সে এখন মেসি ও নেইমারের মধ্যে ছড়াতে চাচ্ছে। কারন মেসি আজেন্টাইন আর নেইমার ব্রাজিলের। যদি খেলোয়ারের দিকে তাকান তাহলে এই খুবই স্পষ্ট যে নেইমার এখনও শিখছে আর মেসি একজন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়ার। হ্যাঁ সে এখনো বিশ্বকাপ জিততে পারিনী, তবে আমার মনে হয় তার প্রমানের বাকি কিছু নেই।
আর নেইমারকে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
মেসির সঙ্গে তো এখন পেলে ম্যারাডোনার তুলনা চলছে, বরং এখন বলা হচ্ছে যে, মেসি ম্যারাযডোনা এবং পেলের চাইতেও ভাল।
নেইমার যদি মেসির চাইতে ভালই হবে তাহলে তো সে পেলের চাইতেও ভাল। এই কথা কেন সে বলছে না যে, নেইমার আমার চাইতে ভাল খেলোয়ার।
আশা করি বঝুবেন।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯
কাউসার রানা বলেছেন: মি: লেখক
আমি সুন্দর ফুটবলের ভক্ত। পেলে ম্যারাডোনা কোন ফ্যাক্টর না। মেসিকে আক্রমনের জন্য পেলেকে গাধা বলেছি।
আশা করি বুঝবেন।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৪
মৃগয়া বলেছেন: আপনি বোধহয় জাভি, ইনিয়েস্তা বিহীন মেসির খেলা দেখেন নি তাই এই কথা বলছেন।
মেসির সাথে নেইমারের তুলনাটা এনেছে ভালো খেলোয়াড় কিন্তু চরম হিংসুটে পেলে। কারন তার সাথে মেসির তুলনা হয়েছে এটা সে মেনে নিতে পারেনি তাই মেসি কে ছোট করার অপচেষ্টা। পেলের আশেপাশে জাভি ইনিয়েস্তার মতো অনেকে ছিলো বলেই পেলে আজকের পেলে হতে পেরেছে।
আপনি নিশ্চয় জানেনে খোদ পেলের দেশের লোকেরাই পেলে থেকে গারিন্চার বেশি ভক্ত।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: মেসি আর নেইমারের মধ্যে তুলনা পেলে ছাড়া আর কাউরে করতে দেখলাম না। হিংসুইট্যা বুইড়া!
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২২
শিবলী১২৩ বলেছেন: সব গুলা ব্রাজিল ভক্ত এক্টাই কথা বলে খালি, জাভি আর ইনিয়েস্তা ছাড়া মেসি নাকি কিছুই না। ভাইয়া গাধা, চোখ কি পশ্চাদ্দেশে রেখে খেলা দেখেন? মেসি যখন মিড ফিল্ড থেকে ড্রিবলিং করে টার্নিং পাসে গোল করে, সেগুলা কি জাভি আর ইনিয়েস্তা করায়? মেসি যখন গোল করে, তার আগের পাস গুলো জাভি দেয় বলেই কি ক্রেডীট জাভির? মিডফিল্ডার দের কাজই তো স্ট্রাইকারকে পাস দেওয়া।
মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে ব্যর্থ কেবল মাত্র ভালো টীম কেমিস্ট্রির অভাবে, এক এক প্লেয়ার এক এক ক্লাবে এক এক প্যাটার্নে খেলে, তাই তাদের কে এক পয়েন্টে এনে খেলানোটা অনেক কঠিণ
ভাই, গাধাগিরি বাদ দিয়া চোখ ২ টা ব্যবহার করে খেলা দেখেন, বুঝবেন মেসি কেন সেরা
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৫
মৃগয়া বলেছেন: ও হ্যা আরেকটা কথা বলা হয়নাই। একক কৃতিত্বে টিম জেতানো এতো সোজা না যদি টিমে ম্যারাডোনার মতো প্লেয়ার না থাকে। সেটা এই যুগে আর সম্ভব না।
৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
রবিন মিলফোর্ড বলেছেন: ভাই যদি এতই ফুটবল বুঝেন তাহলে এখানে বসে না থেকে কোন দলের কোচ হিসেবে জয়েন করে ফেলেন ।
হাসান মাহবুব বলেছেন: মেসি আর নেইমারের মধ্যে তুলনা পেলে ছাড়া আর কাউরে করতে দেখলাম না। হিংসুইট্যা বুইড়া!
