নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলার প্রশাসনিক কাঠামো ব্রিটিশদের হাতে করা, সমস্যা মূলত এই ব্রিটিশ কাঠামোতে। একটা সময় বাংলা ছিল ব্রিটিশ রাজের দখলে। সে সময় সরকারি চাকুরিজীবীরা ছিল ব্রিটিশ রাজের প্রতিনিধি এবং জনগন ছিল ব্রিটিশ রাজের প্রজা। সুতরাং রাজার প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি চাকুরিজীবীরা প্রজাদের তথা সাধারণ জনতাকে স্যার কেন জাঁহাপনা সম্মোধন করতে বললেও সমস্যা ছিল না।
কিন্তু ব্রিটিশ গেল, পাকিস্তান গেল, বাংলাদেশ স্বাধীনও হলো। সংবিধানে সরকার নিজেকে প্রজাতান্ত্রিক ঘোষণা করলো, অথচ ব্রিটিশ রাজের তৈরি রাজতান্ত্রিক কাঠামোই টিকিয়ে রাখলো। ব্রিটিশ রাজ বাংলার জনগন তথা প্রজাকে শাসন-শোষণ করার জন্য যে প্রশাসনিক কাঠামা তৈরি করেছিল, সে কাঠামো বহাল রেখে আদৌ কি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব? যতদিন এ কাঠামো থাকবে ততদিন সরকার রাজা এবং জনগণ প্রজা হয়েই থাকবে। রাষ্ট্রের উপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে ব্রিটিশ কাঠামো ভেঙে ফেলা অবশ্যক।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আসলে বাস্তবে কোন সরকারই প্রজা হতে চায় না। সংবিধানে যাই থাকুক সবাই নিজেকে রাজা মনে করে, তাই কাঠামো পরিবর্তন হয় না।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
বিটপি বলেছেন: আমেরিকান কাঠামো কি আমাদের দেশের মানুষ হজম করতে পারবে? ফেডারেল স্টেট গঠন করলে কয়েক বছরের মধ্যে হানাহানি করে সব ধ্বংস হয়ে যাবে।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
সংবিধানের প্রথম অনুচ্ছেদেই বাংলাদেশকে একক রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে, সুতারং ফেডারেল হওয়ার সুযোগ নেই।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ব্রিটিশ আমলের চেয়ে এখন কি আমরা ভালো আছি?
ব্রিটিশ ভারতবর্ষে এসে উন্নয়ন কি কিছু করে নি? ওদের স্থাপনা গুলো আজও টিকে আছে। হ্যাঁ কিছু ইংরেজ খারাপ ছিলো। তাঁরা সীমাহীন অত্যাচার করেছে।
ইংরেজরা বিদ্যাসাগরকে বলেছে, দেশের লোকদের শিক্ষিত করতে হবে। ব্যবস্থা নাও।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
স্থাপনা নির্মাণই কি উন্নয়নের স্কেল? এই যে বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে এবং হচ্ছে এগুলা কি আমরা নির্মাণ করছি? না, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এগুলো আমরা সুদের টাকায় ক্রয় করেছি। ওদের নির্মিত স্থাপনাগুলো ওরা ওদের অর্থনীতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থেই নির্মাণ করেছে। হ্যাঁ আমরা সেখান থেকে উপকৃত হয়েছি বটে, তবে আমাদের উপকৃত করার জন্য ওসব নির্মাণ করা হয়নি।
তাদের দেওয়া শিক্ষা হচ্ছে সরকারি কর্মচারী হওয়ার শিক্ষা। এখনো আমাদের সেই পাপ বয়ে বেড়াতে হচ্ছে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের লক্ষ্য কি, স্বপ্ন কি? সিম্পল, একটা বিসিএস! খুব বেশি উন্নত হলে নাসা, গুগল, ফেসবুক, মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠানের চাকর হওয়া, এইতো! এমন কোন স্বপ্ন কি কেউ দেখে, দেশে এমন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে যেখানে কাজ করা বিশ্বের অন্য সকল দেশের তরুনদের স্বপ্ন হবে। দেশে এমন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবে বিশ্বের অন্য সকল দেশের তরুনদের স্বপ্ন হবে সেখানে পড়াশুনা করা।
৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: বিট্রিশদের চেয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা কি খুব উন্নত?
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
বিট্রিশদের চেয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা অনেস্ট। ব্রিটিশরা অন্যের ঘরে লুট করেছে, আমাদের রাজনীতিবিদরা সেটা তো করছে না, তারা নিজেদের ঘরে লুট করছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: বৃটিশরা দুইশ বছর থাকাতে নিয়ম কানুনগুলো আমাদের মজ্জায় গেথে গেছে।যে সরকারগুলো আসছে তাঁরাও স্বাধীন নগরিকের কি কি মানদন্ড হবে ঠিক করতে পারে নাই।স্বাধীনতার পরে ভারতে কোন ৩য় শ্রেনী নাই।আমাদের দেশে এখনো বিধ্যমান।