নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"মা হওয়ার জন্য বাবা জরুরী নয়, আরো নির্দিষ্ট করে বললে সন্তান জন্মদানের জন্য পুরুষের প্রয়োজন নেই।" যারা এই কথা বলে বা এমনটা ভাবে তাদের সে ভাবনা কতটা যৌক্তিক বা বৈজ্ঞানিক সেটাই একটু খতিয়ে দেখা যাক।
পুরুষ এবং নারী উভয়েই একদম প্রাথমিক অবস্থায় শুক্রাণু রূপে পুরুষের মধ্যে বা পুরুষের বীর্যে উৎপত্তি লাভ করে। অর্থাৎ মানুষের প্রাথমিক অবস্থার নাম শুক্রাণু। পুরুষের প্রতি মিলিলিটার বীর্যে গড়ে দেড় কোটির মতো শুক্রাণু থাকে, এবং প্রতিবার বীর্যপাতে গড়ে ৩.৪ থেকে ৪.৯৯ মিলিলিটার বীর্য নির্গত হয়। তারমানে একজন পুরুষ প্রতিবার বীর্যপাতে ৫.১ থেকে ৭.৪৮৫ কোটি শুক্রাণু নির্গত করে। অর্থাৎ প্রতিবার বীর্যপাতে পুরুষের দেহ হতে যে পরিমান শুক্রাণু নির্গত হয় তার সব যদি টিকে যেত তবে একবার বীর্যেপাতে ৫ থেকে ৭ কোটির বেশি মানুষ জন্মগ্রহণ করতো, যা পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যারও অনেক বেশি।
কিন্তু কথা হচ্ছে এই শুক্রাণু মানুষ হওয়ার পরবর্তী ধাপে ততক্ষণ পর্যন্ত যেতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন ডিম্বাণুতে নিষিক্ত হয়। আবার এই ডিম্বাণুর অবস্থান নারী দেহে, সুতরাং শুক্রাণুকে পরবর্তী ধাপে ডেভেলপমেন্টর জন্য নারী দেহে প্রবেশ করতে হবে। ডিম্বাণুতে নিষিক্ত হওযার পর শুক্রাণু রুপান্তরিত হয়ে ভ্রুণ হয়। পুরুষ কোটি কোটি শুক্রাণু ছাড়লেও নারী দেহ কোটি কোটি ডিম্বাণু ছাড়ে না, সে সাধারণত একই সময়ে মাত্র একটি ডিম্বাণুই ছাড়ে। ফলে পুরুষ দেহ থেকে কোটি কোটি শুক্রাণু নারী দেহে প্রবেশ করলেও নারীদেহ যেহেতু একটি ডিম্বাণু দেয়, তাই কেবল মাত্র একটি শুক্রাণুই ডিম্বাণুতে নিষিক্ত হতে পারে। আপনি আমি আমাদের পিতার দেহ হতে নির্গত কোটি কোটি শুক্রাণুর মধ্য একমাত্র শুক্রাণু যে মায়ের দেহে থেকে বের হওয়া ডিম্বাণুতে নিষিক্ত হতে পেরেছি।
জমজ বাচ্চা ক্ষেত্রে যেটা হয় সেটা হচ্ছে, কখনো কখনো একই সময়ে নারী দেহ হতে একাধিক ডিম্বাণু চলে আসে, আর পুরুষ দেহ যেহেতু কোটি কোটি শুক্রাণু নির্গত করে, তাই একাধিক ডিম্বাণু এলেও কোন না কোন শুক্রাণু তার মধ্যে নিষিক্ত হয়ে যায়। আমি একবার একই সাথে এক নারীর চার সন্তান প্রসবের খবর পেয়েছি। অর্থাৎ তার ক্ষেত্রে একই সময়ে চারটি ডিম্বাণু চলে এসেছিল। তবে এসব ব্যতিক্রম, ব্যতিক্রম কখনো সাধারণ নয়।
এবার আসা যাক কৃত্রিমভাবে বাচ্চা জন্মদানের বিষয়ে। সহজভাবে বললে, স্বামী স্ত্রী পরস্পর আনন্দানুভূতির মাধ্যমে যে কাজটি করে, সেই একই কাজ ল্যাবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থ খরচ করে করা হয়। অর্থাৎ পুরুষের কাছ থেকে শুক্রাণু এবং নারীর কাছ থেকে ডিম্বাণু নিয়ে ল্যাবে যান্ত্রিকভাবে ডিম্বাণুর মধ্যে শুক্রাণু নিষিক্ত করা হয়, তারপর ঐ অবস্থায় তা আবার নারী দেহে, অর্থাৎ নারীর জরায়ুতে স্থাপন করা হয়।
পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোতে অনেক নারী নিজেদের ক্যরিয়ারকে প্রধান্য দিয়ে নিজ সন্তান নিজের গর্ভে ধারন না করিয়ে গর্ভ ভাড়া নেয়ার মাধ্যমে অন্যের গর্ভে ধারন করায়। এক্ষেত্রে উক্ত নারীরা স্বামীর নিকট হতে শুক্রাণু নিয়ে এবং নিজের ডিম্বাণু প্রদান করে ল্যাবে উক্ত ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু নিষিক্ত করিয়ে অন্য কোন নারীর জরায়ুতে স্থাপন করে দেয়। নিজ গর্ভে ধারন করলেও ডিম্বাণু অন্য নারীর হওয়ায় উক্ত নারী ঐ সন্তানের মা হয় না। গর্ভ ভাড়া দেওয়া এমন নারীদের সাগরেট মা বলা হয়।
যেভাবেই বাচ্চা উৎপাদন করা হোক, পুরুষ এবং নারী উভয়কেই লাগবে। যেকোনো সোর্স থেকে দুই:এক:চার অনুপাতে হাইড্রোজেন, সালফার এবং অক্সিজেন পরমাণু মিশিয়ে যেমন সালফিউরিক এসিড তৈরি করা যায়, একই ভাবে পুরুষ ছাড়া যদি অন্যকোনো সোর্স হতে উপাদান নিয়ে কৃত্রিমভাবে শুক্রাণু তৈরি করে তা নারী ডিম্বাণুতে বসিয়ে সন্তান জন্ম দেয়া যেত তবেই বলা যেত মা হওয়ার জন্য বাবা অর্থাৎ পুরুষ জরুরী নয়।