১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৮
ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনি আর যাই করেন না কেন একটা জিনিস কখনো কইরেননা। সেইটা হইল কোন আর্জেন্টিনার সাপোর্টারের সাথে তর্কে নাইমেনা। এরা দেখবেন ঝোল পাতে তুইলা খাওয়ার আগেই বইয়া থাকব, কেমনে পারবেন আপনে? আমার তো ভয় হয় কবে আবার এরা ঘোষণা দেয় আর্জেন্টিনা সাপোর্ট না করলে সে রাজাকার - দিতেই পারে। এদের দ্বারা বিশ্বাস নাই।
১৯ বছরের একটা তরুনের কাছ থিকা যদি ২৫ বছরের এক দামড়ার মত খেলা আশা করা বিগ্য মানুষদের বিবেচনাবোধ অত্যন্ত চমকপ্রদ এবং বিস্ময়কর। ইতিহাসে এত অল্প বয়সেই হইচই ফেলে দেওয়া প্লেয়ার ছিলেন কেবল পেলে এবং রোনাল্ডো। এরাই কেবল ১৭/১৮ বছরে সবার কাছ থেকে সেরা উপাধি পেয়েছিলেন। বিশ বছরের আগেই বিশ্বসেরা বলে বিবেচিত হয়েছিলেন। ম্যারাডোনা যোব বিশ্বকাপ জিতলেও তার নাম হয় ৮৬ তে। জিদান তো বুড়া হইয়া পাকল। ২০০৬ এও রোনাল্ডিনহোর তুলনায় মেসিকে এখনকার নেইমারের চেয়েও মলিন মনে হত। তাই বলে কি সে এখন সেরা না? নেইমারও সময়ের সাথে নিজেকে পরিণত করে তুলবে এবং সবার সামনে নিজেকে প্রমাণ করবে। সে এখন সেরা না তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই হবে। তবে নেইমার একটা জিনিস দেখিয়েছে সে বেয়াদব না। আদব তার ভালোই আছে। এই গূণটার প্রশংসা অন্তত মানুষ হয়ে মানুষের করা উচিৎ।
এইবার আসি পেলের প্রসংগে। পেলে যখন খেলতেন তখন ফুটবল খেলা ছিল সবচেয়ে বেশি সহিংস, মাঠ ছিল ঘাসহীন এবং এবড়ো থেবড়ো, বল ছিল ভারী। এই অবস্থায় এখনকার প্লেয়ারদের মত বল নিয়ে টান দিয়ে ফাস্ট ফুটবল খেলা সম্ভব হতনা। তবে এর পরও চার পাচ জনকে কাটিয়ে অনেক গোল হ্যা মেসি মেরাডোনার চেয়েও বেশী করার রেকর্ড পেলের আছে। পেলে ব্রাজিলিয়ান টিমগুলোর চেয়েও সফল ছিলেন তার ইুরোপিয়ান ক্লাব রাইভালদের বিপক্ষে খেলায়। পরিসংখ্যান সেটাই সাক্ষ্য দেয়। আর তার খেলা ছিল নিট এন্ড ক্লীন। ফাউল করা বা প্রতারণা না করে নিত্য নতুন কৌশল প্রয়োগ করে অসম্ভব গোল করাই ছিল পেলের খেলার মৌল উদ্দেশ্য। এখন পর্যন্ত কোন প্লেয়ারের নেয়া সবচেয়ে চমকপ্রদ ট্রিকটাই পেলের। নিচে ইউটিউব ভিডিওটার লিংক দিলাম। একবার দেখে বলুন এই প্লেয়ার ভুয়া ছিল।
মৃগয়া বলেছেন: আপনি নিশ্চয় জানেনে খোদ পেলের দেশের লোকেরাই পেলে থেকে গারিন্চার বেশি ভক্ত।
