নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অধিকার বঞ্চিত পৃথিবীর উত্তরাধীকারি

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন

অপরিপক্ক কৃষক

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাজুল ইসলাম সাহেবের নিয়োগ (চীফ প্রসিকিউটর) নিয়ে বহু মানুষ আপত্তি করছেন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৭



এই নিয়োগের অন্তত ২ সপ্তাহ আগে কথা হচ্ছিলো হাই কোর্টের একজন আইনজীবীর সাথে। পরে আমি অন্য আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জেনেছি যে তিনি সঠিক বলেছেন। কথাগুলো জানা খুবই জরুরী। বাংলাদেশে আওয়ামী মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্ঠু বিচার করা একপ্রকার অসম্ভব। দেশে হাজার হাজার উকিল আছে কিন্তু ১০ জন ট্রায়াল লইয়ার নাই - যারা এভিডেন্সের ভিত্তিতে একটা প্রপার মামলা সাজাতে পারেন এবং আদালতে লাইভ জেরা করতে পারেন। তার চেয়েও বড় সমস্যা হোলো হাইকোর্টের বিচারপতিরা। অধিকাংশ বিচারপতি তাপসের নিয়োগ দেয়া। সত্য মিথ্যা বলতে পারবো না - অনেক প্র্যাকটিসিং লইয়ারদের মধ্যে এই ধারণা আছে যে পুরা হাইকোর্টটাই হোলো তাপসপট্টি। আপনাদের হয়তো খেয়াল আছে দেশ যখন জ্বলছিলো - ১৮ কিংবা ১৯ শে জুলাই তাপস একটা মচ্ছব অর্গানাইজ করেছিলো সোনারগাঁ বা শেরাটনে। ঐ মচ্ছবে হাই কোর্টের জাজরাও ছিলো। বাংলাদেশে প্রায় সব হাইকোর্ট জাজকে সরিয়ে যদি একটা হাইকোর্টের জাজ বাছাই করার সিস্টেম ইন্সটল না করা যায় - এই বিপ্লবের স্পিরিট ইভেনচুয়ালি মারা খাবে।

যাকগে, ট্রায়াল লইয়ার বনাম অনেক আইন জানে - এই দুইটার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। সেন্সেবল যেকোনো আইনজীবীকে জিজ্ঞেশ করে দেখতে পারেন - তাদের আসল ভয় এইসব হাজার হাজার মামলা পরিচালনা করার মতো যথেষ্ট সংখ্যক অভিজ্ঞ আইনজীবী দেশে নাই। জাস্টিস সিনহার বইটা পড়ে দেখতে পারেন। একজন জাজ যে হাজার হাজার পৃষ্ঠা রায় লিখেছে ইংরেজিতে - সে ইংরেজিতে সিম্পল একটা সেন্টেন্স লিখতে পারে না। সে একটা রচনার ফ্লো কীভাবে হয় - কীভাবে পরম্পরা হয় - এইসব সামান্য জিনিসই বোঝে না। এই অবস্থা যদি হয় প্রধান বিচারপতির - উকিলদের কী অবস্থা - আমি কল্পনা করতে পারি। যেই দেশে ১০ জন কম্পিটেন্ট ট্রায়াল লইয়ার নাই বলে প্রফেশনালরা অনুমান করেন - সেখানে তাজুল ইসলাম জামাত করেন না বিএনপি করেন - এর চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হোলো উনি কি ভালো ট্রায়াল লইয়ার কি না?

আমি ডেভিড বার্গম্যানের সাথে সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করি। জাস্ট বিকজ তাজুল ইসলাম জামায়াত করেন তাই পরিত্যাজ্য - এই কথা শুনলে গত আমলের ১টা এপয়েনমেন্টও সঠিক ছিলো না। আমি অবশ্য ওনার কাছ থেকে এই ধরনের সমালোচনা শুনি নাই। তাজুল ইসলাম কেমন ট্রায়াল লইয়ার এটা বলার মতো যোগ্যতা আমার নাই। কিন্তু আমি প্র্যাকটিসিং আইনজীবীদের কাছ থেকে শুনেছি - যেই লিমিটেড অপশান আপনার কাছে আছে - তার মধ্যে ৭০ এর নীচে যাদের বয়স - এই ছোট্ট গ্রূপে তাজুল ইসলাম আছেন। বাংলাদেশে প্রায় সব আইনজীবীই পার্টিজ্যান, পুরা দেশটাই বিভক্ত। এই যে যেকোনো এপয়েনমেন্ট হলেই তার বাপদাদা চোদ্দগুষ্টি বিএনপি না আওয়ামী লীগ করতো - এই অভ্যাস থেকে আমাদের বের হতে হবে। ডেভিড বার্গম্যানের স্বশুর একজন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী। সঙ্গত কারণেই কামাল হোসেন সাহেবের যোগ্যতা দেখা হয় এই দেশে। কোন পার্টি করতেন সেটা দেখা হয় না।