যদিও বিজ্ঞানীরা ল্যাবে ইঁদুরের শুক্রাণু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, তবে উপাদান ইঁদুরের দেহ থেকেই নেয়া হয়েছে, বাহিরে থেকে নয়। অর্থাৎ যেই ইঁদুরের দেহ থেকে উপাদান নেয়া হয়েছে সেই ইঁদুরই হবে উৎপাদিত শুক্রাণু এবং ইঁদুরের বাবা।
একই ভাবে নারীদেহ ছাড়া ডিম্বাণুও কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা যায় না।
সুতরাং যে বা যারা বলে, মা হওয়ার জন্য বাবার প্রয়োজন নেই, কিংবা কেউ যদি এও বলে, বাবা হওয়ার জন্য মায়ের প্রয়োজন নেই, তবে সেটা তাদের অজ্ঞতা।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
বেঝা যাচ্ছে আপনি পুরো লেখা না পড়েই মন্তব্য করেছেন।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫
কামাল৮০ বলেছেন: খৃষ্টান এবং মোসলমানরা বিশ্বাস করে মেরী পুরুষ ছাড়াই মা হয়ে ছিলো।হিন্দুদের তো ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে।ধর্মে সবই সম্ভব।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
বৈজ্ঞানিকরা ল্যাবে এই মহাবিশ্বের মতো দ্বিতীয় কোনো মহাবিশ্ব তৈরি করতে পারে না, তার মানে কি মহাবিশ্ব বলতে কিছুই নাই?
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩
আরোগ্য বলেছেন: মানুষ অজ্ঞতাবশতঃ কত কি যে বলে। সামনে আর কি দিন আসবে আল্লাহ ভালো জানেন। সভ্যতার মুখোশ পড়ে কত অসভ্যতাই না চলে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৩
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
হ্যা
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হযরত ঈসা (আ: ) যখন বাবা ব্যতিত হয়েছেন, নিশ্চয় কোটী কোটী মানুষ বাবা ব্যতিত জন্ম নিয়েছেন; সবাই ঈসা নবী না হওয়াতে আমরা তাদের কথা জানতে চাহিনি। আমার জন্ম কিভাবে হয়েছিলো, আপনি জানেন? নাকি আপনিও?
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের আগাগোড়া কিছুই বুঝলাম না
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মানব জন্ম , বগশগতির ধারন-বাহন এবং জৈবিকভাবে ভাবে নারী-পুরুষ একে ছাড়া অন্যে চলতে পারেনা তবে অর্থনৈতিক ভাবে কিছুটা সময় হয়ত সম্ভব ।
তবে যেভাবেই বলুক না কেন মা হওয়ার জন্য নারীকে পুরুষের প্রয়োজন আছে - থাকবে। পুরুষকে বাদ দিয়ে (যৌনসহবাস না করলেও পুরুষের শারীরিক উপাদান/ বীর্য লাগবেই ) কোন নারীর মা হতে পারা আদৌ সম্ভব নয়।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
জ্বি ঠিক
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জ্যোতি তো বলেনি পুরুষ ছাড়া বাচ্চা হওয়া সম্ভব। পরিচয় বুঝিয়েছে হয়ত।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৬
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
বুঝলাম। কিন্তু কদমে কদমে বাবার পরিচয় লাগবে, তখন কী করবে?
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রাকৃতিক শৃঙ্খ্লার বিরুদ্ধাচরণ করা ভালো ফল দেয় না।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৭
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এটাা আমিও মানি
৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩০
নতুন বলেছেন: ক্লনিং এ সম্ভবত মায়ের কোষ থেকেই নারী সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।
আর কুমারী মাতা মেরী সহ অনেক কুমারী মাতাই তো বিভিন্ন ধর্মে মেনে নেওয়া হয়েছে।
আর এখানে ভালো পুরুষ সঙ্গী না পেলে অন্য কোন ভাবে মা হয়ে মাতৃত্বের স্বাদ পুরুনের কথা বলেছেন উনি।
আগের দিনের মতন এখন নারীদের দাসীর মতন ভাবা ঠিক না,
নারীকে যখন পুরুষ নিজের সমান বলে মেনে নেবে তখন এমন কথা নারী বলবে না।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
কিছুদিন আগে আড্ডা দেয়ার সময় একজন বেবিকেয়ারে তার একদিনের ইন্টার্নির অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিল। তার ঐ একদিনের অভিজ্ঞতা শুনেই আমি অবাক! আট মাসের বাচ্চাকে বেবিকেয়ারে রেখে বাবা-মা যে'যার কাজে চলে যাচ্ছে, কত ভয়ংকর কথা!