এইটা হইল দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রোপাগান্ডার মধ্যে একটা। বিশ্বে ভারতের সাথে যে দেশের মানুষ ব্যাক্তি পূজার জন্য সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত, পাকিদের মত যারা যেন তেন কাজের মাধ্যমে জিততে যাদের ন্যুনতম বিবেকে বাধেনা সেই দেশের মত ব্রাজিলিয়ানরা ব্যাক্তি বন্দনায় মাতেনা বা খেলার সত্যিকার স্পিরিট শুধু জিতলে চলবেনা জিততে হবে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন খেলা খেলে এই এ্যটিচ্যুডের কারণে যদি কেউ বলে যে একটা পারভার্ট, মাতাল, মিথ্যুক, জোচ্চর, মাদকসেবীর জন্য আর্জেন্টিনায় যেই মাতম হয় সেই একই মাতম কেন ব্রাজিলে হয়না তাদের সেরা প্লেয়ারকে নিয়ে? তাহলে কি ব্রাজিলে কোনকালে কেউ সেরা ছিলনা? তাহলে প্লীজ মুখে কুলুপ এটে থাকেন। বাঙ্গালী পারেও ভাই পরের বন্দনা করতে। আনলাইক ভারত, পাকিস্থান আর আর্জেন্টিনার থেকে ব্যাতিক্রম এই জাতির জন্মই হয়েছে অন্য দেশের সেরা মানুষদের চামচামি করার জন্য। আমিও অবশ্য পেলের গূণ গাইলাম তবে আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের মত বা ভারত-পাকিস্থানের কৃকেট ভক্তদের মত একপেশে আলোচনায় বিরক্ত হয়েই এইসব বলছি। আমার ব্যাক্তিগত মত পেলে, পুসকাস, মেরাডোনা, ক্রুয়েফ(রিয়াল বস প্লেয়ার ক্রুইফ টার্ন টেকনিকের জনক, মেরাডোনা জিদানের ড্রিবলিংয়ের আসল শিক্ষক), প্লাতিনি, জিদান, ডি স্টেফানো(রিয়াল আর্জেন্টাইন বস), রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো( সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত খেলোয়াড় ফুটবল ইতিহাসের, মিডাস টাচ শুধু এর দ্বারাই সম্ভব), মেসি এরা সবাই গ্রেট। এদের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম। কোয়ালিটির সামান্য পার্থক্য, দলীয় শক্তির ব্যাবধান, লাক, সমর্থকদের সংখ্যা এদেরকে একজন আরেকজনের চেয়ে উপরে তুলে নিয়েছে হয়ত কিন্তু এদের ট্যালেন্ট প্রায় সমপর্যায়েরই। প্লেয়ারদের খেলার ট্যাকটিক্সের চুলচেরা বিশ্লেষন করলেই বুঝা যাবে। আর গ্রেট অবশ্যই কাল নিরেপেক্ষ। জয় করার ক্ষুধাই তাকে সেরা আসনে বসায়। আলেক্জান্ডার যদি আজকের দুনিয়ায় মোটামুটি একটা শক্তিশালী দেশের শাসন ক্ষমতায় বসানো হত তাহলে হয়তবা দেখা যেত তার সবকিছু জয় করার ইচ্ছাই তাকে হয়ত আমেরিকার প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিত। প্রমাণ প্রায় সেইম মানসিকতার হিটলারের অল্প সময়ে জার্মানীকে বিশ্বের সেরা সামরিক জাতিতে পরিণত করার প্রায় সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে। যুদ্ধ তো একজনের উপর নির্ভর করেনা কোটি কোটি মানুষের উপর নির্ভর করে। তাতেই যদি হিটলার আলেক্জান্ডারের মত কান্ড প্রায় ঘটিয়ে ফেলতে পারে তাহলে কম প্লেয়ারের উপর নির্ভরশীল খেলা যেখানে অনকে সময় ব্যাক্তি নৈপুণ্যই খেলার নিয়ামক হয় তাহলে কেন পেলে, পুসকাস, ডিস্টেফানোরা বর্তমান দুনিয়ার ফুটবলের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেনা?
