নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বহু বছর ধরে রাজাকার, মৌলবাদী, ডান, বাম, মাদ্রাসা, সাধারণ শিক্ষা, ইংলিশ মিডিয়াম সহ নানান ভাগে বিভক্ত করে শাসক শ্রেণি এদেশের মানুষকে শোষণ করে গেছে। অর্থাৎ সেই পুরোনো ব্রিটিশ সিস্টেম, ভাগ করো শাসন করো। বাংলার মানুষকে নানান ভাগে বিভক্ত করে, একে অপরের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের ফাঁকফোকর হতে দৃষ্টি সরিয়ে রাখার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার মাদ্রাসাকে প্রচার করা হয়েছে দেশ বিরোধী হিসেবে। ২৩+৫৩= ৭৬ বছর পরেও বিশ্ব ইনডেক্সে বাংলাদেশের তলানিতে থাকার দোষ চাপানো হয়েছে দাড়ি টুপি পরা মানুষের উপর। অথচ এই মানুষগুলো ক্ষমতায় তো ছিলোই না, উপরন্তু এরা ক্ষমতার যাঁতাকলে হয়েছে নির্যাতন নিষ্পেষিত। এখানেই শেষ নয়, এই নির্যাতন নিষ্পেষনের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে দূর্নীতিগ্রস্থ ও পিছিয়ে থাকার দোষও তাদের ঘারেই চাপানো হয়েছে। শুধু তাই না, প্রচার করা হয়েছে এই মানুষগুলোকে ক্ষমতা দিলে দেশ অন্ধকারে ঢুবে যাবে। অথচ গত ২৩+৫৬ বছর তো প্যান্ট শার্ট পরা লোকেরাই ক্ষমতায় ছিল, তো তারা দেশকে কতটা আলোকিত করেছে? এরমধ্যে ২৫ বছর তো স্বাধীনতার চেতনাবাজরাই শাসন করছে। আবার তাদের এই ২৫ বছর শাসনের ১৫ বছর (৭২-৭৫ এবং ১৪-২৪) তো সংসদের শতভাগ আসন এবং ৫ বছর (০৯-১৩) সংসদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসন দখল করে রাষ্ট্র চালিয়েছে। এতো সুযোগ পেয়েও স্বাধীনতার চেতনাধারী পোগোতিশীল সেকুলার শক্তি দেশকে আলোকিত করেছে, নাকি সবগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে চোর ডাকাত দূর্নীতিবাজদের ক্ষমতা কায়েম করে দেশকে ভারতের ক্রীতদাস বানিয়েছে, সে প্রশ্ন রাখতে চাই।
যাইহোক, এগুলা নিয়ে বললে অনেক বলা যাবে, প্রশ্ন করতে থাকলে প্রশ্নের পাহাড় দাঁড়িয়ে যাবে। আমরা নতুন দিন চাই। সকলের ঐক্য চাই। ডান, বাম, মাদ্রাসা, সাধারণ শিক্ষা, ইংলিশ মিডিয়াম, পাবলিক, প্রাইভেট সহ নান বৈচিত্র্য থাকতে পারে, পরস্পরের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গড়তে পরস্পরের মধ্যে সহনশীলতা এবং একের প্রতি অপরের শ্রদ্ধা ও ঐক্যে প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। এই ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জুলাই গনপরিসরের উদ্যোগে "অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: শিক্ষা নিয়ে কিছু প্রস্তাব" শিরোনামে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ডান বাম, ইসলামপন্থী বুদ্ধিজীবি।
উক্ত সেমিনারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরাটা সময়জুড়ে ছিলাম। বাসা থেকে যখন বের হই তখন অবশ্য মনের মধ্য একটা আশংকাও ছিল যে দুই বিপরীত মেরুর লোক একই মঞ্চে, আবার কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে না যায়। তবে না, তেমন কিছুই ঘটেনি। বরং প্রত্যেকেই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে উপযোগী ইনক্লুসিভ একটি শিক্ষা ব্যাবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে মত দিয়েছে। যেখানে মেধা থাকা সত্ত্বেও মাদ্রাসা বা অন্য কোথাও পড়ার কারনে কেউ যেন শিক্ষার অধিকার হতে বঞ্চিত না হয়, এবং সকলেই যেন শিক্ষার সমান সুযোগ পায় সে বিষয়টা নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রথমে রাখাল রাহার প্রস্তাবনা পাঠের পর একে একে বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ আজম (অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাবি)। মনযূরুল হক (লেখক ও আলেম)। জিনাত আফসানা [প্রিন্সিপাল, এক্সেল একাডেমি (ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল)]। কামরুল হাসান মামুন (অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাবি)। মুসা আল হাফিজ (প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মাহাদুল ফিকরি ওয়াদ দিরাসতিল ইসলামিয়া)।
সলিমুল্লাহ খান ( অধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারাল আর্টস)।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২১
জ্যাকেল বলেছেন: এটা ভাল। সবাই এক হলে দেশ এগিয়ে যাবে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো। কারা আয়োজন করেছিল?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
জুলাই গণপনিসর নামে একটা সগঠন
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: এরা সব ধান্ধাবাজ।আপনিতো ওখানে থাকবেনই।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১৫
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
আপনাদের মতো কট্টর মৌলবাদী পোগোতিশীল সেকুলার বাঙ্গুদের কারনে দেশ আজও অন্ধকারে। এতো বছর ক্ষমতায় থেকে আপনারা মানুষের বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।
৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: এটাইতো গনতন্ত্রের সৌন্দর্য্য ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:১২
প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:
হ্যাঁ
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
ফেনা বলেছেন: সবার জন্য শুভকামনা রইল।