যাবেই'বা-না কেন। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে নিজের অজান্তেই তো মানুষ সার্বজনীন ভাবে পশ্চিমা পুঁজিবাদী ধর্মকে গ্রহন করে নিচ্ছে, যার কলেমা হচ্ছে "মানি ইজ সেকেন্ডে গড" ['সেকেন্ড' শব্দটা না থাকলে একেশ্বরবাদীরা গ্রহণ করতো না তাই টেকনিক করে 'সেকেন্ড' শব্দটা প্রবেশ করানো হয়েছে ]
তাই মানুষ আজ অর্থের আরাধনায় মত্ত। মানুষের মর্যাদা নির্ধারণ করা হয় অর্থে। মানুষকে কেনা যায় অর্থে। কিসের ঘর, কিসের সংসার, কিসের পরিবার।
অথচ সুন্দর সমাজের জন্য প্রয়োজন সুন্দর পরিবার। সুন্দর পরিবারের জন্য চাই সুন্দর মানুষ। মানুষের সৌন্দর্য থাকে তার মনে, তার চিন্তায়। ঘুরেফিরে আমাদের চিন্তাগুলো রসুনের মতো অর্থের মধ্যে এসেই মিলিত হয়৷ তাই সরাসরি কর্মের মানদণ্ডে মানুষের মর্যাদা নির্ধারণ করা হয় না। অর্থের মানদণ্ডে কর্মের মর্যাদা নির্ধারণ করার পর কর্মের মানদণ্ডে মানুষের মর্যাদা নির্ধারণ করা হয়। গৃহস্থালি কাজে যেহেতু অর্থ নেই, তাই তাতে মর্যাদাও দেয়ার হয় না।
অথচ অবস্থা ও উপযোগিতা অনুসারে দুনিয়ার দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নারী-পুরুষে উভয়েই সমান অংশীদার। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগের পিথাগোরীয় সমাজ তা বুঝলেও একবিংশ শতাব্দীর উন্নত মানুষেরা বোঝে না। পিথাগোরীয় সমাজে নারীর গৃহস্থালি কাজকে পুরুষের বাহিরের কাজের মতো সমানভাবে মর্যাদা দেয়া হত। পিথাগোরীয় সময়ে নীতিবিদ্যার মাধ্যমে সমাজের ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করা হত। পুরুষের বহির্মুখী কাজ এবং নারীর গার্হস্থ্য কর্মের সমমর্যাদা পিথাগোরীয় নীতিবিদ্যারই অংশ ছিল।
নারী কি চায়? নারী চায় একটি ঘর, যেটাকে সে সুন্দর এবং মনের মতো করে সাজাবে। আল্লাহ সেভাবেই নারী হৃদয়কে সৃষ্টি করছেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার নারীর প্রথম পরিচয় সে মানুষ, তারপর নারী। আর মানুষ চায় সম্মান, চায় মর্যাদা। গৃহস্থালি কর্মে যেহেতু অর্থ নেই এবং অর্থই যখন মর্যাদা পরিমাপের স্কেল, তখন মানুষ হিসেবে কাঙ্খিত মর্যাদা অর্জনে নারীকে অর্থের পেছনেই ছুটতে হয়। ফলে ধ্বংস হয় পরিবার। সন্তান বঞ্চিত হয় মায়ের বুকের দুধ থেকে, ভালোবাসা থেকে।
মানুষের জীবনে অর্থ এবং ভালোবাসা দুটোই প্রয়োজন রয়েছে। অর্থ মানুষের বাহ্যিক চাহিদা পূর্ণ করে, পরিবার মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়। ভালোবাসা মানুষের আত্মাকে তৃপ্ত করে। ভালোবাসাহীন মানুষ কতটা অসহায় তা কদিন আগেই মুহসিন খানের আত্মহত্যা থেকেই উপলব্ধি করা যায়। এত অর্থ সম্পদ তার ভালোবাসার অভাব দূর করতে পারেনি।
আল্লাহ বলেন-
তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সংগিনীদেরকে যেন তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন (সূরা রূম: ২১)
তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তা থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন। যাতে সে তার নিকট শান্তি পায়। (সূরা আরাফ: ১৮৯)
কিন্তু অর্থের মোহে আমরা যখন পরিবারকে ধ্বংস করে দিচ্ছি, তখন তৈরি হচ্ছে ভালোবাসার শূন্যতা। সৃষ্টিকর্তা নারী-পুরুষকে সৃষ্টি করে এমন একটা বিধান দিয়েছেন যেখানে সবকিছুর ভারসাম্য বজায় থাকে। মানুষ তা উপলব্ধি করে না, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যেমন; সামর্থ্য অনুযায়ী স্ত্রী এবং সন্তানের ভরনপোষণের দায়িত্ব ইসলাম পুরুষকে দিয়েছে । (সূরা আল-বাকারা:২৩৩, সূরা আত-তালাক: ৬, সুনানে আবূ দাউদ:২১৪২)। বিদায় হজ্জের ভাষণ পড়ুন, সেখানে রাসূল (সঃ) স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের নিকট আল্লাহর আমানত।
আবার নারীদের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে -
তোমরা ঘরে অবস্থান করো এবং জাহেলি যুগের মতো নিজেদের প্রদর্শন করো না। (সুরা আহজাব: ৩৩)
আবার নারী-পুরুষ দু'জনকে দু’ধরনের দায়িত্ব দিয়ে বলে দেয়া হয়েছে একজন অপরজনের আবরণ সরূপ ( সূরা আল-বাকারা:১৮৭)। অর্থাৎ একে অন্যের নিরাপত্তা দেবে, সুখে অসুখে পরস্পরের পাশে থাকবে, সেবা করবে।
নারীর দায়িত্ব নেয়ার মতো কেউ না থাকলে সে আর্থিক প্রয়োজনে কর্ম করতেই পারে। কিন্তু সমাজ যখন নারীর গৃহস্থালি কাজকে মর্যাদা দেয় না তখন পশ্চিমা পুঁজিবাদীরা মার্কেটিং করে, উপার্জন নারীর মর্যাদা, এবং নারীও সেই মর্যাদার পেছনে ছোটে।
সুতরাং সমাজের চিন্তায় পরিবর্তন দরকার। উপযোগ অনুযায়ী গৃহস্থালি কাজ এবং অর্থ উপার্জন কোনাটাই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সৃষ্টির উপর স্রষ্টার বিধান প্রকৃত ভাবে মেনে চলা দরকার, তবেই পৃথিবী সুন্দর হয়। গভীর ভাবে পাঠ করতে পারলেই স্রষ্টার এই ব্যলেন্সিং বিষয়টা উপলব্ধি করা সম্ভব।
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১১
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন । সাগরেট মাদারদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই, পুরুষ ও নারী ছাড়া সন্তানের জন্মদান কোনক্রমেই সম্ভবপর নহে । তবে, ধর্ম বা সামাজিক ইস্যুতে পুরুষের তুলনায় মা'কেই তীক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয় । ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটির জন্য ।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪২
নিমো বলেছেন: ভাইজান, আদম ও হাওয়ার আব্বাজানটা কেঠা ?
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
মহাবিশ্ব তো বিজ্ঞানীরা বানায় নি, তাইলে মহাবিশ্ব বানাইলো কিডা?
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
মহাবিশ্ব তো বিজ্ঞানীরা বানায় নি, তাইলে মহাবিশ্ব বানাইলো কিডা?
১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫০
কামাল৮০ বলেছেন: নারী কি চায় সেটা আপনি নারীর চেয়ে ভালো জানেন।দুটি অভিজ্ঞতাই আপনার আছে দেখে আনন্দিত হলাম।এমন সৌভাগ্য অনেকের হয় না।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
একবার এক জুমে হওয়া এক কোর্সের ক্লাসে স্যার মেয়েদের প্রশ্ন করেছিল, মেয়েরা কী কবিতার লাইন হতে চায়, নাকি কবিতার লিখতে চায়? মেয়েরা উত্তর দিয়েছিল কবিতার লাইন হতে চায়। সেখানে প্রায় ৬০ জনের মতো মেয়ে ছিলো। রাবি'তে আইন বিভাগে পড়া এক মেয়ে তো ডায়রেক্ট বলেছিল, তার হাসবেন্ডের উপার্জনে যদি সব ঠিকঠাক মতো চলে তবে সে গৃহীনিই হতে চায়, তখন অনেক মেয়ে তার কথায় সমর্থনও করেছিল। আসলে পড়াশুনা করে গৃহীনি হতে চায়, এমনটা বললে মাইনষে কি বলবে এই লজ্জায় অনেক মেয়েই এই কথাটা সরাসরি বলতে চায় না। এরপর আবার গৃহিনী হলে পুরুষের কাছ থেকে খোটা শুনতে হয় সেটা তো আছেই। মূলত এ কারণেই অধিকাংশ মেয়ে নিরেট গৃহিণী থাকতে চায় না।
১২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
কামাল৮০ বলেছেন: মহাবিশ্ব যে বানাইলো তারে বানাইলো কিডা?
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
রোবোট মানুষের সৃষ্টি, সে ততটুকুই জানতে, করতে, এব্ং বুঝতে পারবে যতটুকু মানুষ তার মধ্যে প্রগ্রাম করে দেবে। সে যদি মানুষকেও তার মতো মনে করে তবে কী করে হবে। মানুষ খায়, টয়লেটে যায়, ঘুমায়। রোবটের এসব কিছুই করতে হয় না।
১৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৪
নিমো বলেছেন: সুতরাং যে বা যারা বলে, মা হওয়ার জন্য বাবার প্রয়োজন নেই, কিংবা কেউ যদি এও বলে, বাবা হওয়ার জন্য মায়ের প্রয়োজন নেই, তবে সেটা তাদের অজ্ঞতা।
অজ্ঞবাবা, ডিগবাজি না দিয়ে উত্তর দিন।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
যা বলেছি তার মধ্যে উত্তর পান নি?