১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৪
সুবাইল বলেছেন: এখন ও তুলনার কিছু পাই নাই। নেইমারের অনেক কিছু প্রমান বাকি। মেসি এ সময়ের সেরা খেলোয়াড়।
আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার না।
১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৫
আইনউদদীন বলেছেন: ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনি আর যাই করেন না কেন একটা জিনিস কখনো কইরেননা। সেইটা হইল কোন আর্জেন্টিনার সাপোর্টারের সাথে তর্কে নাইমেনা। এরা দেখবেন ঝোল পাতে তুইলা খাওয়ার আগেই বইয়া থাকব, কেমনে পারবেন আপনে? আমার তো ভয় হয় কবে আবার এরা ঘোষণা দেয় আর্জেন্টিনা সাপোর্ট না করলে সে রাজাকার - দিতেই পারে। এদের দ্বারা বিশ্বাস নাই।
১৯ বছরের একটা তরুনের কাছ থিকা যদি ২৫ বছরের এক দামড়ার মত খেলা আশা করা বিগ্য মানুষদের বিবেচনাবোধ অত্যন্ত চমকপ্রদ এবং বিস্ময়কর। ইতিহাসে এত অল্প বয়সেই হইচই ফেলে দেওয়া প্লেয়ার ছিলেন কেবল পেলে এবং রোনাল্ডো। এরাই কেবল ১৭/১৮ বছরে সবার কাছ থেকে সেরা উপাধি পেয়েছিলেন। বিশ বছরের আগেই বিশ্বসেরা বলে বিবেচিত হয়েছিলেন। ম্যারাডোনা যোব বিশ্বকাপ জিতলেও তার নাম হয় ৮৬ তে। জিদান তো বুড়া হইয়া পাকল। ২০০৬ এও রোনাল্ডিনহোর তুলনায় মেসিকে এখনকার নেইমারের চেয়েও মলিন মনে হত। তাই বলে কি সে এখন সেরা না? নেইমারও সময়ের সাথে নিজেকে পরিণত করে তুলবে এবং সবার সামনে নিজেকে প্রমাণ করবে। সে এখন সেরা না তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই হবে। তবে নেইমার একটা জিনিস দেখিয়েছে সে বেয়াদব না। আদব তার ভালোই আছে। এই গূণটার প্রশংসা অন্তত মানুষ হয়ে মানুষের করা উচিৎ।
এইবার আসি পেলের প্রসংগে। পেলে যখন খেলতেন তখন ফুটবল খেলা ছিল সবচেয়ে বেশি সহিংস, মাঠ ছিল ঘাসহীন এবং এবড়ো থেবড়ো, বল ছিল ভারী। এই অবস্থায় এখনকার প্লেয়ারদের মত বল নিয়ে টান দিয়ে ফাস্ট ফুটবল খেলা সম্ভব হতনা। তবে এর পরও চার পাচ জনকে কাটিয়ে অনেক গোল হ্যা মেসি মেরাডোনার চেয়েও বেশী করার রেকর্ড পেলের আছে। পেলে ব্রাজিলিয়ান টিমগুলোর চেয়েও সফল ছিলেন তার ইুরোপিয়ান ক্লাব রাইভালদের বিপক্ষে খেলায়। পরিসংখ্যান সেটাই সাক্ষ্য দেয়। আর তার খেলা ছিল নিট এন্ড ক্লীন। ফাউল করা বা প্রতারণা না করে নিত্য নতুন কৌশল প্রয়োগ করে অসম্ভব গোল করাই ছিল পেলের খেলার মৌল উদ্দেশ্য। এখন পর্যন্ত কোন প্লেয়ারের নেয়া সবচেয়ে চমকপ্রদ ট্রিকটাই পেলের। নিচে ইউটিউব ভিডিওটার লিংক দিলাম। একবার দেখে বলুন এই প্লেয়ার ভুয়া ছিল।
মৃগয়া বলেছেন: আপনি নিশ্চয় জানেনে খোদ পেলের দেশের লোকেরাই পেলে থেকে গারিন্চার বেশি ভক্ত।
