নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্দলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র সমাজ, অংশগ্রহণ করেছে বিএনপি, জামাত, হেফাজত, চরমোনাই, লেখক সমাজের একাংশ, শিল্পি সমাজের একাংশ, সাংবাদিকদের একাংশ, শিক্ষকদের একাংশ, রিক্সাওয়ালা, দিন মজুর, শ্রমিক, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, বোরকা পরা নারী, শাড়ী পরা নারী, জিন্স পরা নারী সহ আওয়ামী বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল এবং মুক্তিকামী জনতা। সুতরাং দেশটা সকলে মিলেই গড়তে হবে। অমুককে চাই না, তমুককে চাই না, এমনটা বলা মানে অন্যের অধিকার হরণ করা আওয়ামী বয়ানই আবার চালু করা। বরং আমাদের উচিত যত দ্রুত সম্ভব একটা সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করা। আপনি কাকে চান এবং কাকে চান না, সেটা না হয় ব্যালেটেই লিখে দেবেন।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: ২০১১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের জন্য বিচার চাইতে গিয়ে দেখেছি, স্যোশাল মিডিয়ায় অনেকে লাফ ঝাপ করলেও, বিচারের দাবীতে ব্যানার হাতে প্রথম কয়েকদিন দাঁড়িয়ে ছিলাম মাত্র ৩ জন! এরপর এল মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীরা কয়েকজন। কিন্তু কতজন আসার কথা ছিল, আসেনি। কত মানুষ পাশ দিয়ে হেটে চলে গেছে, তাকায়ও নাই। কত মিডিয়ার গাড়ি উকি দিয়ে চলে গেছে, পাশে দাড়ায়নি।
এভাবে কেটেছে কয়েক বছর।
এরপর সড়ক নিরাপত্তার দাবীতে ছাত্র আন্দোলন। ততদিনে পেশায় জড়িয়ে গেছি। সরাসরি থাকতে পারলাম না। কি নিপীড়নই না সহ্য করেছিল ছেলে-মেয়েগুলো।
এরপর ২০১৮ এর কোটা আন্দোলন।
আর
চুড়ান্ত বিজয় এল, ২০২৪ এ।
আমরা অনেকেই চেষ্টা করেছিলাম। নানা কারনে পারিনি। কিন্তু এরা পেরেছে। যারা রাস্তায় নামতে ভয় পেত, তাদেরকে নামিয়েছে। যারা পাশ কাটিয়ে চলে যেত, তাদের দাড় করিয়ে সাথে নিয়েছে। যে মিডিয়া উকি দিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যেত, তাদেরকে দিনের পর দিন ক্যামেরা মাইক্রোফোন হাতে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে শামিল করতে পেরেছে। এদের এই বয়েসটা আমি পার করে ফেলেছি। আমাদের জেনারেশন মাঠের কাজটা পারি নাই, এরা পেরেছে।
তাই ওদেরকে বাহবা দিতেই হবে। ধন্যবাদ দিতেই হবে।
কিন্তু ওদেরও ভুল হতে পারে, কারন অভিজ্ঞতায় ওরা এখনো পিছিয়ে। এটা ওদের অযোগ্যতা, দোষ বা দায় নয়। আমাদের ঊচিত এখন ওদের পাশে থাকা।
আমি এখন মাঠে বেশিক্ষন থাকতে পারব না বটে, পেপারওয়ার্ক, পর্যবেক্ষন, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে কাজে লাগবে এমন আইডিয়া শেয়ার করতে পারি। এটাই সবাই করেন।
অযথা কেন অনেকেই বসে বসে পেছন থেকে টানছেন?
পরাজিত স্বৈরাচারী দল কিংবা ক্ষমতার লোভে বসে থাকা প্রাক্তন চৌর্যবৃত্তির দলের কথা শোনার কোন মানে নাই। এরা সবাই একই। এরা চায় যত দ্রুত সম্ভব, "ক্ষমতা"।
এরা কেউ একবারও বলেনি জনগন যেদিন " দায়িত্ব" দিবে সেইদিন "দায়িত্ব" নেব। ঠিকমত পালন করব। এরা শুধু চায় "ক্ষমতা"। এরা শাসনের ধান্ধায় আছে, সেবার নয়।
যুগে যুগে এরাই বিপ্লব ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আমজনতার মুক্তিযুদ্ধ আওয়ামী লীগের সম্পদ হয়ে গেল! ছাত্র জনতার বিপ্লবকে এখন অমুকের ক্রেডিট, তমুকের ষড়যন্ত্র হিসেবে প্রচার করে ছিনতাইয়ের পায়তারা চলছে।
অতএব, সবাই সচেতন হোন। এই বিপ্লব জনতার থেকে বেহাত হতে দেবেন না। আর প্রতারিত হবেন না, প্লিজ।
উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিও আমাদের আহবান, আমাদের বিশ্বাস ভাঙবেন না। জনবিচ্ছিন্ন হবেন না অনুগ্রহ করে।
এর ফল কখনোই ভাল হবেনা আমাদের জন্য।
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১৮
কাঁউটাল বলেছেন: ৫ ক্লাস পাশ গায়িকাকে ম্যাডাম বলতে সমস্যা হয়নি! গ্রাজুয়েট কমপ্লিট করা ছাত্রকে উপদেষ্টা মেনে নিতে আপনার সমস্যা? মেধার মূল্যায়ন করতে শিখুন!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৩৬
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: একমত আপনার সাথে। আমাদের বর্তমান ফোকাস হইয়া উচিত আওয়ামিলীগের কৃত্কর্মের কঠিন সাজার ব্যবস্থা করা যাতে আর কোণ রাজনেৈতিক দল ভবিষ্যতে এরকম হায়েনা হবার দুঃসাহস না দেখায়। বিএনপি বা জামাতের সমালোচনা না করে তাদের দলে রাজনৈ্তিক সংস্কারের বিষয়ে কথা বলা উচিত। কারন পুনরায় আরেক দফা হাওয়া ভবন এই জাতি দেখতে চায় না।