১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হযরত ঈসা (আ: ) যখন বাবা ব্যতিত হয়েছেন, নিশ্চয় কোটী কোটী মানুষ বাবা ব্যতিত জন্ম নিয়েছেন; সবাই ঈসা নবী না হওয়াতে আমরা তাদের কথা জানতে চাহিনি। আমার জন্ম কিভাবে হয়েছিলো, আপনি জানেন? নাকি আপনিও?
লেখক বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের আগাগোড়া কিছুই বুঝলাম না।
নিমো বলেছেন: ভাইজান, আদম ও হাওয়ার আব্বাজানটা কেঠা ?
মহাবিশ্ব তো বিজ্ঞানীরা বানায় নি, তাইলে মহাবিশ্ব বানাইলো কিডা?
কামাল৮০ বলেছেন: নারী কি চায় সেটা আপনি নারীর চেয়ে ভালো জানেন।দুটি অভিজ্ঞতাই আপনার আছে দেখে আনন্দিত হলাম।এমন সৌভাগ্য অনেকের হয় না।
কামাল৮০ বলেছেন: মহাবিশ্ব যে বানাইলো তারে বানাইলো কিডা?
নিমো বলেছেন: সুতরাং যে বা যারা বলে, মা হওয়ার জন্য বাবার প্রয়োজন নেই, কিংবা কেউ যদি এও বলে, বাবা হওয়ার জন্য মায়ের প্রয়োজন নেই, তবে সেটা তাদের অজ্ঞতা।
অজ্ঞবাবা, ডিগবাজি না দিয়ে উত্তর দিন।
মন্তব্য গুলোর জবাব আসলে আপনার কাছে নেই। কেউ কোন টেকনোলজি বা পদ্ধতি অবলম্বন সিংগেল মাদার হতে চাইলে আপনার সমস্যা। আপনি বললেন পদে পদে বাবার পরিচয় প্রয়োজন হবে। কেন শুধু সিংগেল মাদারের পরিচয়ে একটি শিশু বড় হবে না? সমাজে সম্মানিত হবে না?
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এইসব মনব্যের জবাব অতি পুরোনো, কিন্তু আপনারা সেটা মানেন না, আপনাদের নিজ চোখে দেখানো লাগবে। তাই সেগুলো না বলে, উদাহরণ দেখিয়ে উত্তর দিয়েছি।
কেউ টেকনোলজি ব্যবহার করে পুরুষ ছাড়া মা হতে চাইলে আমার কোন সমস্যা নেই, কিন্তু এমন কোন টেকনোলজি কি আছে যেখানে পুরুষের কাছ থেকে শুক্রাণু না নিয়েই বাচ্চা জন্ম দিতে পারবে? থাকলে সেটা দেখান, আমিও দেখি।
প্লিজ দেখাবেন তিন্তু ভাগবেন না আবার।
আর পরিচয়ের কথা বলছেন? বাচ্চা স্কুলে ভর্তি করাতে জান, জাতীয় পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করাতে যান, চাকরি নিতে যান, তখনই বুঝবেন পরিচয় লাগে কিনা।
১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: বিজ্ঞান এর অজ্ঞতা যে কি ভয়াবহ অবস্হা তা আপনার মত লোকদের পোস্ট থেকেই বুঝা যায়...।
বাবা ছাড়া সম্পুর্ন ক্লোনিং করে ভেড়া, কুকুর, বিড়াল, এবং অন্যান প্রানী বানানো এখন রুটিন ভাবেই করা যায়...। প্রথম ক্লোনিং করে ভেড়া ডলিকে জন্ম (বাবা ছাড়া) দেওয়া হয় ১৯৯৬ সনে, আর সেই পথ ধরেই অন্য সব প্রানীকে বাবা ছাড়াও তৈরী করা সম্ভব হচ্ছে...।
মানুষ ক্লোন করা আইনগত ভাবে নিষিদ্ধ....