আমি আসলেই বিশ্বাস করি কোথাও না কোথাও এই দেশে ১টি সৎ, সভ্য ও কম্পিটেন্ট আওয়ামী আছে। এখনো আমি ৭ আঙ্গুলওলা মানুষ দেখি নাই। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এমন মানুষ আছে। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি ১টি সৎ, সভ্য ও কম্পিটেন্ট আওয়ামীকে অবশ্যই নিয়োগ দিতাম। এই একই স্ট্যান্ডার্ড সবার ক্ষেত্রেই আরোপ করা উচিত। সরকারের দেখা উচিত চীফ প্রসিকিউটরের কাজটা তিনি কেমন করবেন? তিনি চোর কি না - অনেস্ট কি না - এইসব। বিএনপি-আওয়ামী লীগ-জামাত কাজিয়ায় গেলে আপনি এই দেশে একটাও নিয়োগ দিতে পারবেন না।

লেখাঃ ফাহাম আব্দুস সালাম

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: তাহার ওই ১টি সৎ, সভ্য ও কম্পিটেন্ট আওয়ামী আইনজীবীকে নিয়োগ দিলেতো বাকিরা মানবে না তাদেরকে 'সালাম' সাহেব
কেমনে বোঝাবেন?
বিচার স্বচ্ছ হবে, মানলে মানবে নাইলে নাই। রায় যে- ই দিক না কেন, শাস্তি হলে আওয়ামীলীগ সেটা মানবে না সিম্পল উত্তর।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭

নতুন বলেছেন: মানুষ যদি প্রফেসনাল হয় তবে তো সমস্যা নাই।

কিন্তু যেই জামাতীরা ভন্ড তারা প্রফেসনাল কিভাবে হবে? আইনী প্রকৃয়াতে বিতর্কিত মানুষকে নিয়োগ দিলে পুরো জিনিসটাই বির্তকিত হয়ে যাবে।

আর জামাতীছাড়্র অন্য বাংলাদেশে অন্য কেউ যোগ্য নাই এটা তো বিরাট একটা ব্যপার B-)

যদিও একজন ফেরেস্তাকে দিয়ে বিচার করালেও আয়ামীলীগ সেই বিচার মানবেনা সেটাও ঠিক।

তবে বিচারের নামে অন্যায় করা যাবেনা।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




আপনার পছন্দের যোগ্য মানুষ কোথায় পাবেন

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: তাজুল ইসলাম তো একটা মামলাও জিততে পারেনাই। তবে মামলাগুলো সাজিয়েছিল বেশ ভালো। কাদের মোল্লার ট্রায়ালে কোন হত্যার পক্ষে এভিডেন্স স্টে করেনাই। সাঈদীর বিরুদ্ধে একটা সাক্ষীও টিকেনাই। তারপরেও ট্রাইব্যুনাল শাহবাগীদের খুশী করতে জোর করে ফাঁসির রায় দেয় - এখানে তাজুলের তো কিছু করার ছিলনা। নিরপেক্ষ বিচার হলে যুদ্ধাপরাধের একটা মাওলাও টিকতো না।

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক আছে।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

এম ডি মুসা বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। সবকিছুর উপরে যে মানুষ সে চিরন্তন সত্য

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যারা আপত্তি করার তারা ফেরেস্তা নিয়োগ দিলেও আপত্তি করবেই। যেমন, যত স্বচ্ছ বিচারই করেন না কেন আওয়ামীলীগ বলবে বিচার ঠিক হয়নি কারণ তারা জানে কিভাবে বিচারের নামে হাসিনা প্রহসন করেছিল জাতির সংগে সুতরাং ঠাকুর ঘড়ে কে রে আমি কলা খাইনা।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: যে সব মামলা হয়েছে তা দিয়ে কাঊকে সাজা দেয়া যাবে না। একমাত্র পুলিশ বা রাস্ট্রপক্ষ যখন যখন তথ্য, প্রমান সাপেক্ষে মামলা করে তখন সেই মামলায় সুবিচার আশা করা যায়। এখন পর্যন্ত যেসব বাদি মামলা করেছে তারা খুবই দুর্বল প্রতিপক্ষ। এইসব মামলা এক মিনিটেই ফু দিয়ে উড়িয়ে দিবে আওয়ামী ব্যরিস্টাররা।

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের উচিত পুলিশ বা রাস্ট্রপক্ষকে বাধ্য করা জুলাই হত্যাকান্ডের বাদি হয়ে মামলা করতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.