নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুদিন আগে আমি ভোর থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত অফিস আওয়ার চালু করার ব্যপারে লিখেছিলাম। উক্ত পোস্টে আমি বলেছিলাম-
"আমি মনে করি সূর্যোদয়ের সাথে মিল রেখে অফিস টাইম নির্ধারণ করা উচিত। কোন মাসে কখন অফিস শুরু কখন শেষ, সে অনুযায়ী একটা ক্যালেন্ডাই থাকা উচিত। সূর্যোদয়ের সময় হতে দেড় ঘন্টার মধ্যেই অফিস সময় নির্ধারণ করা, এবং দপুর আড়াইটা হতে তিনটার মধ্যে অফিস ছুটি করা দরকার। যেখানে দুপরে খাবার এবং নামাজের জন্য দুপুর ১২টা হতে ১টা পর্যন্ত একটা ব্রেক থাকবে। শীতকালে দুপুর দুইটা পর্যন্ত হবে অফিস টাইম, তখন অফিস শুরুর টাইমও এগিয়ে আনতে হবে।
এতে করে প্রত্যেকেই বিকেলের মিষ্টি সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারবে। ফলে পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। আমি সর্বদাই বলি, যে মাতা-পিতা বিকেলে তাদের সন্তানের খেলার সাথী হবে, সে সন্তান কখনো খারাপ পথে যাবে না।
ইংরেজিতে খুব জনপ্রি একটা ছড়া হচ্ছে,
Early to bed
And early to rise
Makes a man healthy
Wealthy and wise
অর্থাৎ,
সকাল সকাল ঘুমিয়ে
সকাল সকাল ওঠা
ধনে জ্ঞানে স্বাস্থ্যে
হবে সবার সেরা।
এটি কেবল ছড়া নয়, এটি ইউনিভার্সাল ট্রু। ভোরে অফিসের কথা মাথায় রেখে মানুষ তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাবে। এই একটা বিষয় পরিবর্তন করার কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। খুব ভোরে মানুষ সকালের নাস্তা করবে, বারোটা থেকে একটার মধ্যে দুপুরের খাবার খেয়ে নেবে, এবং সাতটা হতে আটটার মধ্যে রাতের খাবার সম্পন্ন করবে। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে খাবার খাওয়ার উপযুক্ত সময়। ফলে মানুষের স্বাস্থগত দিক থেকে উন্নতি ঘটবে।
আমি বিশ্বাস করি, বিষয়টি সরকারি বেসরকারি সকল পর্যায়ে চালু করা হলে জাতীয় উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।
কারণ:
১. বিকেলের মিষ্টি সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটানোর ফলে মানুষিক ভাবে স্ট্রেস মুক্ত থাকা যাবে।
২. ঘুম হচ্ছে মস্তিষ্কের বিশ্রাম। কয়েকঘন্টা বিশ্রামের পর ভোরের দিকে যখন আবারো মস্তিষ্ক কাজ শুরু করে তখন অনেকটাই ফ্রেস এবং প্রাণবন্ত থাকে, ফলে কাজের প্রতি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক মনোযোগী হওয়া সম্ভব হবে। যা কাজের গুণগত মান বৃদ্ধি করবে।
৩. ভোরের শীতল এবং সতেজ আবহাওয়ায় শরীরটাও সতেজ থাকে। ফলে শারীরিক ভাবেও অনেকটা আরামদায়ক অবস্থানে থেকে কাজ করা সম্ভব হবে।
৪. সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত কাজ, বিকেলে রিফ্রেশমেন্ট। ফলে কেবল শনি কিংবা রবিবার নয়, প্রতিটি দিনই কাজ শুরু করা যাবে নতুন উদ্যমে।" পুরো পোস্টটা এখানে ক্লিক করে পড়তে পারেন।
আপনি নাস্তিক, সেকুলার, ইসলাম বিদ্বেষী যাই হন না কেন, কোন বিষয় যদি সবদিক থেকে ইতিবাচক হয় সেটাকে সমর্থন করবেন না? সেটার পক্ষে কথা বলবেন না? আজ থেকে ৯মাস আগে আমি পোস্ট লিখেছিলাম আজ নিউজে তারই একটা বাস্তব রুপ দেখলাম, ভালো লাগলো তাই ভিডিওটা সবার সাথে শেয়ার করলাম, দেখে নিতে পারেন।
২| ১১ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
নাহল তরকারি বলেছেন: রাত তিনটা বাজে ওঠতে হবে। প্রসাব পায়খানা, দাত ব্রাশ, রেডি হওয়া সব কিছু আধা ঘন্টার মধ্যে করতে হবে। সাড়ে তিনটার মধ্যে ঘর থেকে বাহির হতে হবে। যদি এটা বলা হতো ৭টা এর মধ্যে অফিসে ঢুকতে হবে, তাহলে একটু আরাম করে অফিসে যাওয়া যেতো।
৩| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: এই বিষয়ে কি কোন গভেষণা পত্র আছে।থাকলে রেফারেন্স দিন।পরীক্ষা মুলক ভাবে একবার আমাদের দেশে চালু হয়ে ছিল।সফলতার মুখ গেখে নাই।
৪| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:০৪
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: জ্যামের কারণে এমনিতেই হাতে কয়েক ঘন্টা সময় নিয়ে বেরোতে হয় । ভোরে এত সময় নিয়ে বের হতে হবে , এটা কী ভেবে দেখেছেন !
এছাড়াও এভাবে অফিস চললে উৎপাদন ব্যবস্থাও সেই সময় থেকে শুরু করতে হবে । এমনিতেই এইদেশের শ্রমিকদের দুঃখের শেষ নেই । আরও দুঃখ চেপে যাবে । যে বিকেলের সময় নিয়ে আপনি বললেন সেই বিকেলে মোটেও শান্তিতে থাকতে পারবে না । উল্টো ক্লান্ত শরীর নিয়ে শুয়ে পড়বে সে , তাছাড়া এই বেহাল অর্থনীতিতে শ্রমিক চাইবে ওভারটাইমে শ্রম দিতে তাতে কী তার পরিবার সেই সময় পাবে ?
৫| ১২ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: যেটা সকলের জন্য ভালো সেটাই করা উচিৎ।
৬| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: কানাডায় কিছু কোম্পানির শিফট এইভাবে চলে, কিন্ত পরের শিফট তার পর থেকে শুরু। তবে flexible hour শুরু এবং শেষ ভালো প্রোডাক্টিভিটি দেয় এবং work and life ব্যালান্স ভালো হয়।
৭| ১৩ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:২৯
ধুলো মেঘ বলেছেন: এগুলো সবাই বোঝে, কিন্তু কোম্পানীর বসেরা হয় অলস প্রকৃতির। তারা অফিস টাইম দুপুর তিনটায় শুরু করবে আর রাত বারোটা পর্যন্ত অফিস করে পরদিন বেলা বারোটা পর্যন্ত ঘুমাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো আইডিয়া।