Cloning human embryos has been possible for nearly nine years (2022)
আমি নিজেই এই নিয়ে অনেক পোস্ট দিয়েছি, আমার আগের পোস্ট দেখতে পারেন। এমনকি বিজ্ঞান তিনজন মিলে বেবী জন্ম দেওয়ার ও উপায় বের করেছে (মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিজিজ এর জন্য)।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
শুধু ক্লোনিং শুনেছেন, কিন্তু ক্লোনিং করার পদ্ধতি জানেন? প্রকৃতি হতে উপাদান নিয়ে ক্লোনিং করা হয় না। মূলত প্রথমে একটি দেহকোষ ও একটি ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয়। তারপর দেহকোষ থেকে নিউক্লিয়াসটি পৃথক করা হয়, অপরদিকে ডিম্বাণুটির নিউক্লিয়াসটি ফেলে দেওয়া হয় এবং শুধু নিউক্লিয়াস বিহীন ডিম্বক কোষটি রাখা হয়। অতঃপর দেহকোষ থেকে পৃথককৃত নিউক্লিয়াসটি নিউক্লিয়াস বিহীন ডিম্বাণুতে প্রতিস্থাপন করা হয়। এরপর বৈদ্যুতিক শক প্রদানের মাধ্যমে নিষিক্ত করন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করানো হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হয় টেস্টটিউবের ভেতরে। নিষিক্ত এবং স্বাভাবিক কোষ বিভাজন শুরু হলে, স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং পূর্ণাঙ্গ প্রাণীতে পরিণত হওয়ার জন্য উক্ত ভ্রূণটি জরায়ুতে/মাতৃগর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়।
১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৬
কলাবাগান১ বলেছেন: মোরগ (মুরগী না) কে বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে ডিম দেওয়ার ব্যবস্হা করা হচ্ছে (কেননা ডিম এর ব্যবসায়, একদিন বয়সী ছেলে মোরগ গুলি কে মেরে ফেলা হয়- google Chick culling),
Read more about ZZ and ZW chromosomal sex determination in chicken. চিকেন এর দুইটা Z chromosome থাকে ছেলে চিকেন এ, তাই দুইগুন বেশী জিন এক্সপ্রেস করে মেয়ে চিকেন এর চেয়ে। বিজ্ঞানীরা যখন ছেলে চিকেন এর একটা Z chromosome কে 'বন্ধ' করে দেয়, তখন ছেলে চিকেন ডিম পাড়ার মত অর্গান ডেভেলপ করে (টেস্টিস ডেভেলপমেন্ট বন্ধ হয়ে যায়)...এখন চেস্টা চলছে তাকে ডিম পাড়ানোর।
এটা জানলে বলতেন না যে নারী দেহ ছাড়া ডিম্বানু উৎপাদন সম্ভব না.....আপনার মত মানুষ রা বিজ্ঞান এর পটেনশিয়াল বুঝার মত ক্ষমতা রাখেন না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
মুরগী কি স্তন্যপায়ী? তাছাড়া এক কথা কেন বারবার বলার পরেও তা এড়িয়ে যাচ্ছেন বাহির থেকে উপাদান নিয়ে যদি কিছু করার থাকে তবে বলেন। উপাদান তো সেই মানবদেহ হতেই নেয়া হচ্ছে। কেউ যদি বলে সে তার বডি হতে উপাদান দেবে না তখন কি পারবেন? মানুষের দেহে যেটি তৈরি হয়, দেহ থেকে উপাদান নিয়ে সেটিই বাহিরে তৈর করা হচ্ছে, এইতো! সালফিউরিক এসিড তৈরিতে উক্ত এসিড হতে উপাদান নিতে হয় না, প্রকৃতির যে কোন সোর্স হতে হাইড্রোজেন, সালফার, এবং অক্সিজেন ২:১:৪ অনুপাতে মেশালেই হয়। এমন ভাবে প্রকৃতি হতে উপাদান নিয়ে মানুষ বানানো যায়?
১৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এখানে কমেন্ট পড়ে মনে হলো কিছু কিছু মানুষ কেবল জ্যোতিকা জ্যোতির এই মত প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য ধর্মের বর্ণিত বিষয়গুলোকে মেনে নিচ্ছে । কী আশ্চর্য ! এইসব ঘটনার পেছনে তো একজন ( একমাত্র ) ঈশ্বরের ভূমিকা আছে । জ্যোতি নিজেও তো ঈশ্বরের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলছেন না । আর এই ভূমিকা ঈশ্বরের ইচ্ছার ব্যাপার । ভবিষ্যতে তেমন কিছু ঘটবে কিনা তা তিনিই ভালো জানেন ।
উগ্র নারীবাদ যে একপ্রকার অজ্ঞতা তা আর বলবার বাকী থাকে না !!
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
কিছু মানুষ এমন থাকবেই, যাই বলেন না কেন ধর্মকে টেনে আনবে। দেখলেন না কয়দিন আগে সুলতানা কামাল কি করলো! অপরাধ করেছে ছাত্রীলীগ আর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ধর্মকে খোঁচা একটা খোঁচা দিতে বাদ রাখেনি।
১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @মোহাম্মদ গোফরান ভাই । আমাদের দেশে সিংগেল মাদার কালচার প্রতিষ্ঠার আগে স্কুল থেকে শুরু করে ন্যাশনাল আইডি কার্ডেও যে পিতার ভূমিকা থাকে তাকে আইনিভাবে একটা ব্যবস্থা করতে হবে না ?
বায়োলজিক্যালি পিতা ছাড়া কোন সন্তান যে সচরাচর জন্মানো অসম্ভব তা তো কারও অজানা নয় তাই না ? সে আপনি যে পদ্ধতিতেই করুন না কেন । আর ক্লোনিং ব্যাপারটাই এখন পর্যন্ত অবৈধ যতটুকু জানি তো আর উপায় কী আছে ?
১৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৫
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:যা বলেছি তার মধ্যে উত্তর পান নি?