এইটা হইল দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রোপাগান্ডার মধ্যে একটা। বিশ্বে ভারতের সাথে যে দেশের মানুষ ব্যাক্তি পূজার জন্য সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত, পাকিদের মত যারা যেন তেন কাজের মাধ্যমে জিততে যাদের ন্যুনতম বিবেকে বাধেনা সেই দেশের মত ব্রাজিলিয়ানরা ব্যাক্তি বন্দনায় মাতেনা বা খেলার সত্যিকার স্পিরিট শুধু জিতলে চলবেনা জিততে হবে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন খেলা খেলে এই এ্যটিচ্যুডের কারণে যদি কেউ বলে যে একটা পারভার্ট, মাতাল, মিথ্যুক, জোচ্চর, মাদকসেবীর জন্য আর্জেন্টিনায় যেই মাতম হয় সেই একই মাতম কেন ব্রাজিলে হয়না তাদের সেরা প্লেয়ারকে নিয়ে? তাহলে কি ব্রাজিলে কোনকালে কেউ সেরা ছিলনা? তাহলে প্লীজ মুখে কুলুপ এটে থাকেন। বাঙ্গালী পারেও ভাই পরের বন্দনা করতে। আনলাইক ভারত, পাকিস্থান আর আর্জেন্টিনার থেকে ব্যাতিক্রম এই জাতির জন্মই হয়েছে অন্য দেশের সেরা মানুষদের চামচামি করার জন্য। আমিও অবশ্য পেলের গূণ গাইলাম তবে আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের মত বা ভারত-পাকিস্থানের কৃকেট ভক্তদের মত একপেশে আলোচনায় বিরক্ত হয়েই এইসব বলছি। আমার ব্যাক্তিগত মত পেলে, পুসকাস, মেরাডোনা, ক্রুয়েফ(রিয়াল বস প্লেয়ার ক্রুইফ টার্ন টেকনিকের জনক, মেরাডোনা জিদানের ড্রিবলিংয়ের আসল শিক্ষক), প্লাতিনি, জিদান, ডি স্টেফানো(রিয়াল আর্জেন্টাইন বস), রোনাল্ডো, রোনাল্ডিনহো( সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত খেলোয়াড় ফুটবল ইতিহাসের, মিডাস টাচ শুধু এর দ্বারাই সম্ভব), মেসি এরা সবাই গ্রেট। এদের মধ্যে পার্থক্য খুবই কম। কোয়ালিটির সামান্য পার্থক্য, দলীয় শক্তির ব্যাবধান, লাক, সমর্থকদের সংখ্যা এদেরকে একজন আরেকজনের চেয়ে উপরে তুলে নিয়েছে হয়ত কিন্তু এদের ট্যালেন্ট প্রায় সমপর্যায়েরই। প্লেয়ারদের খেলার ট্যাকটিক্সের চুলচেরা বিশ্লেষন করলেই বুঝা যাবে। আর গ্রেট অবশ্যই কাল নিরেপেক্ষ। জয় করার ক্ষুধাই তাকে সেরা আসনে বসায়। আলেক্জান্ডার যদি আজকের দুনিয়ায় মোটামুটি একটা শক্তিশালী দেশের শাসন ক্ষমতায় বসানো হত তাহলে হয়তবা দেখা যেত তার সবকিছু জয় করার ইচ্ছাই তাকে হয়ত আমেরিকার প্রতিপক্ষ বানিয়ে দিত। প্রমাণ প্রায় সেইম মানসিকতার হিটলারের অল্প সময়ে জার্মানীকে বিশ্বের সেরা সামরিক জাতিতে পরিণত করার প্রায় সাম্প্রতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে। যুদ্ধ তো একজনের উপর নির্ভর করেনা কোটি কোটি মানুষের উপর নির্ভর করে। তাতেই যদি হিটলার আলেক্জান্ডারের মত কান্ড প্রায় ঘটিয়ে ফেলতে পারে তাহলে কম প্লেয়ারের উপর নির্ভরশীল খেলা যেখানে অনকে সময় ব্যাক্তি নৈপুণ্যই খেলার নিয়ামক হয় তাহলে কেন পেলে, পুসকাস, ডিস্টেফানোরা বর্তমান দুনিয়ার ফুটবলের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেনা?
> ওবায়েদুল আকবর এই কমেন্টে ভয়াবহ লাইক ।
>> ভাই আপনি এটাই একটা পোস্ট দিতে পারেন । ভেবে দেখবেন কি
১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০
সুবিদ্ বলেছেন: পেলে একজন ফুটবল গ্রেট কিন্তু তার চেয়েও ফানি একটা লোক
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১
আকতারুজ্জামান বলেছেন: মেসি আর নেইমারের তুলনা করা এক প্রকার অযুক্তি। কারণ মেসির পায়ের কাছেও নেইমার জেতে পারেনি। তারপর আবার তার সাথে কিসের তুলনা।