হা-হা হা-হা! আপনার উত্তর অনুযায়ী মহাবিশ্ব যিনি বানিয়েছেন, তিনি অবশ্যই একজন পুরুষ, নইলেতো আব্বাজান হওয়া সম্ভব না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪১
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
রোবোট মানুষের সৃষ্টি, সে ততটুকুই জানতে, করতে, এব্ং বুঝতে পারবে যতটুকু মানুষ তার মধ্যে প্রগ্রাম করে দেবে। সে যদি মানুষকেও তার মতো মনে করে তবে কী করে হবে। মানুষ খায়, টয়লেটে যায়, ঘুমায়। রোবটের এসব কিছুই করতে হয় না।
২০| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৩
কলাবাগান১ বলেছেন: তাহলে আপনিই বলুন এখানে ক্লোনিং এ বাবার কি ভুমিকা???? নিজের দেহের কোষকে ই ট্রিক করে নিষিক্তকরন করা হয়েছে, বাবার কোন দরকার হয় নাই...
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
দেখেন এভাবে সুস্থ স্বাভাবিক বাচ্চা জন্মদিতে পারে কিনা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০৩
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন: তাইলে ওয়েলকাম করবানি।
২১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪০
কলাবাগান১ বলেছেন: বাবা ছাড়া সন্তান সম্ভব হচ্ছে স্তন্যপায়ী এনিম্যালে, সেটা আপনি না বুঝলেও ধ্রুব সত্যি
২২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:১২
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অনেকদিন পর ব্লগে লগিন করেছি।
আপনার সাথে একমত।
২৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৫৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বাবা ছাড়া সন্তান সম্ভব হলেও যেহেতু তা’ আইনগত অনুমোদন পায়নি সেহেতু তা’ আলোচনায় না আসাটাই শ্রেয়।
২৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৬
নতুন বলেছেন: কিছুদিন আগে আড্ডা দেয়ার সময় একজন বেবিকেয়ারে তার একদিনের ইন্টার্নির অভিজ্ঞতা শেয়ার করছিল। তার ঐ একদিনের অভিজ্ঞতা শুনেই আমি অবাক! আট মাসের বাচ্চাকে বেবিকেয়ারে রেখে বাবা-মা যে'যার কাজে চলে যাচ্ছে, কত ভয়ংকর কথা!
যাবেই'বা-না কেন। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে নিজের অজান্তেই তো মানুষ সার্বজনীন ভাবে পশ্চিমা পুঁজিবাদী ধর্মকে গ্রহন করে নিচ্ছে, যার কলেমা হচ্ছে "মানি ইজ সেকেন্ডে গড" ['সেকেন্ড' শব্দটা না থাকলে একেশ্বরবাদীরা গ্রহণ করতো না তাই টেকনিক করে 'সেকেন্ড' শব্দটা প্রবেশ করানো হয়েছে ]
তাই মানুষ আজ অর্থের আরাধনায় মত্ত। মানুষের মর্যাদা নির্ধারণ করা হয় অর্থে। মানুষকে কেনা যায় অর্থে। কিসের ঘর, কিসের সংসার, কিসের পরিবার।
ভাই অন্য মানুষের জীবনের সংগ্রাম সম্পর্কে পুরু ধারনা না নিয়ে কোন উপসংহারে আশা ঠিক না।
কেউই কোন না কোন ভাবে বাধ্য না হলে কাজ করতে চায় না। সবারই জীবনের কিছু ঘটনা থাকে যেটা তাকে অনেক কিছুই করতে বাধ্য করে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫০
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এটা একটি উদাহরণ মাত্র, সমাজে এমন ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এটা যে কেবল পেটের দায় অভাবে পড়ে করছে তা নয়। যেসব নারীরা অর্থের অভাবে বাধ্য হয়ে উপার্জনে নামে, তাদের সামর্থ্য হয় না টাকা খরচ করে বাচ্চকে বেবিকেয়ারে রাখবে। যারা বেবি কেয়ারে রেখে বাচ্চা পালন করায়, খোঁজ নিয়ে দেখুন তারা নিতান্তই বাধ্য হয়ে কিংবা অভাবে পড়ে এটা করে না। ব্যতিক্রম থাকতে পারে, তবে অধিকাংশই সমাজ যেহেতু উপার্জনকেই সম্মানজনক ক্যারিয়ার মনে করে তাই নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্যই চাকরি করছে। এবং এটা করতে গিয়ে পরিবার সিস্টেম বিলুপ্তির দিকেই এগোচ্ছে। এর ফল ভালো হবে না, এতে হয়তো অর্থনীতিতে এগিয়ে যাওয়া যেতেও পারে আবার নাও পারে, তবে অবশ্যই কষ্ট, হাহাকার এবং একাকিত্বতার সূচকে এগিয়ে যাবে। এ দায় কেবল নারীর না, এ দায় পুরুষ এবং সমাজেরও আছে। পুরুষ এবং সমাজ গৃহিণী নারীকে মর্যাদা দেয় না। যে নারী প্লেন চালাচ্ছে, সেনা অফিসার হচ্ছে, ক্যাডার হচ্ছে, ব্যবসায়ী হচ্ছে, কেবল সেই নারীকেই মিডিয়া সফল হিসেবে প্রচার করে। ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফিসের আম্ম, সালমা আন্টি। তিনি ঢাবি থেকে পড়াশুনা শেষ করে আর চাকরিতে যাননি, নিজের মেধা এবং শ্রম দিয়ে তৈরি করেছেন একজন শাহরিয়ার নাফিসকে। সেদিন তিনি তার সংগ্রামে কথা শেয়ার করছিলেন, কিভাবে একাই সংসার সামলেছেন, বাচ্চাদেরকে নিয়ে স্কুলে ক্রিকেট একাডেমি, এখানে সেখানে দৌড়াদৌড়ি করে তাদের এভাবে তৈরি করেছে৷তার স্বামী টাকা দিয়েছে, তিনি সংসার ম্যানেজ করেছে। সংসদ ভবনের নক্সা লুই আইকানের সৃষ্টি, কেন বলতে পারি না, শাহরিয়ার নাফিস সালমা বেগমের সৃষ্টি, এজন্য কেন তাকে সফল নারী হিসেবে প্রচার করা যায় না। তিনিও তো সৃষ্টি করেছেন? তার এই সৃষ্টিকে মূল্যায়ন না করে যখন স্থাপত্যে সৃষ্টির কারণে স্থপতি মুন্নি আক্তারকে সফল হিসেবে প্রচার করা হয়, তখন তো নারী স্থাপত্যে নির্মাণের দিকেই ঝুকবে।
২৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৩
নতুন বলেছেন: এটা একটি উদাহরণ মাত্র, সমাজে এমন ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এটা যে কেবল পেটের দায় অভাবে পড়ে করছে তা নয়। যেসব নারীরা অর্থের অভাবে বাধ্য হয়ে উপার্জনে নামে, তাদের সামর্থ্য হয় না টাকা খরচ করে বাচ্চকে বেবিকেয়ারে রাখবে। যারা বেবি কেয়ারে রেখে বাচ্চা পালন করায়, খোঁজ নিয়ে দেখুন তারা নিতান্তই বাধ্য হয়ে কিংবা অভাবে পড়ে এটা করে না। ব্যতিক্রম থাকতে পারে, তবে অধিকাংশই সমাজ যেহেতু উপার্জনকেই সম্মানজনক ক্যারিয়ার মনে করে তাই নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্যই চাকরি করছে। এবং এটা করতে গিয়ে পরিবার সিস্টেম বিলুপ্তির দিকেই এগোচ্ছে। এর ফল ভালো হবে না, এতে হয়তো অর্থনীতিতে এগিয়ে যাওয়া যেতেও পারে আবার নাও পারে, তবে অবশ্যই কষ্ট, হাহাকার এবং একাকিত্বতার সূচকে এগিয়ে যাবে। এ দায় কেবল নারীর না, এ দায় পুরুষ এবং সমাজেরও আছে। পুরুষ এবং সমাজ গৃহিণী নারীকে মর্যাদা দেয় না।
এর মুলে আছে পুরুষের অবহেলা। পুরুষ মনে করে নারীকে যেহেতু সে পালন করে তাই নারী দাসীর মতন কথা শুনবে।
নারী নিজে আয় করলে তখন পুরুষের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হয় না। আগের দিনে নারীরা শিক্ষায় কম জোর ছিলো তাই তারা চাকুরী ব্যাবসা করতে ভয় পেতো এখন কেন স্বামীর করুনার উপরে নির্ভর করতে হবে?
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
এর মুলে আছে পুরুষের অবহেলা। পুরুষ মনে করে নারীকে যেহেতু সে পালন করে তাই নারী দাসীর মতন কথা শুনবে। পুরুষ হলেও, আমি নিজেও এটা মনেকরি। সে জন্যই তো বলেছি, পুরুষ এবং সমাজ গৃহিণী নারীকে মর্যাদা দেয় না
২৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: অনেক সরকারি সহায়তার পরেও ইউরোপ আমেরিকায় সিঙ্গেল মাদাহুডের পরিণতি ভালো হয় নি, ভারতবর্ষ অনেক দূরের কথা।
২৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৭
নিমো বলেছেন: @লেখক, সোজা বা সরাসরি উত্তর দিন। মহাবিশ্ব কে বানিয়েছে, রোবট কী করবে, না করবে এসব বলারতো দরকার দেখি না। উত্তর না জানলে উত্তর দেয়ার দরকার নাই।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
সবই আম্লিগ সরকার বানাইছে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
যা জানেন কিন্তু মানেন না, কেন তা জিজ্ঞেস করতে আসেন বলেন তো?
২৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৩
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:যা জানেন কিন্তু মানেন না, কেন তা জিজ্ঞেস করতে আসেন বলেন তো?
আবারও একই ত্যানাবাজি। হা-হা হা-হা! হায়রে এখানে আম্লিগ সরকারের কী কাজ? ভাইজান বহুদিন পর ব্লগে বিনোদন পেলাম। হয়রান বাবা'র পর একজনকে ব্লগ খুব মিস করছিল। সু্স্বাগতম!
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৬
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: অসম্ভব নয় , তবে পিতৃ পরিচয়ের তো দরকার আছে । বেশ্যা পল্লিতে অনেক শিশু জন্মে যাদের পিতৃ পরিচয় নেই । এ নিয়ে তাদের মাথা ব্যথাও নেই ।